Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সব মানুষকে সব সময়
বোকা বানানো হচ্ছে
পি চিদম্বরম

ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে থেকে নীচের তথ্যগুলো (কিছুটা পুরনো হয়ে গিয়েছে যদিও) পেয়েছি (রঙিন টেবলটি দেখুন): কয়েক দশক যাবৎ বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি পণ্য বাজার কমিটি (এপিএমসি) আইন চালু থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ কৃষক তাঁদের উৎপাদিত পণ্য ‘স্থানীয়’ ব্যবসায়ীদের কাছেই বিক্রি করে থাকেন। ধান এবং গম চাষিদের ৬০ শতাংশই এই শ্রেণীতে পড়েন। সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মাত্র ১ কোটি ২৪ লক্ষ ধানচাষি এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৪৩ লক্ষ ৩৫ হাজার গমচাষি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) পেয়েছেন।   

এপিএমসি-র ভালো ও মন্দ দিক
কারণগুলো স্পষ্ট। কৃষকদের ৮৫ শতাংশই ছোট জোতের মালিক। মানে এক হেক্টরের চেয়েও ছোট ছোট জোতের মালিক তাঁরা। ফলে, বিক্রি করার মতো উদ্বৃত্ত ফসল তাঁদের কমই থাকে। এপিএমসি মার্কেটগুলো যেসব ছোট কৃষকের খামার থেকে অনেক দূরে, তাদের জন্য এই ব্যবস্থা লাভদায়ক নয়। কারণ পণ্যগুলো সামান্য কয়েকটা বস্তায় ভরা, লোডিং করা, গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া এবং আনলোডিং করার একটা ভালো খরচ রয়েছে। তারপর আসে এপিএমসিতে পৌঁছে প্রতীক্ষা-সহ ফি জমা করার পালা। এরপর বিক্রীত পণ্যের দাম আদায় করতে কেটে যায় দু’দিন! ছোট ছোট কৃষকের জন্য এ এক নিরর্থক ব্যবস্থা। সেই তুলনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অনেকটাই নির্ভরযোগ্য বন্ধু হয়ে ওঠেন। কারণ, তাঁরা খামারে গিয়েই পণ্য কেনেন এবং হাতে হাতে দাম মিটিয়ে দেন। দামটা তখন এমসিপি-র চেয়ে কিছুটা কম হলেও পুষিয়ে যায়।
এপিএমসি মার্কেট চত্বরগুলো পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলোর জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ, এসব রাজ্যে বিক্রি করার মতো বিপুল ফসল উদ্বৃত্ত থাকে। এই দুই রাজ্যে উৎপাদিত ধান ও গমের ৭৫ শতাংশ সরকারি এজেন্সিগুলো মারফত কেনা হয়ে থাকে। অন্য রাজ্যগুলোর বেলায় কী হয়—কতিপয় পণ্ডিত এই নিয়ে তর্ক করেন যে বাজারের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয় এবং সেগুলো বেশ দূরে দূরেও। উদাহরণ হিসেবে তামিলনাড়ুর কথা বলতে চাই। ৩৬টি জেলায় ২৮৩টা বাজার রয়েছে। মানে জেলাপিছু গড়ে ৮টা বাজার। এগুলোতে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সর্বমোট ১২৯ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকার ব্যবসা হয়েছে। আর যদি মহারাষ্ট্রের কথা ধরি, সেটাও খুব ভালো দৃষ্টান্ত নয়। সেখানে বাজারের সংখ্যা ৩২৬। ফসল ওইসব বাজারে নিয়ে যেতে কৃষকদের গড়ে ২৫ কিমি যেতে হয়। 
কোনও সংশয় নেই যে এপিএমসি আইন কৃষিপণ্যের অবাধ কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বাজার চত্বর কৃষকদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় এই ধরনের মার্কেট থেকে সংগৃহীত ফি দ্বারা রাজ্যের সরকারি কোষাগার বিশেষভাবে লাভবান হয়। সংশ্লিষ্ট সরকারও ওই টাকা খরচ করে কৃষি
এবং গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য। তৎসত্ত্বেও আমি মনে করি যে সময় হলে এপিএমসি আইন অবশ্যই অবাধ বাণিজ্যের পক্ষে সুফলদায়ক হবে। এজন্য অবশ্য বাজারের সংখ্যা অনেক গুণ বাড়াতে হবে এবং সেগুলোকে সব কৃষকের জন্য সুবিধাজনক করে গড়ে তুলেত হবে।   


