Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

করোনার পরেও আছে এক অন্ধকার সময়
সন্দীপন বিশ্বাস

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তখন যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত। তাঁর ওই অবস্থা নিয়ে সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন। ‘আমরা চাঁদা তুলে মারব কীট/... বসন্তে কোকিল কেশে কেশে রক্ত তুলবে সে কীসের বসন্ত!’ এই কবিতাটাই মনে পড়ে গেল সাম্প্রতিক সময়ে করোনার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ‘যুদ্ধপ্রস্তুতি’ দেখে। সেটাই অন্যভাবে প্রকাশ করলাম। আমরা অজ্ঞতা দিয়ে মারব কীট। এখন যদি একটু থালাবাটি না বাজাই, দেওয়ালির মতো বাজি না ফাটাই, তবে কীসের বসন্ত! ভাবলে সত্যিই অবাক লাগে, এ কোন ধরনের তামাশা! সবাই যখন চোয়াল টিপে এক অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সারা বিশ্বে যখন মৃত্যুমিছিল দেখে মানুষ ঘরে থেকে একটা শৃঙ্খলার ঘেরাটোপ তৈরি করেছে, তখন সেটাকে রাষ্ট্র তামাশার পর্যায়ে নামিয়ে আনল। এমন এক পদক্ষেপের কথা রাষ্ট্রনায়ক ঘোষণা করলেন যে, আনন্দের আতিশয্যে সব স্বাস্থ্যবিধি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল। লকডাউনকে ভূত চতুর্দশীর পর্যায়ে নামিয়ে এনে দীপাবলির উৎসব শুরু করে দিয়েছিল ভারত। বাজির পর বাজি। ৯ মিনিটের মোমবাতি পুড়ে গেলেও বাজির দমক চলল আধ ঘণ্টা। আকাশে আতশবাজির ঝর্নাধারায় যেন উৎসবের উল্লাস। সেই আলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছিল আরও বেশি অন্ধকার, আরও বেশি লজ্জা, আরও বেশি অজ্ঞতা। দেশটাকে মনে হচ্ছিল তুবড়ির মতো। তুবড়ির খোলের ভিতর অবরুদ্ধ থাকে বারুদ। দেশের মানুষগুলো যেন অবরুদ্ধ অবস্থায় হাঁসফাঁস করা এক প্রাণী। বেরিয়ে আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। একটু সুযোগ বা অজুহাত অথবা আগুনের ছোঁয়ার জন্য ছটফট করছিল। মোদিজির মোমবাতি জ্বালানোর আবেদন সেই ছটফটানিতে লাগিয়ে দিল আতিশয্যের আগুন। নিমেষে তুবড়ির ভিতর থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসতে লাগল আগুনের ফুলকি। সারা দেশে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস। দেখা গেল বাজি ফাটানোর নির্লজ্জ প্রতিযোগিতা। কলকাতা থেকে কানপুর, মুম্বই থেকে মুজফফরপুর, বারাণসী থেকে বেঙ্গালুরু। সারা দেশ একসুরে নেচে উঠল। কোটি কোটি টাকার বাজি ফাটিয়ে আমরা প্রমাণ করলাম, আমরা ‘ঐক্যবদ্ধ’। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির এক নেত্রী শূন্যে গুলি ছুঁড়ে উন্মাদনা প্রকাশ করলেন। আহা, কী আনন্দ, মেরা ভারত মহান! আসলে আমরা জানতেও পারলাম না, বিজেপি কৌশলে সারা দেশকে দিয়ে পার্টির ৪০তম জন্মদিনের উৎসবটি পালন করিয়ে নিল।
১৯৮০ সালে আরএসএস বুঝেছিল, তাদের নিজেদের একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম দরকার। জনতা দলের সঙ্গে জোট বেঁধে থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে না। পৃথক দল দরকার। সেই লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের ৫ এবং ৬ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে বসেছিল সভা। সেখানে ৬ তারিখে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। দলের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ি। এছাড়াও নরেন্দ্র মোদি আরও একটি পরীক্ষা করে নিলেন। দেশজুড়ে বিজেপির যে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক, তা কতটা অটুট রয়েছে, সেটাও দেখে নিলেন। নতুন করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন। কয়েক মাস আগে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে একে একে মোদি-অমিত শাহের রথ মুখ থুবড়ে পড়ছিল। সেই ছেঁড়া-ফাটা আত্মবিশ্বাসটাকে আবার তিনি ফিরিয়ে আনলেন।
সে যাই হোক, কিন্তু উচ্ছ্বাসটা প্রদীপ জ্বালানোতে সীমাবদ্ধ থাকলে ঠিক থাকত। সেটা থাকল না। সেটা যে থাকবে না, তা আগেই জানা ছিল। সেই প্রমাণ আমরা পেয়েছিলাম জনতা কার্ফুর দিন বিকেল পাঁচটায় থালা বাটি বাজানোর নমুনা দেখে। পাড়ায় পাড়ায় প্রায় সবাই সেদিন জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। কণ্ঠে স্লোগান, ভারতমাতা কী জয়। আমরা ১৯৮৩ সালে সেই ছবি দেখেছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ভারত বিশ্বকাপ জয় করেছিল। মানুষ এভাবেই আনন্দে মেতে উঠেছিল। আমরা কি তবে লড়াইয়ের আগেই করোনা কাপ জিতে গেলাম?
