Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম। কিন্তু বন্ধ ঘরের আশ্রয় এত দীর্ঘ হয়ে গেল যে তার ধাক্কায় স্তব্ধ অর্থনীতির চাকা। অতএব অনিবার্য হয়ে উঠেছে অর্থনীতির চাকায় ফের গতিসঞ্চারের মরিয়া চেষ্টা। ধীর পদক্ষেপেও সেটা করতে গিয়ে আতঙ্ক গ্রাস করছে—লকডাউনের এত কৃচ্ছ্রসাধন পুরো জলে চলে যাবে না তো! উহান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি জায়গার অভিজ্ঞতা তো তেমনই। দিন যত এগচ্ছে ততই পরিষ্কার হচ্ছে যে করোনা নামক মায়া-হস্তির সামনে আমরা সকলে রকমারি অন্ধ-দর্শক। একের সঙ্গে অন্যের পর্যবেক্ষণ বিশেষ মিলছে না। আজকের ‘দৃঢ়’ উপলব্ধি কালই নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে। ক্রমে যেন কুয়াশার মতো হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিষেধক উদ্ভাবনের উচ্চাশা। বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশের আপাতত অভিমত হল, করোনা নিয়েই আমাদের চলতে হবে, বাঁচতে হবে—জীবনের আর পাঁচটি স্বাভাবিক সমস্যাকে সঙ্গী করে নিয়ে যেমন দিব্য চলেছি আমরা! এমনটা শোনার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। এ কোনও সামান্য দুঃসংবাদ নয়, বিরাট এক ধাক্কা, যেন বিনা মেঘে বজ্রাঘাত! তবে মানুষের অন্বেষণ প্রবৃত্তি ও প্রবণতায় পূর্ণচ্ছেদ বলে কিছু হয় না। প্রতিষেধক আবিষ্কারে মানুষ এখনও মরিয়া—আন্তরিকভাবে লড়ে যাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপের পাশাপাশি চীন এবং ভারতও। জীবিকায় ফিরতে ক্ষেত্রবিশেষে লকডাউন শিথিল করা নিয়েও একাধিক মত বেরিয়ে আসছে। সোজা কথায়, তীব্র আজ জীবনের সঙ্গে জীবিকার অভূতপূর্ব এক লড়াই। যদিও এই লড়াই প্রতিনিয়ত জয়ের সঙ্কেতই দিচ্ছে—মানুষকে জীবিকায় ফিরিয়ে আনার প্রেরণা জুগিয়ে। জীবনের ধ্বজা ঊর্ধ্বে তুলে ধরার সূত্র-সন্ধানে গতি আসছে। আরও সহজ করে বলা যায়, জীবন ও জীবিকা নামক দু’কূল রক্ষার এক কুশলী খেলায় জিততে চলেছি আমরা।
ভাবছি বটে, কিন্তু মোটেই সহজ নয়। তার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা দরকার। কারণ ১ ফেব্রুয়ারি নির্মলা সীতারামন যে বাজেট ২০২০-২১ পেশ করেছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তার প্রাসঙ্গিকতা অনেকখানি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনুমিত রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বাস্তবে সামান্য এক ভগ্নাংশে নেমে আসবে। বিরাট ধাক্কা খাবে আর্থিক বৃদ্ধি বা অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন (জিডিপি)। অন্যদিকে, চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং নয়া আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনে আকাশ ছোঁবে সরকারি ব্যয়ের বহর। রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ হবে পূর্বানুমানের দ্বিগুণের বেশি। সুতরাং আয়-ব্যয়ের হিসেব-নিকেশ মাঝপথে নতুন করে রচনা করার অবকাশ তৈরি হয়েছে বলা যায়, যাকে ‘চলতি বছরের বিশেষ করোনা বাজেট’ হিসেবেই গণ্য করা যায়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের জন্য সর্বমোট ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন—তার ভিতরে কতটা আত্মনির্ভরতা অর্জনের মন্ত্র রয়েছে অথবা সেটি কতটা পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচ তা নিয়ে তরজা অব্যাহত। করোনা বাগে আসার পরেও হয়তো তা থামবে না। কিন্তু তাতে আম জনতার কিছু যায় আসে না। মানুষের জিজ্ঞাসার বিষয় একটাই—এটাই কি আমাদের কাঙ্ক্ষিত করোনা বাজেট? এই প্যাকেজ বা বলা ভালো মহামারী বাজেট কি আমাদের মোটামুটিভাবে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম? অর্থনীতির চাকা সামনে গড়িয়ে নিয়ে যেতে এই ঘোষণা কি যথেষ্ট?
কতকগুলি সংখ্যা, পরিসংখ্যান, তথ্য সপ্তাহ কয়েক যাবৎ শিল্প-অর্থনীতি মহলে ঘুরছে।
