Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানুষ হতে পারলাম কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফোনটা কেটে যাওয়ার পর প্রথম যে কথাটা ক্যাপ্টেন অমিতাভ সিং ভাবলেন সেটা হল, মাঝে মাত্র একদিন। এই একদিনের মধ্যে সব ঠিকঠাক করে ফেলতে হবে। ক্রু মেম্বার, তাঁদের ভিসা, বিমান... সবকিছু। তারপর? গন্তব্য উহান। মহামারীর ‘জন্মদাতা’, চীনা শহর।
ওখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য যে দু’টি বিমান উহান পাড়ি দিয়েছিল, তার প্রথমটিতে ছিলেন ক্যাপ্টেন অমিতাভ। সুবিধা ছিল একটাই... উদ্ধার-অভিযান এয়ার ইন্ডিয়া আগেও করেছে। তাই এমন পরিস্থিতির জন্য টিম তৈরিই থাকে। তবে ছিল খচখচানিও। কারণ, এর সঙ্গে অন্য অভিযানকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। তাঁদের যে করোনা নামক মহামারীর আগুনে প্রবেশ করতে হবে। ফোন ঘোরালেন ক্যাপ্টেন। প্রথম ক্রু মেম্বারকে বলা মাত্র উত্তর এল... অসুবিধা নেই স্যর। দ্বিতীয়, তৃতীয়... শেষ ফোনেও উহান যাওয়া নিয়ে কোনও আপত্তি এল না। নিশ্চিন্ত হলেন ক্যাপ্টেন। বাকি শুধু ভিসা বানানো। এর জন্য অবশ্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হল তাঁকে। উহান শহরের উপর পাক খেয়ে যখন বোয়িং ৭৪৭ ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখন হয়তো এই ঘটনাক্রমটাই ছবির স্লাইডের মতো মুহূর্তে ক্যাপ্টেনের সামনে দিয়ে চলে গিয়েছিল। অবাক হয়ে দেখছিলেন আলো ঝলমলে শহরটাকে। বিস্ময়ের কারণ? আকাশ থেকে দেখে যেন মনে হচ্ছে, উহান যেন চলতে চলতে হঠাৎ জীবনশূন্য। আলোয় শহরকে ভাসিয়ে সবাই হঠাৎ কোথাও উবে গিয়েছে। তাও ভয় লাগেনি তাঁর। কোনও অঙ্ক কষেননি তিনি... লক্ষ্য ছিল একটাই, আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অথচ অঙ্কটা তাঁরই করা উচিত ছিল। নিজের কথা, পরিবারের কথা ভেবে। তিনি করেননি। অঙ্ক কষছি আমরা। বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে, ঠান্ডা ঘরে বসে। রাস্তায় ঘুরে, মাস্কটাকে থুতনির নীচে নামিয়ে। আর ঘরবন্দিত্বের সাবধানতা ভুলে বেরিয়ে পড়ার লাইসেন্স? ওই বাজারের ব্যাগটা আছে না! বেরিয়ে না এলে লোকজনকে বলব কী করে... আজ কত মানুষ বিশ্বে মারা গিয়েছে, দেশে কত আক্রান্ত, করোনায় মৃত্যু কত, কো-মরবিড কত...।
করোনা যে আমাদের অঙ্ক কষতে শিখিয়েছে!
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অঙ্ক অবশ্যই ‘কো-মরবিড’। এর অর্থ? হয়তো কোনও ব্যক্তির কিডনি বা হার্টের সমস্যা ছিল। কারও ছিল শ্বাসকষ্ট। সেই অসুস্থতা নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস হানা দিয়েছে। যদি তাঁর মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকে হয়, তাহলে সেটাই প্রাথমিক কারণ। করোনা নয়। সেক্ষেত্রে এই মৃত্যু কো-মরবিড। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যখন এই বিভাজনটা সামনে নিয়ে এসেছিল, তখন গোটা দেশে ত্রাহি ত্রাহি রব। ভাবটা এমন, পশ্চিমবঙ্গের জন্য গোটা দেশটাই করোনা আক্রান্ত হয়ে গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্য লুকোচ্ছেন। এমন একটা সঙ্কটজনক মুহূর্তেও প্রকাশ্যে এল রাজনৈতিক বিভাজন। শাসক-বিরোধী। আর আমরাও খোল-করতাল বাজাতে বাজাতে তাতে সায় দিলাম। বঙ্গ সিপিএম-প্রদেশ কংগ্রেস হাঁ হাঁ করে উঠল। তারপর? পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গুজরাতে গেলেন দিল্লি এইমস-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি রিপোর্ট দিলেন, আতঙ্কের কারণে হাসপাতালে ভর্তিতে অযথা দেরি এবং কো-মরবিডিটি আসলে গুজরাতে মৃত্যুমিছিল দীর্ঘ করেছে। অর্থাৎ, মৃত্যুর কারণ ডায়াবেটিস বা হাই প্রেশার। প্রাথমিকভাবে করোনা নয়। এখানেই শেষ নয়, ভারতে জৈবরাসায়নিক গবেষণার ধারক-বাহক আইসিএমআর পর্যন্ত গাইডলাইন দিয়েছে যে, অন্য বড়সড় রোগ থাকলে ডেথ সার্টিফিকেটে সেটা উল্লেখ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে করোনার উল্লেখ করলেও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনলেই দাঁত-নখ বের করে হামলে পড়া রাজনীতির সব ‘অবৈতনিক’ দালালদের এখন অবশ্য আর এ বিষয়ে কথা নেই। সাবজেক্ট বদলে গিয়েছে। যত সংখ্যক পরীক্ষা করানোর কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নাকি তা করছে না। তাই আক্রান্তের পরিসংখ্যানে ঘাটতি হচ্ছে। নতুন ইস্যু। রাজনীতি কিন্তু একটাই। এই তীব্র সঙ্কটেও। আর আমরাও তাতে তাল দিচ্ছি। দেশের ভালো, মানুষের ভালো... সব পিছনের সারিতে। বিজেপি-তৃণমূল হাঁকডাকটাই হটকেক।
করোনা আমাদের নতুন করে রাজনীতিও শেখাচ্ছে।
কীভাবে? সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া। জ্ঞান আহরণের নতুন মাধ্যম। যেমন পারো লেখো, যেমন পারো বানাও। তারপর ছেড়ে দাও সোশ্যাল মিডিয়ায়। হোয়াটসঅ্যাপে এক গ্রুপ থেকে অন্যে। ফেসবুক, ট্যুইটার... যাবতীয় প্ল্যাটফর্ম বিশ্লেষক, বোদ্ধা মানুষজনে ছেয়ে গিয়েছে। করোনা ঠেকাতে নরেন্দ্র মোদির কী করা উচিত ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় বেরিয়ে করোনা বিরোধী প্রচার করে আসলে রাজ্যের মানুষকেই বিভ্রান্ত করছেন... এই জাতীয় নানা জ্ঞানগর্ভ বার্তা। সোশ্যালে পোস্ট করেই উৎসুক হয়ে তাকিয়ে থাকা... ‘এক লাইক তো বনতা হ্যায়!’ তারপর ফরওয়ার্ড করার বদভ্যাস তো আছেই। যাচাই করার বালাই নেই! ভয়ঙ্কর সামাজিকতায় নেশাগ্রস্ত আমরা।
করোনা যে আমাদের নতুন করে ‘সোশ্যাল’ বানিয়েছে।
হবে নাই বা কেন? আমাদের দেশের হর্তাকর্তাবিধাতারা আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতেই বেশি বিশ্বাস করেন। ভোটের সময় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে চলেছিল জোর প্রচার। ধর্ম, জাতপাত, অর্থনৈতিক স্টেটাসের ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটিগরিতে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল সমাজকে। তারপর রাজনৈতিক দলগুলির সাইবার সেল হয়ে উঠেছিল সক্রিয়। ভোট বিদায় নিয়েছে। অথচ নেটওয়ার্কিং মাধ্যমগুলির ব্যবহারে বিরাম নেই। নরেন্দ্র মোদি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র উদ্বোধন করছেন, তার ছবি পোস্ট হচ্ছে ইনস্টাগ্রামে। রেলমন্ত্রী ‘শ্রমিক স্পেশাল’ নিয়ে কিংবা পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন... তাও ট্যুইটারে। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলার বার্তা পর্যন্ত আসছে সোশ্যাল সাইটে। ইদানীং আবার এই সরকারকে রাতের রোগ ধরেছে। রাতবিরেতে হঠাৎ বিবৃতি বা নির্দেশনামা ইস্যু হচ্ছে... লকডাউন মানার নয়া নিয়মাবলি। অহরহ বদলে যাচ্ছে সেই বিধিনিষেধ। এই বলা হল, সবাই কারখানা খুলে দাও... তারপর আবার গাইডলাইন এল, লকডাউন উঠলে বিধি মেনে ফ্যাক্টরি, অফিসপত্র খুলতে হবে। আর সবটাই হবে ‘ট্রায়াল’। তাজ্জব ব্যাপার! এই দু’রকম নির্দেশিকার মানেটা কী? যাঁরা এতদিন ধীরে ধীরে লকডাউনের নিয়ম মেনে দপ্তর খুলেছিলেন, তাঁরাও এখনও পিছু হটছেন। ভাবছেন, এত কষ্টেসৃষ্টে সব শুরু করলাম, যদি আবার সব বন্ধ করে দেয়? তাহলে তো সবটাই জলে যাবে! নতুন করে লোকসান। এ গেল না হয় একটা ক্ষেত্র। অন্য ক্ষেত্র হল সিদ্ধান্তহীনতা। লকডাউন কতদিন চলবে? এর থেকে বেরনোর যথাযথ রুটটাই বা কী? এই সব প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই। আজও না। আগামী ১৭ মে’র পর যদি লকডাউনের মেয়াদ না বাড়ানো হয়, তাহলে এখনই সেই মতো গোটা দেশকে তৈরি করতে হবে এবং তৈরি হওয়ার সময়ও দিতে হবে। কেন্দ্রকে স্পষ্ট জানাতে হবে, তাদের নিয়মনীতি চলবে, নাকি রাজ্যের। ফেডেরাল গঠনতন্ত্রকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা মুখে বলব, অথচ পরে রাজ্যগুলি কোনও সিদ্ধান্ত নিলে ‘আমি তো কলা খাইনি’ জাতীয় প্রতিক্রিয়া দেব... এর কোনও অর্থ হয় না। গোটা দেশের অর্থনীতির চাকা একসঙ্গে গড়াতে হলে সবার আগে স্বাভাবিক করতে হবে গণপরিবহণ। বাস এবং লোকাল ট্রেন। পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি কলকাতার ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। এই শহরে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজের সূত্রে বর্ধমান, মেদিনীপুর, কৃষ্ণনগর থেকে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেন। একই অবস্থা মুম্বইতেও। দিল্লিতে যেমন মেট্রোরেল। সবটাই বাঁধা একসূত্রে। যতদিন না এই লাইফলাইন ফের চালু হচ্ছে, জীবন-জীবিকাকে স্বাভাবিকতায় ফেরানোর কোনও সম্ভাবনাই নজরে আসে না। এ ব্যাপারে কী ভাবছে কেন্দ্র? আদি অনন্তকাল লকডাউন চলবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রকই বলছে, করোনাকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচতে হবে আমাদের। কিন্তু কীভাবে? সেই দিশা নেই।
আমরা ভোট দিয়ে মাথার উপর শাসক বসিয়েছি। দক্ষ প্রশাসক নয়।
অথচ, তারপরও এই সব ‘হতে পারে’, ‘বোধ হয়’, ‘সম্ভবত’ শুনেই আমরা নাচানাচি করছি। একবারও ভাবছি না, নাগরিক হিসেবে কর্তব্য আমরা ঠিকমতো পালন করছি কি না। যেখানে আমরা জানি, বাড়ি থেকে বেরনো মানে করোনাকে আমন্ত্রণ জানানো... সেখানে রোজ আলু-পটল কিনতে বাজারে যাওয়াটা কি খুব দরকার? মৃত্যু শুধু একটা সংখ্যা নয়। একটা জীবন চলে যাওয়া মানে গোটা পরিবারের পথে বসা। একটা প্রজন্ম শেষ হয়ে যাওয়া। আর এটা সবে শুরু। আজ বাদে কাল দেশের জাতীয় গড় উৎপাদনের হার যদি সত্যিই শূন্যে নেমে যায়, তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহারা হবেন। না খেতে