Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিধবাবিবাহ আইন ও বিদ্যাসাগর
তরুণকান্তি নস্কর

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মের দ্বিশতবর্ষের প্রারম্ভে গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর শিক্ষাচিন্তার উপর এই লেখকের একটি উত্তর-সম্পাদকীয় প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। দ্বিশতজন্মবার্ষিকীর সমাপ্তিতে তাঁর জীবন সংগ্রামের অন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনার জন্য এই প্রয়াস। তিনি বলেছিলেন, বিধবাবিবাহ তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম। তারজন্য তিনি যে দৃঢ় চিত্ততা ও সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করার অদম্য মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা ইতিহাস। কেন তিনি তা করেছিলেন তা বোঝার জন্য ওই সময়ের সমাজটা জানা দরকার। শরৎচন্দ্রের ‘পণ্ডিতমশায়’ উপন্যাসের প্রথম পংক্তিতে তার একটি সকরুণ চিত্র পাওয়া যায়। “কুঞ্জ বোস্টমের ছোট বোন কুসুমের বাল্য-ইতিহাসটা এতই বিশ্রী যে, এখন সে-সব কথা স্মরণ করিলেও, সে লজ্জায় মাটির সহিত মিশিয়া যাইতে থাকে। যখন সে দুবছরের শিশু তখন বাপ মরে, মা ভিক্ষা করিয়া ছেলে ও মেয়েটিকে প্রতিপালন করে। যখন পাঁচ বছরের, তখন মেয়েটিকে সুশ্রী দেখিয়া, বাড়ল গ্রামের অবস্থাপন্ন গৌরদাস অধিকারী তাহার পুত্র বৃন্দাবনের সহিত বিবাহ দেয়। কিন্তু বিবাহের অনতিকাল পরেই কুসুমের বিধবা মায়ের দুর্নাম উঠে, তাহাতে গৌরদাস কুসুমকে পরিত্যাগ করিয়া ছেলের পুনর্বার বিবাহ দেয়। তারপর কুসুমের মা তাকে আসল এক বৈরাগীর সংগে কণ্ঠীবদল করে, ছয় মাসের মধ্যে সেই বৈরাগী নিত্যধামে গমন করেন। ... এত কাণ্ড কুসুমের সাত বৎসর বয়সেই শেষ হইয়া যায়”। কুসুমের পরবর্তী জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত নিয়েই উপন্যাসটি।
বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের কারণে শৈশব অবস্থা থেকেই এদেশের মেয়েরা কী দুঃসহ জীবনের সম্মুখীন হতো তা এই বিবরণ থেকে পাওয়া যায়। বিদ্যাসাগরও তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বাল্যবিবাহ-বহুবিবাহ-কৌলিন্য প্রথা বজায় রাখার কারণে উদ্ভূত নারী জীবনের অনেক হৃদয়বিদারক কাহিনী বিবৃত করেছেন। যখন শিশু-কন্যাদের বাবা-মায়ের স্নেহে বাড়িতে প্রতিপালিত হওয়ার কথা, নারীত্ব-প্রেম-যৌনতা এসব কোন অনুভূতি সৃষ্টি হওয়ার কথা নয় তখনই তারা বাল্যবিবাহের শিকার হতো। কৌলিন্য প্রথার দৌলতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বর হতো বার্ধ্যক্যের দরজায় দাঁড়ানো পুরুষ, যার অবশ্যম্ভাবী ফল হতো শিশু-বধূটির অকাল বৈধব্য। সাদা থান পরিহিত বিধবা-বেশী, উৎসব-অনুষ্ঠানে যোগ দানের অধিকার বিবর্জিত, শ্বশুরালয় বা পিত্রালয়ের নানা গঞ্জনার শিকারে পরিণত হওয়া নারীর সংখ্যা ছিল সমাজে প্রচুর। একাদশী-পূর্ণিমাতে সারাদিন নির্জলা উপবাস করে কত বাল-বিধবার যে প্রাণ যেত! এই বালবিধবারা যখন যৌবনপ্রাপ্ত হতেন তখন কখনও স্বাভাবিক চাহিদা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিকট আত্মীয় পরিজন পুরুষের লালসার শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়তেন। তারপর পারিবারিক সম্মান রক্ষা কিংবা সমাজচ্যুত হওয়ার ভয়ে গোপনে ভ্রূণহত্যার চেষ্টা হতো। তাতে অনেক প্রসূতি মায়ের জীবন সংশয় হতো অথবা সূতিকাগারে সদ্যজাত সন্তানকে হত্যা করা হতো। দুঃসহ এই সামাজিক পরিস্থিতি বিদ্যাসাগরের মনকে অস্থির করে তুলেছিল। এর থেকে নারী সমাজের মুক্তিদানের আকাঙ্ক্ষায় তিনি ছটফট করতেন।