গত ১৭ মে দেশে বেকারত্বের হার (৩০ দিনের মুভিং অ্যাভারেজ) ছিল ২৩.৮৮ শতাংশ। সংখ্যাটিকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়: শহরাঞ্চলে ২৬.৩ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ২২.৮ শতাংশ। [সূত্র: সিএমআইই] এর থেকে এই ধারণা হয় যে, করোনা পরিস্থিতিতে শহরাঞ্চলের মানুষ বেশি খারাপ আছেন। সিএমআইই সম্প্রতি আরও খারাপ খবর দিয়েছে যে, ২০+ বয়সি ২ কোটি ৭০ লক্ষ যুবক-যুবতী কাজ হারিয়েছেন। দীর্ঘ মেয়াদে এর ফল যে মারাত্মক হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সামান্য কিছু শূন্যপদের জন্য তাঁদেরকে এবার নতুনদের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। সিআইআইয়ের অভিমত হল: ৫২ শতাংশ শিল্প-বাণিজ্য সংস্থার ১৫-৩০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি খোয়াতে হতে পারে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থা আর্থার ডি লিটলের আশঙ্কা, এই দফায় ভারতের সাড়ে ১৩ কোটি মানুষের চাকরিতে কোপ পড়তে পারে। মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার কারণে নতুন করে দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারেন ১২ কোটি নরনারী। তাঁদের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের মুখে পড়তে পারেন শহর-গ্রাম মিলিয়ে ৪ কোটি মানুষ।
অন্য কিছু তথ্য হল: কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মহামারী হয়ে ওঠার জন্য প্রায় সারা পৃথিবী চীনকে ভয়ানক সন্দেহের চোখে দেখছে। বলা বাহুল্য, চীন এই মুহূর্তে এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত গতির অর্থনীতি। ক্রমোন্নত আর্থিক ও সামরিক শক্তিতে বলীয়ান চীন অহরহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ট্রাম্প সাহেবের দাদাগিরি অস্বীকার করার স্পর্ধা দেখায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধে নেমেও ট্রাম্প প্রশাসনের বিরাগভাজন হয়েছেন জি জিনপিং। কোভিড-১৯-কে হাতিয়ার করে চীনকে শায়েস্তা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিধ্বস্ত আমেরিকা। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্ক ছিন্ন করার চিন্তাও ঘুরছে তাদের মাথায়। মনে রাখা দরকার, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি (মোট আমদানির ২১ শতাংশের বেশি) করে যে দেশ থেকে তার নাম চীন। তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি বাণিজ্যেও চীনের গুরুত্ব বিরাট: আমেরিকার তৃতীয় বৃহৎ রপ্তানি বাজার। ২০১৮-র হিসেবে, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ও পরিষেবা বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ৭৩৭ বিলিয়ন ডলারের অধিক। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৩৭৯ বিলিয়ন ডলার! প্রভাবশালী মার্কিন সেনেটরদের একাংশ এখানেই ক্ষান্ত হতে চান না। তাঁরা চান, ২০২২ সালের শীতকালীন ওলিম্পিকস সংগঠনের দায়িত্ব বেজিংয়ের হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার বন্দোবস্তটি পাকা করতে। আর এই পুরো ব্যাপারটিকে কেন্দ্র করে দুই বৃহৎ শক্তির মিডিয়া-যুদ্ধও ‘রণং দেহি’ রূপ নিয়েছে। ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফোরাম সূত্রে আগেই খবর ছিল, শ’দুয়েক মার্কিন বাণিজ্য সংস্থা (কর্পোরেশন) তাদের উৎপাদন কেন্দ্র চীন থেকে ভারতে স্থানান্তরিত করা যায় কি না ভাবছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানেরও কিছু কোম্পানি মুখিয়ে আছে ভারত, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে সরে যেতে। কম্পিউটার, মোবাইল ফোন প্রভৃতি উৎপাদনে বিশ্বখ্যাত এক সংস্থা (যার সদর দপ্তর তাইওয়ানে) তাদের সাপ্লাই চেন অব্যাহত রাখার প্রয়াসে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ পুঁজি চীন থেকে সরিয়ে ভারত, ভিয়েতনাম ও মেক্সিকোতে বিনিয়োগ করেছে। যেসমস্ত কোম্পানি চীন ছাড়তে চাইবে তাদের উৎসাহদানের জন্য জাপান ইতিমধ্যেই ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল গড়তে উদ্যোগী হয়েছে। জাপানের লক্ষ্য ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে আকর্ষণ করা।
