Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার দুর্ভাগ্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এত বড় একটা সাইক্লোনে একটি রাজ্যের বৃহৎ অংশ একপ্রকার বিধ্বস্ত হয়ে গেল, অথচ গোটা দেশের কোনও দোলাচল নেই? প্রথমদিন ট্যুইটারে সমবেদনা জানিয়েই সকলে যে যার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল? কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে রাজ্যটাকে পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনও দৃপ্ত সহায়তা প্রতিজ্ঞাও তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এই নির্লিপ্তি কেন? এরকম নানা প্রশ্ন বাতাসে ঘুরছে। পশ্চিমবঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্মিত এবং আহত মনোভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। অথচ সত্যি কথা হল, এই যে দেশের এরকম মনোভাবে একটি বৃহৎ অংশের বাঙালি ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত হওয়াটাই বরং বেশি বিস্ময়কর! যেন এরকম ঘটনা নজিরবিহীন। যেন ভারতের এই নির্লিপ্ত মনোভাব প্রত্যাশাই করা যায়নি। এই বিস্ময়ের কারণ হল, ইতিহাসবিস্মৃতি। যা এখন বাঙালি জীবনের লেটেস্ট ট্রেন্ড। বাঙালির জীবনে আধুনিক ভারতে যত সর্বনাশ হয়েছে, সেটা এই দেশের আর কোনও জাতির ভাগ্যে ঘটেনি। এবং প্রতিটি সর্বনাশেই দেশ ছিল উদাসীন। একটা উম-পুন নামক সাইক্লোন আসবে এবং তৎক্ষণাৎ গোটা দেশ পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানোর শপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এই প্রত্যাশা তাই অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। বরাবরই বাংলা যখন একটু আর্থিক, সামাজিক, প্রশাসনিক সুস্থিতির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে, তখনই একটি করে চরম দুর্ভাগ্য আছড়ে পড়েছে এই জাতির উপর। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার মতো অভিঘাত তৈরি করেছে। এরকম ধারাবাহিক দুর্ভাগ্যযাপন ভারতের একটিও রাজ্য ভোগ করেনি।
সবথেকে বড় দুর্ভাগ্য হল, বাঙালি নিজেই সেই দুর্দশাকে মনে রেখে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, এরকম দেখা যায়নি। বরং প্রতিটি সর্বনাশের পরই বাংলার অভ্যন্তর থেকেই সবথেকে বেশি প্রতিবন্ধকতা ও অন্তর্ঘাত এসেছে। যে ট্র্যাডিশন এখনও চলছে। আর বহিরাগত শাসক বরাবরই এই সুযোগটা নিয়ে বাঙালিকে নানারকমভাবে বিভাজিত করার ইন্ধন দিয়েছে। কখনও সম্প্রদায়গতভাবে, কখনও রাজনৈতিক। সেই ফাঁদে বাঙালির একটি অংশ পা দিয়েছে বরাবর। বাংলার সর্বনাশে দেশ উদাসীন, এই প্রবণতা মোটেই নতুন নয়। মন্বন্তর, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, দেশভাগ। ১৭৭০ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সময়সীমায় প্রধানত এই চারটি মহাসঙ্কট বাঙালি জাতিকে বারংবার অগ্রসর হওয়া থেকে পিছিয়ে দিয়েছে। বিদেশি শাসক, রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষীরা তো বটেই, প্রকৃতিও ভারতের এই পূর্ব প্রান্তের প্রতি বহুবার নির্দয় আচরণ করেছে।
