Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সীমান্ত বিতর্ক অছিলা, বাণিজ্য যুদ্ধ
জিততেই চীনের গলওয়ান কাণ্ড
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত  ডোভালের সঙ্গে চীনের বিদেশ মন্ত্রীর বৈঠক আপাতত স্বস্তি  দিয়েছে। কিন্তু, স্থায়ী সমাধান সূত্র মেলেনি। বরং বৈঠকের পর চীনের সরকারের বক্তব্য, দুই দেশের সম্পর্ক এক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি। কী সেই  পরিস্থিতি? কেন কীভাবে তা তৈরি হল? চীন কেন পূর্ব লাদাখের গলোওয়ান নিয়ে আগ্রাসী হয়ে উঠল? এখনো পর্যন্ত ভারতের ৪৩ হাজার ১৮০ বর্গমাইল এলাকা দখল করে রেখেছে।  ভারত তো চীনের কাছে সেই বিপুল অধিকৃত এলাকা ফেরত চায়নি। তাহলে গলওয়ান নিয়ে  যুদ্ধ বাঁধার উপক্রম কেন? দুই দেশের সম্পর্কই বা কেন জটিল আবর্তে? কেন চীন এমনটা ভাবছে?
সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হয় অন্য দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন এবং অর্থনৈতিক বাজার দখলের উদ্দেশ্যে। তাই সীমান্ত বিতর্কটা  চীনের  অছিলা মাত্র। প্রতিবারই দু’পক্ষের আলোচনার শুরুতেই  ভারতের প্রতিশ্রুতি আদায়ের পর  চীন সৈন্য সরিয়ে নিয়ে গেছে। এবারও সেটা তারা করল গলওয়ান থেকে। কারণ, লড়াইয়ের আসল উদ্দেশ্য লাদাখের রুক্ষ জমি নয়,  দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর বাজার দখল করা। সেই জন্যেই প্রয়োজন মার্কিন আধিপত্য  প্রতিরোধ করে চীনের প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠা করা। তার জন্য  চীন চায় ভারতকে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে দূরে রাখতে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কে ভারত  গত দু’দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের  অনেক  স্বাভাবিক বন্ধু হয়ে উঠেছে। চীন এটা মেনে নিতে পারে না। তারা ভারতকে বাণিজ্যিক বোঝাপড়ায় পাশে পেতে চায়। সেটা সম্ভব না-হলে  সীমান্তের  বিতর্কিত ইস্যুগুলি তুলে চীন চায় ভারতের উপর চাপ দিতে। বার্তাটা এই রকম: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আঁকড়ে থাকলে সুবিধার কিছু নেই। বরং  চীনের কথা শোনো, নইলে চীন ছেড়ে দেবে না!
সমস্যার গোড়া
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন আগে থেকেই দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলে  চীনকে টক্কর দিতে ভারতকে সঙ্গী করেছে। এতদঞ্চলের বাজার ধরতে আফগানিস্তান থেকে মায়নামার পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা করে এক দশক আগে।  পাল্টা শক্তি হিসেবে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে চীন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই পাকিস্তান, রাশিয়া, ইরানকে সঙ্গী করে  সাংহাই থেকে তেহরান পর্যন্ত রাস্তা ও অর্থনৈতিক করিডর  তৈরির কর্মসূচি গ্রহণ করে। আজকের গলওয়ান এই দুই শক্তির বাণিজ্য যুদ্ধের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিও স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট। এই স্থানে, প্যানগং হ্রদ এলাকাসহ  পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার সঙ্গে জড়িয়ে আছে চীনের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সামরিক প্রভুত্ব স্থাপনের গভীর অভিসন্ধি। কেবলমাত্র সীমান্তে জমি দখল করতে  ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চীন আগ্রাসী হয়নি।
