Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে। তাঁদের লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দু-মুসলিম বিভেদের চক্করে। কিন্তু, তীব্র সংক্রামক রোগের আক্রমণ এবং প্রকৃতির রোষের মুখ থেকে কেউ রক্ষা করতে পারছে না—না গালভরা ধর্মজ্ঞান এবং না ক্ষমতা ও ধনসম্পদের অহঙ্কার—বরং কার্যক্ষেত্রে এসবই নিতান্ত অসহায়! এ ছবি ভারতের। এ ছবি কম-বেশি সারা পৃথিবীর। অনেক দিন আগে শোনা বাউল পাঞ্জ শাহের একটি কথা আজ মনের কোণে উঁকি দিচ্ছে, প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে ভীষণ: ‘‘লোকে পেটের জ্বালায় দেশান্তরী হয়/ হিন্দু-মুসলমানের বোঝা মাথায় করে বয়/ কার বা জাতি কেবা দেখে ঘরে এলে চিহ্ন কী।/ জেতে অন্ন নাহি দিবে রোগে না ছাড়িবে/ ... মৃত্যু হলে যাবে চলে জেতের উপায় হবে কী।’’
গ্রামের মানুষের প্রতি বেশিরভাগ শহুরে মানুষের তাচ্ছিল্যের মনোভাব, শ্রদ্ধার অভাব রবীন্দ্রনাথকে ব্যথিত করেছিল। ‘‘অধিক দূরে নয়, তোমাদের দ্বারের নিকটে ক্ষুধিতেরা দাঁড়াইয়া আছে।’’—জানিয়ে উচ্চকোটির মানুষের বিবেক জাগাতেও সচেষ্ট ছিলেন তিনি। কবি ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন, ‘‘হৃদয়হীন বিলাসের ক্রোড়ে যে নিদ্রিত আছে, মহেশ্বরের বজ্রশব্দে যদি একদিন সে জাগিয়া উঠে তবেই তাহার চেতনা হইবে, নতুবা দুঃখী-অনাথের ক্রন্দন ধ্বনিতে তাহার নিদ্রা ভঙ্গ হইবে না।’’
কলেরা, প্লেগ, পক্সের মতো অতীতের কিছু মহামারীর ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, বিপন্ন মানুষের মধ্যে গরিবই ছিল বেশি। যক্ষ্মা মহামারী না-হলেও, এই সংক্রামক রোগেও ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় শীর্ষে গরিবরাই। কারণ, বেশিরভাগ গরিব পরিবারের কাছে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অধরা। ব্যতিক্রম করোনা বা কোভিড-১৯। অন্তত ভারতের ক্ষেত্রে। এ দেশে করোনার পুরোটাই আমদানিকৃত। এখনও পর্যন্ত যতটুকু জানা যায়, এতে গরিব মানুষের দায় নেই। বরং বিদেশে যাতায়াত অথবা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে, এমন সম্পন্ন সম্ভ্রান্ত কিছু মানুষের অজ্ঞতা অথবা স্বার্থপরতার শিকার তাঁরা। সব মিলিয়ে করোনা মহামারী সমস্ত শ্রেণীকে এক বন্ধনীতে এনে ফেলেছে। সাম্প্রতিক অতীতে পশ্চিমবঙ্গে যতগুলি বিধ্বংসী ঝড় আছড়ে পড়েছে, তার কোনওটিই কলকাতা মহানগরীকে সেভাবে স্পর্শ করেনি। ব্যতিক্রম উম-পুন।
২০ মে, বুধবার এই ভয়াল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় এবং সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি শহরতলি-সহ মূল কলকাতাকে একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রবল বেগের এবং তুলনামূলক দীর্ঘস্থায়ী এই তাণ্ডবে ভেঙে অথবা উপড়ে পড়েছে হাজার হাজার গাছপালা। গাছেরা অবশ্য একা নয়, সঙ্গে নিয়ে পড়েছে বিদ্যুতের অসংখ্য খুঁটিকেও। বেশকিছু পুরনো বাড়ি ভূপতিত হয়েছে। মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে নতুন কিছু বাড়িরও। অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে কলেজ স্ট্রিটে ঐতিহ্যবাহী বই-ব্যবসার। দশাসই চেহারার গাছ আড়াআড়ি শুয়ে থাকায় আটকে গিয়েছে রাস্তা, নর্দমা। সবার আগে বিপর্যস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। আমরা জানি, বিদ্যুৎই হল আজকের নগরসভ্যতার প্রাণ। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের স্বাভাবিক পরিণাম—পুরসভার পানীয় জল সরবরাহ এবং হঠাৎ জমে যাওয়া জল নিকাশি ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়া। বাড়িতে বাড়িতে প্রচণ্ড দুর্ভোগ—পাম্পে জল উঠেব না। ফ্রিজ, ফ্যান, এসি, টিভি চলবে না। মোবাইল ফোন রিচার্জ হবে না। বন্ধ হয়ে যাবে ব্রডব্যান্ড ওয়াইফাই। ফোনের টাওয়ারগুলি অকেজো হয়ে পড়বে। অথচ, লকডাউনের মধ্যে প্রতিটি শহুরে পরিবারের ফ্রিজ এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থার উপর নির্ভরতা অনেক বেশি। হাজার হাজার চাকরিজীবী ওয়ার্ক ফ্রম হোম সিস্টেমে চাকরি টিকিয়ে রেখেছেন। স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি সব বন্ধ। বন্ধ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির কোচিং। ফলে, এসবের বিশেষ পাঠদান ও পাঠগ্রহণ (অনলাইন ক্লাস) চলছে ঘরে বসেই। অনেক গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসাধীন আছেন বাড়িতেই। হাসপাতাল, নার্সিংহোমেও চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখাও দুষ্কর এই সময়। দূরপাল্লার ট্রেন, বাস এবং ডোমেস্টিক ফ্লাইটের টিকিট বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। সবটাই অনলাইন। এই দুর্দিনে ই-কমার্স এবং অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতার কোনও অভাব নেই। তিনি বরং সর্বশক্তি দিয়েই চেষ্টা করেছেন। তাঁর প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলতে চেয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। তবু কাঙ্ক্ষিত সময়ের ভিতরে সবটা করা যায়নি। শহরবাসীও বুঝেছেন, একে কলকাতার ক্ষেত্রে এ এক অদৃষ্টপূর্ব বিপর্যয়, তার উপরে এটা ঘটেছে টানা লকডাউন পর্বের ভিতরে। এই পরিস্থিতিতে যে বাড়তি লোকবল দরকার, সরকার ও পুরসভার তাতে বেশ ঘাটতি ছিল। কারণ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বেশিরভাগই থাকেন অন্য জেলায়, অনেক দূরেও অনেকে। লকডাউনের কারণে তাঁরা যে যার বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন অনেক দিন আগেই।
তবে কারণ যা-ই হোক, লক্ষ লক্ষ মানুষের এই অভাবনীয় দুর্ভোগটা বাস্তব, যেটা বৃহত্তর কলকাতার মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেলেন, স্মরণকালের মধ্যে সম্ভবত এই প্রথম। শহরবাসীরা এই সুযোগে একবার উপলব্ধি করার চেষ্টা করব কি—সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ মাঝেমধ্যেই এমন বিপর্যয়ে কী নিদারুণ কষ্ট ভোগ করেন? ২০০৯-এর আইলা এবং ২০১৯-এর ফণী ও বুলবুলের ক্ষত কি সারিয়ে উঠতে পেরেছেন তাঁরা? ভেবে দেখুন, উম-পুনের আঘাতটা তাঁদের কাছে আক্ষরিক অর্থেই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা-ই হয়ে উঠল। রবীন্দ্রনাথ এটাকেই ‘‘মহেশ্বরের বজ্রশব্দে যদি একদিন সে জাগিয়া উঠে তবেই তাহার চেতনা হইবে’’ বলে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন কি না ভাবতে হবে।
কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারের কাছেই আমাদের সমবেত দাবি থাক, কলকাতার পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনায় বিস্তৃত সুন্দরবন লাগোয়া জনপদটাকেও যেন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাসযোগ্য করে তোলা হয়। ওই এলাকার বাৎসরিক বন্যা এবং নদীবাঁধ সমস্যারও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত তুলে ধরুক, যথেষ্ট আন্তরিকতার পরিচয় দিক। তাঁদের বহু দশকের এই যন্ত্রণা আমাদের মতো শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে কোনও দিনই স্পর্শ করেনি। তাঁদের দুঃখে এতটুকুও কাতর হইনি আমরা। অথচ, তাঁদের দুঃখকষ্ট আমাদের থেকে অনেক অনেক বেশি। শহরে আজকের সাময়িক যন্ত্রণায় আমরা যতটা কাতর হয়েছি, এই যন্ত্রণা তাঁরা ভোগ করেন ৩৬৫ দিন! তাঁদের যন্ত্রণা অনুভব করতে না-পারার কারণ আর কিছুই নয়, গ্রামের সবদিক থেকে দুর্বল মানুষগুলিকে আমরা কোনও দিনই সমগোত্র ভাবতে শিখিনি, পারিনি। এই যে মিথ্যে অহংবোধ, এটাই এই ভারতের সমস্ত সর্বনাশের মূলে। এটাই ‘বিষবৃক্ষ’।
উম-পুন হাজার হাজার প্রিয় বৃক্ষ উপড়ে দিয়েছে। রেখে গিয়েছে বিষবৃক্ষটি—যার শিকড় চারিয়ে রয়েছে বহু গভীরে। পারব কি আমরা বাংলার মাটি থেকে, ভারতের মাটি থেকে বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলার পবিত্র দায়িত্বটি পালন করতে? আমরা অনুমান করতে পারি—করোনা এবং উম-পুনের অনুজরা নজর রাখবে। আমরা ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে তারা হাজির হবে সমুচিত জবাব নিয়ে ফের।
আমাদের উচিত হবে, বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলার পাশাপাশি প্রিয় বৃক্ষরোপণের উৎসবে মেতে ওঠা। আমরা জানি, একটি গাছ একটি প্রাণ। উম-পুন ঝড়ে যত গাছ ধ্বংস হয়েছে অন্তত তত গাছ বড় করার দায়িত্ব আমাদের সকলকেই নিতে হবে। জনে জনে। বর্ষা ঋতু সামনেই। রাজ্য সরকারের বন বিভাগ, সামাজিক বনসৃজন দপ্তর এবং সমস্ত পঞ্চায়েত ও পুরসভা সমবেত উদ্যোগ নিলে এ কাজ দুরূহ নয়। সুন্দরবনের বহু ক্ষতি ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। কাঠ মাফিয়া এবং চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্যে। কিছুটা হয়েছে গরিব মানুষের পেটের দায় থেকে। দুই বাংলা মিলিয়েই। সুন্দরবন নামের মহিমা ফিরিয়ে দেওয়ার মিলিত উদ্যোগ নিতে পারে নাকি দুই দেশ—বাংলার নিজস্ব সম্পদটিকে পৃথিবীর গর্ব করে তুলতে? ওই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যত ঘাটতি থাকবে তত কোপ পড়বে বনের উপর! আমরা যেন ভুলে না যাই, উত্তরে যেমন হিমালয় দক্ষিণে তেমন সুন্দরবন—আমাদের দু’টি বিরাট রক্ষাকবচ। কল্পনা করুন, সুন্দরবন নেই আর বয়ে গিয়েছে উম-পুন! কলকাতা মহানগরীর অস্তিত্বটাই হয়তো আজ কষ্টকল্পনা হয়ে উঠত।
28th  May, 2020
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
একনজরে
বিধাননগর হাসপাতাল মোড়ের কাছে  দুই ব্যক্তি গল্প করছেন। ধীরেন রায় নামে একজন বলছেন, দেখলেন তো তৃণমূলের মিছিলে ভিড়। কিসের লোভে লোকগুলো ঘুরছে বলুন তো? ...

বাগদার বিজেপি নেতাদের ফোন করে ভোট চাইছেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। অভিযোগ, তিনি বলছেন, ‘আমাকে জিতিয়ে দিন। জিতে আবার বিজেপিতে ফিরে আসব।’ ...

পুরী থেকে নন্দকুমার আসার পথে ওড়িশার জাজপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হল। জখম হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। মৃতদের মধ্যে চারজন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ...

 ফুটবলের মক্কা কলকাতা। তিন প্রধানকে ঘিরে সমর্থকদের অফুরান আবেগ ময়দানের ইউএসপি। ফুটবলের মতো মেট্রো রেলও বঙ্গ সংস্কৃতির ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৬২৯ - প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু
১৭৮১ - ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন
১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু
১৮৫৩ - নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা রসরাজ অমৃতলাল বসুর জন্ম
১৮৯৯ - কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১৯২৭- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম
১৯৭৪ - ইংরেজ গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের জন্ম
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী ২৪/৫০ দিবা ৩/১৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৮/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৮ গতে ১০/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৭ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে।  
৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৫/৩৫। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ৭/৫৫। সূর্যোদয় ৫/১৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৮ গতে ১০/৩ মধ্যে ও ১১/৩৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৮ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

16-04-2024 - 11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

16-04-2024 - 11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

16-04-2024 - 11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

16-04-2024 - 11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

16-04-2024 - 11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

16-04-2024 - 11:04:22 PM