Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না। সব নোনা। সুন্দরবনের দ্বীপগুলোর মাঝে মিষ্টি জলের যতটুকু সংস্থান ছিল, তার একটিরও অস্তিত্ব নেই। পুকুরে মাছ চাষ হয়েছিল, সব মরে গিয়েছে। সরকার বা বায়ুসেনার পক্ষ থেকে যে কয়েকটা জলের পাউচ কপ্টার থেকে নীচে পড়েছিল, সেগুলোই সম্বল। একটু একটু করে গলা ভেজাতে হবে... মনে ভয় নিয়ে... এই বোধহয় ফুরিয়ে গেল। আর তার সঙ্গে চলবে খোঁজ, মিষ্টি জলের উৎসের...। কোথাও এতটুকু কি বাকি আছে? চাষের সব জমি কি নোনা হয়ে গিয়েছে? তাহলে কী খেয়ে বাঁচব? 
এ কথা এক দশক আগের। ২০০৯ সালের ২৫ মে ‘আইলা’ এসেছিল। ছারখার করে দিয়েছিল সুন্দরবন, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনার অনেকটা। তারপর বয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশে। যে আঘাত আইলা হেনেছিল, তার দগদগে ঘা আজও সুন্দরবন বহন করছে। সেখানে এখনও অপুষ্টিতে ভোগে শিশুরা, বহু জমি আজও নোনা ধরে রেখেছে। এবং তারপরও শেষ হয়ে যাননি সরযূ মণ্ডলরা... বরং চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন, খুঁজেছেন নতুন উপায়। কিন্তু আইলার দুঃস্বপ্ন শেষ হওয়ার আগেই যে এসে পড়েছে উপ-পুন! যতটুকু খড়কুটো এই ১১ বছরে জড়ো করা গিয়েছিল, তার সবটাই ফের ভেসে গিয়েছে। আবার এক ঘূর্ণিঝড় পথে নামিয়েছে সরযূদের। ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া কাঁচা রাস্তার যতটুকু জলের ধারে বেঁচে রয়েছে, সেখান দিয়েই এবার তাঁরা ত্রাণ নিয়ে ফিরবেন। আশ্রয় শিবিরে। তারপর আবার ফিরে যাবেন ওই ভাঙা রাস্তায়... হাত লাগাবেন বাঁধ মেরামতে। নামবেন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে। ওই রাস্তা অবরোধ করার সংস্থান বা ভাবনা... কোনওটাই নেই তাঁদের। উপায় নেই বিক্ষোভ দেখানোরও...।
ঝড়ের পর বিদ্যুৎ নেই ৬০ ঘণ্টা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবিতে ভদ্রেশ্বরে পথ অবরোধ হয়েছে। চলছে বিক্ষোভ। মোটেই অস্বাভাবিক নয়। বহু বাড়িতে শিশু রয়েছে, রুগীও আছে। এমন অবস্থায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম সুবিধাটুকু যদি দিনের পর দিন না মেলে, তা তো কখনও মেনে নেওয়া যায় না! সরকার কী করছে? পুরসভা কী করছে? বিদ্যুৎ কোম্পানির ভূমিকা এরকম কেন? পরিকাঠামো নেই কেন? এইসব প্রশ্নের যুক্তি আছে... পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু দাবি যে আরও একটা রয়েছে! আমাদের এখানে বিদ্যুৎ নেই বলে পাশের পাড়াতেও পরিষেবা দেওয়া যাবে না। আমরা না পেলে পাবে না ওরাও। যে অঞ্চল স্বাভাবিক হয়েছে, তাদের থেকেও কেড়ে নিতে হবে পরিষেবা। বোঝাতে হবে... আমরা যতদিন কষ্টে থাকব, তোমাদেরও থাকতে হবে। বেশ ‘সাম্যবাদী’ চিন্তাভাবনা। কিন্তু মহাশয়রা বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন, ওইসব বাড়িতেও শিশু আছে... রোগী আছে। তাদের অপরাধ কী?
আপনার-আমার ঘরের পাশে কি কোনও সরযূ মণ্ডল থাকেন? আমরা শহুরে... খুঁজে দেখার মতো অত সময় আমাদের নেই। এক কি দু’কামরার নিউক্লিয়ার সংসার, আর অফিস। ব্যাস! ওখানেই সব শেষ। জীবন আমাদের আজ স্বার্থপর করেছে। আমরা আজ দৌড়চ্ছি...। লক্ষ্য? বেশি বেশি উপার্জন, পরিবারের বৃত্তটা আরও ছোট করে আনা। দায়িত্ব শব্দটা আজ পর্যবসিত হয়েছে ‘দায়ে’। তাই লকডাউনে বাড়িতে বসে থাকাটা বিরক্তিকর। দু’বার, তিনবার করে দোকান-বাজার যাওয়াতেই সব সীমাবদ্ধ। তার উপর এসেছে কি যেন এক ঘূর্ণিঝড়। তিনদিন ধরে আলো নেই, পাখা চলছে না, ওয়াটার পিউরিফায়ার খারাপ... এভাবে বাঁচা যায়? কিছু তো বাস-গাড়ি রাস্তায় বেরিয়েছে! একটু হলেও তো শহর স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে! সেটাই যথেষ্ট। বসে পড়তে হবে পথে। বাড়িতে আলো, জল না আসা পর্যন্ত উঠব না। কিন্তু গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে যে! উত্তরও রেডি—‘সে তো ঝড়ে হতেই পারে... জুড়তে কত সময় লাগে?’ কতগুলো ট্রান্সফর্মার যে ঝড়ের সময় বিস্ফোরণে অকেজো হয়ে গেল? ‘সেটাও তো স্বাভাবিক! লোকগুলো কাজ করছে না কেন?’
