Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কিছু বৃক্ষ স্বয়ং ইতিহাস
হারাধন চৌধুরী

নামটা মনে করতে পারছি না। শুধু মনে পড়ছে তাঁর আর্তনাদের ভাষা—‘উম-পুন যে প্রাচীন গাছটাকে টলাতে পারেনি, সেই গাছটাকে পুরো ধরাশায়ী করে দিল আজকের সন্ধ্যার অল্প সময়ের ঝড়! আমার কান্না পাচ্ছে।’ উম-পুন কলকাতাসহ বাংলার একাংশে আঘাত হেনেছিল ২০ মে। ঠিক তার সাত দিনের মাথায়, ২৭ মে, প্রায় একই অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল নামহীন এক ঝড়ের তাণ্ডব। উম-পুনের ক্ষত নিয়ে কলকাতা তখনও কাতরাচ্ছে। সুন্দরবনকে আশ্রয় করে যাঁরা বাঁচেন, তখন তাঁরা পুরো নিরাশ্রয়। এমনি সময়ে নেমে আসা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের রক্তাক্ত ছবিতে, বর্ণনায় ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল। লেখার গোড়ায় যে উদ্ধৃতি দেওয়া হল সেটাই ছিল আমার দেখা ঝড়ের সংক্ষিপ্ততম বিবরণ, কিন্তু তার অভিঘাত তিরের চেয়েও সুতীক্ষ্ণ!
* * *
টানা ৬৮ দিনের লকডাউনের নিদারুণ যন্ত্রণা সবে কাটিয়ে উঠেছি আমরা। প্রবেশ করেছি আনলক-১ পর্বে। কেন্দ্রের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী দিনে আরও দু’টি আনলক পর্ব পেরতে হবে। এই সময়ে আমরা হিসেব করে দেখতে পারি, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিপুল ক্ষতির বিপরীতে প্রাপ্তিযোগও কিছু ঘটেছে আমাদের।
প্রাপ্তির তালিকায় প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নতির বিষয়টিকে সবার উপরে রাখা যায়। আমরা বিশেষভাবে অনুভব করতে পারছি শহরে বাতাসের দূষণমাত্রা অনেকখানি কমে যাওয়ার ব্যাপারটা। বাতাসের দূষণ কতটা কমে গিয়েছে, তা বোঝার জন্য গবেষণাগারে পাওয়া পরিসংখ্যানের দিকে নজর না-রাখলেও চলবে। ফুসফুসই বলে দিচ্ছে, আমাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাকে আগের মতো চাপ নিতে হচ্ছে না। অনেকেই ভুলে যাচ্ছেন ইনহেলার হাতে তুলে নেওয়ার কথা। কারণ, শ্বাস নেওয়ার কষ্ট কীভাবে যেন উধাও হয়ে গিয়েছে! অথচ এই মানুষগুলিই দিনে অন্তত একবার ইনহেলারের শরণাপন্ন হতেন। তাছাড়া রাতটা কাটানোই ঝুঁকির হয়ে যেত। মাসে অন্তত একবার বিশেষজ্ঞের কাছে যেতেন নিয়ম করে। আপাতত সেসবের বালাই নেই। এই অনুভব যে কাকতালীয় নয়, ওষুধের দোকানে খোঁজ নিলেও মনে হয় এর পক্ষে সমর্থন মিলবে।
অনেকে বুঝতে পারছেন, আগের মতো চোখ-মুখ জ্বালা করছে না। দেখার কষ্টও হয়তো কমেছে। জামাকাপড় নোংরা কম হচ্ছে। নিত্য শ্যাম্পু করা যাঁদের হ্যাপা মনে হতো, তাঁরা বেশ আনন্দে আছেন। ঘরে-বাড়িতে ধুলো ঝুলকালিও কমে গিয়েছে।
এ তো গেল বাতাসের দিক। দূষণ কমেছে জলেও। বিশেষ করে নদীগুলির দূষণ। গঙ্গাকে আমরা আক্ষেপ করে বলতাম, পৃথিবীর বৃহত্তম ড্রেন। সেই গঙ্গার কথা শুনে বেশ ভালো লাগছে: গত এপ্রিল থেকেই ইতিউতি মুখ বের করছে, মনের আনন্দে খেলছে ডলফিন—বিখ্যাত গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন বা দক্ষিণ এশীয় নদীর ডলফিন। অনেকের মতে, গঙ্গার প্রতি ডলফিনের এমন আস্থা ফিরে এল অন্তত তিন দশক পর। এই প্রজাতির ডলফিনকে আজ বিলুপ্তপ্রায় বলা চলে। সারা দুনিয়ায় এদের হালফিল সংখ্যা দু’হাজারেরও কম।
এপ্রিলের শেষদিকে প্রকাশিত একটি বেসরকারি রিপোর্ট দেখে মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল: খোদ কলকাতার বুকে এবং আশেপাশের পরিবেশে অনেক সুন্দর প্রাণীর আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। যেমন কাঠবেড়ালি, বেজি, ভামবেড়াল, শিয়াল, খটাশ, পায়রা, ঘুঘু, চড়ুই, শালিক, বুলবুল, দোয়েল, কোকিল, ফিঙে, হলদে পাখি প্রভৃতি। হবে নাই-বা কেন, গাছের পাতায় নেই ধুলো-ময়লা। গাছগুলো সত্যিই যেন হাসছে। রোদেলা দিনে আকাশকে এতটা নীল শেষ কবে দেখেছে, কলকাতাবাসী অন্তত মনে করতে পারছে না। তাহলে সেই আনন্দের দোলা পশুপাখিদের গায়ে, ডানায় সমপরিমাণ লাগবে না!
নাগরিক জীবনের অন্যতম বৃহৎ সমস্যা শব্দদূষণ। যানবাহন, কলকারখানা, শব্দবাজি প্রভৃতির বিকট আওয়াজের জায়গাটা সুন্দর নিয়েছে বিচিত্র সব পাখির কিচিরমিচির। বাতাসের শনশন, পাতার মর্মরধ্বনিও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বহু বহু কাল পর। মেঘ-ডাকার আওয়াজটা ট্রেনের হুইসল কিংবা একসঙ্গে বেজে ওঠা একশো গাড়ির হর্নের নীচে চাপা পড়ে যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে সাময়িক গৃহবন্দি জীবনকে মন্দের ভালো অনেক উপহার দিয়েছে প্রকৃতি।
* * *
প্রকৃতি দেয় যত, আবার ততটাই ফিরিয়ে নিতেও যে ওস্তাদ! দু’সপ্তাহ আগে বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া উম-পুনের নিদারুণ তাণ্ডবের পর অন্য কথা যে ভাবতে ইচ্ছে করছে না আমাদের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দুই ২৪ পরগনায় সুন্দরবন সন্নিহিত অঞ্চলে এবং বৃহত্তর কলকাতার। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পরিকাঠামো, খেতখামার, ফসল, গবাদি পশুপাখির যে ক্ষতি হয়েছে, তার পূ্র্ণাঙ্গ চিত্র কোনওদিনই পাওয়া যাবে না। প্রাণহানিও হয়েছে অনেক। কিছু ক্ষতি পূরণও হবে নিশ্চয়। কিন্তু গাছপালার যে ক্ষতি হয়েছে, তা একইসঙ্গে অপরিমেয় এবং অপূরণীয়!
এই লেখার শুরুতে পরিবেশের অভাবনীয় উন্নতির যেসব কথা বলে আহ্লাদ করেছিলাম, তাতে প্রথম বাদ সাধল উম-পুন। ধাক্কার উপর রামধাক্কা মিলল সাত দিন বাদেও। কলকাতা পুরসভার হিসেবে, সব মিলিয়ে শুধু এই মহানগরীতেই ১৫ হাজারের বেশি গাছ উপড়ে পড়েছে, কিংবা ভেঙে গিয়েছে। সুন্দরবন-সহ রাজ্যের বাকি অঞ্চলে গাছগাছালির ক্ষয়ক্ষতির হিসেবটা যে কী বিশাল, তা ভাবেতই শিউরে উঠি। চারা লাগিয়ে দেওয়া হল আর গাছ বেড়ে উঠল, ব্যাপারটা তো অত সহজ নয়। একটা চারা ছায়া-ফুল-ফল দানের উপযোগী গাছ হয়ে ওঠে অনেক অনেক ঝড়-ঝাপটা সয়ে। গাছেদের অনেক গল্প থাকে। গাছেরা কত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে যায়। আবার কিছু বৃক্ষ স্বয়ং ইতিহাস! এই প্রসঙ্গে বিলের (নরেন্দ্রনাথ দত্ত বা স্বামী বিবেকানন্দ) সেই চাঁপাগাছের কথাটা বড় মনে পড়ছে—যেখানে নাকি ছিল বেম্মদত্যির বসত! পলাশীর সেই আমবাগানের কথা ভাবুন, যার কথা মনে এলে আমরা বোধহয় ভারতের স্বাধীনতার প্রিয় সূর্যটা অস্ত যাওয়ার করুণতম দৃশ্য দেখতে থাকি। কল্পনা করি সেই বৃক্ষের কথা, যার নীচে সাধনা করে এক অনামী রাজপুত্র ‘জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ’—বুদ্ধদেবে রূপান্তরিত হয়েছিলেন।
তাই বৃক্ষ নষ্ট হয়ে যাওয়া মানেই তুচ্ছ কিছু গাছ চলে গেল না। শিবপুর বি-গার্ডেনে গ্রেট ব্যানিয়ান ট্রি—তার ৪০টির মতো স্তম্ভমূলের ক্ষতি হল! এটাকে আপনি কোন মানদণ্ডে মাপবেন? রবীন্দ্র সরোবরেও গাছগাছালির যে ক্ষতি হয়েছে—তাও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। দিকে দিকে এত যে গাছপালার ক্ষতি হল, একে কারও ব্যক্তিগত বা কোনও সরকারের ক্ষতি বলে গণ্য করলে ভুল হবে। গাছ এমন একটা জিনিস, বাস্তবে তার কোনও মালিকানা হয় না। আমার পাঁচিল ঘেরা জমিতে আমি নিজে হাতে পরিচর্যা করে কিছু গাছ বড় করলাম বটে, সে কিন্তু আমার কোনও কথা শোনার অপেক্ষা করবে না—আমার শত্রু-মিত্র সকলের জন্যই অক্সিজেন দিয়ে যাবে, বাতাসকে পরিশোধনের দায়িত্ব পালন করে যাবে নীরবে।
* * *
লকডাউনে পরিবেশের যতটা উন্নতি হয়েছে, জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে এলে তা যে ধরে রাখা সম্ভব হবে না, আমরা জানতাম। তবুও চেষ্টা করা যেত বাতাস ও শব্দদূষণ যাতে মিনিমাম হয়। একটু ভালো, একটু সুস্থ থাকার একটা অভ্যাস তো হয়ে গেল। এই স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখতে যে কালচার দরকার, তা গঠনের ব্যাপারে জনমত তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু বাদ সাধল উম-পুন ও তার অনুজ এক ঝড়। এই ঝড়ে লকডাউনের প্রাপ্তি কাটাকুটি তো হলই, উপরি জুটল বড় এক অশনিসঙ্কেত—পরিবেশের সামনে! সামনেই বর্ষাকাল। আগামীকাল ৫ জুন, শুক্রবার পরিবেশ দিবস। এই দু’টিকে সামনে রেখে আমাদের আশায় বুক বাঁধতেই হবে। খুব স্বস্তির খবর যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকার নয়া সবুজায়ন নীতি নিয়ে এগচ্ছে। এবছর কলকাতায় ৫০ হাজার এবং সারা রাজ্যে সাড়ে ছয় কোটি গাছের চারা রোপণ ও পরিচর্যা করা হবে। আমাদের প্রত্যেকের এই আনন্দযজ্ঞে শামিল হওয়া উচিত। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও নাগরিক চাহিদার কাছে নগরের সম্প্রসারণ অনিবার্য। প্রকৃতি-পরিবেশের সঙ্গে একধরনের আপসের নাম নগরায়ণ। জলাভূমি ও সবুজকে নয়নের মণির মতো রক্ষার প্রতিজ্ঞা কুশলী নাগরিকের লক্ষণ। সবুজায়নের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারলেই আমাদের সকলের বেঁচে থাকাটা নিছক প্রাণধারণের ঊর্ধ্বে উঠবেই।
04th  June, 2020
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলায় আমি যতদিন আছি, এসব করতে দেব না: মমতা

03:11:14 PM

কে কী খাবে তাঁর নিজের ব্যাপার, আপনারা কেন ধমকাবেন: মমতা

03:10:41 PM

রামনবমীতে পরিকল্পনা করে হিংসা ছড়ানো হয়েছে: মমতা

03:07:01 PM

দেশের কৃতী মেয়েরা তাঁদের পদক ফেরত দিয়েছে: মমতা

03:07:01 PM

বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করার সময় খগেন বাবু কোথায় ছিলেন?: মমতা

02:55:00 PM

এর আগে জেলার কংগ্রেস ও বিজেপি সাংসদরা বাংলার কথা দিল্লিতে গিয়ে বলেনি: মমতা

02:54:16 PM