Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সদিচ্ছায় জটিল সমস্যাও
হয় জলবৎ তরলং
তন্ময় মল্লিক

‘গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, সে গন্ধ বিতরণ করবেই।’ বলেছিলেন মহাকবি শেক্সপিয়র। নাম পাল্টে দিলেও গোলাপের চরিত্র বদলায় না। জঙ্গিরা অনেকটা তেমনই। আল কায়েদা হোক বা এলটিটিই, মাওবাদী হোক বা লস্কর-ই-তোইবা—সকলেই নরখাদক, শয়তানের উপাসক। নাশকতা চালানো আর সুস্থিতি বিনষ্ট করাই এদের উদ্দেশ্য। সব জঙ্গিগোষ্ঠীই মানবজাতি ও মানবতার শত্রু। তাই বিশ্বের সমস্ত গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে জঙ্গিরাই সব চেয়ে বড় থ্রেট। ভারতবর্ষও তার বাইরে নয়। দেশপ্রেমী সব ধর্মের মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সর্বাত্মক লড়াইয়েই আসতে পারে জঙ্গি দমনে সাফল্য। কিন্তু, জঙ্গি দমনকে রাজনৈতিক ইস্যু বানালেই বিপদ।
আল কায়েদা জঙ্গি মডিউলের খোঁজ মিলতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল। এই দুই রাজ্য থেকে ন’জনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। ধৃতদের সঙ্গে পুলওয়ামার হত্যাকারীদের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। আল কায়েদার নামডাকের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া মালপত্রের সামঞ্জস্য খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই। তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে, সেই বিতর্কে না গিয়েও স্পষ্ট করে বলা যায়, জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আর সেটাই জঙ্গি দমনের পথে প্রধান অন্তরায়।
জঙ্গি জন্মায় না, তৈরি করা হয়। বঞ্চনার অভিমানকে উস্কে দিয়ে জাগিয়ে তোলা হয় প্রতিহিংসার নেশা। লাগাতার মগজ ধোলাইয়ে মাথায় গেঁথে দেওয়া হয়, সে বঞ্চিত। তার জন্য দায়ী সরকারি সিস্টেম। তাই তাকেই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করতে হবে। দুর্ভাগ্য, সেই লক্ষ্য পূরণে পবিত্র ধর্মকে নির্লজ্জভাবে কাজে লাগানো হয়।
ইসলাম ধর্মকে হাতিয়ার করে আল কায়েদা, আইএস এর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে চাইছে। আইএস ২০২০ সালের মধ্যে ভারত সহ পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অংশকে ইসলামিক স্টেটের অধীনে আনার কথা ঘোষণা করেছে। মানুষকে আতঙ্কিত করতে তারা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাতে জঙ্গিরা সাহস পায়। ক্ষমতালোভী কিছু লোক ইসলামকে রক্ষার নামে ‘জেহাদি’ তৈরি করে। ধ্বংসই লক্ষ্য। তাদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে হতদরিদ্র ও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত মানুষজন। অথচ যে ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, সেই ইসলাম শান্তি, সহনশীলতা ও উদারতার কথাই বলে। স্বয়ং হজরত মহম্মদ বলেছেন, ‘ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। এই বাড়াবাড়ির ফলে অতীতে বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।’
আসলে ধর্ম অনেকটা ছুরির মতো। ডাক্তারের হাতের ছুরি মানুষের জীবন বাঁচায়। আবার দুষ্কৃতীর হাতে সেই ছুরিই মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। ধর্মও ঠিক তেমনটাই। ধর্মীয় ভাব জাগলে মানুষ হয় দয়ালু। আর্তের পাশে দাঁড়ায়। আবার সেই ধর্মকে কাজে লাগিয়েই মৌলবাদীরা ‘ভালো’ মানুষকে খারাপ কাজের দিকে ঠেলে দেয়। নাশকতায় লিপ্ত করে।
এনআইএ-র অনুমান, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল থেকে ধৃত জঙ্গিরা খারাপ কাজে উৎসাহিত হয়েছিল। নাশকতার দক্ষ কারিগর হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। নীরবে।
ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছে বাংলা। দার্জিলিংয়ে জঙ্গি আন্দোলনের ভয়াবহ স্মৃতি ফিকে হলেও মুছে যায়নি। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সশস্ত্র আন্দোলনে শান্ত দার্জিলিং হয়ে উঠেছিল আগ্নেয়গিরি। ব্যক্তিগত ফায়দার জন্য সুবাস ঘিসিং শান্তিপ্রিয় গোর্খাদের জাত্যভিমানকে উস্কে দিয়েছিলেন। আর কৌশলী সিপিএম সেই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে বানিয়েছিল রাজনীতির উপাদান। ‘এক কোলিজা রক্ত দেব, বাংলা ভাগ হতে দেব না’ এমনই দেওয়াল লিখনে ভরে গিয়েছিল রাজ্য। দার্জিলিংকে সামনে রেখে বামফ্রন্ট জিতেছিল একের পর এক নির্বাচন।
সেই দার্জিলিং এখন শান্ত। কারণ সমস্যা সমাধানে শাসকের সদিচ্ছা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিংকে ভোটে জেতার ইস্যু বানাতে চাননি, চেয়েছিলেন সমাধান। তাই শান্তি ফিরেছে। যারা বাংলা থেকে দার্জিলিংকে আলাদা করতে চেয়েছিল, আজ তারাই পাহাড় থেকে বিচ্ছিন্ন। গোর্খাল্যান্ড সমর্থন না করায় তৃণমূল দার্জিলিংয়ে বারবার হেরেছে, তাও মমতা সমঝোতার রাস্তায় হাঁটেননি। তাই আজও দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
সদিচ্ছা ও আন্তরিকতায় অনেক জটিল সমস্যাও সহজ হয়। তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত, এ রাজ্যের মাওবাদী সমস্যা। বাম জমানার শেষদিকে মাওবাদী আতঙ্কে কাঁপত জঙ্গলমহল। গুলি, বারুদের দাপটে ভরসন্ধেতেই নামত গভীর রাতের নিস্তব্ধতা। ঝুপ ঝুপ করে দোকানের ঝাঁপ পড়ত। শুনশান হয়ে যেত রাস্তাঘাট। বনপার্টির দল বাড়ি থেকে সিপিএমের নেতাদের তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করত। সেই সব দেহ উদ্ধারের জন্য পুলিস থাকত ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষায়। আনাচেকানাচে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প, হার্মাদ ক্যাম্প বসিয়েও জঙ্গলমহলকে বাগে আনা যায়নি। কারণ মাওবাদী দমন অপেক্ষা তাকে ভোটের ইস্যু বানানোর দিকেই বামেদের নজর ছিল বেশি। খাল কেটে কুমির ডাকলে তার পেটে যাওয়াটাই ভবিতব্য!
জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানো ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রতিশ্রতি। তাই প্রথম থেকেই তিনি সমস্যা মেটানোয় ছিলেন আন্তরিক। ইস্যু জিইয়ে রাখতে চাননি বলেই সমস্যার গভীরে ঢুকেছিলেন। জঙ্গলমহলে জঙ্গি থাকলেও তিনি গোটা জঙ্গলমহলকে মাওবাদী ভাবেননি। তিনি বুঝেছিলেন, শুধু অস্ত্র দিয়ে হবে না। মাওবাদী দমন করতে গেলে মানুষকে তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তার জন্য দরকার গরিব মানুষের ভাতের ব্যবস্থা করা। সেই মতো সাজিয়ে ছিলেন রণকৌশল।
নিখুঁত পরিকল্পনা ও সদিচ্ছায় সফল হয়েছিল উদ্দেশ্য। গুলির লড়াইয়ে মরেছিলেন কিষেণজি। ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য করেছিলেন ভাতের ব্যবস্থা। শান্তি ফিরেছিল জঙ্গলমহলে। জঙ্গলমহল জঙ্গিমুক্ত। প্রায় ১০ বছর ঘটেনি রক্ত ঝরার কোনও ঘটনা। অন্য রাজ্যে দাপট দেখালেও বঙ্গে ঢোকার সাহস দেখায়নি মাওবাদীরা। একইভাবে আল কায়েদা জঙ্গিদেরও মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তবেই আসবে সাফল্য। তা না করে ধর্মের দিকে আঙুল তুললে, তা হবে মারাত্মক ভুল।
মুর্শিদাবাদ থেকে ছ’জন গ্রেপ্তার হতেই বিজেপি নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গকে ‘জঙ্গি হাব’ বলে প্রচার শুরু করেছে। মহামহিম এব্যাপারে সর্বদাই এগিয়ে। তাঁর কথায়, ‘রাজ্য তো জঙ্গি, বোমা, অপরাধী তৈরির স্বর্গোদ্যান।’ পিছিয়ে নেই কংগ্রেস-সিপিএম। তবে, কেরল থেকে আল কায়েদার তিনজন গ্রেপ্তার হওয়ায় সিপিএম কিঞ্চিৎ বিব্রত।
গোয়েন্দাদের মতে, কেরল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মুর্শিদই এই মডিউলের মাস্টার মাইন্ড। সে কেরল থেকেই দিল্লি, কাশ্মীর ঘুরে ঘুরে নানা তথ্য সংগ্রহ করত। জন্মস্থান বাংলায় হলেও জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত কেরলে বসেই। তার উপর কেরলের সিপিএম সরকারের বিপদ বাড়িয়েছেন বাম সরকারের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী কে টি জলিল। তাঁর বিরুদ্ধে আবার বিদেশ থেকে অর্থ সাহায্য নেওয়া ও ধর্মীয় প্রচার-পুস্তিকা আনানোর অভিযোগ। এনআইএ-র জেরার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকেও।
বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরণ সরাসরি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে আক্রমণ করেছেন। মুরলীধরণ বলেছেন, বিজয়নের আমলেই কেরল সন্ত্রাসবাদী ও দেশ-বিরোধী শক্তির নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছে।
এসব থেকে স্পষ্ট, জঙ্গি এখন রাজনীতির মস্ত বড় ইস্যু। রাজনীতির কারবারিরা ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনাকে সামনে রেখে চলছে মেরুকরণের জোরদার চেষ্টা। বালাকোটের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা স্মরণ করে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, বিধানসভা ভোট যত কাছে আসবে, এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। তাতে মূল সমস্যা থেকে নজর ঘুরে যাবে। জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি, পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, চাষির উপর কৃষিবিলের ভয়ঙ্কর প্রভাবের আলোচনা চাপা পড়ে যাবে। ঝোড়ো ইনিংস শুরু করে দেবে ধর্মীয় বিভাজন ও মেরুকরণের চর্চা। এসব করে হয়তো ভোটের বাজারে ফায়দা আসবে, কিন্তু জঙ্গির শিকড় উপড়ে ফেলা অসম্ভব। তার জন্য দরকার মানসিকতা।
সমস্যার সমাধান হয় সদিচ্ছা ও নিখুঁত পরিকল্পনায়। তার জোরে জটিল সমস্যাও হয়ে যায় জলবৎ তরলং। দৃষ্টান্ত আছে চোখের সামনেই। দার্জিলিং
আর জঙ্গলমহল।
26th  September, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬১.৯৫ শতাংশ, মিজোরামে ৪৯.১৪ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫১.৭৩ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৫৮.৮৬ শতাংশ ও রাজস্থানে ৪১.৫১ শতাংশ, সিকিমে ৫২.৭২ শতাংশ ভোট পড়ল

04:17:00 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে- ৪৩.৯৮ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে- ৫৭.০৯ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে- ৫৩.৪০ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে- ৪৪.১২ শতাংশ, মণিপুরে- ৬৩.০৩ শতাংশ ভোট পড়ল

04:14:03 PM

রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবে ভেটো দিল আমেরিকা
রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্যালেস্তাইনকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিল আমেরিকা। গতকাল, ...বিশদ

04:13:15 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৫১.০১ শতাংশ, ত্রিপুরাতে ৬৮.৩৫ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৪৭.৪৪ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৪৫.৬২ শতাংশ ভোট পড়ল

04:09:43 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে- ৪৫.৪৮ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে- ৫৫.০৫ শতাংশ, অসমে- ৬০.৭০ শতাংশ, বিহারে- ৩৯.৭৩ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে- ৫৮.১৪ শতাংশ ভোট পড়ল

03:55:00 PM

বিজেপিকে হারাতে বিকল্প তৃণমূল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:50:34 PM