Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নয়া নীতিতে শিক্ষা
আমাদের ‘বাহন’ হবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকার নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করার পর দিকে দিকে কেমন একটা হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। বিষয়ে নতুনত্ব আছে। আর তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সরকারি স্কুলে প্লে-গ্রুপ ও কিন্ডারগার্টেন, ১০+২ এর ধারণা পিছনে ফেলে ফুটবলের মতো ৫+৩+৩+৪ ছকে স্কুলশিক্ষাকে সাজানো এবং সায়েন্স, আর্টস, কমার্স উঠে যাওয়া... নড়েচড়ে বসার মতো পরিস্থিতি বটে।
প্রথমে দেখা যাক, এই জাতীয় শিক্ষা নীতি থেকে আমরা কী কী পেলাম। প্রথমেই বলতে হয় সরকারি স্কুলে প্রি-প্রাইমারি আবশ্যিক করা। আজকের দুনিয়ায় শহরাঞ্চলের প্রত্যেক বাবা-মা ছেলেমেয়েকে বছর তিনেক বয়স থেকেই স্কুলে ভর্তি করে দেন... মানে মন্টেসরি, কিন্ডারগার্টেন। লক্ষ্য কী? তাদের বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘রেডি’ করা। সেইসব স্কুলে কচিকাঁচারা বন্ধুত্ব পাতায়, খেলাধূলা করে, আর সেইসঙ্গে চলে বেসিক পড়াশোনা। অর্থাৎ, বাংলা ও ইংরেজি বর্ণমালা, ছবি দেখে জীবজন্তু চেনা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, কথোপকথন। মানে, বড় স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে গেলে ফটাফট তারা যাতে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। তাতে আলাদা ইমপ্রেশন তৈরি হবে। আর বড় স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে তারা হবে অটোমেটিক চয়েজ। এই গোটা প্রক্রিয়া থেকেই পরিষ্কার, আজকালকার বাবা-মায়েরা সন্তানদের ইংরেজি মিডিয়ামে দেওয়ার জন্য তৎপর। এবং তা অবশ্যই বেসরকারি। প্রাথমিক ধারণাটাই এমন যে, সরকারি স্কুলে আবার পড়াশোনা হয়
নাকি? হলেও গুটিকয় স্কুলে। এই প্রবণতা মোটেও সুখকর নয়।
দ্বিতীয়ত, ব্যাগের ওজন কমানো। এবার থেকে আর একগাদা বইপত্র নিয়ে স্কুলে যেতে হবে না। বইয়ের পাতা সংখ্যাও কমবে। কারণ সরকার বলছে, বাস্তব জীবনে প্রয়োজনে লাগে না, এমন সব কিছুই সিলেবাস থেকে ছেঁটে ফেলা হবে। বরং জোর দেওয়া হবে কোডিংয়ে। মানে পড়ুয়ারা ক্লাস সিক্স থেকেই অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস জাতীয় প্ল্যাটফর্মের জন্য গেম বা অন্য অ্যাপ্লিকেশন বানাবে। বাড়তি নজর দেওয়া হবে অঙ্কেও। পড়াশোনা কেমন হচ্ছে, তার মূল্যায়ন করবে সহপাঠীরাও। আর তৃতীয়, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীতে নেওয়া হবে বিশেষ পরীক্ষা। এবং সবচেয়ে বড় কথা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা আইসিএসই-আইএসসির ধারণাটাই বাতিলের খাতায় চলে যাচ্ছে। তার জায়গায় আসছে ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত আটটা সেমেস্টার। সায়েন্স, আর্টস, কমার্সের দিনও শেষ। একজন পড়ুয়া চাইলে ফিজিক্সের সঙ্গে ফ্যাশন টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করতেই পারে। কিংবা অঙ্কের সঙ্গে গান।
তৃতীয় প্রাপ্তি উচ্চশিক্ষায়। সম্পূর্ণ শিক্ষানীতি কার্যকর হলে শুরু হবে মাল্টি এক্সিট পলিসি। ফলে কলেজের প্রথম বর্ষ থেকে তৃতীয় বর্ষ, যখন খুশি পড়া ছেড়ে বেরিয়ে আসা যাবে। মিলবে সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা। ডিগ্রি হবে চার বছরের। উঠে যাবে এমফিলও। সবচেয়ে বড় কথা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনায় এবার আসছে ক্রেডিট ব্যাঙ্ক। কেউ যদি মাঝপথে পড়া ছেড়ে দেন, তার প্রাপ্ত পয়েন্ট সেই ব্যাঙ্কে জমা থাকবে। পরবর্তীকালে আবার পড়াশোনা শুরু করলে তার পর থেকেই তিনি এগতে পারবেন। বিষয় নির্বাচনে স্বাধীনতা এবং ক্রেডিট ব্যাঙ্ক, দু’টো ভাবনাই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে ব্যালান্স রাখার জন্য আনা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত এই শিক্ষানীতিকে সাধুবাদ জানাতেই হবে। কিন্তু সমস্যা কোথায় হতে পারে? প্রথমত, ক্লাস ফাইভ (পারলে ক্লাস এইট) পর্যন্ত মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা। ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের প্রতি যে অভিভাবকদের আলাদা আকর্ষণ আছে, তাঁরা কি এই পদ্ধতিতে সাড়া দেবেন? বোধহয় না। প্রত্যেকেই তাঁদের ছেলেমেয়েদের দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চান। সেক্ষেত্রে ইংরেজির থেকে ভালো মাধ্যম অন্য কিছু নেই। যে কোনও একটা বিষয়ে ইংরেজি ভাষায় যত ভালো বই রয়েছে, তা কোনও আঞ্চলিক ভাষায় নেই। সেক্ষেত্রে বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, ওড়িয়া ভাষায় সেইসব বই লিখতে হবে বা অনুবাদ করতে হবে। তারপরও তার গুণমান কি ‘অরিজিনাল’ বইয়ের মতো হবে? সম্ভাবনা কম।