আমাদের মধ্যে কারও কারও চিন্তা-ভাবনা, প্রশ্নোত্তরগুলো আজ এমনই অসহিষ্ণুতার আড়ালে দাপিয়ে বেড়ায়। সভ্য সমাজে গালভরা একটি শব্দবন্ধ আছে, ‘স্ট্যান্ডার্ড অব লিভিং’। অর্থ কী এর? যেমন আয়, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবনধারা সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু আজকের সমাজে স্ট্যান্ডার্ড অব লিভিংয়ের মানেটা বদলে হয়েছে কমফর্ট। স্বাচ্ছন্দ্যের স্তরটাকে দেদার বাড়িয়ে যাওয়া। পরে যার সঙ্গে আপস করাটাই মুশকিল হয়ে যায়। জন্ম নেয় অসহিষ্ণুতা। মহাত্মা গান্ধী বলতেন, কোনও বিষয় সঠিকভাবে জানা বা বোঝার ক্ষেত্রে রাগ আর অসহিষ্ণুতা সবচেয়ে বড় অন্তরায়। অথচ, আজ আমরা অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত। যার উপসর্গ দিন দিন বাড়ছে। কাজ করতে যাওয়া বিদ্যুৎ কর্মীদের ‘আপ্যায়ন’ করা হচ্ছে বাছাই করা বিশেষণ দিয়ে। ঘিরে ধরছে লোকজন। উড়ে আসছে হুমকি, ‘আলো না আসা পর্যন্ত বেঁধে রাখ এদের’। এপাশ ওপাশ থেকে পড়ছে চড়-থাপ্পড়। আমরা তখন ভুলে যাচ্ছি, ওই গুটিকয়েক লোকই একটা গোটা ইউনিট সারাইয়ের দায়িত্বে আছেন। ঝড়ের আগে থেকেই তাঁরা একবারের জন্য দু’চোখের পাতা এক করেননি। কেউ টানা ৪৮ ঘণ্টা, কেউ ৬০ ঘণ্টা ডিউটি করছেন। এক পাড়া থেকে অন্য পাড়া... ছুটছেন তাঁরা। মই বেঁধে ট্রান্সফর্মারে উঠে কাজ করছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাঁরা জানেন না, কোন তারটা, বা ট্রান্সফর্মারের কোনও অংশটা বিদ্যুৎবাহী হয়ে রয়েছে। ফোন লাইন বহু জায়গায় বিপর্যস্ত। অথচ, সে সব খেয়াল না রেখেই হাতের কাছে পাওয়া মানুষগুলোর উপর বিষ উগরে দিচ্ছি। ভুলে যাচ্ছি, এদের বেঁধে রেখে দিলে আমার ঘরেই বিদ্যুৎ আসবে না।
কী বলা যায় একে? সভ্যতা? নাকি এটাও স্ট্যান্ডার্ড অব লিভিংয়েরই অংশ?
সরযূ মণ্ডলদের কাছে অবরোধ-বিক্ষোভ বিলাসিতা। আসল চ্যালেঞ্জ একটাই, বেঁচে থাকা। তাঁদের পেটে ভাত নেই, ‘৭২ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন’ বলার মতো বাড়িটাও নেই। সেটা তো আমাদের আছে! ঝড়ের আতঙ্কে এলাকার একটা মাত্র পাকা বাড়িতে গিয়ে অন্তত আমাদের শ’খানেক লোককে ঠাসাঠাসি করে রাত কাটাতে হয় না। এটাও তো আশীর্বাদ! পার্ক সার্কাস ময়দানের ধারে দু’টি বছর আষ্টেক আর একটি বছর দু’য়েকের সন্তান নিয়ে যে মা প্লাস্টিক খাটিয়ে থাকে, বিক্ষোভে বসার আগে তার কথাটা আমরা একবার ভাবতে পারি না? বাড়িতে পানীয় জল নেই... বাজারে ৫০ টাকার বোতল কিনতে হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। খুব সত্যি কথা। তাও আমরা জল পাচ্ছি। পাখা চলছে না, মোবাইল চার্জ হচ্ছে না, ওয়াই ফাই বন্ধ, রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে কাটছে... তাও আমাদের বলার মতো একটা ছাদ আছে। করোনা আঘাত হানার পর পথের মানুষদের জন্য পুলিস-প্রশাসন বা বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিত্য খাবারের ব্যবস্থা করছিল। এই দুর্যোগে সেটাও চারদিন বন্ধ। মানে সেই মানুষগুলো পেটে কিল মেরে কোথাও একটা পড়ে রয়েছে। আর আমরা? ডাইনিং টেবলে বসে সরকার, বিদ্যুৎ কোম্পানি, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বাপবাপান্ত করছি।
কাজ করছে ওরা... অক্লান্ত। না হয় একটু
সময় দিয়ে দেখি। সরযূদের পাশে আমরা সবাই দাঁড়াতে পারব না। হয়তো সেই প্রয়োজনও ওদের নেই। ওরা নিজেরাই খুঁজে নেবে উপায়। বেঁচে থাকার। শূন্য থেকে শুরু করবে নিঃস্ব ওই লোকগুলো। আমরা না হয় সেই লড়াইকে মনে রেখেই একটু ধৈর্য ধরে দেখি। মানবিকতার উপর বিশ্বাসটা তাহলে অন্তত থাকবে।
ধৈর্যের কোনও বিকল্প নেই। ঝড় উঠবে... থামবেও। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। জীবনেরও। সবটাই পরিবর্তনশীল। আজ একটু কষ্ট হচ্ছে... আরাম একটু কম হচ্ছে। কাল তো সব ঠিক হবে। আমাদের ঘরে আলো আসবে। বাড়তি দাম দিয়ে কিনে জল খেতেও হবে না। রাস্তাপাশের ওই মানুষগুলোও খেতে পাবে...।
সরযূদের লড়াই কিন্তু তখনও চলবে। 
26th  May, 2020
সতর্ক প্রহরী
পি চিদম্বরম

