Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অর্থনীতিই নয়, ভয়াবহ বিপর্যয় বিদেশনীতিরও
হিমাংশু সিংহ

২০১৪ থেকে ২০২০। মাঝে মাত্র ৬ বছর। দুর্বল না হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী একনায়ক হলে রাষ্ট্রের বিপদ কী কী? এই ক’বছরেই তার মোক্ষম উত্তর পেয়ে গিয়েছে দেশ। এমনকী পরিস্থিতি আজ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির সঙ্গে নরেন্দ্রনাথ দত্তের তুলনা টানছেন বুক ফুলিয়ে। গত রবিবারই বিহারের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর ওই স্তাবকতা দেখে চমকে যায় গোটা দেশ। যখন অর্থনীতি অন্ধকারে। সীমান্ত ঘিরে ফেলেছে শত্রু। আগামী দিনে শিক্ষানীতি কী হবে, চরম অনিশ্চয়তা। গরিব কৃষকের অস্তিত্ব বিপন্ন। তখন আমরা বাজনা বাজাচ্ছি, ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত।’ আবার পিতামহ ভীষ্মকে উদ্ধৃত করে বলছি, ‘শাসক কখনও পরিস্থিতির ক্রীতদাস হবে না, বরং তাঁর কর্মের মধ্যে দিয়ে অন্যকে বানাবেন।’ হ্যাঁ আজ আমরা সত্যি তাঁর হাতে ক্রীতদাস!
ঠিক আগের দশ বছরের অবস্থাটা ছিল উল্টো। ইউপিএ জমানায় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ছিলেন একটি পরিবারের হাতের পুতুল। দলের নেত্রীই ছিলেন সর্বেসর্বা। লোকে তাই দুর্বল বলে সে জমানায় উঠতে বসতে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করত। কোয়ালিশন সরকারে যা হয়, আর পাঁচটা দলের নেতাদের শর্ত মানতে মানতেই বেলা কেটে যেত। পদে পদে চলত শরিকদের সঙ্গে স্বার্থের সংঘাত। পণ্ড হতো কাজ। বাজপেয়ি জমানাতেও ভিন্ন ভিন্ন দলের নেতা যেমন জর্জ ফার্নান্ডেজ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাল থ্যাকারের মতো শরিক দলের নেতাদের মানাতেই সময় যেত। আর মনমোহনের আমলে তো প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে নয়, জোটের শরিকরা ভিড় করত সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে। যাবতীয় বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতো ১০ জনপথে সরকারের অন্তরাত্মার বাড়িতে। মন্ত্রীসান্ত্রিরাও মাথা ঠুকত সেখানেই। এমনকী গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট নোট প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে সে আমলে, অথচ প্রধানমন্ত্রীর টুঁ শব্দ করার জো ছিল না। সবকিছুকে হাসি মুখে মেনে নেওয়াটাই ছিল সে আমলে দস্তুর।
গত ৬ বছরে পরিস্থিতি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। আজ পিছন থেকে কোনও অন্তরাত্মা নয়, দলের সভাপতি নয়, কোনও শরিকনেতার অঙ্গুলিহেলন নয়, গোটা দেশটাকে চালাচ্ছে এক এবং একমাত্র পিএমও। সংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর অফিস। একটাই পোস্ট, বাকি সব.......! অধিকাংশ ক্যাবিনেট মন্ত্রীরও ক্ষমতা শূন্য। একদা দলে প্রভাবশালী প্রয়াত সুষমা স্বরাজ এই সরকারে প্রথম পাঁচ বছর বিদেশমন্ত্রী ছিলেন বটে তবে কোনও ক্ষমতা ছিল না। হতাশা কাটাতে তিনি তাই বিদেশে অসুবিধায় পড়া ভারতীয়দের সঙ্গে চিঠি বিনিময়ে জোর দিয়েছিলেন। একমাত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়া সরকারের আগাম পদক্ষেপের কথা জানতেও পারছেন না কেউ। মধ্যরাতে কাকপক্ষীকে (পড়ুন, ঘনিষ্ঠ অর্থমন্ত্রীকে) কিছু জানতে না দিয়ে নোট বাতিলের মতো ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া। আগে পিছে পরিণামের কথা না ভেবে, রাজ্যগুলিকে প্রস্তুত না করে জিএসটি চালু করা। সংক্রমণ যখন সামান্য, তখন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কোনওরকম পরামর্শ ছাড়াই টানা ৬৮ দিনের লকডাউনের নামে অর্থনীতির গলা টিপে মারা। সবকিছুতেই একটা জিনিস পরিষ্কার, সিদ্ধান্তটা একজনেরই। ওয়ান ম্যান শোয়ে আলাদা করে কোনও বিশেষজ্ঞ লাগে না। ফেডারালিজমের যে আদর্শের উপর ভারতের গণতন্ত্র