Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কিছু বৃক্ষ স্বয়ং ইতিহাস
হারাধন চৌধুরী

নামটা মনে করতে পারছি না। শুধু মনে পড়ছে তাঁর আর্তনাদের ভাষা—‘উম-পুন যে প্রাচীন গাছটাকে টলাতে পারেনি, সেই গাছটাকে পুরো ধরাশায়ী করে দিল আজকের সন্ধ্যার অল্প সময়ের ঝড়! আমার কান্না পাচ্ছে।’ উম-পুন কলকাতাসহ বাংলার একাংশে আঘাত হেনেছিল ২০ মে। ঠিক তার সাত দিনের মাথায়, ২৭ মে, প্রায় একই অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল নামহীন এক ঝড়ের তাণ্ডব। উম-পুনের ক্ষত নিয়ে কলকাতা তখনও কাতরাচ্ছে। সুন্দরবনকে আশ্রয় করে যাঁরা বাঁচেন, তখন তাঁরা পুরো নিরাশ্রয়। এমনি সময়ে নেমে আসা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের রক্তাক্ত ছবিতে, বর্ণনায় ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল। লেখার গোড়ায় যে উদ্ধৃতি দেওয়া হল সেটাই ছিল আমার দেখা ঝড়ের সংক্ষিপ্ততম বিবরণ, কিন্তু তার অভিঘাত তিরের চেয়েও সুতীক্ষ্ণ!
* * *
টানা ৬৮ দিনের লকডাউনের নিদারুণ যন্ত্রণা সবে কাটিয়ে উঠেছি আমরা। প্রবেশ করেছি আনলক-১ পর্বে। কেন্দ্রের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী দিনে আরও দু’টি আনলক পর্ব পেরতে হবে। এই সময়ে আমরা হিসেব করে দেখতে পারি, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিপুল ক্ষতির বিপরীতে প্রাপ্তিযোগও কিছু ঘটেছে আমাদের।
প্রাপ্তির তালিকায় প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নতির বিষয়টিকে সবার উপরে রাখা যায়। আমরা বিশেষভাবে অনুভব করতে পারছি শহরে বাতাসের দূষণমাত্রা অনেকখানি কমে যাওয়ার ব্যাপারটা। বাতাসের দূষণ কতটা কমে গিয়েছে, তা বোঝার জন্য গবেষণাগারে পাওয়া পরিসংখ্যানের দিকে নজর না-রাখলেও চলবে। ফুসফুসই বলে দিচ্ছে, আমাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাকে আগের মতো চাপ নিতে হচ্ছে না। অনেকেই ভুলে যাচ্ছেন ইনহেলার হাতে তুলে নেওয়ার কথা। কারণ, শ্বাস নেওয়ার কষ্ট কীভাবে যেন উধাও হয়ে গিয়েছে! অথচ এই মানুষগুলিই দিনে অন্তত একবার ইনহেলারের শরণাপন্ন হতেন। তাছাড়া রাতটা কাটানোই ঝুঁকির হয়ে যেত। মাসে অন্তত একবার বিশেষজ্ঞের কাছে যেতেন নিয়ম করে। আপাতত সেসবের বালাই নেই। এই অনুভব যে কাকতালীয় নয়, ওষুধের দোকানে খোঁজ নিলেও মনে হয় এর পক্ষে সমর্থন মিলবে।
অনেকে বুঝতে পারছেন, আগের মতো চোখ-মুখ জ্বালা করছে না। দেখার কষ্টও হয়তো কমেছে। জামাকাপড় নোংরা কম হচ্ছে। নিত্য শ্যাম্পু করা যাঁদের হ্যাপা মনে হতো, তাঁরা বেশ আনন্দে আছেন। ঘরে-বাড়িতে ধুলো ঝুলকালিও কমে গিয়েছে।
এ তো গেল বাতাসের দিক। দূষণ কমেছে জলেও। বিশেষ করে নদীগুলির দূষণ। গঙ্গাকে আমরা আক্ষেপ করে বলতাম, পৃথিবীর বৃহত্তম ড্রেন। সেই গঙ্গার কথা শুনে বেশ ভালো লাগছে: গত এপ্রিল থেকেই ইতিউতি মুখ বের করছে, মনের আনন্দে খেলছে ডলফিন—বিখ্যাত গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন বা দক্ষিণ এশীয় নদীর ডলফিন। অনেকের মতে, গঙ্গার প্রতি ডলফিনের এমন আস্থা ফিরে এল অন্তত তিন দশক পর। এই প্রজাতির ডলফিনকে আজ বিলুপ্তপ্রায় বলা চলে। সারা দুনিয়ায় এদের হালফিল সংখ্যা দু’হাজারেরও কম।
