Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

 কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেনস!
সন্দীপন বিশ্বাস

‘সোনার কেল্লা’ ছবির দৃশ্যটা নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে। জয়সলমিরে যাওয়ার আগে ফেলুদা জটায়ুকে বলেছিলেন, কোনও প্রশ্ন করা চলবে না। আর গাড়িতে যেতে যেতে জটায়ু বার বার নিজের মনেই আউড়াচ্ছিলেন ‘কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেনস। কোনও প্রশ্ন নয়।’ বর্তমান পরিস্থিতিতে জটায়ুর সেই সংলাপটাই মনে পড়ে গেল। কেননা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজত্বে তাঁকে কোনও প্রশ্ন করা যায় না। তিনি কোনও সাংবাদিক সম্মেলন করেন না। তিনি শুধু জাতির উদ্দেশে বার্তা দেন। তাঁর কথাই শেষ কথা হয়ে ওঠে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে এতগুলো বছরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। প্রধানমন্ত্রীর সাহস ও বীরত্বের ‘লোককথা’ যতই দলের তরফে এবং নিজমুখে প্রচারিত হোক না কেন, এটা বলতেই হয় যে, তিনি এবং তাঁর সরকার যে-কোনও ধরনের প্রশ্নকেই ভয় পায়। এই ভয়টা যে নতুন, তা নয়। তা গোড়াতেও ছিল। এখন যত দিন যাচ্ছে, ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, জনপ্রিয়তা কমছে এবং এই প্রশ্নভীতি ততই বাড়ছে। তিনি শুধুমাত্র পছন্দের কাউকে প্রশ্নের উত্তর দেন। সেই প্রশ্ন অবশ্য তৈরি করে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। তার মানে, তিনি নিজের তৈরি প্রশ্নের উত্তর দিতে সব থেকে বেশি ভালোবাসেন।
এমনকী সংসদেও প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল। সংসদে যাঁরা উপস্থিত থাকেন, তাঁরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাঁরাই সংসদে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। সেখানে প্রশ্নোত্তর পর্বকে খর্ব করা মানে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা। আমরা কোনও রাজতন্ত্রে বাস করি না। কিন্তু কেন সরকার এমন পদক্ষেপ নিল? আসলে সরকার ভালো করেই জানে, সংসদ বসলেই প্রশ্নোত্তর পর্বে তাদের দিকে উম-পুন ঝড়ের মতো অসংখ্য অপ্রিয় প্রশ্ন উড়ে আসবে। করোনা নিয়ে সরকারের লেজে গোবরে হওয়া, সুশান্ত-রিয়া বিতর্ক, কঙ্গনার ওয়াই-প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা, শিক্ষানীতি ইত্যাদি প্রশ্নের চাপে সরকারের নাভিশ্বাস উঠতে পারত। তার থেকে বাঁচতে কেন্দ্র সংসদীয় গণতন্ত্রের ঘরে তালা মেরে বলে দিল , কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেনস!
প্রশ্নকে ভয় পাওয়া বা মোদিজির প্রশ্ন-ফোবিয়া নিয়ে একটা গল্প শোনা যাক। এটা রয়েছে সাংবাদিক করণ থাপারের ‘ডেভিলস অ্যাডভোকেট’ বইতে। সেখানে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। যেমন রাজীব গান্ধী, প্রণব মুখোপাধ্যায়, এল কে আদবানি প্রমুখ। এই বইয়ের শেষ অধ্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকার এবং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে অনেক কথা বলেছেন করণ। ২০০৭ সালে আমেদাবাদে মোদির সাক্ষাৎকার নিতে যান করণ। তখন মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৭ সালে মোদির সাক্ষাৎকার নিলে গোধরা প্রসঙ্গ আসবেই। স্বাভাবিকভাবেই গোধরা কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন এসে যায়। ২০০৪ সালে গোধরা কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট মোদিকে বলেছিল,‘আধুনিক যুগের নিরো’। করণ সেটা নিয়েও প্রশ্ন করেন। মোদিজি এসব প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান। একটু পরে মোদিজি মাইক্রোফোন খুলে দিয়ে বলেন, ‘আমাকে একটু বিরতি নিতে হবে। আমার তেষ্টা পেয়েছে।’ তারপর আর মোদি তাঁকে ইন্টারভিউ দেননি। করণ থাপার অনেক চেষ্টা করেছিলেন, ইন্টারভিউটা শেষ করতে। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর করণকে ফিরে আসতে হয়। তার আগে মোদি তাঁকে চা, মিঠাই এবং গুজরাতি ধোকলা খাইয়ে তবে ছাড়েন। সাক্ষাৎকার না দিলেও মোদি তাঁর সঙ্গে সেদিন খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করেছিলেন। আসার সময় হাসিমুখে মোদি তাঁকে বলেছিলেন, ‘আপনার যা মত, আপনি তা বলতে থাকুন, কিন্তু আমাদের বন্ধুত্ব বজায় থাকবে।’
মুখে মোদি সেকথা বললেও, সেই বন্ধুত্ব থাকেনি। আর কখনও তিনি সাক্ষাৎকার দেননি। এমনকী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর মন্ত্রিসভার কেউই করণকে কোনও সাক্ষাৎকার দেননি। অবশেষে করণ অমিত শাহের দ্বারস্থ হন। অমিত কথা দেন তিনি সাক্ষাৎকার দেবেন। কিন্তু তিনিও দেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিজেপির অন্দরে নানাভাবে খোঁজখবর নিতে থাকেন। করণ পরে বিশিষ্ট রাজনীতিক, এমপি, ডিপ্লোম্যাট পবন ভার্মার কাছ থেকে কিছু কিছু কথা শোনেন। পবন ছিলেন প্রশান্ত কিশোর এবং নীতীশ কুমারের খবই ঘনিষ্ঠ। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদির মেন্টর হিসেবে কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেইসময় প্রশান্ত বার বার মোদিকে শেখাতেন, কীভাবে অপ্রিয় প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হয়। তখন মোদি প্রশান্ত কিশোরকে বলেছিলেন, ‘আমি সেদিন সুকৌশলে করণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করেছিলাম। যাতে ও আমার মতিগতি বুঝতে না পারে।’ মোদি সেদিন প্রশান্ত কিশোরকে আরও বলেছিলেন, করণকে তিনি কোনওদিন ক্ষমা করবেন না। সুযোগ পেলে এর জবাব দেবেন। এই গল্পের সব তথ্যটুকুই করণের লেখা থেকে পাওয়া।
সুতরাং কারও প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার স্বভাবটা তিনি যে দীর্ঘদিন ধরেই গড়ে তুলেছেন, সেটা বোঝাই যায়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। হয়তো করণের সেই সাক্ষাৎকারের স্মৃতি তাঁকে তাড়িয়ে মারে। ফেলে আসা দিনের কালো কালো প্রশ্নগুলো আবার যদি উড়ে আসে? অতীতের বা এখনকার নানা ব্যর্থতার কৈফিয়ত চেয়ে বসেন সাংবাদিকরা? সেই ভয় থেকেই কি তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান?
ইংরেজিতে একটা শব্দ আছে। অ্যালোডোক্সাফোবিয়া। এর অর্থ, যিনি অন্যের মতামত বা ভিন্নমত শুনতে ভয় পান। অর্থাৎ এঁরা শুধু স্তুতিই পছন্দ করেন। অতীতে রাজতন্ত্রের কালে এমন রাজা অনেক এসেছেন। রাজবিরোধী কথা বললেই তাঁরা প্রজাদের প্রাণ নিতেন, শূলে চড়াতেন। এখন সেই অতীত নেই। এখন গণতন্ত্রের কাল। সকলের সমানাধিকার। এখন দেশের মানুষ প্রশ্ন তুলতে পারেন। বলতে পারেন, ‘রাজা, তোর কাপড় কোথায়?’ দেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধান তাঁকে সেই অধিকার দিয়েছে। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘উলঙ্গ রাজা’ কবিতায় উল্লেখিত পরান্নভোজী, কৃপাপ্রার্থী, উমেদার, প্রবঞ্চকরা অবশ্য যুক্তি দিয়ে বলবেন, ‘রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সূক্ষ্ম,/ চোখে পড়ছে না যদিও, তবুও আছে,/ অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয়।’
এই মুহূর্তে সুশান্ত-রিয়া, কঙ্গনা নিয়েও অনেক প্রশ্ন মানুষের মনে। কেন হঠাৎ এদের খবরে তুলে আনা হল? কারণ মোদি, অমিত শাহ তথা বিজেপি নেমে পড়েছে বিহার জয়ে। সেখানে অবশ্য নীতীশের হাত ধরে বিজেপিকে ভোট বৈতরণী পার হতে হবে। সেখানে রাজপুত ভোট আর ক্ষত্রিয় ভোট নিজেদের বাক্সে আনতে বিজেপিকে খেলতে হল দু’টি খেলা। একজনকে ডাইনি বানানো হল, অন্যজনকে দেবী বানানো হল। সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে রিয়া চক্রবর্তীকে স্কেপগোট করা হল সিবিআইকে দিয়ে আর অন্যদিকে কঙ্গনা রানাওয়াতকে দেবী বানিয়ে ফেলা হল। তিনি যেন জোয়ান অব আর্ক। সুতরাং চুলোয় যাক করোনা। প্রতিদিন রোজ আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছুঁয়ে ফেললাম যে! এহ বাহ্য, আগে কহ আর। বিহারে সাম্প্রতিক বন্যায় আশি লক্ষেরও বেশি মানুষ গৃহহীন! এহ বাহ্য, আগে কহ আর। আরে বাবা, জিডিপি মৃত্যুশয্যায়, মানুষের চাকরি চলে যাচ্ছে! এহ বাহ্য, আগে কহ আর।
