Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলাই ভোটের কৌশল
তন্ময় মল্লিক

বাতাসে হিমের ছোঁয়া লাগলেই বোঝা যায়, পুজো আসছে। মাটিতে ঝরে পড়া শিউলি বুঝিয়ে দেয়, পুজোর আর দেরি নেই। উচ্ছ্বসিত কিশোরীর মতো কাশফুলের দোল খাওয়া দেখলেই মনে হয়, ঢাকে কাঠি এই পড়ল বলে। নীল আকাশের কোলে সাদা মেঘের ছোটাছুটি বুঝিয়ে দেয়, শারদোৎসব আগতপ্রায়। প্রকৃতির পরতে পরতে প্রত্যক্ষ হয় মায়ের মর্ত্যে আগমনের লক্ষণ। নেতাদের হাবভাবেও ফুটে ওঠে ‘ভোট-পুজো’র পূর্বাভাস। মুখের একরাশ বিরক্তির বদলে নেতাদের ঠোঁটে লিপস্টিকের মতো লেপ্টে থাকে হাসি। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনের ছটফটানি দেখলেই বোঝা যায়, ভোটভিক্ষের দিন আসন্ন। ইস্যুই হল ভোট-পুজোয় প্রধান উপাচার। তাই ঘুরেফিরে আসে ‘গোর্খাল্যান্ড’ প্রসঙ্গ। বিমল গুরুংদের চাঙ্গা করার আশায় দুম করে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ডাক। লোকজন একে ‘খুঁচিয়ে ঘা করা’ ভাবলেও রাজনীতিতে এরই নাম কৌশল!
গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করেনি কংগ্রেস। সিপিএমও বাংলা ভাগের বিরোধী। আর তৃণমূল সুপ্রিমোর সাফ কথা, পৃথক রাজ্য কিছুতেই নয়। তাই গোর্খাল্যান্ডই যাঁদের একমাত্র দাবি, তাঁদের কাছে এই তিনটি দলই অচ্ছ্যুৎ। বিজেপিই তাঁদের ‘আপনজন’। কারণ পৃথক রাজ্যের দাবিকে তারাই প্রশ্রয় দেয়। সমর্থনও করে। তাই লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়ের গোর্খাল্যান্ড-পন্থী মানুষজন বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছিলেন। ফের একটা নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলা। তাই আবার ভোট দরকার। সেই কারণেই অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক খুঁচিয়ে তুলেছে গোর্খাল্যান্ড ইস্যু। কেন্দ্র গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বৈঠক ডাকতেই গুরুং শিবির ঝাঁপিয়ে পড়ে। কারণ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সামনে পাহাড় দখলের হাতছানি। তৎক্ষণাৎ গুরুং ঘনিষ্ঠ রোশন গিরি দিল্লির বৈঠকের জন্য পাহাড়ের বিভিন্ন দলকে চিঠি দেয়। উদ্দেশ্য, গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে পাহাড়কে এককাট্টা করা।
কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বদলে যায় ছবিটা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংশোধনী দিয়ে জানায়, গোর্খাল্যান্ড নয়, আলোচনার বিষয় গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(জিটিএ)। স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় মোর্চার কেউ কেউ বলছেন, বিশ্বাসঘাতক!