ভারত পূর্ব লাদাখে  হেলিপ্যাড ও রাস্তা  বানানোর পর থেকেই তাই চীনের গাত্রদাহ শুরু। ওই হেলিপ্যাড থেকে আকাশপথে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে কারাকোরাম। আর আকসাই চীন থেকে জিনজিয়াং প্রদেশের মধ্যে যে রাস্তা সাংহাই থেকে পণ্য পৌঁছে দেবে পাকিস্তানে এবং ইরান হয়ে মধ্য প্রাচ্যে, তা ভারতের হেলিপ্যাডে থাকা সীমান্ত প্রহরীর নাকের ডগায় এসে যাচ্ছে। সেই কারণেই ২০১৩ সালে পূর্ব লাদাখে ৬৫০ বর্গ মাইল জায়গা দখল করেছে, এখন গলওয়ান থেকেও  ভারতকে সরাতে চায় চীন। চীনের আশঙ্কা, কোনওদিন ভারতের সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষ হলে, ভারতের দ্বারা গলওয়ান থেকে হানা শুরু হলে,  সাংহাই থেকে ইরান পর্যন্ত বাণিজ্য সরণি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তখন চীনা সৈন্য, রসদ বা বাণিজ্য পরিবহণ কোনওটাই জিংজিয়াং থেকে কারাকোরাম হয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বুক চিরে পৌঁছতে পারবে না পাকিস্তানের বন্দর শহরে এবং ইরান হয়ে ইউরোপে। রাশিয়া নিজেও চায় না ভারত-মাকিন  সখ্যে রাশিয়ার গুরুত্ব কমে যায়। তাই তারা চায় ভারতের পাশে থেকেও  চীনের সঙ্গে থাকতে। প্রকাশ্যে কোনও স্পষ্ট অবস্থান রাশিয়া জানাবে না। সেই আশ্বাস আছে বলেই গলওয়ান ও গোটা প্যানগং এলাকা অধিকার করার জন্য চীন এতটাই আগ্রাসী।
বর্তমান পরিস্থিতি
কোভিড পরবর্তী বিশ্বে মার্কিন-চীন সম্পর্কটা, বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব ছাড়িয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিদ্বেষের চেহারা নেওয়ার ইঙ্গিত রাখছে। জবাব দিতে চীনও  উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। মার্কিন আধিপত্য ধ্বংস করে চীন মহাশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এশিয়া ভূখণ্ডে। শুধু গলওয়ান নয়, চীন তাই একইসঙ্গে আগ্রাসী সাউথ চায়না সমুদ্র অঞ্চলে। তাতে  প্রয়োজনে ফিলিপিন্স-ভিয়েতনাম-জাপানের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে চীনের আপত্তি নেই। সেখানেও আসল উদ্দেশ্য মার্কিন প্রভাব খর্ব করা। এদিকে অস্ট্রেলিয়া-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়াকে এক অক্ষে নিয়ে চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারত মহাসাগরে এই অক্ষের প্রভাব বৃদ্ধি মেনে নিতে পারছে না চীন। অন্যদিকে, চীনকে চাপে রাখতে মিত্রশক্তি ব্রিটেনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে চীন বিরোধী শিবিরে টেনে আনতে চায়। তাইওয়ান ও হংকং নিয়ে তাই চীনের বিরুদ্ধে খুঁচিয়ে তোলার চেষ্টা  হচ্ছে পুরনো ঘা।
মার্কিন এই গেম প্ল্যানে যাতে কোনওভাবেই ভারত, চীন-বিরোধী অবস্থান নিয়ে মার্কিন শিবির ভুক্ত না-হয় তার জন্যেই  চীনের মনে হচ্ছে, ‘দু’দেশের সম্পর্কটা খুব কঠিন জটিলতার মধ্যে দিয়ে চলেছে!’
