Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে
স্কুলশিক্ষার সর্বনাশ হবে
প্রদীপকুমার দত্ত

২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০২০ অনুমোদিত হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার একটি খসড়া জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশ করে এবং সে বিষয়ে জনসাধারণের মতামত আহ্বান করে। কিন্তু দেশের বহু বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন প্রভৃতি এই খসড়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুতর আপত্তি তুললেও তাঁরা গভীর বিস্ময়ে দেখলেন তাঁদের কোনও মতামতকেই কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্ব না দিয়ে খসড়ার প্রায় সব বিষয়ই নতুন শিক্ষানীতিতে গ্রহণ করেছে। একমাত্র রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগের (আরএসএ) পরিবর্তে সেন্ট্রাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড অফ এডুকেশনকে আরএসএ-র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। উভয়েরই উদ্দেশ্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর কেন্দ্রীয় আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। তাই শিক্ষামহল এর বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়। শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকসমাজের একটা বড় অংশ বিরোধিতা করেছেন। একে শিক্ষা-বিরোধী ও জন-বিরোধী অভিহিত করেও এটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। দেশজুড়ে প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে। প্রথমেই বলা দরকার, শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে এই শিক্ষানীতি কেন্দ্র চাপিয়ে দিচ্ছে, যা অগণতান্ত্রিক। এই শিক্ষানীতিতে স্কুলশিক্ষা নিয়ে যা বলা হয়েছে সেটি আলোচনা করব।
প্রথমত, স্কুলে ১০+২ ব্যবস্থার পরিবর্তে ৫+৩+৩+৪ ব্যবস্থা চালু করা হবে। (অনুচ্ছেদ ৪.১) এর মধ্যে প্রথম তিন বছরকে বলা হচ্ছে প্রাক-প্রাথমিক স্তর। এর সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীকে যুক্ত করে প্রথম ৫ বছরকে বলা হচ্ছে ফাউন্ডেশনাল স্তর। এই স্তরে নমনীয় বহুমুখী, খেলাধুলাভিত্তিক, হাতের কাজ ও উদ্ভাবনা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দেওয়া হবে। (অনুচ্ছেদ ৪.২) এই স্তরের শিক্ষার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়িদের হাতে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির কী শোচনীয় অবস্থা তা অনেকেরই জানা। ফাউন্ডেশনাল স্তরে যেভাবে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেই নেই। তাছাড়া শিক্ষাদান করার কোনও ট্রেনিং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের থাকে না। যদিও শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, তাঁদের অনলাইন ট্রেনিং দেওয়া হবে। কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেগুলির ২৭ শতাংশ চলে ভাড়া বাড়িতে। ২৬ শতাংশের শৌচাগার নেই। প্রায় ১২ শতাংশে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। গত ডিসেম্বরে লোকসভায় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিবৃতিতেই এসব স্বীকারোক্তি রয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও অত্যন্ত স্বল্প ভাতায় কাজ করতে হয়। তাঁদের ওপর শিক্ষার ভার চাপালে শিশুরা কেমন শিক্ষা পাবে তা সহজেই অনুমেয়। এখন কোনও কোনও সরকারি স্কুলে ১ বছরের প্রাক-প্রাথমিক স্তর থাকলেও ৩ বছরের প্রাক-প্রাথমিক স্তর চালানোর মতো পরিকাঠামো কোথাও নেই। আর এখন অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুলে চারটি শ্রেণীর পঠনপাঠন চালানোর মতো পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষক নেই। তাই প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণী অন্তর্ভুক্ত করতে হলে পরিকাঠামো অনেকটাই উন্নত করতে হবে, যার জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করা প্রয়োজন।
এবিষয়ে শিক্ষানীতি নীরব। তাই সরকারি স্কুলের ওপর ভরসা না করে অভিভাবকরা বেসরকারি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁদের সন্তানদের ভর্তি করবেন। এভাবে সরকার কি শিক্ষার বেসরকারিকরণ করতে চাইছে? দ্বিতীয়ত, প্রাক-প্রাথমিকে প্রাতরাশ দেবার যে প্রস্তাব করা হয়েছে সেটা সাধুবাদযোগ্য হলেও তার জন্য অর্থ বরাদ্দের কোনও কথা বলা নেই। তৃতীয়ত, মাধ্যমিক স্কুলগুলিকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নত করার জন্যও প্রচুর অর্থ প্রয়োজন এবং নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রয়োজন। এসব বিষয়ে শিক্ষানীতি নীরব। চতুর্থত, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত, যাকে বলা হচ্ছে প্রস্তুতি ধাপ, সেখানে অল্প কিছু পাঠ্য বই থাকলেও (অনুচ্ছেদ ৪.২) বিষয় শিক্ষা শুরু হবে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে। এর অর্থ পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্ররা খুব কম শিখবে। অথচ বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির ছাত্রদের তুলনায় সরকারি স্কুলের ছাত্ররা অনেকটাই পিছিয়ে থাকবে। বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে যেহেতু বিত্তবানদের সন্তানরাই পড়তে পারে তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ধনী-দরিদ্র বিভাজন হবেই। পঞ্চমত, ২.৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, স্কুলশিক্ষায় সমাজকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও কাউন্সিলারদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এর দ্বারা শিক্ষকদের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করা হল না কি? তাছাড়া সমাজকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকের নামে সঙ্ঘ পরিবারের ভাবাদর্শে বিশ্বাসীদের স্কুলে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিয়ে ছাত্রদের মধ্যে সঙ্ঘ পরিবারের ভাবাদর্শ প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া হবে এমন সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে নানাভাবে শিক্ষার গৈরিকীকরণ করতে সচেষ্ট তার বহু দৃষ্টান্ত আছে। এটিও তার অঙ্গ। ষষ্ঠত, সামাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উন্নত বিদ্যালয় পরিকাঠামো গড়ে নিয়মিত ও প্রথাগত শিক্ষার আঙ্গিনায় না এনে, তাদের জন্য দূরশিক্ষা ও মুক্ত বিদ্যালয়ের সুপারিশ করেছে এই নীতি (অনুচ্ছেদ ৩.৫), যা অচিরেই এই বিরাট অংশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা থেকে দূরে ঠেলে দেবে। সপ্তমত, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে প্রথম শ্রেণী থেকে পাশ-ফেল চালুর দাবি জানালেও এই শিক্ষানীতি এ বিষয়ে নীরব। পরিবর্তে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরীক্ষা নেবার কথা বলা হয়েছে (অনুচ্ছেদ ৪.৪০)। উপরন্তু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি বছর দু’টি করে সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে হবে। এই বয়সের ছাত্রদের যা ম্যাচিওরিটি তাতে বিষয়বস্তুর গভীরে প্রবেশ করতে হলে তা সময় নিয়ে করতে হয়। তাই সেমেস্টার পদ্ধতিতে ছাত্রদের জ্ঞানের গভীরতা তৈরি হবে না। অষ্টমত, ৪.৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ছাত্রদের বিষয় নির্বাচনে স্বাধীনতা দেওয়া হবে এবং ক্যারিকুলার, এক্সট্রা-ক্যারিকুলার, কো-ক্যারিকুলার বা কলা, বিজ্ঞান বা ভোকেশনাল ও অ্যাকাডেমিক বিষয়ের মধ্যে কোনও বিভেদ থাকবে না। ফলে একজন ছাত্র যেসব বিষয়
নির্বাচন করবে তা তার সামগ্রিক জ্ঞান অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
নবমত, ষষ্ঠ শ্রেণী থেকেই কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়ার ওপর এই শিক্ষানীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে (অনুচ্ছেদ ৪.২৬)। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই শিক্ষানীতিতে। যেখানে দেশে বেকার সমস্যা ক্রমবর্ধমান, উচ্চশিক্ষিতরাও, এমনকী ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদরাও চাকরি পাচ্ছেন না, পিয়ন পদের জন্যও উচ্চশিক্ষিতরা, এমনকী পিএইচ-ডি ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করছেন, সেখানে কর্মমুখী শিক্ষা ছাত্রদের কতটুকু কাজে লাগবে? আসলে সরকারের উদ্দেশ্য হল, শিক্ষা শেষে চাকরি দেওয়ার দায়িত্ব অস্বীকার করা। দশমত, ৫.১২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে শিক্ষকরা শিক্ষাদান সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া প্রশাসনিক কাজ করবেন না। সাধু প্রস্তাব। কিন্তু কাজগুলি করবে কে? স্কুলগুলিতে তো কোনও শিক্ষাসহায়ক কর্মী দেবার কথা বলা হয়নি।
দেখা যাচ্ছে, সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নত করে শিক্ষাকে সব মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা বরাদ্দের কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এই শিক্ষানীতিতে নেই। বরং এই শিক্ষানীতি শিক্ষার বেসরকারিকরণের পথকেই প্রশস্ত করবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য আরও বাড়বে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের সন্তানরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। ইউনেস্কো তার সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলেছে, এদেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে। যেখানে কেরল ও ওড়িশার ধনীদের সন্তানরা যথাক্রমে ৮৭ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করে, সেখানে দুই রাজ্যেই দরিদ্রদের মাত্র ৫-৬ শতাংশ হাই স্কুলের গণ্ডি পেরতে পারে। তাছাড়া সামগ্রিক জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রেও শিক্ষানীতি প্রতিবন্ধক হবে। এক কথায় এই শিক্ষানীতি শিক্ষার সর্বনাশ ডেকে আনবে।
 লেখক পূর্বতন প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
14th  September, 2020
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:14:15 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:13:36 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM

মানিকচকের জনসভায় বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:09:19 PM