দাঁড়িয়ে, যে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের দর্শনের উপর দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রিমণ্ডলী পরিচালিত হয়, তা আজ ভয়ঙ্করভাবে বিপন্ন। মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য থেকে ধুরন্ধর আমলা, কারও বক্তব্যেরই কোনও দাম নেই। দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে কান পাতলেই শোনা যায়, সরকারটাকে নাকি চালাচ্ছেন মোদি, অমিত শাহ আর অজিত দোভাল নামে এক পোড় খাওয়া গোয়েন্দা। অর্থমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চেয়েও নাকি তাঁর বেশি দাপট। যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সে অর্থনীতি কিংবা বিদেশনীতি, শিক্ষানীতিই হোক কিংবা কৃষিনীতি, সবই আসছে পিএমও থেকে। অনেক সিদ্ধান্তের ব্যাপারেই ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা পর্যন্ত জানতে পারছেন তা কার্যকর হওয়ার পরে। কাগজে পড়ে। মনমোহনকে যাঁরা একদিন দুর্বল বলে গাল দিতেন, তারাই আজ এই উলটপুরাণের সঙ্গে মানাতে না পেরে ফের গেল গেল রব তুলছেন। এমনকী গেরুয়া শিবিরেরও কতজন ঠিক সম্মান নিয়ে বেঁচেবর্তে আছেন? তার হিসেব কে রাখে।
কিন্তু তবু এই দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে দেশটা কি ভালো আছে? অর্থনীতি। বিদেশনীতি। শিক্ষার পরিবেশ। সব ভালো চলছে তো? কী বলছে পরিসংখ্যান? যত বড় মোদি ভক্তই হোন না কেন, গত চার বছরে অর্থনীতি এগিয়েছে, সমৃদ্ধির বসন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে, এ কথা বলার মতো লোক মিলবে কি? রব উঠেছিল ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে যাবে দেশ। কৃষকের আয় দ্বিগুণ হবে। আপাতত জিডিপি মাইনাসে নেমে যাওয়ায় ৫ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি নিয়ে স্বপ্ন দেখাও একটু থমকে গিয়েছে। আর আয় দ্বিগুণ নয়, কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ আজ কোওরকমে বেঁচে থাকতে পারলেই অনেক। কৃষি নিয়ে যে বিল দু’দিন আগে রাতের অন্ধকারে লোকসভায় পাশ হয়েছে, তাতে ওটাও যে ক্রমে বৃহৎ কর্পোরেটের হাতেই চলে যাবে, তা নিশ্চিত। আর আদুল গায়ে গ্রামের সর্বহারারা আঙুল চুষবে। এই হচ্ছে কৃষকের আয় বাড়ানোর কিসসা। প্রতিবাদে শরিক দলের এক মন্ত্রী ইস্তফাও দিয়েছেন। কিন্তু ওসবই তো লোকদেখানো। পাঞ্জাবের স্থানীয় রাজনীতিতে টিকে থাকার ফন্দি। লুটে পুটে খাই, আর চাপে পড়লে নজর ঘোরাই!
এককথায় গত ৫০ বছরে এত বড় চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতির সামনে আসেনি। যেভাবে ব্যবসা মার খাচ্ছে তাতে সরকারি চাকুরে বাদে আর ক’জনের রোজগার আগের মতো থাকবে, তা বলা মুশকিল। আর এর কারণ শুধু করোনা নয়। মহামারীর আগে থেকেই দেশের আর্থিক বুনিয়াদের উপর ‘ম্যান মেড’ আঘাত নামিয়ে আনা হয়েছে। যার শুরু ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মধ্যরাতে। এক ঘোষণায় টাকাই ভ্যানিশ! সেই অভিঘাতে অর্থনীতি যেমন অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে, তেমনই বিগত এক বছরে সম্পর্কের ভয়ঙ্কর অবনতি হয়েছে অধিকাংশ পড়শি রাষ্ট্রের সঙ্গেও। বিদেশনীতির এই অধ্যায়কে কোনওভাবেই গৌরবোজ্জ্বল বলে সরকারের স্তুতি করা যায় না। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক চিরদিনই হিমশীতল। ও সম্পর্ক জোড়া লাগার নয়। লোকদেখানো বন্ধুত্ব করতে পাকিস্তানে বিয়ে খেতেই যাও কিংবা ভোটের মুখে বদলা নিতে বালাকোটে হামলাই চালাও, তার পরিণাম একই। ওরা চিরশত্রু। মোদিজি এটা ঠেকে শিখেছেন। পাকিস্তানের জন্ম থেকেই সে দেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে উস্কানি দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ষোলোআনা। আজও পুরোদমে তা চলছে। বিরাম নেই। কিন্তু গত ৪৫ বছরে কোনওদিন চীনের সঙ্গে দফায় দফায় গুলি বিনিময়ের খবর কেউ শুনেছে! সরকার নিজে মুখেই স্বীকার করছে, সাম্প্রতিককালে সীমান্তে এতবড় সমরসজ্জা দেখা যায়নি। মাত্র জুন মাসেই গলওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি লড়াইয়ে দু’দেশের অন্তত ৪০-৫০ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। সম্প্রতি আগস্টের শেষ ও সেপ্টেম্বরের শুরুতেও আর একপ্রস্থ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। হিসেব বলছে, আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের ৮-৯ তারিখ পর্যন্ত অন্তত তিন দফায় ২০০ রাউন্ড গুলি চলেছে। দফায় দফায় বৈঠক কম হয়নি। মোদি ও জিনপিং গত পাঁচ বছরে ১৮ বার বৈঠক করেছেন। দু’দেশের প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রীরাও মিলিত হয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি। কথা রাখেনি চীন। উল্টে শত্রুতা আজ যে পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, তাতে নতুন করে সীমান্ত সঙ্কট আরও তীব্র হচ্ছে। দু’পক্ষই অনড়। দু’দেশের হাতেই আধুনিক অস্ত্র আছে। দুই রাষ্ট্রই পরিমাণু শক্তিধর। তাই গোটা বিশ্বের নজর ভারত-চীন এই আকচাআকচির দিকে। আমেরিকা সহ অন্যান্য বৃহৎ শক্তিও চোখ রাখছে পরিস্থিতির দিকে। এই ভগ্ন অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে আর একটা যুদ্ধ দেশের মানুষের সইবে তো!
চীনকে এভাবে শত্রুতে পরিণত করাকে মোটেই বিদেশনীতির সাফল্য বলে মেনে নেওয়া যায় না। কারণ এতে পাকিস্তান উৎসাহিত হতে বাধ্য। হচ্ছেও তাই। পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার বদলে বন্ধু হারাচ্ছে ভারতই। এতো গেল চীনের কথা। কিন্তু আমেরিকার নির্বাচনের একবছর আগেই ভারত সরকার কেন একটি নির্দিষ্ট পক্ষ গ্রহণ করল? আগে কোনওদিন তো এমনটা হয়নি। টেক্সাসে ও আমেদাবাদে উপর্যুপরি হাউডি মোদি ও নমস্তে ট্রাম্প অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আমেরিকার মতো বৃহৎ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করারই চেষ্টা নয় কি? বিদেশ নীতিতে এ জিনিস চূড়ান্ত ছেলেমানুষি ছাড়া আর কিছুই নয়। আমেরিকার নির্বাচনে ভারত কেন নাক গলাবে? কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আগাম জয়ের অভিনন্দন জানাবে? নেহরু থেকে বাজপেয়ি, কেউ তো এই ভয়ঙ্কর খেলা খেলেননি। আসলে মোদি সরকার বারবার দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে গুলিয়ে ফেলছে। তাতেই গোল বাধছে। এখন মার্কিন নির্বাচনে ফল যদি উল্টো হয়, তখন দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। সেই দিক দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অযাচিত ভূমিকা মোটেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। ফল উল্টো হলে তার চরম মাশুল দিতে হবে। আমেরিকার সঙ্গে মোদি সরকারের এই দোস্তি অত্যন্ত বিরূপ করেছে রাশিয়াকেও। ফলে ভারতের বহু দুঃসময়ের বন্ধু মস্কোর সঙ্গেও একটা নিরাপদ দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এ তো গেল বৃহৎ শক্তির কথা। অত্যন্ত ছোট্ট রাষ্ট্র নেপাল রুষ্ট হয়ে গেল কেন? আর নেপাল বন্ধুত্ব ছিন্ন করলে ভুটানকে কতক্ষণ তাঁবে রাখা সম্ভব? বলা বাহুল্য, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্কটাও আর আগের মতো নেই। আর বাংলাদেশ? সিএএ, এনআরসি আর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর হুঙ্কার বাংলাদেশ সরকারকেও রুষ্ট করতে বাধ্য। এভাবেই একে একে নিভিছে দেউটি। বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে ভারতকে আর কবে এতটা নিঃসঙ্গ দেখা গিয়েছে বলুন তো? কোটি কোটি টাকা খরচ করে গত ৬ বছরে বার কয়েক পৃথিবীটাকে চরকি খাওয়ার পরিণাম কি শেষ পর্যন্ত এই? আজ নয় কাল মানুষ এর জবাব চাইবেই।
20th  September, 2020
করোনাকে মওকা ধরেই তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো
হারাধন চৌধুরী

