Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উন্নয়ন  ও  চীনা  আগ্রাসনের  উত্তর  একসুতোয় গাঁথা
নীলাশিস  ঘোষদস্তিদার 

আমরা ভারতীয়রা চীনা পণ্য বয়কট করব কি না, এই প্রশ্নে অনেকেই বেশ দ্বিধায়। এই কারণে যে এত সস্তায় কেনা সাধের চীনা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ছেড়ে কি দামি আই-ফোন বা অকাজের দেশি ফোন কিনতে হবে? ঘটনা হল এই, আই-ফোন ইত্যাদি তৈরি করে চীন বা বর্তমানে ভারতেরও বিরাট লাভ নেই। আই-ফোন পিছু চীনের লাভ হতো বড়জোর সাত ডলার, কিছুদিন আগে সংবাদে প্রকাশ। আসল লাভ মাইক্রোচিপ নির্মাতার, বা ডিজাইন সংস্থার, এবং অবশ্যই পেটেন্টধারীদের। চীনা পণ্য সস্তা হবার বড় কারণ এই যে, চীনে কোনও পেটেন্ট বা কপিরাইট চলে না। চীনা ফোন কোম্পানিগুলি শুরু হয়েছে ফিনিশ বা মার্কিন কোম্পানিগুলিতে হাত পাকানো ইঞ্জিনিয়ারদের হাত ধরে এবং, দেদার ডিজাইন থেকে শুরু করে প্রযুক্তির কুম্ভীলকবৃত্তি করে। এর সঙ্গে যোগ করুন স্পেশাল ইকনমিক জোনে অবস্থিত উদ্যোগগুলিতে লেবার ল ইত্যাদিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, কমিউনিস্ট জমানার সরকারি একচ্ছত্র, প্রতিবাদহীন শাসনের সঙ্গে পুঁজিবাদী উদ্যোগ ও উৎপাদনশীলতার মিশেল ঘটিয়ে। শেষে, এসইজেডগুলিতে উৎপন্ন পণ্য যাতে অবিশ্বাস্যরকম সস্তা হয়ে সারা পৃথিবীর বাজার দখল করতে পারে, সেজন্য সরকারি ভরতুকি! চীনের বাজারে বিক্রি হওয়া পণ্য আর বিদেশের বাজারে চীনের এসইজেড থেকে রপ্তানিকৃত একই পণ্যের দাম যাচাই করলেই বোঝা যাবে ভর্তুকির পরিমাণ।
কাজেই, চীনা পণ্য কিনলেই যে চীনকে খুব সাহায্য করা হল আর, বয়কট করলে চোট দেওয়া হল, তা কিন্তু সবক্ষেত্রে নয়। অনেক ঝানু অর্থব্যবস্থাবিশারদের ধারণা, রপ্তানিকে ভর্তুকি দিতে দিতে চীনের অভ্যন্তরীণ অর্থব্যবস্থা কমজোর হয়ে আসছে। সেইসঙ্গে, পৃথিবীর বহু দেশকে দেওয়া ঋণ বা উদ্বৃত্ত বাণিজ্যের ডলার যদি দরিদ্র দেশগুলি দিতে অস্বীকার করে বা অপারগ হয়, তাহলে চীনের মুশকিল আছে। সর্বত্র তো আর পাকিস্তান বসে নেই, যে চীনের কলোনি হতে রাজি!
কথায় বলে, বিপদ একলা আসে না। যখন বিপদ এসে সদর দরজায় কড়া নাড়ে, খিড়কি বা জানালাগুলিতেও নানাবিধ খুচরো হাঙ্গামা দেখা দেয়। দেখুন না, করোনা নিয়ে গোটা বিশ্বের মতো ভারতও মহাবিপদে পড়েছে। উটকো ঝামেলা হয়ে উত্তর ভারতে খুচখাচ ভূমিকম্প, পশ্চিম ভারতে পঙ্গপাল, পুব ভারতে উম-পুন ঘূর্ণিঝড়, কাশ্মীরে যথারীতি জঙ্গি উপদ্রব আর, শেষে লাদাখে এই চীনা আগ্রাসনের ঘটনা! বিপদের চক্রব্যূহে মহাপরীক্ষা! তবে, এমতাবস্থায় ঘাবড়ে না গিয়ে বুক ঠুকে বড় বিপদের মোকাবিলা করলে আনুষঙ্গিক ছোটখাটো বিপদের হাত থেকে মুক্তি মেলে, আশ্চর্যজনকভাবে সম্বন্ধহীন সমস্যারও সমাধান হয়ে যায়।
শেষের বিপদটিকে ধরা যাক। চীন হঠাৎ যে আগ্রাসী মনোভাব দেখাল, তার সবচেয়ে যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা এরকম। কোভিড-১৯ অতিমারীর জন্য সারা পৃথিবীতে নিন্দিত চীন। সে ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়ে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুলে ভাইরাস ছড়িয়ে ফেলার জন্য। পৃথিবীজুড়ে চীনের বিরুদ্ধে ইকনমিক স্যাংশন নেবার জন্য আমেরিকা পদক্ষেপ নিলে ভারত যাতে তার দোসর না হয়, সেজন্য ভারতকে চাপে রাখতেই চীনের এমন আগ্রাসন। কিন্তু, এমন চিন্তা আসল সমস্যার সরলীকৃত বয়ান মাত্র। চীন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ বড় বিপদ নয়, বিশ্বের সুপার পাওয়ার হতে চাওয়া চীনের হাতে থাকা অনেক অস্ত্রর মধ্যে একটি। অনেকেই নিশ্চিত, ভ্যাক্সিন হাতে রেখেই উহানের গবেষণাগার থেকে বেরিয়েছে কোভিড-১৯! তাতেই টাল খেয়ে গিয়েছে বিশ্বের অর্থব্যবস্থা। ঝপাঝপ শেয়ার পড়েছে নামী বহুজাতিকদের এবং, শেয়ারগুলি কেনার জন্যই যেন চীনা সংস্থারা তৈরি হয়ে বসেছিল! চিন্তাশীলদের প্রথম প্রশ্ন, উহান থেকে সুইডেন-নরওয়ে উল্টোদিকে পেরু-ব্রাজিল অবধি ছড়িয়ে গেল যে ভাইরাস, ঘরের কাছে শিঞ্জিনে-সাংহাইতে তার পাত্তা পাওয়া গেল না, এ আজব ব্যাপার নয়?
যাই হোক, লাদাখের আগ্রাসন আসলে কিছুটা চীনের সাম্রাজ্যবিস্তারের তাগিদ আর অনেকটাই অর্থনৈতিক কারণে। গলওয়ান হল সিন্ধুনদের চারটি উপনদীর একটি এবং, চীনের এই মুহূর্তে যা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হল শুদ্ধ জল। তাছাড়া, যে আকসাই চীন বা লাদাখে ঘাসের একটি ব্লেড দেখা যায় না বলে অকাজের বলে মনে করেছিলেন নেহরু, সেই অঞ্চল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ তো বটেই, শুকনো, ঠান্ডা, দূষণহীন বাতাবরণ এবং, গ্লেসিয়ার গলা শুদ্ধ জলের দরুণ সেমিকন্ডাক্টর, মাইক্রোচিপ ইত্যাদি বানানোর জন্য আদর্শ জায়গা। যে ইলেক্ট্রনিক শিল্পের জন্য চীনের এত নামডাক, এত হইচই, সেই শিল্পের প্রাণভোমরা হল এই সেমিকন্ডাক্টর, চিপ ইত্যাদি। চীনের বিপুল চাহিদার বড়জোর পঁচিশ শতাংশ চীন নিজে তৈরি করে, আর বিশ্বে এই মহার্ঘ বস্তু উৎপাদনে তাইওয়ান-মার্কিন মুলুক হল শীর্ষে! এবার কি তাইওয়ান দখলে চীনের আস্ফালনের আরেকটি কারণ দেখা যাচ্ছে? তাছাড়া, ভারত যে হারে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর পরিকাঠামো উন্নত করে যাচ্ছে, তা চীনের জন্য শিরঃপীড়ার কারণ বইকি! দৌলত কি ওন্ডি এয়ারস্ট্রিপে ভারত এখন হারকিউলিস সুপার বিমান নামাচ্ছে। আকসাই চীন, গিলগিট-বালটিস্তান এবং অবশ্যই বিলিয়ন বিলিয়ন ইউয়ান ব্যয়ে নির্মিত চীন-পাকিস্তান-ইকনমিক করিডোর নিশানার মধ্যে।
এই আবহে দেখে নেওয়া যাক চীনা পণ্য বয়কটে আমাদের করণীয়টা কী।
প্রথম, চোখ বন্ধ করে চীন-বিরোধিতা নয়। প্রয়োজনে গলওয়ানের মতো ঠ্যাঙানি, যেখানে ভিয়েতনামের পর চীন উচ্চপদাধিকারী সমেত ভারতের দেড়্গুণ সেনা খুইয়েছে। কিন্তু, তা বলে যুদ্ধ বাধাবার কিছু নেই। চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে নেওয়াই ভালো। অনেক পণ্য, বিশেষত চীনের ক্যাপিট্যাল গুডস এখনই বয়কট করলে মার খাবে দেশের উৎপাদন শিল্প। তবে, ফ্যান্সি পুতুল বা ফার্নিচার চীন থেকে আমদানির কোনও যুক্তি নেই। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।
দুই, বিকেন্দ্রীকরণ। করোনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে, আট-ন’টি বৃহৎ নগরী এবং শিল্প-উদ্যোগস্থল হল রোগের ডিপো। আবার, এগুলোই দেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্র বলে আর্থিক দুরবস্থা! লাগাতার লকডাউন চললে অর্থব্যবস্থা ধসে যাবে। এখানে, চীনের কাছে কিছু শিক্ষণীয় আছে। চীনের আসল শক্তি হল অগুনতি ছোট ছোট উদ্যোগ। বৃহৎ উদ্যোগ স্থাপনেও যেমন অনেক হ্যাপা, যথা বিরাট অর্থব্যয়ে কেনা জমি-যন্ত্রপাতি-কারখানা তেমনি, চালানোও ঝামেলার। মিনিমাম অর্ডার কোয়ান্টিটি বেশি না হলে কোন অর্ডার নেওয়াই যাবে না। আর, উদ্যোগ না চললে ঋণদাতা ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে অনেকের পয়সা ডুবল। পক্ষান্তরে, ছোট উদ্যোগ অনেক নমনীয়। ছোটখাট অর্ডার পেলেও কাজ চালিয়ে নিতে পারে, কম লাভেও কাজ করতে পারে। তাই, পণ্য হবে সস্তা। ভারত যে লঘু উদ্যোগকে সহায়তা দিচ্ছে তা শুভকাজ। কিন্তু, দিল্লি-মুম্বাই-চেন্নাইতেই থাকলে মুশকিল। দেশময় যদি উৎপাদন ব্যবস্থা ছড়িয়ে পড়ে, তবে, কোনও এক প্রান্তে রোগের প্রকোপই হোক বা পঙ্গপাল-ঘূর্ণিঝড়ের হানা, অর্থব্যবস্থার সামগ্রিক চক্র চলতেই থাকবে। আর, এক-দু’টি বৃহৎ উদ্যোগের বদলে পঞ্চাশটি ছোট-মাঝারি উদ্যোগ মানে আঞ্চলিক ও আর্থিক বৈষম্য কমা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি। চীনা বাইসাইকেলের বদলে শুধু হিরো সাইকেল রাজত্ব করুক, সেটা ভালো হবে, না আসানসোলের সেন র‌্যালে পুনরুজ্জীবিত হয়ে রাঢ়বঙ্গের পাঁচশো ছেলেমেয়েকে চাকরি দিলে বেশি খুশি হবেন?
তিন, চীনা পণ্য সস্তা হবার এক বড় কারণ, অত্যন্ত সস্তা কাঁচামাল। ভারতকে লৌহ-আকর রপ্তানি বন্ধ করে ইস্পাত এবং তামা, অ্যালুমিনিয়াম ও বিভিন্ন উন্নততর অ্যালয় উৎপাদনে মন দিতে হবে।
চার, কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন। চীনকে যে অস্ত্রে ভারত সহজে ঘায়েল করতে পারে তা হল কৃষি ও সংশ্লিষ্ট শিল্পে। বোধকরি, ২০০৮ সালের পর থেকে ভারতে চীনের কৃষিজ পণ্য রপ্তানি প্রায় শূন্য হয়ে এসেছে, পক্ষান্তরে ভারতীয় কৃষি-রপ্তানি বাড়ছেই। ভোজ্য তেল বলুন, পশুখাদ্য যথা ভুট্টা বা তেলবীজের খোল ইত্যাদিতে চীনের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ভারত ছাড়া উপায় নেই। আর, ভারতের আত্মা থাকে গ্রামে। এই সত্য করোনার আলোতে বুঝে নিয়ে গ্রাম-ভারতকে সমৃদ্ধ করে তুললে কোন ঝড়-ভূমিকম্প-মিসাইল-বোমার ভয় আমাদের? দশটি নগরীকে বিপদে ফেলা যায়, একলক্ষ গ্রামকে নয়।
 লেখক অর্থনীতির বিশ্লেষক। মতামত ব্যক্তিগত  
03rd  July, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৬২.০২ শতাংশ, ত্রিপুরাতে ৭৬.১০ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৭.৫৪ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৫৩.৫৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:26:06 PM

দীঘার সমুদ্র সৈকতে মিলল নীল ডলফিন!
টিভি বা সিনেমার পর্দায় নয়, নীল রঙের বিরল প্রজাতির ডলফিনের ...বিশদ

06:24:23 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে ৫৬.৮৭ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে ৬৩.৪৪ শতাংশ, অসমে ৭০.৭৭ শতাংশ, বিহারে ৪৬.৩২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৬৩.৪১ শতাংশ ভোট পড়ল

06:22:32 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬৯.৯১ শতাংশ, মিজোরামে ৫২.৭৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫৫.৭৯ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৭২.৮৪ শতাংশ ও রাজস্থানে ৫০.২৭ শতাংশ, সিকিমে ৬৮.০৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:22:21 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে ৫৯.০২ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৫.০৮ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৩.২৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৪.৮৫ শতাংশ, মণিপুরে ৬৭.৬৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:22:07 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা  পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৭৫.৫৪ শতাংশ, কোচবিহারে ৭৭.৭৩ শতাংশ ও জলপাইগুড়িতে ৭৯.৩৩ শতাংশ ভোট পড়ল

05:56:30 PM