Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মধ্যবিত্তের লড়াই শুরু হল
শুভময় মৈত্র 

কোভিড পরিস্থিতি চীনে শুরু হয়েছে গত বছরের শেষে। মার্চ থেকেই আমাদের দেশে হইচই। শুরুতেই ভীষণ বিপদে পড়েছেন নিম্নবিত্ত মানুষ। পরিযায়ী শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথা এখন সকলেই জানেন। আজকে আরও তিনমাস পরে সেই বিপদের উত্তাপ এবার নিচ থেকে ধীরে ধীরে ওপরের দিকে টের পাওয়া যাচ্ছে। গোটা বিষয়টা বোঝার জন্যে আবার একবার অক্সফ্যাম নামক এক সংস্থার গবেষণায় সমীক্ষার সংখ্যাগুলো পেশ করা যাক। ২০১৭ সালে যে পরিমাণ সম্পদের সৃষ্টি হয়েছে তার ৭৩ শতাংশ পৌঁছেছে ওপরের এক শতাংশের হাতে। দেশের সম্পদের ৭৭ শতাংশ ধরে রেখেছেন ওপরের দশ শতাংশ মানুষ। আমাদের প্রায় একশো চল্লিশ কোটির দেশ। তাহলে চোদ্দো কোটি মানুষ যে অর্থনীতির অঙ্কে দারুণ ভালো আছেন তা নিয়ে বিশেষ সন্দেহ নেই। অন্যদিকে বিভিন্ন হিসেবে সরকার বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে আশি কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত। তাদের কাছে সামান্য কিছু যা সাহায্য পৌঁছচ্ছে তার থেকে এই পরিসংখ্যানের আভাস পাওয়া যায়। চোদ্দ আর আশি মিলে চুরানব্বই, তাতেও বাকি থাকল প্রায় ছেচল্লিশ কোটি। খুব জটিল অঙ্ক না কষলেও এটা বোঝা যায় যে ভারতবর্ষে দিন আনা দিন খাওয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় না এঁদের। এর মধ্যে কেন্দ্র রাজ্য মিলিয়ে সরকারি কর্মচারী প্রায় চার কোটি, আর প্রতি পরিবারে চারজন ধরে ষোলো হয়। ছেচল্লিশ থেকে ষোলো বাদ দিন, হাতে থাকবে তিরিশ। অর্থাৎ তিরিশ কোটি মধ্যবিত্ত মানুষ নির্ভর করে আছেন বেসরকারি ক্ষেত্রের রোজগারের ওপর। বোঝাই যায় যে সাত থেকে আট কোটি মতো মানুষ বেসরকারি অফিস, পরিষেবাক্ষেত্র বা বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। এঁরা মধ্যবিত্ত এবং ভীষণ বিপদে, কারণ অতিমারী পরিস্থিতিতে অর্থনীতির সংকোচনের সঙ্গে সঙ্গে কাজ হারানোর সম্ভাবনা বাড়ছে। এর মধ্যেই অনেকে চাকরি খুইয়েছেন, ব্যবসা লাটে উঠেছে। অনেকের ক্ষেত্রে বেতন কমেছে। এখনও পরিসংখ্যান সেভাবে বেরোয়নি, কিন্তু পরিস্থিতির চাপে চরম পথ নেওয়ার খবর আনাগোনা করছে সংবাদমাধ্যমের জানলায়।
টেলিভিশনের আলোচনায় সন্ধেবেলা সঞ্চালক জিজ্ঞেস করছেন এর সমাধান, বিশেষজ্ঞরা গম্ভীর মুখে উত্তর দিচ্ছেন। কিন্তু সকলেই জানেন এর উত্তর সহজ নয়। আর তার থেকেও বড় মুশকিল একেবারে নিম্নবিত্তের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উপায় যেমন সরকারের জানা আছে, মধ্যবিত্তের কিন্তু সেই জায়গাটাই নেই। নিম্নবিত্তের কাছে ত্রাণের টাকা পৌঁছনো নিয়ে অনেক গল্প আছে, সত্যিই বরাদ্দ একশো টাকার মধ্যে ঠিক কত তাঁদের কাছে পৌঁছয় আর কতটা মাঝপথে উধাও হয়ে যায় সেটা আমাদের রাজনীতির মূল আলোচ্য বিষয়। শেষমেশ ত্রাণের একটা অংশ চুঁইয়ে তাঁদের কাছে পৌঁছয়। অন্যদিকে কোনও এক-দু’ কামরার আবাসের বারান্দা থেকে নীচের রাস্তায় চাল-ডাল বিলনো হচ্ছে দেখলেও মধ্যবিত্ত খুব সহজে সেই সারিতে দাঁড়াতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে দু’-একটি ঘটনার কথা উদাহরণ হিসেবে বলতেই হয়। ধরুন এক কিশোরীর কথা। সময়টা হতে পারে ষাটের দশক, যখন তার বাবার ব্যবসাটা একবারেই চলছে না। অথবা আজকের কোভিড অতিমারী, যখন পিতৃদেবের বেসরকারি চাকরিটা গেছে। মেয়েটির বাড়িতে তিনবেলা খাবার হওয়া বন্ধ, অর্থাৎ সকালের জলখাবারের পাট চুকে গিয়েছে। এখন কোনওভাবে দুপুরের ভাত আর বিকেলের রুটি। পাশের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকে সেই কিশোরীর বান্ধবী। সৌভাগ্যবশত বান্ধবীর পরিবারে এখনও বজায় আছে স্বচ্ছলতা। সে হয়তো বারান্দায় দাঁড়িয়ে সকালের জলখাবারে পাউরুটি-মাখন খাচ্ছে আর তার ধারের অংশটুকু ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলছে সামনে উড়তে থাকা কাকগুলোর জন্য। এ দৃশ্য দেখে যদি প্রথম কিশোরীর খিদে পায়, সে শুধু গিলতে পারে ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস। গোপনে ফেলতে পারে চোখের জলটুকুই। একেবারে নিম্নবিত্ত পাশাপাশি বাস করা দুই পরিবারের একজনের অভুক্ত থাকার সঙ্গে মধ্যবিত্তের বিভাজন অনেকটা আলাদা। নীচের তলায় চাওয়ার লজ্জা খুব বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় না, কিন্তু মধ্যবিত্তের শরীর জাপটে থাকে বংশগত আত্মসম্মান। পাশের বাড়ি থেকে রবিবারের দুপুরে উড়ে আসা মাংসের ঝোলের গন্ধ প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে দেয় অতীতে ঠিক কোথায় ছিলাম আর ঘটমান বর্তমানে কোথায় আটকে গেছি। মধ্যবিত্তের সন্তান অন্যের বাড়িতে গিয়ে আইসক্রিম কাপের তলাটুকু জিভ দিয়ে চাটলে বাবা-মা আড়ালে তাকে কানমলা দেন। সে সমস্যা নিম্নবিত্তের নেই।
মধ্যবিত্তের সংজ্ঞা পেরিয়ে আবার একটু অঙ্কে ফিরে আসি। আট কোটি মধ্যবিত্ত মানুষের রোজগার প্রতি মাসে গড়ে পঁচিশ হাজার টাকা করে ধরলে দাঁড়ায় দু’লক্ষ কোটি। অর্থাৎ বছরে চব্বিশ লক্ষ কোটি টাকা। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশের বাৎসরিক বাজেট তিরিশ লক্ষ কোটির কিছুটা বেশি। অর্থাৎ মধ্যবিত্তের যে বাজার তা বিপুল। আর এই মধ্যবিত্তের বাজারের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত। আজকের দিনে রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে পর্যটন, শিক্ষা থেকে শুরু করে বিউটি পার্লার, সব জায়গাতেই লকডাউনের তীব্র প্রভাব। উচ্চ মাধ্যমিকের কয়েকটা পরীক্ষা বাকি থেকে যাওয়া অবস্থায় ভ্যান-রিকশায় সব্জি বিক্রি করতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেকেই। সারাদিন খেটে এসে ক্লান্ত চোখে চলছিল পড়া মুখস্থ। আজকে ভাগ্যিস সেই বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের খবর এসেছে। সন্ধেবেলা আর পড়তে হবে না। কোনওমতে রিচার্জ করে আনা মোবাইল ফোনে সে জীবনমুখী গান শোনে। কিন্তু তার মধ্যেই আবার মাথায় আসে সামনের দিনে কলেজে ভর্তি হওয়ার দুশ্চিন্তা। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করা কোনও এক মধ্যবিত্তের চাকরিটা এখনও টিমটিম করছে, কিন্তু মাইনে কমেছে অনেকটা। একদিকে ইএমআই, অন্যদিকে সন্তানের ইস্কুলের ফি কিংবা গৃহশিক্ষকের বেতন। স্কুলের ফি নিয়ে গন্ডগোলে সেখানকার মালিক মাইনে কাটছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের, তাঁরাও আবার মধ্যবিত্ত। শুধুমাত্র গৃহশিক্ষকতা করে মাসে হাজার কুড়ি টাকা রোজগার করতেন যে মানুষটি, লকডাউনে তিনি পড়েছেন মহা আতান্তরে। একদিকে ছাত্রের মা বলছে সাম্মানিক দিতে অসুবিধের কথা, অন্যদিকে নিজের মেয়ের জন্যে নতুন বছরের স্কুলের বইগুলো কেনা হয়নি। ভীষণ এক আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে মধ্যবিত্তের প্রতিদিন। রেললাইনের ধারে বসতি পুড়লে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পান নিম্নবিত্ত মানুষ। পাড়ার নেতা ত্রাণের ব্যবস্থা করেন, রাতের থাকার ব্যবস্থা হয় স্কুলবাড়িতে, আবার কিছুদিন পর শুরু হয় ত্রিপল টাঙিয়ে জীবনযুদ্ধ। মধ্যবিত্তের জীবনখাতায় সেই অঙ্ক মেলে না। সেখানে কাজের লোকের ছুটি হয়, ছেলেমেয়ের টিউশনের মাস্টার কাজ হারান, বাড়ির টেলিভিশন খারাপ হলে সারানো হয় না, সোফা ছিঁড়ে তুলো বেরতে থাকে, কাজ হারানো গৃহকর্তা বেলা এগারোটার পর বাজার যান শুকনো সব্জির সন্ধানে, পঞ্চাশ টাকা থেকে চালের কিলো নামে তিরিশে, আমিষ বলতে শুধু ডিম, পাতা ভুলে সস্তার ফোটানো চায়ের উষ্ণতায় দিন গড়ায়। এখানে একশো দিনের কাজ নেই।
তবে মনে রাখতে হবে, প্রথম বিশ্বের দেশগুলো এই বিষয়ে ভাবছে। মার্কিন দেশে যাঁরা কর দেন তাঁদের প্রত্যেকের ব্যাঙ্কে পৌঁছে গিয়েছে বেশ কয়েক হাজার ডলার। ঠিক সেরকমই আমাদের দেশেও বেসরকারি বহু কর্মচারী কর দেন, গাদা গাদা জিএসটি দেন বহু ব্যবসায়ী। সেখান থেকে পরিসংখ্যান নিয়ে তাঁদের আগের বছরের রোজগার এবং এ বছরের আয়ের তুলনা করে সরকার গত বছরের দেওয়া কর থেকে কিছুটা ফেরত দিতে পারেন। সরকারি ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে ইএমআই আপাতত শোধ করতে হবে না সেকথাও বলতে পারেন। এরকম কথা সরকার বলেছেন, কিন্তু তাতে অনেকটাই ফাঁকি, কারণ সুদ চড়ছে ইএমআই না দিলে। অর্থাৎ দেশ যদি হয় কল্যাণকামী, তাহলে সমাজতন্ত্র বা পুঁজিবাদের কচকচিতে জনগণের জীবন বিপর্যস্ত হয় না। নিম্নবিত্তকে যেভাবে সামলানো যায় শিক্ষিত মধ্যবিত্তকে সেই পথে দমিয়ে রাখা কিন্তু শক্ত। সকলেই তো আর লুকিয়ে জীবন থেকে পালিয়ে যাবেন না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মধ্যবিত্ত যদি সবাই একসঙ্গে কোণঠাসা বিড়ালের মতো ফোঁস করে ওঠে, সরকারের পক্ষে তা সামলানো মুশকিল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগে নেতানেত্রীরা একটু ভাববেন কি?
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত 
04th  July, 2020
শীর্ষ সম্মেলন কূটনীতির পরাজয়

দুই নেতার সিদ্ধান্ত ছিল যে ‘২০২০ সালটাকে ভারত-চীন সংস্কৃতি এবং মানুষে মানুষে ভাব বিনিময়ের বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে’। আইডিয়াটা স্মরণীয় হবে ভেবে মোদিজি নিশ্চয় আহ্লাদিতই হয়েছিলেন!
বিশদ

ভ্যাকসিন বের করা আর
সার্জিকাল স্ট্রাইক এক নয়
হিমাংশু সিংহ

ধামাকা দিয়ে সব যুদ্ধ জয় করা যায় না। বিশেষ করে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের যুদ্ধ, আর সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা মোটেই এক নয়। বিজ্ঞানের কোনও কালজয়ী আবিষ্কারই ১৫ আগস্ট, ২৬ জানুয়ারি কিম্বা পূর্ণিমা-অমাবস্যার তিথি নক্ষত্র দেখে আসে না।
বিশদ

12th  July, 2020
প্রতিপক্ষ যখন পঞ্চায়েত
তন্ময় মল্লিক

উদ্দেশ্য এবং উপায় সৎ হলে তার ফল ভালো হয়। এমন কথাই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে সেটা খাটে না। জ্বলন্ত উদাহরণ পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। তৈরি হয়েছিল জেলা পরিষদ। জেলার রাইটার্স বিল্ডিং।
বিশদ

11th  July, 2020
নিত্য নতুন ইভেন্টের
আড়ালে যত খেলা
সমৃদ্ধ দত্ত

বয়কটের আগে বুঝতে হবে যে, এখন এসব বয়কট করার অর্থ আমাদের দেশেরই ব্যবসায়ী, দোকানিদের চরম আর্থিক ক্ষতি। বিগত তিনমাসের লকডাউনে এমনিতেই জীবিকা সঙ্কটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। আমাদের এলাকার চাইনিজ প্রোডাক্ট এখন আমরা না কিনলে চীনের ক্ষতি নেই।
বিশদ

10th  July, 2020
করোনা যুদ্ধে জাপানকে জেতাচ্ছে সুস্থ সংস্কৃতি 
হারাধন চৌধুরী

সারা পৃথিবীর হিসেব বলছে, করোনা ভাইরাসে বা কোভিড-১৯ রোগে মৃতদের মধ্যে বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। সেই প্রশ্নে জাপানিদের প্রচণ্ড ভয় পাওয়ার কথা। কারণ, প্রতি একশো জনের মধ্যে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা জাপানেই সর্বাধিক।   বিশদ

09th  July, 2020
 একাদশ অবতার
সন্দীপন বিশ্বাস

কতদিন হয়ে গেল ওইসব দামি দামি স্যুট পরা হয়নি, কতদিন বিদেশ যাওয়া হয়নি, কত বিদেশি রাজার সঙ্গে জড়াজড়ি করে হাগ করা হয়নি। সেসব নিয়ে খুবই মন খারাপ হবু রাজার।
বিশদ

08th  July, 2020
সীমান্ত বিতর্ক অছিলা, বাণিজ্য যুদ্ধ
জিততেই চীনের গলওয়ান কাণ্ড
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে চীনের বিদেশ মন্ত্রীর বৈঠক আপাতত স্বস্তি দিয়েছে। কিন্তু, স্থায়ী সমাধান সূত্র মেলেনি। বরং বৈঠকের পর চীনের সরকারের বক্তব্য, দুই দেশের সম্পর্ক এক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি। কী সেই পরিস্থিতি?
বিশদ

08th  July, 2020
সীমান্তেও মোদির
চমকদার রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তারিখটা ৭ নভেম্বর, ১৯৫৯। কংকা পাসের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে চিঠি দিয়েছেন চৌ-এন-লাই। লিখেছেন, দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে যা হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক এবং মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়।
বিশদ

07th  July, 2020
আইনের হাত থেকে
স্বাধীনতাকে উদ্ধার করো
পি চিদম্বরম

যদি কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে সে অবশ্যই কোনও ভুল করেছে। যদি কারও জামিন নামঞ্জুর হয়ে যায়, তবে সে নিশ্চয় অপরাধী। যদি কোনও ব্যক্তিকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়, তবে জেলসহ শাস্তিই তার প্রাপ্য।  বিশদ

06th  July, 2020
গুরু কে, কেনই বা গুরুপূর্ণিমা?
জয়ন্ত কুশারী

কে দেখাবেন আলোর পথ? পথ অন্ধকারাচ্ছন্নই বা কেন? এই অন্ধকার, মনের। মানসিকতারও। চিন্তার। আবার চেতনারও। এই অন্ধকার কুসংস্কারের। আবার অশিক্ষারও। অথচ আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত এক একজন।   বিশদ

05th  July, 2020
জাতির উদ্দেশে ভাষণের চরম অবমূল্যায়ন
হিমাংশু সিংহ

অনেক প্রত্যাশা জাগিয়েও মাত্র ১৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডেই শেষ। দেশবাসীর প্রাপ্তি বলতে আরও পাঁচ মাস বিনামূল্যে রেশন। শুধু ওইটুকুই। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি বুক ফুলিয়ে চীনকে কোনও রণহুঙ্কার নয়, নিহত বীর জওয়ানদের মৃত্যুর বদলা নয় কিম্বা শূন্যে নেমে যাওয়া অর্থনীতিকে টেনে তোলার সামান্যতম অঙ্গীকারও নয়। ১৬ মিনিটের মধ্যে ১৩ মিনিটই উচ্চকিত আত্মপ্রচার।   বিশদ

05th  July, 2020
রাজধর্ম
তন্ময় মল্লিক 

যেমন কথা তেমন কাজ। উম-পুন সুপার সাইক্লোনে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, টাঙিয়ে দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা। ফেরানো হবে অবাঞ্ছিতদের হাতে যাওয়া ক্ষতিপূরণ।   বিশদ

04th  July, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলির পর বাড়ির কাছেই কাজের সুযোগ পেলেন চারশোর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। শুক্রবার ৪১৫ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টকে রাজ্যের বিভিন্ন ...

  নয়াদিল্লি: ফের বাড়ল ডিজেলের দাম। দু’সপ্তাহ আগে দিল্লিতে প্রথমবার ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৮০ টাকা ছাড়িয়েছিল। রবিবার তা প্রতি লিটারে ১৬ পয়সা বেড়ে ৮১ ...

মাদ্রিদ: রিয়াল মাদ্রিদের লিগ জয় কার্যত নিশ্চিত। অঘটন না ঘটলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই খেতাব জিতবে জিনেদিন জিদান-ব্রিগেড। লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ...

সুমন তেওয়ারি  আসানসোল: করোনার দাপটের মধ্যেই এবার ডেঙ্গু হানা দিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল, দুর্গাপুর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এখনও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩০: কলকাতায় দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন, অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ প্রতিষ্ঠা করলেন আলেকজান্ডার ডাফ এবং রাজা রামমোহন রায়
১৯০০: অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের জন্ম
১৯৪২: মার্কিন অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডের জন্ম
১৯৫৫: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর মৃত্যু
২০১১: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক তিনটি বিস্ফোরণে হত ২৬, জখম ১৩০
২০১৩: বোফর্স কান্ডে অভিযুক্ত ইতালীয় ব্যবসায়ী অত্তাভিও কাত্রোচ্চির মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩১ টাকা ৭৬.০৩ টাকা
পাউন্ড ৯৩.০০ টাকা ৯৬.২৯ টাকা
ইউরো ৮৩.২৩ টাকা ৮৬.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  July, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৩৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,০৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪২৭, ১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, অষ্টমী ৩২/৪৫ অপঃ ৬/১০। রেবতী ১৫/২৫ দিবা ১১/১৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৫২, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২২ মধ্যে। রাত্রি ৯/১২ গতে ১২/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে।
২৮ আষাঢ় ১৪২৭, ১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, অষ্টমী অপরাহ্ন ৫/০। রেবতী নক্ষত্র দিবা ১১/৮। সূযোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/২৯ গতে ২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২৩ মধ্যে ও ৩/৩ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২৩ গতে ১১/৪৩ মধ্যে।
২১ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বৃষ: কোনও সম্পদ লাভে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৮৩০: কলকাতায় দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন, অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ ...বিশদ

07:03:20 PM

গুজরাটে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯০২ 
গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ...বিশদ

08:06:12 PM

মহারাষ্ট্রে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬,৪৯৭ 
মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৪৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত ...বিশদ

07:52:00 PM

উত্তর প্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১,৬৬৪ 
উত্তর প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৬৪ জন করোনায় ...বিশদ

07:47:39 PM

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১,৪৩৫
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৪৩৫ জন। ...বিশদ

07:47:36 PM