জঙ্গিরা মনে করে, আমেরিকা, ভারত এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে হামলা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এই সময় আঘাত হানতে পারলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা যাবে। কারণ, এই দেশগুলোর সরকার, এবং আর্মিও করোনা মোকাবিলা নিয়ে এখন ব্যতিব্যস্ত। বিশদ

স্বাবলম্বী শরীর কোভিড রুখতে সক্ষম
মৃন্ময় চন্দ 

সারা পৃথিবী আশঙ্কিত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই এক স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গোটা পৃথিবীর বিশ্বাস অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ডেই’ মিলবে করোনার হাত থেকে নিষ্কৃতি।  
বিশদ

23rd  September, 2020
বারবার তাঁর হাতে দেখি মৃত্যুর পরোয়ানা 
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক বলতেন, যে একবার ভুল করে, সে অজ্ঞতা থেকে করে। তিনবার পর্যন্ত ভুল অজ্ঞতা থেকে হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বারবার ভুল করতে থাকে, তবে বুঝতে হবে, সে ইচ্ছে করেই ভুল করছে এবং তার পিছনে কোনও দুরভিসন্ধি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদিমশাইয়ের বারবার ভুল করা দেখে সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। 
বিশদ

23rd  September, 2020
কৃষি সংস্কার: দেখনদারির
মোড়কে আশঙ্কার মেঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভূতনাথ পাল। কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁর। অনেক কষ্টে ধারদেনায় ডুবে আলুচাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এখন আলুর বাজারটা ভালো যাচ্ছে। ক’টা দিন তো কষ্ট... তারপরই সুদিন আসবে। সুদিন মানে, দু’বেলা দু’মুঠো...। 
বিশদ

22nd  September, 2020
এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর
দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
জয়ন্ত কুশারী
 

এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
‘মা বুঝি চইলাছে কোয়ারেন্টিনে...’ বরেণ্য লোকগীতি শিল্পী অমর পাল জীবিত থাকলে বুঝি এমনটাই গাইতেন। যদিও তিনি গেয়েছিলেন, ‘মা বুঝি কৈলাসে চইলাছে...’ 
মহালয়া থেকে সপ্তমী, দিন পঁয়ত্রিশের এই ব্যবধান পাল্টে দিল এমন একটি গানের লাইন। আসলে মানুষের মুখে মুখে এখন যে ফিরছে এই কথাটি। 
বিশদ