এপ্রিলের শেষদিকে প্রকাশিত একটি বেসরকারি রিপোর্ট দেখে মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল: খোদ কলকাতার বুকে এবং আশেপাশের পরিবেশে অনেক সুন্দর প্রাণীর আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। যেমন কাঠবেড়ালি, বেজি, ভামবেড়াল, শিয়াল, খটাশ, পায়রা, ঘুঘু, চড়ুই, শালিক, বুলবুল, দোয়েল, কোকিল, ফিঙে, হলদে পাখি প্রভৃতি। হবে নাই-বা কেন, গাছের পাতায় নেই ধুলো-ময়লা। গাছগুলো সত্যিই যেন হাসছে। রোদেলা দিনে আকাশকে এতটা নীল শেষ কবে দেখেছে, কলকাতাবাসী অন্তত মনে করতে পারছে না। তাহলে সেই আনন্দের দোলা পশুপাখিদের গায়ে, ডানায় সমপরিমাণ লাগবে না!
নাগরিক জীবনের অন্যতম বৃহৎ সমস্যা শব্দদূষণ। যানবাহন, কলকারখানা, শব্দবাজি প্রভৃতির বিকট আওয়াজের জায়গাটা সুন্দর নিয়েছে বিচিত্র সব পাখির কিচিরমিচির। বাতাসের শনশন, পাতার মর্মরধ্বনিও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বহু বহু কাল পর। মেঘ-ডাকার আওয়াজটা ট্রেনের হুইসল কিংবা একসঙ্গে বেজে ওঠা একশো গাড়ির হর্নের নীচে চাপা পড়ে যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে সাময়িক গৃহবন্দি জীবনকে মন্দের ভালো অনেক উপহার দিয়েছে প্রকৃতি।
* * *
প্রকৃতি দেয় যত, আবার ততটাই ফিরিয়ে নিতেও যে ওস্তাদ! দু’সপ্তাহ আগে বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া উম-পুনের নিদারুণ তাণ্ডবের পর অন্য কথা যে ভাবতে ইচ্ছে করছে না আমাদের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দুই ২৪ পরগনায় সুন্দরবন সন্নিহিত অঞ্চলে এবং বৃহত্তর কলকাতার। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পরিকাঠামো, খেতখামার, ফসল, গবাদি পশুপাখির যে ক্ষতি হয়েছে, তার পূ্র্ণাঙ্গ চিত্র কোনওদিনই পাওয়া যাবে না। প্রাণহানিও হয়েছে অনেক। কিছু ক্ষতি পূরণও হবে নিশ্চয়। কিন্তু গাছপালার যে ক্ষতি হয়েছে, তা একইসঙ্গে অপরিমেয় এবং অপূরণীয়!
এই লেখার শুরুতে পরিবেশের অভাবনীয় উন্নতির যেসব কথা বলে আহ্লাদ করেছিলাম, তাতে প্রথম বাদ সাধল উম-পুন। ধাক্কার উপর রামধাক্কা মিলল সাত দিন বাদেও। কলকাতা পুরসভার হিসেবে, সব মিলিয়ে শুধু এই মহানগরীতেই ১৫ হাজারের বেশি গাছ উপড়ে পড়েছে, কিংবা ভেঙে গিয়েছে। সুন্দরবন-সহ রাজ্যের বাকি অঞ্চলে গাছগাছালির ক্ষয়ক্ষতির হিসেবটা যে কী বিশাল, তা ভাবেতই শিউরে উঠি। চারা লাগিয়ে দেওয়া হল আর গাছ বেড়ে উঠল, ব্যাপারটা তো অত সহজ নয়। একটা চারা ছায়া-ফুল-ফল দানের উপযোগী গাছ হয়ে ওঠে অনেক অনেক ঝড়-ঝাপটা সয়ে। গাছেদের অনেক গল্প থাকে। গাছেরা কত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে যায়। আবার কিছু বৃক্ষ স্বয়ং ইতিহাস! এই প্রসঙ্গে বিলের (নরেন্দ্রনাথ দত্ত বা স্বামী বিবেকানন্দ) সেই চাঁপাগাছের কথাটা বড় মনে পড়ছে—যেখানে নাকি ছিল বেম্মদত্যির বসত! পলাশীর সেই আমবাগানের কথা ভাবুন, যার কথা মনে এলে আমরা বোধহয় ভারতের স্বাধীনতার প্রিয় সূর্যটা অস্ত যাওয়ার করুণতম দৃশ্য দেখতে থাকি। কল্পনা করি সেই বৃক্ষের কথা, যার নীচে সাধনা করে এক অনামী রাজপুত্র ‘জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ’—বুদ্ধদেবে রূপান্তরিত হয়েছিলেন।
তাই বৃক্ষ নষ্ট হয়ে যাওয়া মানেই তুচ্ছ কিছু গাছ চলে গেল না। শিবপুর বি-গার্ডেনে গ্রেট ব্যানিয়ান ট্রি—তার ৪০টির মতো স্তম্ভমূলের ক্ষতি হল! এটাকে আপনি কোন মানদণ্ডে মাপবেন? রবীন্দ্র সরোবরেও গাছগাছালির যে ক্ষতি হয়েছে—তাও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। দিকে দিকে এত যে গাছপালার ক্ষতি হল, একে কারও ব্যক্তিগত বা কোনও সরকারের ক্ষতি বলে গণ্য করলে ভুল হবে। গাছ এমন একটা জিনিস, বাস্তবে তার কোনও মালিকানা হয় না। আমার পাঁচিল ঘেরা জমিতে আমি নিজে হাতে পরিচর্যা করে কিছু গাছ বড় করলাম বটে, সে কিন্তু আমার কোনও কথা শোনার অপেক্ষা করবে না—আমার শত্রু-মিত্র সকলের জন্যই অক্সিজেন দিয়ে যাবে, বাতাসকে পরিশোধনের দায়িত্ব পালন করে যাবে নীরবে।
* * *
লকডাউনে পরিবেশের যতটা উন্নতি হয়েছে, জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে এলে তা যে ধরে রাখা সম্ভব হবে না, আমরা জানতাম। তবুও চেষ্টা করা যেত বাতাস ও শব্দদূষণ যাতে মিনিমাম হয়। একটু ভালো, একটু সুস্থ থাকার একটা অভ্যাস তো হয়ে গেল। এই স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখতে যে কালচার দরকার, তা গঠনের ব্যাপারে জনমত তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু বাদ সাধল উম-পুন ও তার অনুজ এক ঝড়। এই ঝড়ে লকডাউনের প্রাপ্তি কাটাকুটি তো হলই, উপরি জুটল বড় এক অশনিসঙ্কেত—পরিবেশের সামনে! সামনেই বর্ষাকাল। আগামীকাল ৫ জুন, শুক্রবার পরিবেশ দিবস। এই দু’টিকে সামনে রেখে আমাদের আশায় বুক বাঁধতেই হবে। খুব স্বস্তির খবর যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকার নয়া সবুজায়ন নীতি নিয়ে এগচ্ছে। এবছর কলকাতায় ৫০ হাজার এবং সারা রাজ্যে সাড়ে ছয় কোটি গাছের চারা রোপণ ও পরিচর্যা করা হবে। আমাদের প্রত্যেকের এই আনন্দযজ্ঞে শামিল হওয়া উচিত। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও নাগরিক চাহিদার কাছে নগরের সম্প্রসারণ অনিবার্য। প্রকৃতি-পরিবেশের সঙ্গে একধরনের আপসের নাম নগরায়ণ। জলাভূমি ও সবুজকে নয়নের মণির মতো রক্ষার প্রতিজ্ঞা কুশলী নাগরিকের লক্ষণ। সবুজায়নের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারলেই আমাদের সকলের বেঁচে থাকাটা নিছক প্রাণধারণের ঊর্ধ্বে উঠবেই।
ব্যর্থতার নামাবলি গায়ে
মোদিজির বর্ষপূর্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

 লকডাউনের চারটে ইনিংস শেষ করে আমরা ঢুকে পড়েছি প্রথম আনলক সিজনে। করোনা বিধ্বস্ত আমাদের জীবন বইতে শুরু করেছে এক নতুন খাতে। মাত্র কয়েক মাসেই আমাদের জীবনের সামগ্রিক চালচিত্র ম্যাজিকের মতো বদলে গিয়েছে।
বিশদ

03rd  June, 2020
হিসেব মেলানো ভার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সাত দু’গুণে কত হয়? উঁহু, ১৪ নয়। আপনি কখন বলছেন, তার উপর নির্ভর করছে। মানে, কাকেশ্বর কুচ্‌কুচে যদি মনে করে, আপনি বলার সময় ১৩ টাকা ১৪ আনা ৩ পাই হয়েছিল... মানে পুরোপুরি ১৪ হয়নি, তাহলে সেটাই। অর্থাৎ, হাতে একটা পেনসিল থাকছেই। বিশদ

02nd  June, 2020
সতর্ক প্রহরী
পি চিদম্বরম

ব্যারিস্টার ভি জি রো মাদ্রাজ হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন। তিনি ছিলেন বাম-মনস্ক উদার। সমস্ত ধরনের বিজ্ঞানের ব্যবহারিক জ্ঞান, রাজনৈতিক শিক্ষা এবং শিল্প, সাহিত্য, নাটক প্রভৃতিকে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি পিপলস এডুকেশন সোসাইটি গড়েছিলেন।
বিশদ

01st  June, 2020
একটু সময় দিন,
পাশে দাঁড়ান
হিমাংশু সিংহ

বামফ্রন্ট সরকার ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। ভেসে গিয়েছিল একের পর এক জেলা, দক্ষিণবঙ্গের বড় বড় শহর। কলকাতাও রেহাই পায়নি সেই বিপর্যয়ের হাত থেকে।
বিশদ

31st  May, 2020
বিশ্বাসযোগ্যতা ও বলিষ্ঠ
পদক্ষেপের এক বছর
রাজনাথ সিং

যে কোনও দেশের ইতিহাসে পাহাড়প্রমাণ পরিবর্তন দেখার সুযোগ খুব কমই আসে। ২০১৪ সালে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এরকমই একটি বিরাট পরিবর্তন এসেছিল। দেশের মানুষ দুর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিলেন।
বিশদ

30th  May, 2020
বন্দি যখন শিশুমন
তন্ময় মল্লিক

 ‘উফ, আর পারা যাচ্ছে না। কবে যে মুক্তি পাব?’ ‘কতদিন বাজার যাইনি। এইভাবে দমবন্ধ অবস্থায় থাকা যায়?’ ‘দিনরাত গাধার খাটুনি খাটছি। তার উপর তোদের জ্বালাতন। এবার ঠাস ঠাস করে চড়িয়ে দেব।’ লকডাউনের গৃহবন্দি জীবনে এমন সংলাপ আজ প্রায় ঘরে ঘরে।
বিশদ

30th  May, 2020
বাংলার দুর্ভাগ্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এত বড় একটা সাইক্লোনে একটি রাজ্যের বৃহৎ অংশ একপ্রকার বিধ্বস্ত হয়ে গেল, অথচ গোটা দেশের কোনও দোলাচল নেই? প্রথমদিন ট্যুইটারে সমবেদনা জানিয়েই সকলে যে যার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল? কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে রাজ্যটাকে পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনও দৃপ্ত সহায়তা প্রতিজ্ঞাও তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশদ

29th  May, 2020
ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে।
বিশদ

28th  May, 2020
‘আত্মসম্মান’ খ্যাত এক ভাঁড়ের রসিকতা
সন্দীপন বিশ্বাস 

অন্য দেশের রাজাদের মতো হবুরও আছে বিদূষক। অনেক বিদূষক তাঁর। তাঁদের তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। তাঁরা সেই সব রাজ্যের প্রপালক। তাঁদের কাজ হল মহারাজ হবুর মুৎসুদ্দি করা। আর নানা ধরনের মন্তব্য করে অঙ্গরাজ্যের জনগণকে আনন্দ বিতরণ করা।  বিশদ

27th  May, 2020
মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না।   বিশদ

26th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: করোনা নিয়ে গুজব ও আতঙ্ক ঠেকাতে আরামবাগের ২৬ জন কোভিড-১৯ জয়ীকে নিয়ে ‘করোনা সচেতনতা টিম’ গড়ল প্রশাসন। টিমে থাকবেন একজন করে করোনা জয়ী, ভিলেজ পুলিস, আশাকর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্য। মহকুমার গ্রামেগঞ্জে গিয়ে ওই টিম প্রচার চালাবে।  ...

  রেকর্ড প্রোডিউসার কোম্পানি সারেগামা ও ফেসবুকের মধ্যে এক অভিনব চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। ফলে এবার থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সারেগামার সমস্ত গান নেটিজেনরা ব্যবহার করতে পারবেন। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি,বারাসত: মঙ্গলবার সন্ধ্যার প্রবল বৃষ্টিতে বসিরহাট পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডের কয়েকশো বাড়ি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় ঘরের মধ্যে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। ...

নয়াদিল্লি, ৩ জুন: চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে হার্দিক পান্ডিয়া। ভারতী দলের এই তারকা অলরাউন্ডারটিকে শেষবার টিম ইন্ডিয়ার জার্সি পরে খেলতে দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩২: শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতের রচনাকার মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের (শ্রীম) মৃত্যু
১৯৩৬: অভিনেত্রী নূতনের জন্ম
১৯৫৯: শিল্পপতি অনিল আম্বানির জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরির মৃত্যু
১৯৭৫ - মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জন্ম
১৯৮৫: জার্মান ফুটবলার লুকাস পোডোলোস্কির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.২৯ টাকা ৭৬.০১ টাকা
পাউন্ড ৯২.৯৪ টাকা ৯৬.২৩ টাকা
ইউরো ৮২.৬৮ টাকা ৮৫.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ৪ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ত্রয়োদশী ২/৫৮ প্রাতঃ ৬/৭ পরে চর্তুদশী ৫৫/৫২ রাত্রি ৩/১৬। বিশাখা নক্ষত্র ৩৪/১৩ রাত্রি ৬/৩৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১৬, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ৪ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ত্রয়োদশী প্রাতঃ ৫/১ পরে চর্তুদশী রাত্রি ২/৫৩। বিশাখানক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/২২। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে ৬/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১২/০ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৬ গতে ৬/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।
১১ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বৃষ: শেয়ার-ফাটকায় বিনিয়োগ করা যেতে পারে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৩২: শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতের রচনাকার মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের (শ্রীম) মৃত্যু১৯৩৬: অভিনেত্রী নূতনের ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২৮৩
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬৮ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

07:02:37 PM

তামিলনাড়ুতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১,৩৭৩, মৃত ১২ 
তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩৭৩ জন। মৃত্যু ...বিশদ

07:01:52 PM

কর্ণাটকে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২৫৭, মৃত ৪ 
কর্ণাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ...বিশদ

06:51:26 PM

বাংলাদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২,৪২৩, মৃত ৩৫
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২,৪২৩ জন। ফলে ...বিশদ

06:04:57 PM