Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সীমান্ত বিতর্ক অছিলা, বাণিজ্য যুদ্ধ
জিততেই চীনের গলওয়ান কাণ্ড
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত  ডোভালের সঙ্গে চীনের বিদেশ মন্ত্রীর বৈঠক আপাতত স্বস্তি  দিয়েছে। কিন্তু, স্থায়ী সমাধান সূত্র মেলেনি। বরং বৈঠকের পর চীনের সরকারের বক্তব্য, দুই দেশের সম্পর্ক এক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি। কী সেই  পরিস্থিতি? কেন কীভাবে তা তৈরি হল? চীন কেন পূর্ব লাদাখের গলোওয়ান নিয়ে আগ্রাসী হয়ে উঠল? এখনো পর্যন্ত ভারতের ৪৩ হাজার ১৮০ বর্গমাইল এলাকা দখল করে রেখেছে।  ভারত তো চীনের কাছে সেই বিপুল অধিকৃত এলাকা ফেরত চায়নি। তাহলে গলওয়ান নিয়ে  যুদ্ধ বাঁধার উপক্রম কেন? দুই দেশের সম্পর্কই বা কেন জটিল আবর্তে? কেন চীন এমনটা ভাবছে?
সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হয় অন্য দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন এবং অর্থনৈতিক বাজার দখলের উদ্দেশ্যে। তাই সীমান্ত বিতর্কটা  চীনের  অছিলা মাত্র। প্রতিবারই দু’পক্ষের আলোচনার শুরুতেই  ভারতের প্রতিশ্রুতি আদায়ের পর  চীন সৈন্য সরিয়ে নিয়ে গেছে। এবারও সেটা তারা করল গলওয়ান থেকে। কারণ, লড়াইয়ের আসল উদ্দেশ্য লাদাখের রুক্ষ জমি নয়,  দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর বাজার দখল করা। সেই জন্যেই প্রয়োজন মার্কিন আধিপত্য  প্রতিরোধ করে চীনের প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠা করা। তার জন্য  চীন চায় ভারতকে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে দূরে রাখতে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কে ভারত  গত দু’দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের  অনেক  স্বাভাবিক বন্ধু হয়ে উঠেছে। চীন এটা মেনে নিতে পারে না। তারা ভারতকে বাণিজ্যিক বোঝাপড়ায় পাশে পেতে চায়। সেটা সম্ভব না-হলে  সীমান্তের  বিতর্কিত ইস্যুগুলি তুলে চীন চায় ভারতের উপর চাপ দিতে। বার্তাটা এই রকম: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আঁকড়ে থাকলে সুবিধার কিছু নেই। বরং  চীনের কথা শোনো, নইলে চীন ছেড়ে দেবে না!
সমস্যার গোড়া
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন আগে থেকেই দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলে  চীনকে টক্কর দিতে ভারতকে সঙ্গী করেছে। এতদঞ্চলের বাজার ধরতে আফগানিস্তান থেকে মায়নামার পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা করে এক দশক আগে।  পাল্টা শক্তি হিসেবে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে চীন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই পাকিস্তান, রাশিয়া, ইরানকে সঙ্গী করে  সাংহাই থেকে তেহরান পর্যন্ত রাস্তা ও অর্থনৈতিক করিডর  তৈরির কর্মসূচি গ্রহণ করে। আজকের গলওয়ান এই দুই শক্তির বাণিজ্য যুদ্ধের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিও স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট। এই স্থানে, প্যানগং হ্রদ এলাকাসহ  পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার সঙ্গে জড়িয়ে আছে চীনের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সামরিক প্রভুত্ব স্থাপনের গভীর অভিসন্ধি। কেবলমাত্র সীমান্তে জমি দখল করতে  ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চীন আগ্রাসী হয়নি।
ভারত পূর্ব লাদাখে  হেলিপ্যাড ও রাস্তা  বানানোর পর থেকেই তাই চীনের গাত্রদাহ শুরু। ওই হেলিপ্যাড থেকে আকাশপথে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে কারাকোরাম। আর আকসাই চীন থেকে জিনজিয়াং প্রদেশের মধ্যে যে রাস্তা সাংহাই থেকে পণ্য পৌঁছে দেবে পাকিস্তানে এবং ইরান হয়ে মধ্য প্রাচ্যে, তা ভারতের হেলিপ্যাডে থাকা সীমান্ত প্রহরীর নাকের ডগায় এসে যাচ্ছে। সেই কারণেই ২০১৩ সালে পূর্ব লাদাখে ৬৫০ বর্গ মাইল জায়গা দখল করেছে, এখন গলওয়ান থেকেও  ভারতকে সরাতে চায় চীন। চীনের আশঙ্কা, কোনওদিন ভারতের সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষ হলে, ভারতের দ্বারা গলওয়ান থেকে হানা শুরু হলে,  সাংহাই থেকে ইরান পর্যন্ত বাণিজ্য সরণি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তখন চীনা সৈন্য, রসদ বা বাণিজ্য পরিবহণ কোনওটাই জিংজিয়াং থেকে কারাকোরাম হয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বুক চিরে পৌঁছতে পারবে না পাকিস্তানের বন্দর শহরে এবং ইরান হয়ে ইউরোপে। রাশিয়া নিজেও চায় না ভারত-মাকিন  সখ্যে রাশিয়ার গুরুত্ব কমে যায়। তাই তারা চায় ভারতের পাশে থেকেও  চীনের সঙ্গে থাকতে। প্রকাশ্যে কোনও স্পষ্ট অবস্থান রাশিয়া জানাবে না। সেই আশ্বাস আছে বলেই গলওয়ান ও গোটা প্যানগং এলাকা অধিকার করার জন্য চীন এতটাই আগ্রাসী।
বর্তমান পরিস্থিতি
কোভিড পরবর্তী বিশ্বে মার্কিন-চীন সম্পর্কটা, বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব ছাড়িয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিদ্বেষের চেহারা নেওয়ার ইঙ্গিত রাখছে। জবাব দিতে চীনও  উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। মার্কিন আধিপত্য ধ্বংস করে চীন মহাশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এশিয়া ভূখণ্ডে। শুধু গলওয়ান নয়, চীন তাই একইসঙ্গে আগ্রাসী সাউথ চায়না সমুদ্র অঞ্চলে। তাতে  প্রয়োজনে ফিলিপিন্স-ভিয়েতনাম-জাপানের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে চীনের আপত্তি নেই। সেখানেও আসল উদ্দেশ্য মার্কিন প্রভাব খর্ব করা। এদিকে অস্ট্রেলিয়া-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়াকে এক অক্ষে নিয়ে চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারত মহাসাগরে এই অক্ষের প্রভাব বৃদ্ধি মেনে নিতে পারছে না চীন। অন্যদিকে, চীনকে চাপে রাখতে মিত্রশক্তি ব্রিটেনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে চীন বিরোধী শিবিরে টেনে আনতে চায়। তাইওয়ান ও হংকং নিয়ে তাই চীনের বিরুদ্ধে খুঁচিয়ে তোলার চেষ্টা  হচ্ছে পুরনো ঘা।
মার্কিন এই গেম প্ল্যানে যাতে কোনওভাবেই ভারত, চীন-বিরোধী অবস্থান নিয়ে মার্কিন শিবির ভুক্ত না-হয় তার জন্যেই  চীনের মনে হচ্ছে, ‘দু’দেশের সম্পর্কটা খুব কঠিন জটিলতার মধ্যে দিয়ে চলেছে!’
ভারতের পরিস্থিতি
এই পরিস্থিতিতে  মার্কিন অক্ষ থেকে ভারতকে দূরে রাখতে চীনকে চাপ সৃষ্টি করতে হচ্ছে পুরনো  সীমান্ত বিতর্কগুলি খুঁচিয়ে তুলে। ভারতকেও ভাবতে হচ্ছে অন্য কারণে। চীন অতি মাত্রায় বৃহৎ একটি অর্থনৈতিক শক্তি। সামরিক দিক থেকে চীনের সঙ্গে ছোটখাটো যুদ্ধ, মানে দু’-চারদিন চোখে চোখ রেখে বুঝিয়ে দেওয়া যেতেই পারে যে ‘হাম কিসিসে কম নেহি’! কিন্তু, লম্বা যুদ্ধের রসদ ভারতের নেই। অন্যদিকে,  বিশ্ব অর্থনীতিতে আড়াই ট্রিলিয়ন রপ্তানির বাজার চীনের দখলে। গোলাগুলি ছুঁড়তে হবে না, চীন শুধু রপ্তানি বন্ধ করে দিলেই ভারতসহ বহু বিরোধী দেশ শুকিয়ে যাবে। বিকল্প কি নেই? আছে। কিন্তু, সে বিকল্প আর্থিক দিক থেকে প্রচুর ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে আমাদের। এই মুহূর্তে ভারতের চাইতে প্রায় সাড়ে চার গুণের বেশি জিডিপি চীনের। মাথাপিছু হিসেবে সেটা আড়াইগুণের কাছাকাছি। এসব পরিসংখ্যানের বাইরে যেটা বাস্তব সমস্যা সেটা হল, কাঁচামালের অভাব। চীন কাঁচামাল না পাঠালে দেশের ওষুধ,  সার এবং রাসায়নিক শিল্প প্রায় মুখ থুবড়ে পড়বে। বড় বড় নির্মাণকার্য থমকে যাবে তাদের প্রযুক্তি এবং সস্তার শ্রমিক না পেলে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রবল একটা সঙ্কট আসবে। চীনের বিকল্প তাই রাতারাতি তৈরি করা সম্ভব নয়। এটা চীন বেশ ভালো জানে। তাই ভারতের বিরুদ্ধে তাদের এত রোয়াবি।
চীনের সঙ্গে মোকাবিলা করতে চীনের কাছ থেকে পণ্য বা কাঁচামাল কেনা বন্ধ করা দরকার, শিল্পে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠা দরকার। নরেন্দ্র মোদি সেটা বুঝেছেন বলেই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সীমান্তে যুদ্ধ করার চাইতে সত্যিই এখন অনেক বেশি প্রয়োজন শিল্প ও বাণিজ্যে আত্মনির্ভরশীলতা। 
অন্যদিকে, চীন এটাও জানে যে ভারত এক বিশাল বাজার। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সেটা যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ালে ভারতের বাজার হাতছাড়া হবে চীনের। সেটা চায় না বলেই আলোচনার টেবিলে তারা বসছে, আবার জারি রাখছে প্রচ্ছন্ন অসন্তোষ আর হুমকি। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে মার্কিন-বন্ধু হিসেবে তারা ভারতকে দেখতে চায় না। সেটা হলে বৈরিতা অনিবার্য! কোনও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক  চাপেই চীন পিছপা হবে না। সেটা তারা বুঝিয়ে দিয়েছে।
মার্কিন ও চীন উভয়কে নিয়েই ভারতকে চলতে হবে। ভারতের কাছে এটাই বর্তমান পরিস্থিতির দাবি। এখনকার দুনিয়ায় ভারতকে থাকতেই হবে অর্থনৈতিক প্রভুত্বের লড়াইয়ে। ভারত যদি চীনকে সেই লড়াইয়ে ‘বুঝ’ করে দিতে পারে (অর্থাৎ পড়তায় পুষিয়ে দিতে পারে), তাহলে আবার হিন্দি-চিনি ভাই ভাই হয়ে যাবে। দু’পক্ষই সেটাই চাইছে পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখেই। নরমে-গরমে। হিসেবটা না মিললে ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি অনিবার্য হয়ে পড়বে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে  সামরিক প্রভাব ও বাজার  দখলের লক্ষ্যে।