টানা লকডাউনের কারণে বিশ্বজুড়ে খনিজ তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা কমে গিয়েছে। ভারতের খনিজ তেল ও গ্যাসের বাজার বিশেষভাবে আমদানি-নির্ভর। ২০১৯-এ মোট তেলের চাহিদার ৮৪ শতাংশ এবং মোট গ্যাসের চাহিদার ৫৩ শতাংশ আমদানি করা হয়। লকডাউনকালে চাহিদা বিপুলভাবে ধাক্কা খেয়েছে, আবার দামেও ঘটেছে রেকর্ড পতন। তার ফলে ভারতের তেল আমদানির খরচ ইতিমধ্যেই ৯ শতাংশ কমে গিয়েছে। এটা একদিক থেকে কোনও অর্থনীতির জন্যই সুখবর নয়, ভারতের জন্যও নয়। কারণ ভারতেরও নিজস্ব অয়েল মার্কেট রয়েছে। তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব ভারতের অর্থনীতিতেও থাকে। তবুও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যতদিন তলানিতে থাকে ভারতের লাভ অবশ্যই। সংশ্লিষ্ট মহলের আশা, তেল বাণিজ্য ইতিমধ্যেই ভিতরে ভিতরে ভারসাম্যের দিকে পা বাড়াতে শুরু করেছে, যদিও স্বভাবিক অবস্থায় ফিরতে ২০২২ হয়ে যেতে পারে।
লগ্নি আকর্ষণের প্রশ্নে চীন যে সুবিধাগুলি ভোগ করে তার বেশিরভাগ ভারতেরও রয়েছে: পরিশ্রমী, মেধাবী ও দক্ষ মানবসম্পদ, বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ, অনুকূল প্রকৃতি, বিরাট অভ্যন্তরীণ বাজার। ভারতের বাড়তি রয়েছে—কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো ইংরেজি জানা বিরাট কর্মিদল। তার পরেও কি ভারত এই সামগ্রিক পরিস্থিতির সুযোগ নিতে প্রস্তুত? চীনকে বাদ দিলে মাথায় রাখতে হবে ভারতের একাধিক নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম—ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি। শিল্প-বান্ধব প্রশাসন এবং যুগোপযোগী কর্মসংস্কৃতির সৌজন্যে তারা ইতিমধ্যেই নিজেদেরকে প্রমাণ করেছে। তবে, তাদের শিল্প-বাণিজ্য মূলত রপ্তানি-বাজার-নির্ভর, যেখানে ভারত অভ্যন্তরীণ চাহিদায় দশ গোল এগিয়ে থেকে খেলাটা শুরু করতে পারে। তবুও ভারতে লগ্নি করার আগে বিদেশিরা এখানকার গণতন্ত্রের নামে যা-খুশি করার প্রবণতা, জমি অধিগ্রহণের সীমাহীন জটিলতা, পুঁজির কাছে না-পছন্দ শ্রমনীতি এবং আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে পাঁচবার ভাবেন। দ্বন্দ্বদীর্ণ কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের কারণে এসব সমস্যা জটিলতর হয় হামেশা।
এই সব সমস্যা সমাধানে দরকার কয়েকটি ইতিবাচক মনোভাব: (এক) কেন্দ্রীয় শাসকরা ফেডারেল শাসনতন্ত্র এবং বিকেন্দ্রীকরণের নীতিতে শ্রদ্ধাশীল হবেন। কারণে অকারণে বিরোধ নয়, কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত বৃদ্ধি কাম্য। (দুই) ছোট-বড় সমস্ত রাজনৈতিক দল শুধু মানুষের স্বার্থে রাজনীতির অনুশীলনে অভ্যস্ত হবে। (তিন) তৃণমূল স্তরে খোঁজ-খবর নিয়ে দেশের শ্রমশক্তির প্রকৃত চিত্র জানা চাই। নির্ভরযোগ্য তথ্য (ডেটা) ছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকল্পনা করা আর হাওয়ায় ভেসে বেড়ানোর মধ্যে তফাত কিছু নেই। করোনা পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে মজবুত স্ট্যাটিস্টিক্যাল ক্যাপাসিটি গড়তেই হবে। (চার) শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদের ধারাবাহিক উন্নয়নে আন্তরিকতা ভীষণ ভীষণ জরুরি। মনে রাখতে হবে, অপুষ্টির হার এবার অনেক বাড়বে। তার প্রভাবে ভয়ানক চেহারা নিতে পারে অন্য একাধিক রোগ-সংক্রমণেরও বৃদ্ধি। যেন একা রামে রক্ষা নেই সুগ্রীব দোসর! (পাঁচ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) ব্যবহার দ্রুত বাড়াতেই হবে, পৌঁছে দিতে হবে সমস্ত পরিবারের কাছে, যাতে ডিজিটাল সমাজ ও অর্থনীতি গড়ার পথে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর হতে পারে আগামী দু’বছরে।
তাহলে অংশত অনুমাননির্ভর যাবতীয় সংখ্যা, পরিসংখ্যান, তথ্য ও তত্ত্বের ভীতিপ্রদ জাল কেটে করোনা-পরবর্তী ভারত অবশ্যই মাথা তুলে
দাঁড়াবে। এতকিছুর পরেও বলব, উল্লেখযোগ্য দেশ হিসেবে ভারত তুলনামূলকভাবে ভালো জায়গায় আছে। ভারত যেমন পরিস্থিতির শিকার, তেমন পরিস্থিতিরই সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াবে আমাদের প্রিয় দেশ।
21st  May, 2020
বাংলার দুর্ভাগ্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এত বড় একটা সাইক্লোনে একটি রাজ্যের বৃহৎ অংশ একপ্রকার বিধ্বস্ত হয়ে গেল, অথচ গোটা দেশের কোনও দোলাচল নেই? প্রথমদিন ট্যুইটারে সমবেদনা জানিয়েই সকলে যে যার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল? কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে রাজ্যটাকে পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনও দৃপ্ত সহায়তা প্রতিজ্ঞাও তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশদ

ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে।
বিশদ

28th  May, 2020
‘আত্মসম্মান’ খ্যাত এক ভাঁড়ের রসিকতা
সন্দীপন বিশ্বাস 

অন্য দেশের রাজাদের মতো হবুরও আছে বিদূষক। অনেক বিদূষক তাঁর। তাঁদের তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। তাঁরা সেই সব রাজ্যের প্রপালক। তাঁদের কাজ হল মহারাজ হবুর মুৎসুদ্দি করা। আর নানা ধরনের মন্তব্য করে অঙ্গরাজ্যের জনগণকে আনন্দ বিতরণ করা।  বিশদ

27th  May, 2020
মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না।   বিশদ

26th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে।
বিশদ

19th  May, 2020
২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার।
বিশদ

18th  May, 2020
ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও।
বিশদ

17th  May, 2020
একনজরে
 কোচি, ২৮ মে: দেশের নামী ক্রীড়াবিদদের সন্তানরা ক্রীড়াবিদ হয়েছেন, এমন উদাহরণ রয়েছে প্রচুর। কিন্তু ‘ট্র্যাক কুইন’ পিটি ঊষার পুত্র ভিগনেশ উজ্জ্বলও হতে পারতেন অ্যাথলিট। কিন্তু ...

  নয়াদিল্লি, ২৮ মে: কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ায় তামিলনাড়ুতে উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ করল মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা নোকিয়া। তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরের ওই প্ল্যান্টে গত সপ্তাহ থেকেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ...

সংবাদদাতা, দিনহাটা: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে এবার আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নিল কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জুন মাসের মধ্যেই ১৫-২০টি বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হবে।   ...

ওয়াশিংটন, ২৮ মে: ‘তথ্য যাচাই’ (ফ্যাক্ট চেক) নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ট্যুইটারের লড়াই অন্য মাত্রা পেল। বুধবার ট্রাম্প জানান, কৃতকর্মের জন্য শাস্তি পেতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬৫—প্রবাসী, মডার্ন রিভিউয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।
১৯৫৩—প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করলেন তেনজিং নোরগে এবং এডমন্ড হিলারি
১৯৫৪—অভিনেতা পঙ্কজ কাপুরের জন্ম।
১৯৭২—অভিনেতা পৃথ্বীরাজ কাপুরের মৃত্যু।
১৯৭৭—ভাষাবিদ সুনীতি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু।
১৯৮৭—ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিংয়ের মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.০১ টাকা ৭৬.৭৩ টাকা
পাউন্ড ৯১.৩২ টাকা ৯৪.৫৭ টাকা
ইউরো ৮১.৯৯ টাকা ৮৫.০৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৯ মে ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ৪২/২৯ রাত্রি ৯/৫৬। অশ্লেষানক্ষত্র ৫/৫ দিবা ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৬, সূর্যাস্ত ৬/১১/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/০ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/৩৮ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/১৫ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫২ গতে ১০/১৩ মধ্যে।
১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৯ মে ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী রাত্রি ৭/৩। মঘানক্ষত্র রাত্রি ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৪। অমৃতযোগ দিবা ১২/৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৭ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে।
৫ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৬৫—প্রবাসী, মডার্ন রিভিউয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।১৯৫৩—প্রথম এভারেস্ট ...বিশদ

07:03:20 PM

১৬ জুন খুলছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির 

09:55:50 PM

নিয়ামতপুরে অস্ত্র কারখানার হদিশ 
লকডাউন এর মধ্যেই কুলটি থানার নিয়ামতপুরে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল ...বিশদ

09:38:00 PM

১ জুন খুলছে না বেলুড় মঠ 
করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় ১ জুন থেকে খুলছে না ...বিশদ

09:23:02 PM

দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৪.৬

09:16:00 PM

রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের 
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, উম-পুন পরবর্তী অবস্থা ও পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যু ...বিশদ

08:55:00 PM