অন্যদিকে প্রণয়-ভালোবাসা ছাড়া যে বিবাহ সুখের
হয় না, অত্যন্ত কৈশোরে তা যে অসম্ভব,
সে সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল।
তিনি লিখেছেন, “অস্মদেশে দাম্পত্যনিবন্ধন অকপট প্রায় দৃষ্টই হয় না, কেবল প্রনয়ী ভর্তাস্বরূপ এবং প্রনয়িনী গৃহপরিচারিকা স্বরূপ হইয়া সংসারযাত্রা নির্বাহ করে”। অত্যন্ত আধুনিক মানসিকতার এটা পরিচায়ক, যা ইউরোপীয় রেনেসাঁর উত্তরাধিকারে তাঁর পাওয়া। তিনি ছিলেন মাইকেল মদুসূদনের ভাষায় ‘‘এদেশে প্রথম আধুনিক মানুষ’’; সুকুমার সেনের কথায়, “তাঁর মতন ‘আধুনিক মানুষ’ আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে জন্মায়নি”।
আরও একটি বিষয় তাঁকে পীড়া দিত। বিবাহই যদি কৈশোরে মেয়েদের ভবিতব্য হয় তাহলে স্কুলে আসবে কে? সমাজ প্রগতির জন্য তখন নারী শিক্ষার প্রয়োজন তিনি গভীরভাবে অনুভব করতেন। কী অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি চারটি জেলায় ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন এবং ব্রিটিশরা প্রথমে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে পিছিয়ে এলেও কীভাবে সেগুলি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তা ইতিহাস।
এই সমস্ত কারণে বিধবাবিবাহের প্রচলন এবং বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রোধ তিনি জীবনের প্রধান কর্ম হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু তথাকথিত শাস্ত্রকার নিয়ন্ত্রিত ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে তা যে কত দুরূহ সে সম্পর্কে তাঁর সম্যক ধারণা ছিল। তিনি বুঝেছিলেন শাস্ত্রের বিধানে বিধবাবিবাহ যে সিদ্ধ তা যদি প্রমাণ না করতে পারেন তাহলে সমাজপতিদের দুর্লঙ্ঘ বাধা তিনি অতিক্রম করতে পারবেন না।
তিনি শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন, জ্ঞান চর্চা করতেন সৃষ্টিশীল মানসিকতা থেকে, পাণ্ডিত্য জাহির করার উদ্দেশ্যে নয়। উদ্দেশ্যমুখীনতা থেকে মনুসংহিতা, গৌতমসংহিতা, শঙ্করসংহিতা ও পরাশরসংহিতা তন্নিষ্ঠভাবে অনুসন্ধান করে তিনি দেখলেন পরাশরসংহিতা‍ বিধবাবিবাহ অনুমোদন করে। শোভাবাজার রাজবাড়ি তখন ছিল সমাজপতিদের প্রায় হেডকোয়ার্টার। সেখানেই প্রথম সারির শাস্ত্র বিশারদদের সঙ্গে বৈঠক হয়। শাস্ত্র আলোচনায় তাঁরা পরাস্ত হন। তাঁর সামনে থেকে বাধার পাহাড় অপসারিত হয়। কিন্তু পণ্ডিতবর্গ লোকাচারের দোহাই দিয়ে বিধবা বিবাহ প্রবর্তনের বিরোধিতা করেন। তখন বিদ্যাসাগর তাঁদের মানবিক হতে আবেদন করেছিলেন।