ব্যারিস্টার ভি জি রো মাদ্রাজ হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন। তিনি ছিলেন বাম-মনস্ক উদার। সমস্ত ধরনের বিজ্ঞানের ব্যবহারিক জ্ঞান, রাজনৈতিক শিক্ষা এবং শিল্প, সাহিত্য, নাটক প্রভৃতিকে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি পিপলস এডুকেশন সোসাইটি গড়েছিলেন।
বিশদ

একটু সময় দিন,
পাশে দাঁড়ান
হিমাংশু সিংহ

বামফ্রন্ট সরকার ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। ভেসে গিয়েছিল একের পর এক জেলা, দক্ষিণবঙ্গের বড় বড় শহর। কলকাতাও রেহাই পায়নি সেই বিপর্যয়ের হাত থেকে।
বিশদ

31st  May, 2020
বিশ্বাসযোগ্যতা ও বলিষ্ঠ
পদক্ষেপের এক বছর
রাজনাথ সিং

যে কোনও দেশের ইতিহাসে পাহাড়প্রমাণ পরিবর্তন দেখার সুযোগ খুব কমই আসে। ২০১৪ সালে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এরকমই একটি বিরাট পরিবর্তন এসেছিল। দেশের মানুষ দুর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিলেন।
বিশদ

30th  May, 2020
বন্দি যখন শিশুমন
তন্ময় মল্লিক

 ‘উফ, আর পারা যাচ্ছে না। কবে যে মুক্তি পাব?’ ‘কতদিন বাজার যাইনি। এইভাবে দমবন্ধ অবস্থায় থাকা যায়?’ ‘দিনরাত গাধার খাটুনি খাটছি। তার উপর তোদের জ্বালাতন। এবার ঠাস ঠাস করে চড়িয়ে দেব।’ লকডাউনের গৃহবন্দি জীবনে এমন সংলাপ আজ প্রায় ঘরে ঘরে।
বিশদ

30th  May, 2020
বাংলার দুর্ভাগ্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এত বড় একটা সাইক্লোনে একটি রাজ্যের বৃহৎ অংশ একপ্রকার বিধ্বস্ত হয়ে গেল, অথচ গোটা দেশের কোনও দোলাচল নেই? প্রথমদিন ট্যুইটারে সমবেদনা জানিয়েই সকলে যে যার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল? কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে রাজ্যটাকে পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনও দৃপ্ত সহায়তা প্রতিজ্ঞাও তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশদ

29th  May, 2020
ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে।
বিশদ

28th  May, 2020
‘আত্মসম্মান’ খ্যাত এক ভাঁড়ের রসিকতা
সন্দীপন বিশ্বাস 

অন্য দেশের রাজাদের মতো হবুরও আছে বিদূষক। অনেক বিদূষক তাঁর। তাঁদের তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। তাঁরা সেই সব রাজ্যের প্রপালক। তাঁদের কাজ হল মহারাজ হবুর মুৎসুদ্দি করা। আর নানা ধরনের মন্তব্য করে অঙ্গরাজ্যের জনগণকে আনন্দ বিতরণ করা।  বিশদ

27th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
একনজরে
 সুখেন্দু পাল, বহরমপুর: সালাউদ্দিন পর্দার আড়ালে যেতেই রাজ্যে জেএমবির সংগঠন বিস্তারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল আব্দুল করিম। সামশেরগঞ্জে বসে সে বাংলাদেশেও জেএমবির সংগঠন মনিটরিং ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুর পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড দায়িত্ব নিয়েই শহরের জল প্রকল্প ও নিকাশি নালার কাজের উপর জোর দিল। গত ২০ মে পুরসভায় তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর রাজ্যের নির্দেশে পাঁচ জনের প্রশাসক বোর্ড ২৩ মে দায়িত্ব নিয়েছে।  ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়-১ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকে বোমাবাজির জেরে জখম হয়েছেন কয়েকজন। আহতরা সকলে যুব শিবিরের অনুগত। প্রতিবাদে যুব গোষ্ঠী রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে। ...

চেন্নাই, ৩১ মে (পিটিআই): কেন্দ্রীয় সরকার ৩০ জুন পর্যন্ত শুধুমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন চালানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্র সরকার গত নির্দেশিকা বদলের কোনও ঘোষণা করেনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস
১৮৭৪ - ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয়।
১৯২৬- আমেরিকার মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা মেরিলিন মনরোর জন্ম
১৯২৯- অভিনেত্রী নার্গিসের জন্ম
১৯৩৪ - কবি, নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৪- সঙ্গীত পরিচালক ইসমাইল দরবারের জন্ম
১৯৬৮- মার্কিন লেখিকা ও সমাজকর্মী হেলেন কেলারের মৃত্যু
১৯৭০- অভিনেতা আর মাধবনের জন্ম
১৯৮৫ - ভারতীয় ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের জন্ম।
১৯৯৬-ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির মৃত্যু
২০০১- নেপাল রাজপরিবারে হত্যাকাণ্ড। যুবরাজ দীপেন্দ্র গুলি করে হত্যা করে বাবা, মা, নেপালের রাজা বীরেন্দ্র এবং রানি ঐশ্বর্যসহ পরিবারের একাধিক সদস্যকে।
২০০২ - দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের মৃত্যু,
২০০৯- রিও ডি জেনেইরো থেকে প্যারিস আসার পথে অতলান্তিক মহাসাগরে ভেঙে পড়ল এয়ার ফ্রান্সের এয়ারবাস এ ৪৪৭। মৃত ২২৮ আরোহী।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৭৯ টাকা ৭৬.৫১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৭৩ টাকা ৯৫.০৩ টাকা
ইউরো ৮২.৪৬ টাকা ৮৫.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
31st  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ১ জুন ২০২০, সোমবার, দশমী ২৫/৫ দিবা ২/৫৮। হস্তা নক্ষত্র ৫০/১৮ রাত্রি ১/৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৬, সূর্যাস্ত ৬/১২/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৩ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ১ জুন ২০২০, সোমবার, দশমী দিবা ১২/১৪। হস্তানক্ষত্র রাত্রি ১১/১। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০ গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।
৮ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিদ্যার্থীদের সময় নষ্ট না করা উচিত। বৃষ: কোন ব্যক্তিকে অতিরিক্ত ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস১৮৭৪ - ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয়।১৯২৬- আমেরিকার ...বিশদ

07:03:20 PM

উত্তর প্রদেশে করোনা আক্রান্ত আরও ২৯৬, মৃত ৫ 
উত্তর প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২৯৬ জন। ...বিশদ

09:21:40 PM

মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত আরও ১৪১৩, মৃত ৪০ 
মুম্বইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৪১৩ জন। মৃত ...বিশদ

09:12:55 PM

গুজরাটে করোনা আক্রান্ত আরও ৪২৩, মৃত ২৫ 
গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২৩ জন করোনা আক্রান্ত ...বিশদ

08:55:01 PM

বন্ধ কামাক্ষ্যা মন্দির, হচ্ছে না অম্বুবাচী মেলাও 
আগামী ৩০ জুন অবধি বন্ধ থাকছে কামাক্ষ্যা মন্দির। এজন্য এবছর ...বিশদ

08:46:05 PM