21st  September, 2020
কেন্দ্রের কথার খেলাপ, রাজ্যগুলোর অর্থাভাব
পি চিদম্বরম

কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটা ভয়ানক লড়াই হয়ে উঠেছে। যে অর্থনীতিতে পূর্বাহ্নেই দ্রুত পতনের সূচনা হয়েছিল, সেটা যখন মহামারীতে আরও বিধ্বস্ত হল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। 
বিশদ

21st  September, 2020
কুকথায় হাততালি জুটলেও
দূরে সরে যায় মানুষ 
তন্ময় মল্লিক

রুটি সেঁকার জন্য তাওয়া গরম করতে হয়। আবার সেই তাওয়া বেশি তেতে গেলে রুটি যায় পুড়ে। তখন খাবারের থালার বদলে রুটির জায়গা হয় ডাস্টবিনে। রাজনীতিতেও তেমনটাই। কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য নেতারা গরম গরম ভাষণ দেন। কিন্তু তা মাত্রা ছাড়ালে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।  
বিশদ

19th  September, 2020
বাংলার সমাজ ও
রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ
সমৃদ্ধ দত্ত

সেদিন বিকেলে তাঁকে ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ, প্রবল শ্বাসকষ্ট। অক্সিজেন দিলেও কাজ হচ্ছে না তেমন। এইমস ডাক্তাররা বুঝলেন পরিস্থিতি ভালো নয়। অনেকদিন হয়ে গেল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন।   বিশদ

18th  September, 2020
‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর
রূপকার নরেন্দ্র মোদি
যোগী আদিত্যনাথ

রাজা কালস্য কারণম্‌। মহাভারতের ‘শান্তিপর্ব’-এ যুধিষ্ঠিরকে উপদেশ দিতে গিয়ে পিতামহ ভীষ্ম এই কালজয়ী কথাটি বলেছিলেন। কথাটি পিতামহ নিজের লোকদের বলেছিলেন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এর ভিতরে এই ভারতের সবার জন্যই একটি জোরালো বার্তা তিনি রেখে গিয়েছেন।  বিশদ

17th  September, 2020
কাজ দাও, মুলতুবি রাখো
গ্রেট গেরুয়া সার্কাস
হারাধন চৌধুরী

দু’দশক যাবৎ ভারতীয় মিডিয়ায় সার্কাসের এলিজি বা শোকগাথা লেখা হচ্ছে। বেশিরভাগ লেখা ভারী হয়ে উঠছে জোকারদের জন্য সহমর্মিতায়। জোকারের জীবন কঠিন। কেউ শখ করে জোকার হয় না। কারও কারও জীবনখাতায় এই ভবিতব্যই লেখা থাকে।  বিশদ

17th  September, 2020
 কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেনস!
সন্দীপন বিশ্বাস

 মোদি, অমিত শাহ তথা বিজেপি নেমে পড়েছে বিহার জয়ে। সেখানে অবশ্য নীতীশের হাত ধরে বিজেপিকে ভোট বৈতরণী পার হতে হবে। সেখানে রাজপুত ভোট আর ক্ষত্রিয় ভোট নিজেদের বাক্সে আনতে বিজেপিকে খেলতে হল দু’টি খেলা। একজনকে ডাইনি বানানো হল, অন্যজনকে দেবী বানানো হল।
বিশদ

16th  September, 2020
 সত্যিটা দেখলাম না... দেখানো হল না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এতকিছুর পরও আমেরিকার অর্থনীতি ধাক্কা খেল না। ট্রাম্প বুঝেছিলেন, ব্যবসাটা তিনি জানেন। করোনা ভাইরাসকে নয়। কাজেই শক্তিশালী অর্থনীতিকে বসিয়ে দেওয়ার মানে হয় না। করোনা আজ না হয় কাল কমবে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে বছর লেগে যাবে। বিশদ

15th  September, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: বুধবার প্রবল বৃষ্টিতে চোপড়ার মের্ধাবস্তি এলাকায় জীর্ণ কালভার্ট ভেঙে গেল। চোপড়া থেকে দাসপাড়া যাওয়ার রাস্তায় ছিল সেই কালভার্ট। সেটি ভেঙে যাওয়ার ফলে এখন ২০ কিমি ঘুরপথে চোপড়া ও দাসপাড়ার বাসিন্দারা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।  ...