ধর্ম-বিশ্বাসী না হয়েও কেন তিনি ধর্মশাস্ত্রের আশ্রয় নিয়েছিলেন তা না বুঝে কেউ কেউ তাঁকে সমালোচনা করেন। তাঁর নিজের কথায়, “যদি যুক্তিমাত্র অবলম্বন করিয়া ইহাকে কর্তব্যকর্ম বলিয়া প্রতিপন্ন কর, তাহা হইলে এতদ্দেশীয় লোকে কখনই ইহা কর্তব্যকর্ম বলিয়া স্বীকার করিবেন না। যদি শাস্ত্রে কর্তব্যকর্ম বলিয়া প্রতিপন্ন করা থাকে, তবেই তাহারা কর্তব্যকর্ম বলিয়া স্বীকার করিতে এবং তদনুসারে চলিতে পারেন”।
বিধবাবিবাহ কেন আইনসিদ্ধ হওয়া উচিত সে সম্পর্কে তিনি দুইটি বই লেখেন। সমাজে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গোঁড়া হিন্দুদের কাছ থেকে বাধা আসে প্রচুর। এমনকী বঙ্কিমচন্দ্রের মত সাহিত্যিকও কলম ধরেন। তাঁর ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসের সূর্যমুখী একখানা চিঠিতে লিখেছে, “ঈশ্বর বিদ্যাসাগর নামে কলিকাতায় কে না কি বড় পণ্ডিত আছেন, তিনি আবার একখানি বিধবাবিবাহের বহি বাহির করিয়াছেন। যে বিধবার বিবাহের ব্যবস্থা দেয়, সে যদি পণ্ডিত, তবে মুর্খ কে”? বহুবিবাহ কেন বন্ধ হওয়া উচিত সে সম্পর্কে লেখা বিদ্যাসাগরের পুস্তক নিয়েও বঙ্কিমচন্দ্র ব্যঙ্গ করেছিলেন। সমাজপতিদের ষড়যন্ত্রে বিদ্যাসাগরের প্রাণনাশেরও চেষ্টা হয়। যাই হোক, প্রবল সামাজিক আন্দোলনের চাপে বিধবাবিবাহের আইন গৃহীত হয়।
আইন তো হল, কিন্তু এমন বিবাহ করবে কে? বর, কনে কোথায় পাওয়া যাবে? এখানেও বিদ্যাসাগরের অক্লান্ত পরিশ্রম। অবশেষে এসেছিল সেইদিন-- ১৮৫৬ সালের ৭ ডিসেম্বর, শ্রীশচন্দ্র ও কালীমতীর বিয়ে। প্রথম বিধবাবিবাহ। আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল বিদ্যাসাগরের হৃদয়ে। তার বর্ণনা পাওয়া যায় সে সময়ের সংবাদপত্রের পাতায়। কিন্তু যে বন্ধুরা তাঁকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেলেন তাঁদের অনেকে সমাজচ্যুত হওয়ার ভয়ে পিছিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকেও একঘরে করা হয়েছিল। কোনও কিছুতেই তিনি পিছিয়ে আসেননি। এমনকী তাঁর বন্ধু রামমোহন পুত্র রমাপ্রসাদ রায় প্রথম বিধবাবিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পিছিয়ে এসেছিলেন। এই ভীরুতায় দুঃখ পেয়ে দেওয়ালে রামমোহনের ছবির দিকে ইঙ্গিত করে রমাপ্রসাদকে বলেছিলেন, ‘ওটা ফেলে দাও’।
এরপর তাঁর জীবদ্দশায় বহু বিধবাবিবাহের ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন। কিন্তু কথা উঠছিল, ‘পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে বিদ্যাসাগর নাম কিনছেন। নিজের ছেলের বিয়ে দিচ্ছেন না’। অবশেষে একমাত্র পুত্র নারায়ণচন্দ্র বিধবাবিবাহ করেন। আত্মীয়-স্বজনের প্রবল আপত্তি, এমনকী ভাই শম্ভুচন্দ্র প্রথমদিকে সম্মতি দিলেও পরে সাবধানতার নামে বাধা দেন। কিন্তু কোনও বাধাই নারায়ণচন্দ্রের পিতাকে নিরস্ত করতে পারেনি।
এই হচ্ছে বিদ্যাসাগর। আদর্শের প্রতি অনড়, সংকল্পে অটল, আপসহীন এক রেনেসাঁ ব্যক্তিত্ব। তাঁর প্রতি রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধার্ঘ্যটি ছিল অত্যন্ত যথার্থ – “দয়া নহে, বিদ্যা নহে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের চরিত্রের প্রধান গৌরব তাঁহার অজেয় পৌরুষ, তাঁহার অক্ষয় মনুষ্যত্ব”।
 লেখক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। মতামত ব্যক্তিগত
26th  September, 2020
জয় করে তবু ভয় কেন তাঁর যায় না
সন্দীপন বিশ্বাস