বাঘের পিঠে চড়াটা অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতারই নেশা। বাঘের পিঠে চাপলে তাকে কেউ ছোঁয়ার সাহস দেখায় না। তবে, বিপদও কম নয়। বাঘের পিঠে চড়লে নামাও যায় না। নামলেই যেতে হয় সেই বাঘের পেটেই। এটাই ভবিতব্য।
পুলওয়ামা ও বালাকোট কাণ্ডের আগে বিজেপির অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। বিজেপির দখলে থাকা একের পর এক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হারছিল গেরুয়া শিবির। তাই লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজনীয় আসন জোগাড়ের হিসেব মেলাতে পারছিল না। সেই কারণেই অবিজেপি রাজ্যগুলি থেকে যথাসম্ভব আসন দখলই ছিল গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য। তারমধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গও।
বিজেপির দিল্লির নেতারা বুঝেছিলেন, পাহাড়ের মানুষ যার দিকে, দার্জিলিং আসন তার। শুধু দার্জিলিংয়েই নয়, আশপাশের জেলাতেও নেপালি মানুষের সংখ্যা প্রচুর। তাই যে কোনও মূল্যে তাঁদের পাশে পেতেই হবে। সেই কারণে লোকসভা ভোটের আগে শিলিগুড়িতে নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদি গোর্খাদের স্বপ্নপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর তাতেই বিজেপি ফায়দা তুলেছিল ষোলো আনা। পৃথক রাজ্যের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব সেই বাঘের পিঠেই চেপে বসেছে।
বিভাজন যত, শাসন করা ততই সহজ। শিখিয়ে গিয়েছে ইংরেজ শাসকরা, ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’। ইংরেজরা দেশ ছাড়লেও তাদের শিক্ষা জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন। তাই বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনীতিতে ছড়ানো হচ্ছে বিদ্বেষের বীজ। দেওয়া হচ্ছে বিচ্ছিন্নতায় মদত। পাহাড়, সমতল, জঙ্গলমহল-সর্বত্র।
এগিয়ে আসছে এরাজ্যের বিধানসভা ভোট। তাই আবার দরকার বিমল গুরুংদের সমর্থন। তবে, এবার প্রয়োজনটা আরও বেশি। কারণ ভারত দখলের চেয়েও বঙ্গজয় কঠিন। লোকসভা ভোটে বিরোধী শিবির ছিল বহুধাবিভক্ত। ছিল না গ্রহণযোগ্য মুখ। তার পুরো বেনিফিট পেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে বিজেপির লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যাঁর মজ্জায় রুখে দাঁড়ানোর জেদ, আর রক্তে রয়েছে লড়াই। তাই গিমিক বা চটকদারিতে কিস্তিমাত অসম্ভব।
লড়াই এবার ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। প্রতিটি আসনই বিজেপির জন্য ভীষণ মূল্যবান। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পাশে পাহাড়ের তিনটি আসন নিশ্চিত। আশপাশের জেলার আরও পাঁচ সাতটি আসনেও থাকবে অ্যাডভান্টেজ। লড়াই কাঠে কপাটে হলে ক্ষমতা দখলের জন্য এই সংখ্যাটাই অনেক। তাই গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে ফের জাগিয়ে তোলার চেষ্টা।
এই মুহূর্তে বিমল গুরুং প্রবল চাপে আছেন। একটা সময় তাঁর কথায় ওঠবস করত পাহাড়। এখন তিনিই পাহাড়ে ঢুকতে পারছেন না। মাথার উপর ঝুলছে দেশদ্রোহিতার মামলা। বিজেপিই তাঁর একমাত্র বন্ধু এবং রক্ষাকর্তা। তাও তিনি বিজেপির উপর গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছেন। কারণ গুরুং খুব ভালো করেই জানেন, দর কষাকষির এটাই মোক্ষম সময়। পৃথক রাজ্য গঠনের সরকারি আশ্বাস জোগাড় করতে না পারলে তিনি আরও গাড্ডায় পড়বেন। তাই তিনিও মরিয়া। আবার বিজেপিরও আসন দরকার।
সেই কারণেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুটা ফের চাগিয়ে তোলার চেষ্টা। তবে, গাড়ি সামনের দিকে গড়ানোর আগেই ‘ব্যাক গিয়ারে’। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এজেন্ডা সংশোধন। গোর্খাল্যান্ড এর বদলে জিটিএ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলছে, ভুল করে নাকি ‘গোর্খাল্যান্ড’ লেখা হয়েছিল। এই যদি দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাল হয় তাহলে যথেষ্ট চিন্তার বিষয়।
গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে বৈঠক ডাকলে রাজ্য যে যোগ দেবে না, সেটা বিজেপি নেতারা জানতেন। রাজ্য না গেলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক মূল্যহীন। বিজেপি নেতৃত্ব বিমল গুরুংকে বোঝাতে পারত, তারা পাশে আছে, কিন্তু তৃণমূল চাইছে না। বিজেপি নেতৃত্ব তখন বোঝাতে পারত, পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের জন্য বাংলা দখল প্রয়োজন। তাতে সাপও মরত লাঠিও ভাঙত না।
তবে, দিল্লির বিজেপি নেতৃত্বের সেই ‘গেম প্ল্যান’ সফল হয়নি। কারণ বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খোলেননি। উল্টে বঙ্গ বিজেপিই প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্ব নাকি দিল্লিকে বুঝিয়েছে, নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে বৈঠক ডাকলে ফের পাহাড়ে অস্থিরতা তৈরি হবে। তাতে সমতলে দলের ভোট হারানোর আশঙ্কা প্রবল। কারণ রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই বাংলা ভাগের বিরোধী। আর সেই কারণেই নাকি এই ডিগবাজি!