কেন্দ্রীয় পলিসি বলছে, ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু হবে বিভিন্ন ভোকেশনাল কোর্স। অর্থাৎ, ছাত্রছাত্রীরা ওই পর্বে কাঠের কাজ, বাগান করা, বৈদ্যুতিন সামগ্রী মেরামত এসব শিখবে। উদ্যোগ মোটেই খারাপ নয়। কিন্তু যার বাবা নিজে কাঠের কাজ করেন, তিনি কি চাইবেন ছেলেকে বা মেয়েকে ওই পেশার জন্য তৈরি করতে? অনেক কৃষকই এমন রয়েছেন, যাঁরা জমির পাট্টা নিয়ে চাষ করেন। এবং সংসার চালাতে তাঁদের নাভিশ্বাস উঠে যায়। তাঁরা প্রার্থনা করেন, ঠাকুর আমার ছেলেটা বা মেয়েটাকে যেন এই কষ্ট না করতে হয়। তাই তাঁরা বহু অভাব-অনটন সত্ত্বেও ছেলেমেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেন। স্বপ্ন দেখেন... ওরা কেউকেটা হবে। আজ থেকে কত বছর আগে রবি ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘যে-চাষা তাহার ছেলেকে প্রাইমারি স্কুলে পাঠায়, তাহার একটিমাত্র উদ্দেশ্য এই যে, তাহার ছেলে নিতান্ত চাষা না থাকিয়া কিঞ্চিৎ পরিমাণে ভদ্রসমাজ-ঘেঁষা হইবার যোগ্য হয়; চিঠিটা পত্রটা লিখিতে পারে, পড়িতেও পারে, জমিদারের কাছারিতে দাঁড়াইয়া কতকটা ভদ্রছাঁদে মোক্তারি করিতে পারে, গ্রামের মোড়লি করিবার যোগ্য হয়, ভদ্রলোকের মুখে শুনিতে পায় যে, তাইতো রে, তোর ছেলেটা তো বলিতে-কহিতে বেশ!’ আমরা প্রত্যেকেই এমনটা চাই। আমার মেয়ে, আমার ছেলে বাবা-মাকেও ছাপিয়ে যাবে...। তা আদৌ হবে তো? যদি হয়, তাহলে বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের মোহ ত্যাগ করে মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তরাও ফিরবেন সরকারি বৃত্তে। তা কি আদৌ সম্ভব?
আশা ক্ষীণ। কারণ, নয়া এই শিক্ষানীতিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে দক্ষযজ্ঞের ইঙ্গিত দিয়েছে, তা কত বছর বা কত দশকে সম্পূর্ণ করা যাবে, সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। সরকার নিজেও সন্দিহান। তাই নীতি কার্যকরে নির্দিষ্ট কোনও বছর বা লগ্নের উল্লেখ করা হয়নি। কিছু কিছু ‘লক্ষ্যমাত্রা’ স্থির করা হয়েছে। যেমন, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রত্যেকের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং ২০৪০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ শিক্ষানীতি কার্যকর করা। প্রথম টার্গেটে আসা যাক। ২০২৫ সাল। মানে পাঁচ বছর। দেশের সব স্তরে প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে গেলে যে পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা নেই। এবং প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি। হয়তো একটা মাঝারি মানের ক্লাসঘরের অভাব হবে না। কিন্তু প্রযুক্তি সাজানো, দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ, সিলেবাস তৈরি এমন হাজারো কাজ রয়েছে। তার জন্য বিপুল অর্থ প্রয়োজন। চলতি অর্থবর্ষে স্কুলশিক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার বাজেট বরাদ্দ করেছিল মোট জিডিপির দেড় শতাংশ। কিন্তু গোটা দেশে প্রি-প্রাইমারি ক্ষেত্রে পরিকাঠামো তৈরিতেই যা খরচ হবে, তাতেই এই বরাদ্দ কম পড়ে যেতে পারে। বলা হচ্ছে, শিক্ষায় বরাদ্দ হবে জিডিপির ৬ শতাংশ। তাহলে হয়তো এই সঙ্কট আসবে না। কিন্তু রাজ্য সরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে এটা কিন্তু হবে রেকারিং খরচ। তার উপর প্রত্যেকটা রাজ্যের যে শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, তারই খোলনলচে বদলে দিতে হবে। যা এক-দু’বছরে
করা সম্ভব নয়।