১৭৬৮ সালে শেষবার সামান্য হলেও একটু বৃষ্টি হয়েছিল। ১৭৬৯ সালে প্রায় হলই না। অক্টোবর মাসেই মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাউন্সিল অফিসে খবর আসতে শুরু করল, মানুষ নাকি না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। ধানের চাষ হয়নি। চরম খরা। নভেম্বর মাসে চাষিরা জানিয়ে দিল, তুঁতে আর তুলোচাষও করা যাবে না। জল নেই। যা সাধারণত ধানের পর করা হয়। ডিসেম্বর মাসে মুর্শিদাবাদের প্রশাসক রেজা আলি খান কলকাতায় কোম্পানি অফিসে চিঠি পাঠিয়ে বললেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, মানুষ চাল কেনার জন্য সন্তান বিক্রি করতে শুরু করেছে। সবথেকে বেশি অনাহারে মারা যাচ্ছে ভূমিহীন মজুর, মাঝি, ক্ষুদ্রশিল্পীরা। কেউ কিছু করেনি। ১৭৭০ সাল। ফেব্রুয়ারি মাসে চালের দাম ১০ গুণ বৃদ্ধি পেল। তখন আর মন্বন্তর আটকে নেই মুর্শিদাবাদে। কলকাতার রাস্তায় আছড়ে পড়ছে মানুষ। হেঁটে হেঁটে চলে আসছে গ্রামগঞ্জ থেকে ক্ষুধার্ত। জুলাই থেকে নভেম্বর, এই চার মাসে শুধু কলকাতার রাস্তায় কতজন মারা গেল অনাহারে? ৭৬ হাজার! কোম্পানি থেকে বলা হয়েছিল যারা রাস্তা থেকে মৃতদেহ সরিয়ে গঙ্গায় ফেলবে, তারা চাল পাবে। মৃতদেহ সরানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয় নিম্নবর্গের বাঙালির মধ্যে। শুধু মন্বন্তর? বাংলার ভাগ্যকে ধ্বংস করতে তার আগেই হাজির হয়েছিল স্মল পক্স। শুধু মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে এসেছিল ৬৩ হাজার মৃত্যুর খবর। স্বয়ং ছোট নবাব সঈফ-উদ-দৌল্লার মৃত্যু হয় স্মল পক্সে। অচিরেই ১২ লক্ষ মানুষের মূত্যু হয়েছিল মন্বন্তরে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেব শস্যের ভাণ্ডার খুলে দিলেও কোম্পানি এই সময়টায় কী করেছিল? খাজনা আদায় বাড়াতে সেপাইয়ের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। ডিফেন্স বাজেট ২ কোটি পাউন্ড থেকে বাড়ানো হয় ৪৪ শতাংশ। যারা খাজনা দিতে পারেনি অথবা বাধা দিয়েছে, তাদের গাছে গাছে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলশ্রুতি কী? ১৭৭০-৭১ সালে কোম্পানি তাদের লন্ডন হেড কোয়ার্টারে ১০ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৫৫ পাউন্ড ট্যাক্স সংগ্রহ ট্রান্সফার করেছিল। সমস্ত চাল বাজেয়াপ্ত করে বিপুল অর্থ মুনাফা হয়ে গেল ছ’মাসে। যা ছিল রেকর্ড। বাঙালির মৃত্যুও হয়েছিল রেকর্ড। বাংলার মানবসম্পদের বিপুল অংশ ধ্বংস হয়ে গেল অনাহারে।
১৯৪২ সালের ৭ মার্চ, রেঙ্গুন প্রায় জনশূন্য। কারণ জাপানের আক্রমণ। বার্মার চাল বাংলায় নিয়ম করে এসেছে। কিন্তু সেইদিন থেকে বার্মার ওই বিপুল চালের স্টোরেজ ভারতের জন্য বন্ধ হল। ওদিকে সমুদ্র আর স্থলপথে দলে দলে মানুষ ও ব্রিটিশ সেনা বার্মা থেকে পালিয়ে ভারতে ফিরছে। এদের সিংহভাগ কোথায় এসে থাকছে? কিছু অসম, বেশিটাই বাংলায়। প্রথম ছ’মাসে বাংলা নিজের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে প্রতিদিন অতিরিক্ত এই ৫ লক্ষ মানুষ ও সেনাকে খাইয়েছে। বাংলার ভাণ্ডারে থাকা অতিরিক্ত কত টন শস্য এভাবে খরচ হয়েছে? দেড় লক্ষ টন! বাকি ভারতের গায়ে কিন্তু আঁচ পড়ছে না। বরং উলটে ভারত থেকে বিদেশে ১৯৪২ সালে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার টন চাল রপ্তানি করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। পাশাপাশি জাপানকে আটকাতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? ডিনায়াল