মোদিজির ভোটশক্তির আসল কাঠামো মূলত মধ্যবিত্ত হিন্দু ভোটারদের সমর্থন। বিজেপি-আরএসএস এদেশে হিন্দুত্বের একটা সিন্ডিকেট গড়ে বিভেদের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে একচেটিয়া করে তুলতে চেয়েছিল। এই সিন্ডিকেটের সবথেকে বড় শক্তি মধ্যবিত্তই। আজ সেই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর সবথেকে বড় আঘাত পড়েছে। বিশদ

শাসনতন্ত্রের বেসামাল
নৌকায় সওয়ার দেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 পিতৃতন্ত্র আর শাসনতন্ত্র একটা জায়গায় এসে মিলেমিশে এক হয়ে যায়। দুই ক্ষেত্রেই চাপিয়ে দেওয়ার কারবার। আধিপত্য কায়েম করা। এনসিবি এখন বলিউডের মাদক কারবারের অন্দরে ঢুকতে চাইছে। অথচ ছবি যা দেখা যাচ্ছে, তাতে কোনও পুরুষ নেই। ব্যাপারটা এমন, অভিনেতারা সব ধোয়া তুলসী পাতা, মাদক সেবনের কারবারটা সম্পূর্ণই অভিনেত্রীদের। বিশদ

29th  September, 2020
সব মানুষকে সব সময়
বোকা বানানো হচ্ছে
পি চিদম্বরম

 নোট বাতিল ছিল একটি বিপর্যয়। ২০১৭-১৮ থেকে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অব্যবস্থা ছিল তারই ধারাবাহিক পরিণাম। তেমনি আইনে পরিণত হওয়ার পথে কৃষি বিল দু’টিও ভারতীয় কৃষক শ্রেণীকে এবং কৃষি অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেবে। তারা রাজ্যগুলির অধিকার এবং ফেডারালিজমের উপরেও আঘাত হানল।
বিশদ

28th  September, 2020
কৃষক, শ্রমিকের সঙ্গে বিপন্ন গণতন্ত্রও
হিমাংশু সিংহ

 রাজ্যের হাত থেকে কৃষির অধিকার প্রায় সবটাই চলে যাচ্ছে কেন্দ্রের জিম্মায়। একে একে রাজ্যের সব অধিকারই প্রায় কেড়ে নিচ্ছে কেন্দ্র। জিএসটি সেই দিক দিয়ে ছিল এক বড় আঘাত। বাকি ছিল যৌথ তালিকায় থাকা কৃষিক্ষেত্র। এবার তাও যাচ্ছে। যার ফলে বিপন্ন হতে বাধ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তি।
বিশদ