কংগ্রেসের ইস্তাহার বনাম বিজেপির বিল
২০১৯ সালে কংগ্রেসের ইস্তাহারে এটাই ছিল প্রতিশ্রুতি। কংগ্রেসের ইস্তাহার ‘ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানিগুলোকে/সংগঠনগুলোকে প্রমোট করার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কেন? ‘তথ্যাদি,  প্রযুক্তি এবং বাজারকে নাগালে পাওয়ার মতো কৃষকদের উপযুক্ত করে তোলার জন্য’। আরও উদ্দেশ্য ছিল—‘উপযুক্ত পরিকাঠামো সমেত ফার্মার্স মার্কেট তৈরি করা। বড় গ্রাম এবং ছোট শহরগুলোকে এমনভাবে সাপোর্ট দেওয়া হবে যে কৃষকরা সহজেই তাঁদের ফসল বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন এবং অবাধে বেচাকেনা সেরে ফেলবেন।’ দেশজুড়ে এই ধরনের হাজার হাজার বাজার নির্মাণ করাই ছিল কংগ্রেসের ওই প্রতিশ্রুতির নির্যাস। এই ধরনের বাজার তৈরি করতে পারবে রাজ্য সরকার নিজেই, অথবা স্থানীয় পঞ্চায়েত, সমবায় সমিতি কিংবা লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনও বেসরকারি উদ্যোগী। এই বাজারগুলোতে হালকা নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং প্রতিটা লেনদেন এই শর্তে সম্পন্ন হবে যে, কোনও ক্ষেত্রেই এমএসপি-র কম দাম গ্রাহ্য হবে না। তখন এপিএমসি আইন বাতিল করার প্রস্তাবটা হয়ে উঠত—কৃষকদের নাগালের ভিতরে কয়েক গুণ বাজার তৈরির একটা স্বাভাবিক পরিণতি। 
উল্টো দিকে, মোদি সরকার কী করল? তারা এমএসপির নিরাপত্তাটিকে দুর্বল করে দিল এবং শস্য সংগ্রহের সরকারি ব্যবস্থাটিকে হালকা করে ফেলল। কৃষকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। কারণ, তাঁরা ভয় পাচ্ছেন যে এমএসপি ব্যবস্থাটিকেই তুলে দেওয়া হবে না তো? রাজ্য সরকারগুলির আতঙ্ক হল—খাদ্যশস্যের সরকারি সংগ্রহ এবং গণবণ্টন ব্যবস্থা (রেশন) ধ্বংস হয়ে যাবে। খাদ্য নিরাপত্তার তিনটি পিলারের গোড়া একবার যদি নড়বড়ে করে দেওয়া হয়, তবে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন, ২০১৩-র মাধ্যমে যে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়া হয়েছে, সেটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে।
মোদি সরকারের আইন হাজার হাজার বিকল্প বাজার সৃষ্টি করছে না। তার পরিবর্তে বরং তারা চুক্তি চাষের অনুমতি দেবে। কর্পোরেটদের জন্য, এবং পরিশেষে, কার্টেলদের (দাম নিয়ন্ত্রণে দক্ষ বড় ব্যবসায়ীদের জোট) জন্যও দরজা হাট-আলগা করে দেবে। এই ধরনের পরাক্রমশালী ক্রেতাদের বিরুদ্ধে ছোট/মাঝারি কৃষকদের দর কষাকষির অথবা চুক্তি সম্পাদনের সমান ক্ষমতা থাকবে না। নতুন আইনে বিতর্ক-বিবাদ মীমাংসার ব্যবস্থাটিও এমন জটিল যে কৃষকরা একেবারে শেষ হয়ে যাবেন।

আরও একটি ফাঁকা আওয়াজ
কৃষিমন্ত্রী সংসদকে বলেছেন যে এমএসপি নিয়ে নতুন আইনের কোনও কিছুই করার নেই। সেটা আক্ষরিক অর্থেই সত্যি! তবুও, তিনি বলেছেন যে সরকার কৃষকদের এমএসপির ‘গ্যারান্টি’ বা নিশ্চয়তা দেবে। এটি একটি উদ্ভট প্রতিশ্রুতি। সরকার কীভাবে জানবে—কোন কৃষক, কোন ফসল কোন ক্রেতাকে বিক্রি করল? যদি এমএসপি বাধ্যতামূলক রাখাই সরকারের উদ্দেশ্য, তবে কেন এই সংক্রান্ত বিলে সেইমতো একটি ধারা (ক্লজ) রাখা হল না—কৃষককে ক্রেতা যে দাম মেটাবেন, সেটি ‘সরকারের তরফে নির্দিষ্ট করে দেওয়া এমএসপির কম হবে না’?
নোট বাতিল ছিল একটি বিপর্যয়। ২০১৭-১৮ থেকে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অব্যবস্থা ছিল তারই ধারাবাহিক পরিণাম। তেমনি আইনে পরিণত হওয়ার পথে কৃষি বিল দু’টিও ভারতীয় কৃষক শ্রেণীকে এবং কৃষি অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেবে। তারা রাজ্যগুলির অধিকার এবং ফেডারালিজমের উপরেও আঘাত হানল। আপাতভাবে, মোদি সরকার বিশ্বাস করে যে সে সব মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানাতে ওস্তাদ।
 লেখক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
28th  September, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে- ১৬.৩৩ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে- ২২.৬০ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে- ৩০.৪৬ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে- ১৯.১৭ শতাংশ, মণিপুরে- ২৭.৬৪ শতাংশ ভোট পড়ল

12:30:20 PM

রাজ্যের তিন লোকসভা আসনে ভোটকে কেন্দ্র করে মোট ২৭৪ টি অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে, যার মধ্যে ১৯৫ টির সমাধান করা হয়েছে

12:29:46 PM

মণিপুরের মইরাংয়ে ভোট চলাকালীন একটি পোলিং বুথে চলল গুলি

12:27:19 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ৩৩.২৮ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ২৫.২০ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ২৪.৮৩ শতাংশ ভোট পড়ল

12:26:32 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত মেঘালয়ে- ৩১.৬৫ শতাংশ, মিজোরামে- ২৬.২৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে- ২২.৫০ শতাংশ, পুদুচেরীতে- ২৭.৬৩ শতাংশ, রাজস্থানে- ২২.৫১ শতাংশ, সিকিমে- ২১.২০ শতাংশ ভোট পড়ল

12:25:16 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে- ২১.৮২ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে- ১৮.২৬ শতাংশ, অসমে- ২৭.২২ শতাংশ, বিহারে- ২০.৪২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে- ২৮.১২ শতাংশ ভোট পড়ল

12:24:39 PM