এছাড়া রয়েছে তিন ভাষার বেষ্টনী। মানে তিনটি ভাষা প্রাথমিক স্তরে পড়তে হবে—মাতৃভাষা, একটি ভারতীয় ভাষা এবং একটি বিদেশি ভাষা (ধরে নেওয়া যায় এটি ইংরেজি হবে)। যদিও লিখিত অর্ডারে বলা হচ্ছে, ভাষার ব্যাপারটা রাজ্য সরকার, স্কুল বা পড়ুয়া ঠিক করবে। কিন্তু এরপর একটা প্যাঁচ রয়েছে। ঘুরিয়ে বলা হয়েছে, প্রাথমিক এবং মধ্যশিক্ষায় সংস্কৃত পড়ানো হবে। এই ভাষা যদি সত্যিই বাধ্যতামূলক হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আধুনিক’ ভাবনা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। কারণ, সংস্কৃত শিক্ষা ভবিষ্যতে একজন ছাত্রকে কী সুবিধা দেবে? যে পড়ুয়া সংস্কৃত নিয়ে রিসার্চ করবে, তার ক্ষেত্রে না হয় এই নীতি বেশ সুবিধাজনক। কিন্তু বাকিরা?
এবার আসা যাক মাল্টি ডিসিপ্লিনারি ব্যাচেলরস প্রোগ্রামে। চার বছরের কোর্স। আর এর জন্য আলাদা কলেজ তৈরি হবে। আর ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে এখনকার কলেজ এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও ওই ছাঁদে ফেলা হবে। ততদিন? সেই দিশাও কিন্তু নেই নয়া পলিসিতে। বিষয় ধরে ধরে কমিটি হবে, কলেজগুলি স্বশাসন পেয়ে যাবে এবং তৈরি হবে নতুন একটি কমিশন... তার আওতায় চলে আসবে ইউজিসি, এআইসিটিইর মতো সংস্থাগুলি।
এই নীতি সার্বিকভাবে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার কতটা উন্নতিসাধন করতে পারবে... এত ভাবনা, আলোচনা, বিশ্লেষণের পরও কিন্তু আদপে তা
স্পষ্ট হচ্ছে না। স্বপ্ন আকাশছোঁয়া, কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পথ দেখা যাচ্ছে না। কতকটা রবি ঠাকুরের সেই বক্তব্যের মতো, ‘জামা কিনিতে গেলাম,
পাইলাম একপাটি মোজা; এখন ভাবিতেছি,
ঐটেকেই কাটিয়া ছাঁটিয়া কোনোমতে জামা করিয়া পরিব। ভাগ্য আমাদের সেই চেষ্টা দেখিয়া
অট্টহাস্য করিতেছে।’
রাজ্যগুলিও কিন্তু ধীরে ধীরে মুখ খুলছে। প্রথম অভিযোগ, কারও সঙ্গে এ নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি। দ্বিতীয় অভিযোগ ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত। যার উত্তরও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। রাজ্য তাই নিজেরা কমিটি গঠন করছে... ব্যাপারটা বুঝতে চাইছে। সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষা হল কেন্দ্র-রাজ্য দুয়েরই বিষয়। অর্থাৎ, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার নিজেদের মতো করে শিক্ষা সংক্রান্ত নীতি বা আইন তৈরি করতে পারে। খুড়োর কল সামনে ঝুলছে। পাশাপাশি চলছে শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে পকেটে পুরে ফেলার কৌশল। কেন্দ্রের এই লম্বাচওড়া নজরদারি আদপে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ নয় তো? নাকি এর পিছনেও রয়েছে কোনও অভিসন্ধি... বেসরকারিকরণ। যা মোদি সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
04th  August, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত মেঘালয়ে- ৩১.৬৫ শতাংশ, মিজোরামে- ২৬.২৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে- ২২.৫০ শতাংশ, পুদুচেরীতে- ২৭.৬৩ শতাংশ, রাজস্থানে- ২২.৫১ শতাংশ, সিকিমে- ২১.২০ শতাংশ ভোট পড়ল

12:25:16 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ৩৩.২৮ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ২৫.২০ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ২৪.৮৩ শতাংশ ভোট পড়ল

12:25:00 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে- ২১.৮২ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে- ১৮.২৬ শতাংশ, অসমে- ২৭.২২ শতাংশ, বিহারে- ২০.৪২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে- ২৮.১২ শতাংশ ভোট পড়ল

12:24:39 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৩৫.২০ শতাংশ ও কোচবিহারে ৩৩.৬৩ শতাংশ ভোট পড়ল

12:24:00 PM

বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪: সকাল ১১ টা পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে ১৯.৪৬ শতাংশ ও সিকিমে ২১.২০ শতাংশ ভোট পড়ল

12:19:44 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে- ১৬.৩৩ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে- ২২.৬০ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে- ৩০.৪৬ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে- ১৯.১৭ শতাংশ, মণিপুরে- ২৭.৬৪ শতাংশ ভোট পড়ল

12:19:24 PM