27th  September, 2020
সদিচ্ছায় জটিল সমস্যাও
হয় জলবৎ তরলং
তন্ময় মল্লিক

জঙ্গি এখন রাজনীতির মস্ত বড় ইস্যু। রাজনীতির কারবারিরা ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনাকে সামনে রেখে চলছে মেরুকরণের জোরদার চেষ্টা।
বিশদ

26th  September, 2020
ইতিহাস কি আবার
তালিবানের পক্ষে?
মৃণালকান্তি দাস

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আফগান শান্তি আলোচনায় একধাপ এগনো দরকার। যা ট্রাম্পকে নির্বাচনী যুদ্ধের প্রচারে এগিয়ে রাখবে। ট্রাম্প দেখাতে চাইছেন, দেশকে ১৯ বছরের যুদ্ধ থেকে মুক্তি দিচ্ছেন তিনি। এর জন্য ওই অঞ্চলের সব খেলোয়াড়কে তারা ‘শান্তি প্রক্রিয়া’য় শামিল করতে চায়। বিশদ

25th  September, 2020
করোনাকে মওকা ধরেই তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো
হারাধন চৌধুরী

জঙ্গিরা মনে করে, আমেরিকা, ভারত এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে হামলা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এই সময় আঘাত হানতে পারলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা যাবে। কারণ, এই দেশগুলোর সরকার, এবং আর্মিও করোনা মোকাবিলা নিয়ে এখন ব্যতিব্যস্ত। বিশদ

24th  September, 2020
স্বাবলম্বী শরীর কোভিড রুখতে সক্ষম
মৃন্ময় চন্দ 

সারা পৃথিবী আশঙ্কিত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই এক স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গোটা পৃথিবীর বিশ্বাস অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ডেই’ মিলবে করোনার হাত থেকে নিষ্কৃতি।  
বিশদ

23rd  September, 2020
বারবার তাঁর হাতে দেখি মৃত্যুর পরোয়ানা 
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক বলতেন, যে একবার ভুল করে, সে অজ্ঞতা থেকে করে। তিনবার পর্যন্ত ভুল অজ্ঞতা থেকে হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বারবার ভুল করতে থাকে, তবে বুঝতে হবে, সে ইচ্ছে করেই ভুল করছে এবং তার পিছনে কোনও দুরভিসন্ধি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদিমশাইয়ের বারবার ভুল করা দেখে সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। 
বিশদ

23rd  September, 2020
কৃষি সংস্কার: দেখনদারির
মোড়কে আশঙ্কার মেঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভূতনাথ পাল। কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁর। অনেক কষ্টে ধারদেনায় ডুবে আলুচাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এখন আলুর বাজারটা ভালো যাচ্ছে। ক’টা দিন তো কষ্ট... তারপরই সুদিন আসবে। সুদিন মানে, দু’বেলা দু’মুঠো...। 
বিশদ

22nd  September, 2020
এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর
দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
জয়ন্ত কুশারী
 

এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
‘মা বুঝি চইলাছে কোয়ারেন্টিনে...’ বরেণ্য লোকগীতি শিল্পী অমর পাল জীবিত থাকলে বুঝি এমনটাই গাইতেন। যদিও তিনি গেয়েছিলেন, ‘মা বুঝি কৈলাসে চইলাছে...’ 
মহালয়া থেকে সপ্তমী, দিন পঁয়ত্রিশের এই ব্যবধান পাল্টে দিল এমন একটি গানের লাইন। আসলে মানুষের মুখে মুখে এখন যে ফিরছে এই কথাটি। 
বিশদ

21st  September, 2020
কেন্দ্রের কথার খেলাপ, রাজ্যগুলোর অর্থাভাব
পি চিদম্বরম

কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটা ভয়ানক লড়াই হয়ে উঠেছে। যে অর্থনীতিতে পূর্বাহ্নেই দ্রুত পতনের সূচনা হয়েছিল, সেটা যখন মহামারীতে আরও বিধ্বস্ত হল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। 
বিশদ

21st  September, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, কান্দি: মঙ্গলবার দুপুরে কান্দি পুরসভার বাঁধাপুকুর থেকে এক প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম শান্তিরানি প্রধান(৫০)। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস।   ...