এখন একটা বিষয় দেখার, অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং বিজেপি নেতৃত্বের রাতারাতি ভোল বদলের বিষয়টি গোর্খাল্যান্ডপন্থীরা কীভাবে নেন। তাঁরা যদি বোঝেন, বিজেপি ছাড়া উপায় নেই। তাহলে রামকৃষ্ণদেবের পরামর্শ মেনে চলবে। ফোঁস করবে কিন্তু ছোবল মারবে না। আর যদি মনে করে, বিজেপি ফের ‘গাজর’ ঝুলিয়ে ভোট নিতে চাইছে, তাহলে ২০২১ সালের ভোটে সব চেয়ে বড় চমকটা দেবে পাহাড়ই।
ময়দানে নেমে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। করোনার জন্য মিছিল মিটিং না করলেও ফাঁকফোকর মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছেন। গরিব মানুষকে চাল আর মাওবাদীদের প্যাকেজ দিয়ে জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোয় ২০১৬ সালে মানুষ উজার করে ভোট দিয়েছিল। তারপরেও লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলে বিপর্যয় ঘটেছে। তার কারণও ছিল। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার জন্য কাটমানি খাওয়া, বেআইনি বালি খাদানের টাকায় শাসক দলের নেতাদের ফুলেফেঁপে ওঠা সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারেনি। এছাড়াও মাওবাদীদের স্পেশাল প্যাকেজ দেওয়ার বিষয়টিকেও বিরোধীরা সুকৌশলে কাজে লাগিয়েছিল। বলেছিল, সরকার খুনিদের স্পেশাল প্যাকেজ দিচ্ছে, কিন্তু মৃতের পরিবারের প্রাপ্তি শূন্য।
তৃণমূল নেতৃত্ব বিরোধীদের এই প্রচারের মোকাবিলায় করতে পারেনি। জঙ্গলমহলে শান্তির জন্য মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করানোটাই ছিল সবচেয়ে জরুরি, সেটা তারা বোঝাতে পারেনি। তাই ক্ষোভ থেকেই গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই ক্ষোভ দূর করতেই উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি মাওবাদী হানায় মৃত ও নিখোঁজদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। বেআইনি বালি বন্ধের কড়া বার্তা দিয়েছেন। জঙ্গলমহলের আস্থা অর্জনই তাঁর লক্ষ্য। কারণ সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের মতোই জঙ্গলমহল ও পাহাড় তাঁর কাছে আবেগ। তাই এবারও ঝাড়গ্রামে গিয়ে বলেছেন, অপনাদের কী চাই বলুন। আমি দেব। কিন্তু, দয়া করে দূরে সরে যাবে না।
কথায় আছে, ‘লেট ইস বেটার দ্যান নেভার’। দেরিতে হলেও মানুষের ক্ষোভ দূর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এক এক করে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। অনেকে বলছেন, তাঁর সংশোধনের ভাবনা ও পদক্ষেপ হতে পারে জঙ্গলমহলের ‘গেম চেঞ্জার’। 
10th  October, 2020
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM