Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির তেল রাজনীতি ও
মমতার মানবিক প্যাকেজ
হিমাংশু সিংহ

ডাক নাম মধু। বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর। রোজ চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে লোক  নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসাই তাঁর  পেশা। গত  এপ্রিল-মে  মাসে বাস চলেনি বলে মালিকও বেতনের পুরো টাকা  দেননি। অনুনয় বিনয়ের পর সামান্য কিছু  ঠেকিয়েছেন।  তাতে সংসার চালানোই দায়। আর জুন মাসে যদিও বা সামান্য কিছু যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল শুরু হল,  টানা তেলের দাম বাড়ায় অবস্থা আরও  সঙ্গিন। জুলাই আসছে। কী হবে,  বেতনের টাকাটা পুরো মিলবে তো?  রাতে ঘুম হয় না মধুর। বাস কন্ডাকটরের চাকরিতে সামান্য আয়।  তারপর যদি তেলের লাগাতার দাম  বৃদ্ধির কারণে  ডাহা লোকসানে আয় আরও কমে,  তাহলে তো পেট চালানোই দায় হবে। অনেক বাস ইতিমধ্যে বেরিয়েও আবার বসে গিয়েছে। মালিকদের একটাই কথা, প্রচুর লোকসান হচ্ছে। লোকমুখে মধু কানাঘুষো  শুনেছেন,  বড় বড় ঠান্ডা মেশিন লাগানো অফিসেও নাকি অনেকটা কেটে তবেই বাবুদের বেতন হচ্ছে। যত শোনেন  ততই দুশ্চিন্তা বাড়ে।  তাঁর  কী হবে,  বাড়িতে অপেক্ষায় থাকা অসহায় মুখগুলোর কী হবে,  ভাবতে ভাবতে রাতে ঘুম আসে না। আরও চেপে বসে দুশ্চিন্তা। দিন এগতেই খবর  পান,  পেট্রল ডিজেলের দাম আরও একদফা বেড়ে  গিয়েছে। লকডাউনের  ক্ষতি মেটাতে গরিব মানুষের হাতে কিছু নগদ টাকা দেওয়ার কথা  ছিল। তার  বদলে এ তো ঘুরপথে আয় কেড়ে একেবারে ভাতে মারার প্ল্যান! 
গরিব মানুষ অত শত বোঝেন  না,  শুধু শূন্যদূষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকেন  আর ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস  ফেলেন। তবে আশার খবর, এরাজ্যে প্রান্তিক মানুষের সঙ্কট মোচনে মোদিজি সাড়া না দিলেও এগিয়ে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারই নবান্নে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বেসরকারি বাস যাতে রাস্তায় কমে না যায় তার জন্য তাঁর সরকার বাস পিছু ১৫ হাজার টাকা দেবে। এককথায় নজিরবিহীন পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন বাসের ভাড়া এই কঠিন সময়ে বাড়বে না, তেমনি যে হাজার হাজার কন্ডাকটর ও ড্রাইভার কাজ হারিয়ে বসে যাওয়ার ভয় পাচ্ছিলেন, তাঁদের রুটিরুজির সমস্যাও অনেকটাই মিটবে। আগামী তিন মাস এই প্যাকেজ দেবে মমতার সরকার। নিঃসন্দেহে সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে তৃণমূল সরকারের এই উদ্যোগ অভূতপূর্ব। একদিকে মমতা বলছেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থে কোনও অবস্থাতেই বাসের ভাড়া বাড়াতে দেব না, আবার বাস মালিকদের লোকসান মেটাতে ১৫ হাজার টাকাও দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদের প্রশ্ন করি, ভূভারতে কোনও রাজ্য সরকারের এমন মানবিক পদক্ষেপের নজির আর আছে কি? বিশেষ করে যখন দিল্লির কাছে থেকেই ৫৬ হাজার কোটি টাকা পাওনা মেলেনি। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৯টি জেলা তছনছ হয়ে গিয়েছে। সেখানেও ত্রাণ ও পুনর্বাসনে ৬৩০০ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। এতকিছুর পরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কার্পণ্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী।
এরই ঠিক উল্টো পিঠে গোটা দেশ তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে কেন্দ্রকে বারে বারে সরে আসতে বললেও কোনও কাজ হচ্ছে না। এর থেকেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। অভিধানে জনমুখী ও জনবিরোধী বলে দু’টো শব্দ আছে। অত্যন্ত বহুল ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বেছে বেছে শব্দ দু’টিকে ব্যবহার করে এবং কে জনগণের ভালোর জন্য কাজ করছে আর কে মানুষকে বেছে বেছে বিপদে ফেলছে, তা বুঝে নিয়েই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে, ইতিহাসই বারে বারে তার সাক্ষী!
গত ১ জুন থেকে শুরু করে আনলক পর্বের প্রথম একমাসও প্রায় কাটল বলে। কিন্তু ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে করোনার আতঙ্ক যেমন কমেনি,  তেমনি লকডাউনের ক্ষত সামলে স্বাভাবিক হয়নি জীবনযাপনও। আর এখন তো দৈনিক সংক্রমণ ১৮ হাজার ছাড়াচ্ছে। তাই স্বভাবতই ভয়টাও আরও তীব্র। এই আকাল আর কতদিন চলবে তা বলতে পারছেন না বড় বড় বিশেষজ্ঞরাও। যেদিকেই তাকানো যায় শুধু মন্দা আর সব হারানোর  হতাশা। একান্ত আপনজন মারা গেলেও শোক তাপ নয়।  মানুষটা কেমন ছিল তা নিয়ে আলোচনা নয়।  প্রথম  প্রশ্ন—কী রে,  সমীরদার করোনা ছিল না তো?  এমন নির্মম ভয়ঙ্কর সত্যের মুখোমুখি আমরা জীবনে হইনি কখনও। 
ব্যবসা কমেছে,  বিক্রি কমেছে,  উৎপাদন কমেছে,  সুদ কমেছে,  আয় কমেছে,  চাকরি কমেছে। সিবিএসই দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা পর্যন্ত সম্পূর্ণ করতে পারল না। ফল কবে তা নিয়েও ধোঁয়াশার শেষ নেই। জিডিপি মানে দেশের অর্থনীতির পালস রেট তাও লাফিয়ে ছুটছে শূন্যের  নীচের  দিকে। মানুষের আশা ভরসা একটু খুশির ঝিলিক তাও কবেই যেন উধাও। কিন্তু পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে শুধু তেলের দাম। তবে নিন্দুকেরা যাই বলুন এর মধ্যেই আত্মনির্ভর ভারত গড়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন দেশের নেতা নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু কেমন করে হব আত্মনির্ভর? চাকরি তো নেই। ব্যবসার অবস্থাও তথৈবচ! বাজার এতটাই খারাপ যে ঋণ নিয়ে শোধ দিতেই পারব না। এই অবস্থায় একটাই সহজ রাস্তা আছে, রোজ বিকেল বিকেল বেশি করে পেট্রল ও ডিজেল কিনে পরের দিন সকালে লিটারে ৪০ থেকে ৫০ পয়সা লাভে বিক্রি করে দেওয়া! দ্রুত নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এটাই এখন একমাত্র উপায়। মানুষের জন্য সরকারের যখন কোনও হেলদোলই নেই, সেখানে এ ছাড়া আর পথ কী? আর এই ইস্যুতেই আচমকাই তেতে উঠেছে জ্বালানি তেলের রাজনীতি। যখন আর্ন্তজাতিক বাজারে তেলের দাম তলানিতে তখন একতরফা পেট্রল ও ডিজেলের এই মূল্যবৃদ্ধি ঘিরে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ।
শেষবার পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমেছিল গত ১৬ মার্চ,  লকডাউনের আগে। তারপর গোটা এপ্রিল ও মে মাসে আর তেলের দামে হাত দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না,  তাই দাম অপরিবর্তিতই ছিল। গোটা দেশ কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায়,  কাজকর্ম শিকেয় ওঠায় তেলের চাহিদাও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। জুনে  আনলক পর্ব শুরু হতেই ৮২ দিন পর দাম বাড়ানো শুরু হয়। প্রথম দাম বাড়ে ৭ জুন। তারপর থেকেই লাগাতার বেড়েই চলেছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দাম বেড়েছে ৯ টাকার আশপাশে। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রশ্ন একটাই,  কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে টানা এই মূল্যবৃদ্ধি কি খুব অনিবার্য ছিল?  কে না জানে,  তেলের দাম বৃদ্ধির  নিট রেজাল্ট বাকি সব জিনিসেরও  দামের  ঊর্ধ্বগতি ও  সাধারণকে আরও একটু অসুবিধায় ফেলা।
ফিরে যাই ছ’বছর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে। ‘দুর্বল’ ছোট সঙ্কুচিত বুকের ছাতির মনমোহন সিং সরকারকে ভোটে হারিয়ে বীরবিক্রমে নরেন্দ্র মোদি যেদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হন,  সেদিন দেশের মানুষের প্রত্যাশার শেষ ছিল না। দারিদ্র্য থেকে দুর্নীতিদমন,  কর্মসংস্থান থেকে শিল্প বিনিয়োগ বৃদ্ধি,  বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরানো,  সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া,  বছরে দু’লাখ চাকরি,  সব কিছুতেই একটা নতুন জোয়ার আসার স্বপ্নে মশগুল ছিল দেশের মানুষ। ইন্দিরা গান্ধীর পর আবার একজন জবরদস্ত সাহসী প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে  দেশ—এই  চর্চাতেই মুখর ছিল সব মহল। এই  মানুষটাই চীন-পাকিস্তান সবাইকে উচিত শিক্ষা দিতে পারবেন,  কেউ আর ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকাবার সাহস পাবে না,  এমন প্রচারও ছিল ষোলো আনা।
কিন্তু আজ নিরীহ নেপালও গলা তুলছে। চোখ রাঙাচ্ছে। এভাবেই ৬ বছর পেরিয়ে এসে আজ ধীরে ধীরে সেই স্বপ্নটা ধাক্কা খেয়েছে। বিশ্বাসেও যে একটা চিড় ধরেছে,  সেকথা বললে বোধহয় মোটেই বাড়াবাড়ি হবে না। মোদিজির শপথ নেওয়ার সময় আর্ন্তজাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম ঘোরাফেরা করছিল ৮৫ থেকে ১০৭ ডলারের আশপাশে। আর আজ আর্ন্তজাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম ৪০ ডলারের  আশেপাশে।  দেশীয়  বাজারে দাম কিন্তু তাতে কমেনি। মে মাসে বিশ্বজুড়ে চাহিদা কমে যাওয়ায় অশোধিত তেলের দাম ছিল আরও কম। কিন্তু সেই দাম কমার কোনও সুফল তো সাধারণের ঘরে পৌঁছয়নি। উল্টে দাম অনেকটা বেড়েছে। করোনা যন্ত্রণার মধ্যেই সাধারণের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে মোদি সরকারের বিস্ময়কর সংকীর্ণ রাজনীতি। যেই দাম কমার একটু আশা জাগছে অমনি শুল্ক বাড়িয়ে দামের সমতা রক্ষায় নামছে কেন্দ্র।
এমনিতে একটা হিসেব বলছে,  আর্ন্তজাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম  ব্যারেল  পিছু ১ ডলার কমা মানে সরকারের দেড় বিলিয়ন ডলার সাশ্রয়। অঙ্কটা মোটেই কম নয়। সরকার বাহাদুর নাকি চলতি আর্থিক বছরে এভাবে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের পরিকল্পনা করেছে। অথচ সেই সাশ্রয়ের ছিটেফোঁটাও জুটবে না আমাদের ভাগ্যে। খোদ রাজধানী দিল্লিতে ডিজেলের দাম পেট্রলের চেয়ে বেশি হয়েছে! আর আজ  শহর  কলকাতাতেও পেট্রলের লিটার ৮০ টাকার বেশি। অথচ , ২০১৪-র  মে মাসে মোদি সরকারের অভিষেকের সময় দিল্লিতে পেট্রল ডিজেলের দাম ছিল লিটার পিছু যথাক্রমে ৭১ টাকা ৪১ পয়সা ও ৫৬ টাকা ৭১ পয়সা। আর আ‌জ তেলের দাম বেড়ে কোথায়?
এ এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা। কংগ্রেস আমলের তুলনায় এভাবেই মোদি জমানায় পেট্রল-ডিজেলে শুল্ক বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু এই উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে কেন্দ্র করবে  কী—এটাই  এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বলা হচ্ছে,  এভাবে বিশাল আর্থিক ঘাটতি মেটানোরই চেষ্টা করছে সরকার। করোনার এই কঠিন সময়ে যখন সমস্ত চিরাচরিত হিসেবই উল্টে গিয়েছে,  মানুষ যখন নিজের দু’বেলা অন্নের সংস্থান করতেই হিমশিম খাচ্ছে,  তখন ধাপে ধাপে পেট্রল ডিজেলের থেকে আয় বাড়ানোর এই কৌশল থেকে মোদি সরকারের আখেরে কতটা লাভ হয় সেটাই এখন দেখার। নিন্দুকেরা আবার বলছে ভোটের আগে বিলি করার জন্য, জনমোহিনী ঘোষণার জন্য তহবিল তৈরির কাজ চলছে সুকৌশলে। কারণ ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের কোনও সুবিধা দেশের আম জনতা পায়নি। অসন্তোষ রোজ বাড়ছে। তাই বড় কোনও ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু তা বলে তেলের দাম বৃদ্ধির সর্বনাশা পথে কোষাগার ভরা মানে  তো দুঃসময়ে ঘুরিয়ে সবার পকেটেই  গোপন হাতের অনুপ্রবেশ।  এই  জনবিরোধী  প্রচেষ্টাকে  কোনওভাবেই  সমর্থন করা যায় না।  মোদি সরকারকে অবিলম্বে গরিব মানুষের স্বার্থে এই লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির খেলা বন্ধ করতেই হবে।
28th  June, 2020
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...

প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূঃ বর্ধমানের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে কালনায় গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:56:28 PM

বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও: মমতা

02:45:58 PM

মোদি জিতলে এটাই শেষ নির্বাচন: মমতা

02:39:36 PM

রাজ্য ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দিয়েছে: মমতা

02:37:39 PM

১১ লক্ষ বাড়ির টাকা দেয়নি কেন্দ্র, ভোটের পর আমরা বাড়ির টাকা দেব: মমতা

02:37:39 PM

ওরা আবাসের টাকা বন্ধ করেছে: মমতা

02:33:29 PM