Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ফেসবুক দিয়ে ঘৃণা-বিদ্বেষ
ছড়ালে কার লাভ হয়?

২০১৯। সাধারণ নির্বাচনের আগে একটি কাগজের  হেডলাইন ছিল ‘গুগল কি ভারতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে?’ খবরটা বেরনোমাত্রই ‘গুগল’ অস্বীকার করেছিল। কিন্তু অন্যকিছু সংস্থা টের পায়, গুগলে যেভাবে প্রার্থীদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে সেই তথ্য একটু সংশ্লেষণ করলে দ্বিধান্বিত ভোটারদের সহজেই প্রভাবিত করা সম্ভব। ফেসবুক সর্ববৃহৎ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। আমেরিকার বেশ কিছু কাগজে প্রকাশিত হয়েছে যে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শাসক দলের ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ মেসেজ এবং ভিডিও ফেসবুক সরায়নি। কেন? উদ্দেশ্য কী? অভিযোগ যে, তারা ব্যবসার ক্ষতি করতে চায়নি। কিন্তু এর সঙ্গে ফেসবুকের ব্যবসার কী সম্পর্ক? তাহলে  যে অভিযোগ উঠছে, সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে ভোটকে প্রভাবিত করা যায়, সেটা কি সত্যি ?  
এইসময়ে শুধুমাত্র হোয়াটসআপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ভারতে প্রায় ৫০ কোটি। এটা আবার ফেসবুকেরই সহযোগী সংস্থা। গত লোকসভা ভোটে ভারতে  প্রায় ৯০ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। তাহলে নির্বাচকমণ্ডলীর প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষ এই মাধ্যম ব্যবহার করেন। সুতরাং যদি কোনও দল চায় যে এই  মাধ্যমকে তারা তাদের মতো করে ব্যবহার করবে এবং সত্যি মিথ্যে মেশানো খবর  প্রচার করবে, তাহলে তারা কী করবে? ইদানীং শোনা যাচ্ছে, বাংলায় দুর্গাপুজোতে লকডাউন থাকবে! এমন একটি গুজব হোয়াটসআপে বিতরণ করা চলছে। এসব কি শুধু প্রশাসনিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? যারা এই মাধ্যমগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁরা তো এই গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করবেন। এতে সমাজেও কি ক্ষতি হয় না? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ঘোষণা করলেন যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু-বিরোধী, এবার কোনও মানুষ দুটো বার্তাই তাঁর হোয়াটসআপে পেলেন, তিনি তো বিশ্বাস করে ফেলতেও পারেন যে এই বার্তার মূল নির্যাসটি সত্যি।
উল্টোদিক থেকে দেখলে এই সামাজিক মাধ্যমগুলোর কী লাভ? মানে তাঁরা এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে চাইবে কেন? একটাই কারণে, ভারত বা পিছিয়ে পড়া কিছু দেশে এখনও বেশিরভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেটের মানে এই সামাজিক মাধ্যম বা খুব বেশি হলে একটু আধটু মেইল দেখা বা করা। সেখানে এরকম একটি সামাজিক মাধ্যমকে যদি দেখানো যায় এই প্রক্রিয়াকেই ইন্টারনেট বলে তাহলে লাভই লাভ। অথচ সত্যিটা কী?   যদি গুগল করা যায় ‘ভারত’ শব্দটি লিখে, তাহলে যতটা ভারতের চেহারা দেখতে পাওয়া যায়, ততটাই ভারত গুগলের বাইরে পড়ে থাকে। কেউ মনে করতেই পারে যে ইন্টারনেট তাঁদের অধিকার, অথচ এই ভারতেই সবচেয়ে বেশিদিন ইন্টারনেট বন্ধ থেকেছে। তা নিয়ে কিন্তু ভারতবাসী খুব বেশি সোচ্চার হয়নি। ইন্টারনেটের স্পিড বেশিরভাগ স্থানেই ধীর এবং পরিবর্তনশীল। অথচ ভারতবাসীর স্মার্টফোন কেনার প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী, হয়তো-বা বিশ্বে প্রথম। ভারতে এখনও মহিলাদের মধ্যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ২১ শতাংশ মাত্র—পুরুষদের অর্ধেক। সামাজিক কারণেই মহিলারা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। দেখা গেছে, গ্রামীণ ভারত যেখানে দেশের তিনভাগের দু’ভাগ মানুষ বসবাস করেন। তার চারভাগের একভাগের কাছে ইন্টারনেট আছে।