পলিসি। বাংলার জেলায় জেলায় জোর করে ধান-চাল কিনে নিতে শুরু করল সরকার। না দিতে চাইলে ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি। প্রাথমিক ধাক্কা খুলনা, মেদিনীপুর আর বরিশালে। শুধু এই তিন জেলা থেকেই ৩০ হাজার টন চাল নিয়ে নেওয়া হল। আর ৫ হাজার টন পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলার বাইরে। আর এক ধ্বংসাত্মক নীতি। নৌকা অপসারণ। জাপানিরা যাতে নৌকা না পায়, অগ্রসর হতে না পারে, তাই হাজার হাজার নৌকা সাধারণ মানুষের থেকে কেড়ে নেওয়া হল এবং ধ্বংস করা হল। পাঁচ মাসে অন্তত ৪৬ হাজার নৌকা ধ্বংস হল। নৌকা মানে কি? নৌকা মানে নদীমাতৃক বাংলায় চাষ করতে যাওয়া, বীজ আনা-নেওয়া, লেবারদের আসা যাওয়া, মাছ ধরা। অর্থাৎ জীবনযাপনের প্রাথমিক ভিতটাই ধ্বংস। চাষিরা নিজেদের খাবার চাল না রেখেই সরকারকে ভয়ে ভয়ে সব চাল দিয়ে দিতে বাধ্য হল। এসব চাল কোথায় গেল? ২৫ মার্চ ১৯৪৩ সালে বাংলার বিধানসভায় রাজস্বমন্ত্রী প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, সরকারের কোনও ধারণাই নেই যে, কীভাবে এজেন্টদের মাধ্যমে গভর্নর চুক্তি করেছিলেন। এমনকী বাংলা থেকে চাল বাইরে রপ্তানি করে দেওয়া হয়েছে এটাও প্রদেশ সরকারের অগোচরে হয়েছে। গভর্নরের নাম ছিল জন আর্থার হার্বার্ট। ব্রিটিশ সরকারের দিল্লির ভাইসরয় অথবা ভারতের সব প্রদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দেশ উত্তাল করে দিতে দেখা যায়নি। যদিও জাতীয় কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতা তখন জেলবন্দি। কিন্তু অন্য কোনও প্রদেশ থেকে কংগ্রেস অথবা কংগ্রেস বিরোধী কোনও দলের নেতানেত্রীকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়নি বাঙালির দুঃসময়ে। ১৯৪৩ সালের সেই দুর্ভিক্ষে ভাতের জন্য কী দেখা গিয়েছিল? চলন্ত ট্রেনের সামনে সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলেছে বাবা। স্বামীরা স্ত্রীকে, বাবারা মেয়েকে ঠেলে দিয়েছে শরীর বিক্রি করে চাল আনার জন্য। বগুড়া, জলপাইগুড়িতে দেখা গিয়েছে, গাছের পাতা খেয়ে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ। এবং কলকাতার রাস্তায় যখন গড়ে ১২০ জন করে মারা যাচ্ছে অনাহারে, তখন অশোককুমারের ‘কিসমৎ’ হাউসফুল ‘রক্সি’ সিনেমা হলে। কিসমতের ১৯৪৩ সালের বক্স অফিস কালেকশন ছিল ১ কোটি ২৩ হাজার টাকা। ৩০ লক্ষ বাঙালির মৃত্যু হয়েছিল ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে। মুনাফা করেছিল মজুতদার আর ব্যবসায়ীরা। ভারত ছিল উদাসীন।
মাত্র তিন বছরের মধ্যে ১৯৪৬ সালে কলকাতা আর বাংলায় ছড়িয়ে পড়ল দাঙ্গা। বাংলা একপ্রকার শ্মশান হয়ে যাচ্ছে। নোয়াখালি থেকে কলকাতা। থামেনি সেই দাঙ্গা। ১৯৫০ সালে আবার। লাগাতার। কিন্তু বাকি প্রদেশগুলির হস্তক্ষেপ কোথায়? কেন্দ্রীয় সরকার কতটা মরিয়া হয়ে ঠেকাচ্ছে? আর কারাই বা বাংলার সর্বনাশ ঠেকানোর চেষ্টা না করে শুধু আরও বেশি করে দাঙ্গায় প্ররোচনা দিয়ে চলেছে ওই সময়টায়? এসবই ইন্ধন এসেছে বাংলার বাইরে থেকে। বাকি সব রাজ্য তখন নতুন স্বাধীনতায় কেন্দ্র থেকে বেশি আর্থিক প্যাকেজ জোগাড় করে রাজ্যটাকে সাজিয়ে নিতে আগ্রহী। আর বাংলা ডুবছে অন্ধকারে।