সুতরাং বলার মধ্যে রইল সুশান্ত-কঙ্গনা কথা। হায় রে, করোনা তুমি হেরে গিয়েছ সুশান্ত, কঙ্গনার কাছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের পুরনো গল্পটা অনেকেই জানেন। ২০১৮ সালে সুশান্ত অভিনীত ‘কেদারনাথ’ ছবিটা রিলিজ করেছিল। সেইসময় গেরুয়া পার্টি হুল্লোড় করে নেমে পড়েছিল ছবিটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য। সুশান্ত সেই ছবিতে মনসুর নামে এক মুসলিম ডুলিবাহকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সারা ছিলেন সেই ছবিতে একটি হিন্দু পুরোহিতের মেয়ে। এই দু’জনের প্রেম বা লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল গেরুয়া বাহিনী। সুশান্তের ছবি সংবলিত পোস্টারে তারা আগুন ধরিয়ে তখন কী না বলেছিল! এখন ভোটের তাগিদে তাঁর কাছেই নতজানু হতে হল। এখন তাঁর ছবি নিয়ে, তাঁকে মহান সাজিয়ে ভোটে ফায়দা লোটার দ্বিচারিতা করতেও তাদের বাধছে না। সুশান্ত ছেলেটা নাকি এতই ভোলাভালা যে, সে নেশা বস্তুটা কী জানত না, একের পর এক প্রেম করে যাওয়া কী জানত না। ওই রিয়া মেয়েটাই নাকি ওর মাথা খেয়েছে। সুতরাং আহারে, সুশান্ত তোমাকে আমরা ভুলছি না, ভুলব না। সুশান্তকে শহিদের মর্যাদা দিয়ে ‌জয়বাবা ভোটনাথ বলে বিজেপি বিহার মাতিয়ে তুলেছে। এরাজ্যে বসে তার আঁচ পাওয়া সহজ নয়।
‘পদ্মাবতী’ ছবির কথা মনে পড়ছে? ছবিটার নাম ‘পদ্মাবত’ করে ছাড়ল। সেই ছবির শ্যুটিংয়ের সময় বার বার করণি সেনার হামলার ঘটনা ঘটেছে। করণি সেনা দীপিকার মুণ্ড কেটে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল। কই, সেই সময় তাঁকে কোনও নিরাপত্তা দেওয়ার কথা তো ভাবা হয়নি? আজ হামলার আশঙ্কার কথা জানাতেই কঙ্গনা পেয়ে গেলেন ওয়াই প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা? আর তাও পুরো মুফ‌ত মে। ২০১৩ সালে মুকেশ আম্বানির উপর হামলার আশঙ্কায় তাঁকে জেড ক্যাটিগরির ঩নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য তাঁকে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকার বিল পাঠানো হতো। এখন ওসব যুক্তিতর্কের দিন নয়। উপেক্ষিত এই গণতন্ত্রের ধস্তভূমিতে দাঁড়িয়ে আমাদের কি তবে শুধু ওই জটায়ুর মতো বিড় বিড় করে বলে যেতে হবে, ‘কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেনস?’ নাকি সবাই গলা মিলিয়ে বলব, আমরা প্রতিটি কাজের জবাব চাই।
16th  September, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জেলে ইনসুলিন পাওয়ার জন্য রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আর্জি জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

12:17:36 PM

মণিপুরের মইরাংয়ে ভোট চলাকালীন একটি পোলিং বুথে চলল গুলি

12:16:15 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত মেঘালয়ে- ৩১.৬৫ শতাংশ, মিজোরামে- ২৬.২৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে- ২২.৫০ শতাংশ, পুদুচেরীতে- ২৭.৬৩ শতাংশ, রাজস্থানে- ২২.৫১ শতাংশ, সিকিমে- ২১.২০ শতাংশ ভোট পড়ল

12:14:07 PM

কোচবিহারের ভেটাগুড়ির খারিজবালাডাঙা গ্রামে রাস্তায় পড়ে তাজা বোমা

12:14:02 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৩৫.২০ শতাংশ ও কোচবিহারে ৩৩.৬৩ শতাংশ ভোট পড়ল

12:13:09 PM

তৃণমূলের কর্মীদের ভোট দিতে যেতে বাধা শীতলকুচির ছোট শালবাড়ির পঞ্চারহাট এলাকায়, প্রতিবাদে পথ অবরোধ

12:12:23 PM