অনেকে ভাবতে পারেন, ফেসবুক তো একটা বন্ধুত্বের মাধ্যম, এর মধ্যে ব্যবসা কোথায়? এ তো শুধু পরিচিতদের সঙ্গে আরও বেশি জুড়ে থাকার মাধ্যম। এতে কী করে ব্যবসা হবে? খেয়াল করলে দেখা যাবে, বেশকিছু পোস্টে একটা কথা লেখা থাকে—‘স্পনসর্ড’ অর্থাৎ পয়সা দিয়ে সামনে আনা হয়েছে। কিন্তু শুরুটা কি এরকম ছিল? ফেসবুক যখন প্রথম আসে তখন কিন্তু কর্ণধার জুকেরবার্গ দেখেছিলেন, ব্যবসা বাড়াতে হলে তাঁকে ভারতেই বাড়াতে হবে। ২০১৪। একটি হেলিকপ্টার চড়ে রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রাম চান্দৌলিতে পৌঁছন। তখনও জানতে পারেননি, কত বড় বাজার ওঁর জন্য অপেক্ষা করছে। জুকেরবার্গ খুব ভালো করে জানতেন, কী করে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীকে প্রথমে ক্রেতা, তারপর বিক্রেতা বানিয়ে ফেলা সম্ভব। ভারতের মতো দেশে যদি বিনামূল্যে ফোন এবং ইন্টারনেট দেওয়ার লোভ দেখানো যায়  তাহলেই অর্ধেক কাজ শেষ। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ইন্টারনেটে যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের খোঁজ করেন, তাহলে প্রতিটি পোস্টের আশেপাশে  কীভাবে ওই জিনিসগুলোর অনলাইন সরবরাহ পেতে পারেন তার বিজ্ঞাপন আসতে থাকে মুহুর্মুহু। কীভাবে একজন মানুষের পছন্দ-অপছন্দকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কীভাবে পাড়ার দোকান থেকে না কেনাটাকেই নিয়মে পরিণত করে ফেলা যায় সেটাও এই নিয়ন্ত্রণের অঙ্গ। আর একটি কথা—এই যে অনেকে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ‘অপরিকল্পিত’ লকডাউন ঘোষণা করেছেন, আদপেই তা নয়, উনি খুব জেনে বুঝে এই লকডাউন ঘোষণা করেছেন যাতে মানুষ আরও ডিজিটাল হয়, মানুষ আরও সোশ্যাল মিডিয়ামুখী হয়ে ওঠে এবং বেশি অনলাইন কেনাকাটা করে। আর সেখানেই প্রতিটি বিজ্ঞাপনে ফেসবুকের লাভ হবে। ঘটনাচক্রে তাই হয়েছে।  
এই বড় টেকনোলজিক্যাল কোম্পানি এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল একে অন্যের পরিপূরক। ফেসবুক এমন একটা শক্তিশালী মাধ্যম সেটাতে যদি কোনও ঘৃণা বিদ্বেষপূর্ণ ভিডিও বা মেসেজ কিছুক্ষণ ছড়ানো যায় তাহলে তারপর সেটা হোয়াটসআপ মারফত মুহূর্তে কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।  ঠিক এই বিতর্কটি সম্প্রতি সামনে এনেছে আমেরিকার একটি সংবাদপত্র। তাঁরা বলেছে, ভারতে যিনি এই সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বশীল,  তিনি ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্রদের ঘৃণা ও উস্কানিমূলক বক্তব্যকে ফেসবুকে প্রচারিত হতে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, দিল্লির দাঙ্গা এবং অন্যান্য কিছু ছোটখাটো দাঙ্গার ক্ষেত্রে আভ্যন্তরীণ কর্মীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এই ধরনের প্রচারকে আটকানো হয়নি। তা হলে প্রশ্ন ওঠে, ফেসবুকের কি আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল না?
প্রচলিত সংবাদমাধ্যমগুলোর নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে, সম্পাদকমণ্ডলী আছে, পাঠকসমাজের কাছে দায়বদ্ধতা থাকে, কিন্তু এই ফেক খবর উৎপাদনকারী সামাজিক মাধ্যমগুলোর কোনও দায়-দায়িত্ব নেই। সেজন্য বারে বারেই দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশে ফেসবুক এই ধরনের কাজকে ঘুরিয়ে সমর্থন করে। কেন? তা হলে কি ফেসবুক নিজে এই  ঘৃণা-বিদ্বেষের রাজনীতিকে সমর্থন করে? এখানেই আসে মনস্তত্ত্ব। মানুষের মনকে খুব সহজে তাঁরা পড়তে পারে। মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না অনেক কিছু। দেখা গেছে, তাও সে সাম্প্রদায়িক হিংসা ও ঘৃণা সঞ্চারক  ভিডিও দেখে। কেন? অত্যাচারী তো বটেই, অত্যাচারিত সম্প্রদায়ের মানুষও কেন দেখে? কারণ তাঁরা মনে করে, এটা সত্যি হতে পারে না, কোনও জনপ্রতিনিধি এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। যত এই ভিডিওগুলো মানুষ দেখে, যত বেশি করে পছন্দ করা, মন্তব্য করা বা শেয়ার করা বা এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, তত তথ্য ফেসবুকের হাতে আসে, তত আচরণগতভাবে মানুষকে তারা চিহ্নিত করতে পারে। সেই অনুযায়ী মানুষকে চালনা করতে পারে সেইদিকে। এই ব্যবসায়িক উৎসাহদান শুধু ফেসবুকের নয়, সমস্ত সামাজিক মাধ্যম দিয়ে করা হয়। আর সেটাই ভারতীয় গণতন্ত্রের এই মুহূর্তের ধ্বংসের মূলে। তা হলে যার হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা, যার কাছে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার অর্থ এবং লোকবল আছে সেই কি তবে জয়ী হবে?  
১৯৩৩। ৩০ জানুয়ারি। জার্মানিতে ক্ষমতায় আসেন অ্যাডলফ হিটলার। তাঁর প্রচারসচিব ছিলেন জোসেফ গোয়েবেলস। তিনি বলতেন, একটা মিথ্যেকে বারংবার বলা গেলে মিথ্যেটাও সত্যি বলে প্রতিভাত হয়। আজকের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো এই কাজটাই করছে না কি? যাঁদের কথা আমরা অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করছি? ওই ৩০ জানুয়ারি, ১৯৪৮। খুন হন মহাত্মা গান্ধী। সেদিনই কি সত্যের হত্যা হয়েছিল? ভারতের বিরোধী দলের  কিন্তু দায়িত্ব বর্তায় মানুষের সামনে সত্যটা উন্মোচন করার। বড় টেকনোলজিক্যাল কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে এই ঘৃণ্য কাজটি করতে পারে না। এই সত্যিটা দেশের নাগরিকের সামনে তুলে ধরার মুখ্য দায়িত্বটা বিরোধীদেরই নিতে হবে। যাঁরা  নিজেরা রাজনীতি করেন না বলে সত্যিটা জেনে-বুঝেও মিথ্যেটা  মুখ বুজে মেনে নিচ্ছেন বা পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন, সেই অগণন জনতাও দেশের সর্বনাশের জন্য দায়ী থাকবেন। বহু সংস্কৃতি, ভাষা এবং ধর্মের এই ভারতে এটা করা শুধু ভুল নয়, অন্যায়ও বটে। এক্ষেত্রে কেউই দায়বদ্ধতা এড়াতে পারেন না।
 লেখক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুকার। মতামত ব্যক্তিগত
15th  September, 2020
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মিঠুন চক্রবর্তীকে গো-ব্যাক স্লোগান
মিঠুন চক্রবর্তীকে গো-ব্যাক স্লোগান তৃণমূল নেতৃত্বের। উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী ...বিশদ

06:04:00 PM

বক্তৃতা দিতে দিতে জ্ঞান হারালেন নীতিন গাদকারি
নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দিতে দিতে আচমকাই জ্ঞান হারালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ...বিশদ

04:41:33 PM

দেবাংশুর প্রচারে উত্তেজনা
নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারের সময় ...বিশদ

04:28:51 PM

বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:08:00 PM

২৮ এপ্রিল, রবিবার অবধি রাজ্যে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

03:45:13 PM

বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী

03:03:21 PM