১৯৫০ সালের পর শিয়ালদহ, এসপ্ল্যানেড, ডালহৌসি স্কোয়ারের রাস্তায় রাস্তায় দেখা গেল দু’-চারজন করে যুবতী হাতে বাক্স নিয়ে চাঁদা তুলছেন। উদ্বাস্তু সম্মিলিত বিদ্যালয়ের জন্য। তাদের দেখে কেউ এগিয়ে এসে পয়সা দিয়েছে। কেউ কেউ ব্যঙ্গ করে বলেছে, সবটাই ধাপ্পা। এই যুবতীরা কেউ ছিল ময়মনসিংহে স্কুলশিক্ষকের মেয়ে, কারও বাবা ছিলেন পাবনার উকিল। এরকম ভিক্ষাবৃত্তির অভ্যাস নেই। তবু এই অপমান সহ্য করে তারা কলোনির স্কুলের বইখাতা কেনা কিংবা স্ট্রাকচার করার জন্য টাকা তুলেছেন চোখের জল লুকিয়ে। দাঁতে দাঁত চেপে। বিধানচন্দ্র রায় এরপরই উদ্যোগী হন উদ্বাস্তুদের স্কুলের জন্য। ১৯৪৯ সালে উদ্বাস্তুদের স্কুলের সংখ্যা ছিল ৩৪০। সেটাই ১৯৬০ সালে বেড়ে হয় ১৪০০। কোথায় তখন কেন্দ্রীয় সরকার? কোথায় বাকি ভারত?
১৯৫০ সালের অক্টোবর মাসে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৩২ লক্ষ উদ্বাস্তু এসেছে। সেই বছরের ১৯ মার্চ সংসদ সদস্যা রেণুকা রায় সংসদে বললেন, পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি ছোট্ট রাজ্যে এত উদ্বাস্তু এসেছে। আমাদের একার পক্ষে কি এই বিপুল চাপ সহ্য করা সম্ভব? ভারতের অন্য রাজ্য কেন ভাগ করে নেবে না? জওহরলাল নেহরু ও বল্লভভাই প্যাটেল তার আগেই অবশ্য বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে উদ্বাস্তুদের ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কটা রাজ্য নিয়েছে উদ্বাস্তুদের ভার? পাঞ্জাব থেকে দিল্লিতে আসা উদ্বাস্তুদের আজকের আর্থিক স্ট্যাটাস আর বাংলার উদ্বাস্তুদের স্ট্যাটাসে এখনও বিরাট ফারাক। সব চাপ নিতে হয়েছে একা বাংলাকে। শুধু ব্যতিক্রম হিসেবে দণ্ডকারণ্য এবং আন্দামান রয়েছে। অর্থাৎ এই দুই জনমানবশূন্য স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল উদ্বাস্তুদের। দেশ ছিল উদাসীন।
আজ সাইক্লোন আসার পর গোটা দেশ অথবা কেন্দ্রীয় সরকার তাই ইতিহাসগতভাবেই নির্লিপ্ত। গোটা রাজ্যের বহু অংশ ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে। ৬ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকার কত টাকা সাহায্য করল? ১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ক্ষতিপূরণ হিসেবপত্র করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কেন শুরুতে আরও বেশি দেওয়া গেল না? ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় ১৯৪৯ সালে জওহরলাল নেহরুকে একটি চিঠি লেখেন অত্যন্ত ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে। চিঠিতে বলেছিলেন, আপনি যে টাকা বাংলায় আসা ১৬ লক্ষ উদ্বাস্তুর জন্য বরাদ্দ করেছেন, সেটা পাঞ্জাবের উদ্বাস্তু তহবিলের তুলনায় অনেক কম। মাথাপিছু ২০ টাকা হয়! ৭৩ বছর পর উম-পুন নামক একটি সাইক্লোনে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে যে আর্থিক সাহায্য প্রাথমিকভাবে দিয়েছে, সেটা ৬ কোটি ক্ষতিগ্রস্তর জন্য বরাদ্দ ধরা হলে, মাথাপিছু পড়ে ১৬৬ টাকার মতো। অথচ অন্তহীন মানুষ আজ অর্থ, খাদ্য, বাসস্থানে নিঃস্ব।
সুতরাং, মন্বন্তর, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, দেশভাগ কিংবা উম-পুন...। বাংলার সর্বনাশে দেশ চিরকালই উদাসীন।
29th  May, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM