Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আইনের হাত থেকে
স্বাধীনতাকে উদ্ধার করো
পি চিদম্বরম

যদি কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে সে অবশ্যই কোনও ভুল করেছে। যদি কারও জামিন নামঞ্জুর হয়ে যায়, তবে সে নিশ্চয় অপরাধী। যদি কোনও ব্যক্তিকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়, তবে জেলসহ শাস্তিই তার প্রাপ্য।
উপরে যে সিদ্ধান্তগুলোর কথা বলা হল সেগুলো ‘পরিষ্কার ভুল’ কি না একটু ভেবে দেখার সময় হয়েছে। ‘স্বাধীনতা’ একটি অলঙ্ঘনীয় অধিকার। তার প্রতি আমাদের মমত্ববোধের অভাব এবং স্বাধীনতা কমে যাওয়ার ব্যাপারে অজ্ঞতা থাকতে পারে। তার থেকে ব্যাপারটা ‘জর্জ ফ্লয়েড পরিস্থিতি’ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা) এবং ‘জয়রাজ ও ফেনিক্স পরিস্থিতি’ (ভারতের তামিলনাড়ু)-র দিকে গড়ায়।
‘জয়রাজ ও ফেনিক্স’ যদিও ভারতে হেফাজতে অত্যাচারের প্রথম মামলা নয়। ১৯৯৬ সালে ফিরে যাওয়া যাক। হেফাজতে হরবখত অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনৈক ডি কে বসু এবং উত্তরপ্রদেশের জনৈক এ কে জোহরি। ব্যাপারটাতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (স্যুয়ো মোটো) হস্তক্ষেপ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। ১৯৯৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর ‘ডি কে বসু বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য (১৯৯৭) ১ এসএসসি ৪৩৬’ মামলায় তাঁরা এক ঐতিহাসিক রায় দেন। ওই রায়ের বাস্তবতার প্রমাণ বহুবার পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, পরিতাপের বিষয় এই যে পরবর্তী ২৪ বছরে এই রেওয়াজের কোনও বদল হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিস
অন্যের প্রতি রাষ্ট্রের আচরণ সম্পর্কে একজন গড়পড়তা নাগরিকের রাষ্ট্রের প্রতি সরল বিশ্বাস থাকে। সাধারণ নাগরিক এটাই বিশ্বাস করেন যে, একজন পুলিস অফিসার, একজন সরকারি উকিল, একজন বিচারক, একজন বিচারপতি কিংবা একজন ডাক্তার সবসময় আইন মেনে কাজ করবেন। আসলে তিনি ভুলের শিকার। লর্ড ডেনিংয়ের কাছে শুনুন:
‘আমাদের সকলের মধ্যে যে ধরনের দোষ ‘কমন’, প্রশাসনের কর্তারা (এক্সিকিউটিভ) সেইসব ব্যাপারে কখনওই অপরাধী হবেন না, এটা কেউ মনে করেন না। আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে তাঁরা কখনও কখনও এমন কাজ করে ফেলেন যা তাঁদের করা উচিত নয়। অন্যদিকে, তাঁদের করা উচিত এমন অনেক জিনিস আবার তাঁরা করেন না।’
হেফাজতে অত্যাচারের বীজ হেফাজতেই বোনা হয় না। এর সন্ধান মিলতে পারে বাইরের একাধিক ক্ষেত্রে। যেমন গ্রেপ্তার, জামিন নামঞ্জুর, পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর এবং বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পুনরায় পাঠানো। প্রতিটা পর্বের জন্য আইনি অবস্থান স্পষ্ট। কিন্তু আইনের প্রয়োগের ব্যাপারটাই প্রায়শ গোলমেলে—ত্রুটিপূর্ণ ও বিকৃত।
ব্যাপারটা গ্রেপ্তার থেকে বুঝে নেওয়া যায়। ডি কে বসু মামলায় আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে যে, সাধারণ পুলিসকে বাদ দিয়েও আমরা অন্য অনেকগুলো সংস্থাকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দিয়েছি। যেমন সিবিআই, ইডি, সিআইডি, সিআরপিএফ, বিএসএফ, ট্রাফিক পুলিস, ইনকাম-ট্যাক্স প্রভৃতি। এদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করে যে, যেহেতু তারা পুলিস নয়, সেই কারণে তারা সমস্ত আইনি ব্যবস্থা (কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর) মানতে বাধ্য নয়! উদাহরণ হিসেবে ইডি-র কথা বলি। ইডি-র সাফ কথা, তারা ‘কেস ডায়েরি’ মেনটেন করতে বাধ্য নয়। একটা গ্রেপ্তারের ঘটনা যখন ঘটে তখন আরও কী খারাপ হয় তা আমরা নির্দিষ্ট করে বলিনি। জাতীয় পুলিস কমিশনের তৃতীয় পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে ধরা পড়েছে যে, সমস্ত গ্রেপ্তারের ঘটনার শতকরা ৬০ ভাগই ‘অপ্রয়োজনীয়’'। ওই রিপোর্টে যেসব গাইডলাইনের সুপারিশ রয়েছে, বিচারপতিরা সেগুলো তুলে ধরে হতাশা প্রকাশ করেছেন—
‘ব্যক্তি স্বাধীনতার (পার্সোনাল লিবার্টি অ্যান্ড ফ্রিডম) মৌলিক অধিকারটা সংবিধানস্বীকৃত। পুলিস কমিশনের সুপারিশগুলো তার সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ। তা সত্ত্বেও এই সুপারিশগুলো এখনও পর্যন্ত বিধিবদ্ধ মর্যাদা (স্ট্যাটুটরি স্টেটাস) পায়নি।’
গ্রেপ্তার ও হাজত
আনেকগুলো কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। এগুলো কেড়ে নেওয়া থেকেই সংস্কারটা শুরু হওয়া দরকার। দ্বিতীয় ঘোষণা দরকার, গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা যাঁর থাকবে তিনি হবেন একজন ‘পুলিস’ অফিসার। সংস্কারের তিন নম্বরে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা ভীষণভাবে সীমাবদ্ধ করে দিতে হবে। শুধু নির্দিষ্ট করে দেওয়া পরিস্থিতিগুলোতেই গ্রেপ্তার করা যাবে। মনে করে দেখুন, জয়রাজ ও ফেনিক্সকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। লডকাউনে যতটা সময় দোকান খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে ১৫ মিনিট বেশি দোকান খুলে রেখেছিলেন তাঁরা। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এমন এক অভিযোগে!
দ্বিতীয় ধাপটা হল, অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা এবং হেফাজতে নেওয়া। নিম্ন আদালতের একজন বিচারক বা জেলা বিচারক পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করার আগে ক্বচিৎ বিচার করে দেখেন যে সেটার আদৌ দরকার আছে কি না। পুলিসি হেফাজতের সর্বোচ্চ মেয়াদ হল ১৫ দিন। পুলিসি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হতেই আদালত অবধারিতভাবে অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু আইন একেবারে অন্যরকম। ‘মনুভাই রতিলাল প্যাটেল, (২০১৩) ১ এসসিসি ৩১৪’ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘বিচারক ঘটনাটির সত্যাসত্য উপলব্ধি সাপেক্ষে নিজের বিবেচনামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন: অভিযুক্তকে পুলিসি হেফাজতে পাঠাবেন, না কি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো যুক্তিযুক্ত হবে, অথবা কোনও হেফাজতে পাঠানোর আদৌ প্রয়োজন নেই।’ নিম্নরেখ কথাগুলো মনে রেখে রায় দেন এরকম ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা জজ বিরলপ্রায়।
তৃতীয় ধাপ হল, গ্রেপ্তার হওয়া বা হেফাজতে নেওয়া ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা। জয়রাম এবং ফেনিক্সকে একজন ডাক্তারকে দিয়ে ঠিকমতো দেখানো হয়ে থাকলে, তাঁদের স্বাস্থ্য ঠিক আছে (আ ক্লিন বিল অফ হেলথ) বলে কী করে রিপোর্ট দিতে পারতেন?
ব্যতিক্রমটাই আইন হয়ে যায়!
চতুর্থ ধাপ হল জামিন। সরকার পক্ষের উকিল বা প্রসিকিউটর জামিনের বিরোধিতা করলে খুব কম ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা জজ জামিন মঞ্জুর করে থাকেন। অন্তত প্রথম বা দ্বিতীয় শুনানিতে এটাই হয়েই থাকে। তদন্ত অথবা বিচার শেষ হয়নি এমন অভিযুক্তদের (আন্ডার-ইনভেস্টিগেশন অর আন্ডার-ট্রায়াল) নিয়ে ভরে আছে প্রতিটা জেল। যদিও লোকগুলোর জামিনেই ছাড়া পাওয়ার কথা। বালচাঁদ (১৯৭৭) ৪ এসসিসি ৩০৮ মামলায় এই আইনটা তৈরি হয়েছিল। বিচারপতি ছিলেন কৃষ্ণ আয়ার জে। সেই থেকে জামিন মঞ্জুর করাটাই আইন এবং জেলে পাঠানোটা ব্যতিক্রম (বেইল ইজ দ্য রুল, জেল ইজ দি এক্সেপশন)—এক মান্য নিয়মে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সামান্য সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারক এই আইনের প্রয়োগ করে থাকেন। ‘ব্যতিক্রম’-এর প্রয়োগেই তাঁদের সুখ!
জয়রাজ ও ফেনিক্স মামলার কথায় আসি। অতি তুচ্ছ অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিসি বা বিচারবিভাগীয় কোনও হেফাজতেই তাঁদের পাঠানোর কথা ছিল না। আদালতে পেশ করামাত্র তাঁদের জামিন মঞ্জুর করাই উচিত ছিল।
এটাই হতাশার কথা যে, ব্যক্তি স্বাধীনতা সম্পর্কিত আইনটা তত্ত্বে রয়ে গেল একরকম আর বাস্তবে রয়ে গেল অ্যরকম। সৌভাগ্য যে, জিনিসগুলো পাল্টাচ্ছে। সম্প্রতি সুশীলা আগরওয়াল (জানুয়ারি ২৯, ২০২০) মামলায়, এক সাংবিধানিক বেঞ্চ পুরনো একটা সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের সঙ্গে সহমত হল। পুরনো সাংবিধানিক বেঞ্চটা গঠিত হয়েছিল গুররক্স সিং সিব্বিয়া (১৯৮০) ২ এসিসি ৫৬৫ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে। সুশীলা মামলায় গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চের সাহসী রায়ে খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টেরই অন্য আটটি মামলার রায়। নির্দিষ্ট অন্য কয়েকটা রায় সম্পর্কে মত দিতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালত ওইসঙ্গে আরও ঘোষণা করে দিল যে, সেগুলো ‘ভালো আইন নয় (নট গুড ল)।’ মানুষমাত্রেই ভুল করে আর ভুলের সংশোধনটা হল বিচার।
জয়রাজ এবং ফেনিক্সকে মৃত্যুর আগে যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল, সেই পরিস্থিতিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য তবু আশা আছে।
• লেখক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী 
06th  July, 2020
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বক্তৃতা দিতে দিতে জ্ঞান হারালেন নীতিন গাদকারি
নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দিতে দিতে আচমকাই জ্ঞান হারালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ...বিশদ

04:41:33 PM

দেবাংশুর প্রচারে উত্তেজনা
নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারের সময় ...বিশদ

04:28:51 PM

বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:08:00 PM

২৮ এপ্রিল, রবিবার অবধি রাজ্যে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

03:45:13 PM

বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী

03:03:21 PM

এই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে আর দেশে নির্বাচন হবে না: মমতা

02:49:42 PM