পেয়ে মৃত্যু কিন্তু করোনার থেকেও মর্মান্তিক হয়ে তখন দেখা দেবে। এমন একটা সময়ে একবারের জন্য কি মনে হয় না যে, মানুষের পাশে দাঁড়াই! সঙ্গে থাকি প্রত্যেক সেই ভারতীয়ের, লকডাউনের বাজারে যাঁদের পেটে একবেলার খাবারও জুটছে না! আচমকা কেউ দরজায় এসে দাঁড়িয়ে খেতে চাইলে অধিকাংশই হয় মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন। কিংবা মুখ চেনা হলে বলেন, ‘কাল সকালে এসো দেখছি’। এমন কিছু বলার আগে একবারের জন্য আমাদের মনে হয় না, আজ লোকটা কী খাবে? মানুষ সমাজের শ্রেষ্ঠ জীব। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের অহঙ্কার যদি মনুষ্যত্ব ভুলিয়ে দেয়, তার থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না। ছেলেবেলা থেকে পড়ে আসা, বাঁদরের বিবর্তন হয়ে মানুষের জন্ম। কিন্তু স্বার্থপরতা ও ক্ষুদ্রচিন্তা আমাদের আবার পিছনদিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে না তো? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বানরের শ্রেষ্ঠত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘আর যে যা খায় খাক আমরা যেন কেবল কলা খাইতেই থাকি, এবং শ্রেষ্ঠ বানর ব্যতীত অন্য জীবকে দেখিবামাত্র দাঁত খিঁচাইয়া আনন্দলাভ করি।’ আমাদের অবস্থা অনেকটা আজ এইরকম। স্বার্থের লক্ষ্মণরেখার বাইরে থেকে কেউ টানাটানি করলেই দাঁত খিঁচিয়ে উঠি।
মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই আসলে আমাদের মধ্যে থেকে ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
ফিরে আসার পর ক্যাপ্টেন অমিতাভ সিংকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আবার যদি উহান যেতে হয়? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘যদি যেতে বলে? অবশ্যই যাব’।
মহামারীর এই মহাসঙ্কটে দক্ষ প্রশাসক, গণিতজ্ঞ বা সমাজতাত্ত্বিক নয়... আজ সত্যিই দরকার ক্যাপ্টেনের মতো মানুষ।
12th  May, 2020
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
আকাশপথে ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। এবার বেলারুশ সীমান্তবর্তী চেরনিহিভ শহরের একটি আটতলা ভবনকে নিশানা করে মিসাইল ছোড়ে পুতিনের দেশ। এই হামলায় ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ...

নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
৩৭৩ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

11:03:00 AM

আহমেদাবাদে রোড শো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

11:01:52 AM

যৌন হেনস্তা মামলা: আজ শুনানি, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিং

10:55:48 AM

অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় একটি গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অকুস্থলে দমকল

10:45:23 AM

মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা জওয়ানরা

10:42:59 AM

দেউলটির পানিত্রাসে নিবার্চনী প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ, সঙ্গে রয়েছেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল

10:38:07 AM