  একটি দেশের সদিচ্ছা এবং সহযোগিতার অভাবে ২০০-এ মুম্বইয়ে এবং ২০১৬-তে পাঠানকোটে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা এখনও ন্যায়বিচার পাননি। পাকিস্তানের নাম না করে এভাবেই ইমরান প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছে ভারত। ...

লিভারপুল: প্রিমিয়ার লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক লিভারপুলের। সোমবার অ্যানফিল্ডে ছন্দে থাকা আর্সেনালের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল জুরগেন ক্লপের দল। ম্যাচে লিভারপুলের হয়ে স্কোরশিটে ...

 নতুন উদ্যমে মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল যাত্রাশিল্পে। অপেক্ষার প্রহর গোনার পালা চলছিল। আনলক পর্বে একে একে যখন সব কিছুই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অনুবাদ দিবস
১৯১৯: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা ঐতিহাসিক শিবনাথ শাস্ত্রীর মৃত্যু
১৮২৮ - ভারতীয় যোগী ও গুরু যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী বা লাহিড়ী মহাশয়ের জন্ম
১৮৬০: ব্রিটেনে প্রথম ট্রাম চালু হয়
১৮৬৪ - ব্রিটিশ ভারতীয় দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের মহারাণী সুনীতি দেবীর জন্ম
১৮৭৫: শিক্ষাবিদ প্যারীচরণ সরকারের মৃত্যু
১৯২২: পরিচালক হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৮: পেনিসিলিনের আবিষ্কারের কথা প্রথম ঘোষিত হয়
১৯২৯: বিবিসি প্রথম পরীক্ষামূলক টিভি সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩: নাট্যকার ও অভিনেতা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৯: ব্রিটেনে পরিচয়পত্র প্রথা চালু হয়।
১৯৬২: অভিনেতা প্রসেনজিতের জন্ম
১৯৭২: গায়ক শান-এর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৪ টাকা ৭৪.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯৩.২২ টাকা ৯৬.৫২ টাকা
ইউরো ৮৪.৫৭ টাকা ৮৭.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১, ১৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮, ৫২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯, ২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০, ৮৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০, ৯৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ আশ্বিন ১৪২৭, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, চতুর্দশী ৪৭/৪৮ রাত্রি ১২/২৬। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৫৪/১৯ রাত্রি ৩/১৫। সূর্যোদয় ৫/৩১/২১, সূর্যাস্ত ৫/২২/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৬ গতে ৭/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৭ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৪/০ মধ্যে।
১৩ আশ্বিন ১৪২৭, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, চর্তুদশী রাত্রি ১১/৫১। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৩/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৩১, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৭/৫৪ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১ গতে ৬/৫১ মধ্যে ও ৮/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/২১ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/২৮ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৪/০ মধ্যে।
১২ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি  
মেষ: ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সাবধান। বৃষ: কোনও সম্পদ লাভে আনন্দিত ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
আন্তর্জাতিক অনুবাদ দিবস১৯১৯: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা ঐতিহাসিক শিবনাথ শাস্ত্রীর ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৭ রানে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স

11:29:24 PM

আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস ৯০/৮ (১৫ ওভার) 

11:04:31 PM

আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস ৬১/৫ (১০ ওভার) 

10:41:22 PM

আইপিএল: রাজস্থান রয়্যালস ৩৬/২ (৫ ওভার) 

10:12:30 PM