ভারতের পরিস্থিতি
এই পরিস্থিতিতে  মার্কিন অক্ষ থেকে ভারতকে দূরে রাখতে চীনকে চাপ সৃষ্টি করতে হচ্ছে পুরনো  সীমান্ত বিতর্কগুলি খুঁচিয়ে তুলে। ভারতকেও ভাবতে হচ্ছে অন্য কারণে। চীন অতি মাত্রায় বৃহৎ একটি অর্থনৈতিক শক্তি। সামরিক দিক থেকে চীনের সঙ্গে ছোটখাটো যুদ্ধ, মানে দু’-চারদিন চোখে চোখ রেখে বুঝিয়ে দেওয়া যেতেই পারে যে ‘হাম কিসিসে কম নেহি’! কিন্তু, লম্বা যুদ্ধের রসদ ভারতের নেই। অন্যদিকে,  বিশ্ব অর্থনীতিতে আড়াই ট্রিলিয়ন রপ্তানির বাজার চীনের দখলে। গোলাগুলি ছুঁড়তে হবে না, চীন শুধু রপ্তানি বন্ধ করে দিলেই ভারতসহ বহু বিরোধী দেশ শুকিয়ে যাবে। বিকল্প কি নেই? আছে। কিন্তু, সে বিকল্প আর্থিক দিক থেকে প্রচুর ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে আমাদের। এই মুহূর্তে ভারতের চাইতে প্রায় সাড়ে চার গুণের বেশি জিডিপি চীনের। মাথাপিছু হিসেবে সেটা আড়াইগুণের কাছাকাছি। এসব পরিসংখ্যানের বাইরে যেটা বাস্তব সমস্যা সেটা হল, কাঁচামালের অভাব। চীন কাঁচামাল না পাঠালে দেশের ওষুধ,  সার এবং রাসায়নিক শিল্প প্রায় মুখ থুবড়ে পড়বে। বড় বড় নির্মাণকার্য থমকে যাবে তাদের প্রযুক্তি এবং সস্তার শ্রমিক না পেলে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রবল একটা সঙ্কট আসবে। চীনের বিকল্প তাই রাতারাতি তৈরি করা সম্ভব নয়। এটা চীন বেশ ভালো জানে। তাই ভারতের বিরুদ্ধে তাদের এত রোয়াবি।
চীনের সঙ্গে মোকাবিলা করতে চীনের কাছ থেকে পণ্য বা কাঁচামাল কেনা বন্ধ করা দরকার, শিল্পে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠা দরকার। নরেন্দ্র মোদি সেটা বুঝেছেন বলেই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সীমান্তে যুদ্ধ করার চাইতে সত্যিই এখন অনেক বেশি প্রয়োজন শিল্প ও বাণিজ্যে আত্মনির্ভরশীলতা। 
অন্যদিকে, চীন এটাও জানে যে ভারত এক বিশাল বাজার। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সেটা যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ালে ভারতের বাজার হাতছাড়া হবে চীনের। সেটা চায় না বলেই আলোচনার টেবিলে তারা বসছে, আবার জারি রাখছে প্রচ্ছন্ন অসন্তোষ আর হুমকি। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে মার্কিন-বন্ধু হিসেবে তারা ভারতকে দেখতে চায় না। সেটা হলে বৈরিতা অনিবার্য! কোনও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক  চাপেই চীন পিছপা হবে না। সেটা তারা বুঝিয়ে দিয়েছে।
মার্কিন ও চীন উভয়কে নিয়েই ভারতকে চলতে হবে। ভারতের কাছে এটাই বর্তমান পরিস্থিতির দাবি। এখনকার দুনিয়ায় ভারতকে থাকতেই হবে অর্থনৈতিক প্রভুত্বের লড়াইয়ে। ভারত যদি চীনকে সেই লড়াইয়ে ‘বুঝ’ করে দিতে পারে (অর্থাৎ পড়তায় পুষিয়ে দিতে পারে), তাহলে আবার হিন্দি-চিনি ভাই ভাই হয়ে যাবে। দু’পক্ষই সেটাই চাইছে পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখেই। নরমে-গরমে। হিসেবটা না মিললে ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি অনিবার্য হয়ে পড়বে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে  সামরিক প্রভাব ও বাজার  দখলের লক্ষ্যে।

 লেখক অর্থনীতির বিশ্লেষক। মতামত ব্যক্তিগত
08th  July, 2020
শীর্ষ সম্মেলন কূটনীতির পরাজয়

দুই নেতার সিদ্ধান্ত ছিল যে ‘২০২০ সালটাকে ভারত-চীন সংস্কৃতি এবং মানুষে মানুষে ভাব বিনিময়ের বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে’। আইডিয়াটা স্মরণীয় হবে ভেবে মোদিজি নিশ্চয় আহ্লাদিতই হয়েছিলেন!
বিশদ

ভ্যাকসিন বের করা আর
সার্জিকাল স্ট্রাইক এক নয়
হিমাংশু সিংহ

ধামাকা দিয়ে সব যুদ্ধ জয় করা যায় না। বিশেষ করে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের যুদ্ধ, আর সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা মোটেই এক নয়। বিজ্ঞানের কোনও কালজয়ী আবিষ্কারই ১৫ আগস্ট, ২৬ জানুয়ারি কিম্বা পূর্ণিমা-অমাবস্যার তিথি নক্ষত্র দেখে আসে না।
বিশদ

12th  July, 2020
প্রতিপক্ষ যখন পঞ্চায়েত
তন্ময় মল্লিক

উদ্দেশ্য এবং উপায় সৎ হলে তার ফল ভালো হয়। এমন কথাই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে সেটা খাটে না। জ্বলন্ত উদাহরণ পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। তৈরি হয়েছিল জেলা পরিষদ। জেলার রাইটার্স বিল্ডিং।
বিশদ

11th  July, 2020
নিত্য নতুন ইভেন্টের
আড়ালে যত খেলা
সমৃদ্ধ দত্ত

বয়কটের আগে বুঝতে হবে যে, এখন এসব বয়কট করার অর্থ আমাদের দেশেরই ব্যবসায়ী, দোকানিদের চরম আর্থিক ক্ষতি। বিগত তিনমাসের লকডাউনে এমনিতেই জীবিকা সঙ্কটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। আমাদের এলাকার চাইনিজ প্রোডাক্ট এখন আমরা না কিনলে চীনের ক্ষতি নেই।
বিশদ

10th  July, 2020
করোনা যুদ্ধে জাপানকে জেতাচ্ছে সুস্থ সংস্কৃতি 
হারাধন চৌধুরী

সারা পৃথিবীর হিসেব বলছে, করোনা ভাইরাসে বা কোভিড-১৯ রোগে মৃতদের মধ্যে বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। সেই প্রশ্নে জাপানিদের প্রচণ্ড ভয় পাওয়ার কথা। কারণ, প্রতি একশো জনের মধ্যে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা জাপানেই সর্বাধিক।   বিশদ

09th  July, 2020
 একাদশ অবতার
সন্দীপন বিশ্বাস

কতদিন হয়ে গেল ওইসব দামি দামি স্যুট পরা হয়নি, কতদিন বিদেশ যাওয়া হয়নি, কত বিদেশি রাজার সঙ্গে জড়াজড়ি করে হাগ করা হয়নি। সেসব নিয়ে খুবই মন খারাপ হবু রাজার।
বিশদ

08th  July, 2020
সীমান্তেও মোদির
চমকদার রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তারিখটা ৭ নভেম্বর, ১৯৫৯। কংকা পাসের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে চিঠি দিয়েছেন চৌ-এন-লাই। লিখেছেন, দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে যা হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক এবং মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়।
বিশদ

07th  July, 2020
আইনের হাত থেকে
স্বাধীনতাকে উদ্ধার করো
পি চিদম্বরম

যদি কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে সে অবশ্যই কোনও ভুল করেছে। যদি কারও জামিন নামঞ্জুর হয়ে যায়, তবে সে নিশ্চয় অপরাধী। যদি কোনও ব্যক্তিকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়, তবে জেলসহ শাস্তিই তার প্রাপ্য।  বিশদ

06th  July, 2020
গুরু কে, কেনই বা গুরুপূর্ণিমা?
জয়ন্ত কুশারী

কে দেখাবেন আলোর পথ? পথ অন্ধকারাচ্ছন্নই বা কেন? এই অন্ধকার, মনের। মানসিকতারও। চিন্তার। আবার চেতনারও। এই অন্ধকার কুসংস্কারের। আবার অশিক্ষারও। অথচ আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত এক একজন।   বিশদ

05th  July, 2020
জাতির উদ্দেশে ভাষণের চরম অবমূল্যায়ন
হিমাংশু সিংহ

অনেক প্রত্যাশা জাগিয়েও মাত্র ১৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডেই শেষ। দেশবাসীর প্রাপ্তি বলতে আরও পাঁচ মাস বিনামূল্যে রেশন। শুধু ওইটুকুই। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি বুক ফুলিয়ে চীনকে কোনও রণহুঙ্কার নয়, নিহত বীর জওয়ানদের মৃত্যুর বদলা নয় কিম্বা শূন্যে নেমে যাওয়া অর্থনীতিকে টেনে তোলার সামান্যতম অঙ্গীকারও নয়। ১৬ মিনিটের মধ্যে ১৩ মিনিটই উচ্চকিত আত্মপ্রচার।   বিশদ

05th  July, 2020
মধ্যবিত্তের লড়াই শুরু হল
শুভময় মৈত্র 

কোভিড পরিস্থিতি চীনে শুরু হয়েছে গত বছরের শেষে। মার্চ থেকেই আমাদের দেশে হইচই। শুরুতেই ভীষণ বিপদে পড়েছেন নিম্নবিত্ত মানুষ। পরিযায়ী শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথা এখন সকলেই জানেন।  বিশদ

04th  July, 2020
রাজধর্ম
তন্ময় মল্লিক 

যেমন কথা তেমন কাজ। উম-পুন সুপার সাইক্লোনে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, টাঙিয়ে দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা। ফেরানো হবে অবাঞ্ছিতদের হাতে যাওয়া ক্ষতিপূরণ।   বিশদ

04th  July, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, মালদহ: প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও লকডাউনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত মালদহের আম ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দপ্তর। দিল্লিতে নিযুক্ত ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলির পর বাড়ির কাছেই কাজের সুযোগ পেলেন চারশোর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। শুক্রবার ৪১৫ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টকে রাজ্যের বিভিন্ন ...

সুমন তেওয়ারি  আসানসোল: করোনার দাপটের মধ্যেই এবার ডেঙ্গু হানা দিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল, দুর্গাপুর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এখনও ...

মাদ্রিদ: রিয়াল মাদ্রিদের লিগ জয় কার্যত নিশ্চিত। অঘটন না ঘটলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই খেতাব জিতবে জিনেদিন জিদান-ব্রিগেড। লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩০: কলকাতায় দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন, অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ প্রতিষ্ঠা করলেন আলেকজান্ডার ডাফ এবং রাজা রামমোহন রায়
১৯০০: অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের জন্ম
১৯৪২: মার্কিন অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডের জন্ম
১৯৫৫: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর মৃত্যু
২০১১: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক তিনটি বিস্ফোরণে হত ২৬, জখম ১৩০
২০১৩: বোফর্স কান্ডে অভিযুক্ত ইতালীয় ব্যবসায়ী অত্তাভিও কাত্রোচ্চির মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩১ টাকা ৭৬.০৩ টাকা
পাউন্ড ৯৩.০০ টাকা ৯৬.২৯ টাকা
ইউরো ৮৩.২৩ টাকা ৮৬.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  July, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৩৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,০৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪২৭, ১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, অষ্টমী ৩২/৪৫ অপঃ ৬/১০। রেবতী ১৫/২৫ দিবা ১১/১৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৫২, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২২ মধ্যে। রাত্রি ৯/১২ গতে ১২/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে।
২৮ আষাঢ় ১৪২৭, ১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, অষ্টমী অপরাহ্ন ৫/০। রেবতী নক্ষত্র দিবা ১১/৮। সূযোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/২৯ গতে ২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২৩ মধ্যে ও ৩/৩ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২৩ গতে ১১/৪৩ মধ্যে।
২১ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বৃষ: কোনও সম্পদ লাভে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৮৩০: কলকাতায় দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন, অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ ...বিশদ

07:03:20 PM

গুজরাটে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯০২ 
গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ...বিশদ

08:06:12 PM

মহারাষ্ট্রে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬,৪৯৭ 
মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৪৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত ...বিশদ

07:52:00 PM

উত্তর প্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১,৬৬৪ 
উত্তর প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৬৪ জন করোনায় ...বিশদ

07:47:39 PM

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১,৪৩৫
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৪৩৫ জন। ...বিশদ

07:47:36 PM