 লেখক অর্থনীতির বিশ্লেষক। মতামত ব্যক্তিগত
08th  July, 2020
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
একনজরে
বিধাননগর হাসপাতাল মোড়ের কাছে  দুই ব্যক্তি গল্প করছেন। ধীরেন রায় নামে একজন বলছেন, দেখলেন তো তৃণমূলের মিছিলে ভিড়। কিসের লোভে লোকগুলো ঘুরছে বলুন তো? ...

যিনি দত্তক নেওয়া গ্রামের উন্নয়ন করতে পারেননি, গোটা লোকসভা এলাকার উন্নয়ন করবেন কীভাবে! বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে প্রচারে এসে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে এভাবেই আক্রমণ শানালেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ...

বাজারে ‘নিও ভারত ল্যাটেক্স’ নামে নতুন রং নিয়ে এল এশিয়ান পেন্টস। তাদের দাবি, এই রংয়ে উন্নত ও বিশেষ পলিমার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা রংয়ের ...

গৃহবন্দি অবস্থায় তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে বিষ দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই এমন অভিযোগ করেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারপরই তাঁকে বাসভবন থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরিত করার আর্জি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বুশরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৬২৯ - প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু
১৭৮১ - ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন
১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু
১৮৫৩ - নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা রসরাজ অমৃতলাল বসুর জন্ম
১৮৯৯ - কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১৯২৭- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম
১৯৭৪ - ইংরেজ গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের জন্ম
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী ২৪/৫০ দিবা ৩/১৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৮/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৮ গতে ১০/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৭ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে।  
৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৫/৩৫। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ৭/৫৫। সূর্যোদয় ৫/১৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৮ গতে ১০/৩ মধ্যে ও ১১/৩৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৮ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

16-04-2024 - 11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

16-04-2024 - 11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

16-04-2024 - 11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

16-04-2024 - 11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

16-04-2024 - 11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

16-04-2024 - 11:04:22 PM