 এবারের আইপিএলে অধিকাংশ দলই টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে চাইছে। কারণ, দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট হয়ে যাচ্ছে বেশ মন্থর। শিশিরও পড়ছে যথেষ্ট। ফলে বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছে স্পিনারদের। স্ট্রোক প্লেয়াররাও প্রাণ খুলে ব্যাট করতে পারছেন না। ...

 আমেরিকার সার্বিক আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রেও তাঁদের বিরাট অবদান। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে প্রথম অনলাইনে তহবিল গঠন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জো বিডেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের জন্য এই ভার্চুয়াল ফান্ডরেইজার অনুষ্ঠানে তাঁর আশ্বাস, ...

রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে বেআইনি কাজ চলছে। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য-সহ নবান্নে চিঠি দিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান স্বয়ং। সম্প্রতি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে দু’পাতার ‘নির্দেশ’ পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন এই প্রধান বিচারপতি। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান গিরিশচন্দ্র গুপ্ত বলেন, মানবাধিকার কমিশন যে কায়দায় চলছে তা দুর্ভাগ্যজনক। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৩৯: পাঞ্জাবের শহর কর্তারপুরে প্রয়াত গুরু নানক
১৭৯১: ইংরেজ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের জন্ম
১৮৮৮: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত
১৯১৫: নদিয়া পৌরসভার নামকরণ বদল করে করা হয় নবদ্বীপ পৌরসভা
১৯৩৯: প্রথম এভারেস্ট জয়ী মহিলা জুনকো তাবেইয়ের জন্ম
১৯৬২: নিউজিল্যাণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার মার্টিন ক্রোর জন্ম
১৯৬৫: শেষ হল ভারত-পাকি স্তান যুদ্ধ। রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দু’দেশ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল
১৯৭০: লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭৬: ব্রাজিলের প্রাক্তন ফুটবলার রোনাল্ডোর জন্ম
১৯৮০: ইরান আক্রমণ করল ইরাক
১৯৯৫: নাগারকোভিল স্কুলে বোমা ফেলল শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা। মৃত্যু হয় ৩৪টি শিশুর। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তামিল
২০১১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যু  

22nd  September, 2020


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৭৭ টাকা ৭৪.৪৮ টাকা
পাউন্ড ৯২.০২ টাকা ৯৫.৩৩ টাকা
ইউরো ৮৪.৪৫ টাকা ৮৭.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,৪৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,১৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৯,৪২০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৯,৫২০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ আশ্বিন ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, অষ্টমী ৩৩/৫১ রাত্রি ৭/২। মূলানক্ষত্র ৩১/৪০ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৫/২৯/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৭/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে।
৭ আশ্বিন ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, অষ্টমী রাত্রি ১১/৪১। মূলানক্ষত্র রাত্রি ১১/৩৫। সূর্যোদয় ৫/২৯, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/০ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৬ গতে ৫/২৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৩০ গতে ৫/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩০ গতে ১২/৫৯ মধ্যে।
 ৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। বৃষ: সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বিবাহের যোগ আছে। ...বিশদ

04:29:40 PM

 ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৩২: স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু১৯৪৮: হোন্ডা মোটরস কোম্পানির প্রতিষ্ঠা১৯৫০: ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: আরসিবি-কে ৯৭ রানে হারাল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব 

11:09:55 PM

আইপিএল: আরসিবি ৯৫/৭ (১৫ ওভার) 

10:57:23 PM

আইপিএল: আরসিবি ৬৩/৫ (১০ ওভার) 

10:33:26 PM

আইপিএল: আরসিবি ২৫/৩ (৫ ওভার) 

10:06:28 PM