বাস্তব পরিস্থিতি হল, আমরা এখনও কিন্তু জয়ের কোনও দিশাই খুঁজে পাচ্ছি না। এখনও সামনে অনেক প্রতিবন্ধকতা। আগামী ১৫-২০ দিন আমাদের দেশের সামনে মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। এই বাধাটুকু পেরিয়ে যেতে পারলে কিছুটা স্বস্তির বাতাবরণ মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, আমেরিকা দাঁতে দাঁত টিপে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও বিশ্বজুড়ে করোনা তাণ্ডব চলছেই। এ যেন এক নাগরদোলার মতো। মৃত্যুর উত্তাল তরঙ্গ। কোথাও উঠছে, কোথাও নামছে। আমরা জানি না কোথায় এর শেষ। কতজনের প্রাণ নেওয়ার পর থামবে দানবের এই মৃত্যু নিয়ে পাশা খেলা। বিদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, যারাই প্রাথমিক পর্যায়ে এর বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামার ব্যাপারে অনীহা দেখিয়েছিল, তাদেরই আজ মৃত্যু দিয়ে প্রমাণ করতে হচ্ছে, কত বড় ভুল তারা করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ এবং ৯/১১-র আক্রমণ, এই দুটোই এতদিন মার্কিন ইতিহাসের সব থেকে বিধ্বংসী ঘটনা ছিল। ১৯৪১ এর ৭ ডিসেম্বর পার্ল হারবারে জাপানি বোমাবর্ষণের ঘটনায় প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আর ২০০১ এর ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গিহানায় প্রাণ গিয়েছিল প্রায় তিন হাজার জনের। সেসব মৃত্যুকে ম্লান করে ইতিমধ্যেই রেকর্ড গড়েছে এই করোনা আক্রমণ। আমেরিকায় মৃত্যুসংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওটা হয়তো দুই লক্ষে গিয়ে থামবে। কী ভয়ঙ্কর এই ভবিষ্যদ্বাণী। ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, আমেরিকা বলেই দিয়েছে, এখন ঈশ্বরই তোমার একমাত্র ভরসা। বাঁচালে তিনিই বাঁচাবেন। সেখানে অসংখ্য মানুষের হাতে এখন বাইবেল। কেউ জানে না, তাদের আয়ু আর কতটুকু। ডাক্তাররা চিকিৎসা করতে করতে ক্লান্ত। তারাও একে একে আক্রান্ত হচ্ছেন। কে করবে চিকিৎসা?
অন্য দেশের এই সব চিত্র আমাদের বুকে কিন্তু একটু একটু করে কাঁপন ধরাচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার নিশ্চয়ই কারণ নেই। তবে সতর্কতা তো দরকার। একদিন নিশ্চয়ই এই করোনার আক্রমণ দূর হয়ে যাবে। পৃথিবী করোনামুক্ত হবে। সেদিন কি তবে পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে উঠবে? আমরা এখন সেই রঙিন দিনগুলোর স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু একটা কথা আমাদের মনে রাখা দরকার, করোনার এই কামড়ের রেশ কিন্তু অনেকদিন থাকবে। করোনা কীট মরবে। কিন্তু ঘা শুকোবে না। আরও এক অজানা ভয়ঙ্কর অন্ধকার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সব থেকে বড় আঘাত আসবে আমাদের দেশের অর্থনীতির উপর। শুধু আমাদের দেশ নয়, সারা বিশ্বে অর্থনীতির মন্দার একটা হিম স্রোত বয়ে যাবে। দলে দলে মানুষ কাজ হারাবে। শিল্পে, বাণিজ্যে নেমে আসবে খরা। বাজারে পণ্যের জোগান থাকলেও কেনার লোক থাকবে না। কেননা, মানুষের হাতে পয়সা থাকবে না। কমে যাবে তার ক্রয় ক্ষমতা। আমরা জানি না সমাজ তখন কোনদিকে এগবে। সমাজবিজ্ঞানীরা সেই সময়ের ভয়ঙ্কর ছবিটা নিশ্চয়ই আঁচ করতে পারছেন। কেমন হবে মানুষের মনের গঠন, কেমন হবে তার আচরণ! আর শিশুরা! তাদের আচরণ, প্রকৃতি কি বদলে যাবে না? কয়েকজন মনোবিদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, আগামীদিনের শিশুরা ততটা কোমল স্বভাবের নাও থাকতে পারে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি আমাদের ঠেলে নিয়ে যাবে মননের অন্য এক অস্থির অবস্থানে।
তাই এখন বাজি, পটকা, মোমবাতির সময় নয়, দরকার আরও কড়া হাতে রাশ নিয়ন্ত্রণ করা। করোনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ দরকার। দেশের মানুষকে এখন জোর করে ঘরে আটকে রাখা দরকার। প্রয়োজনে আইন এনে আটকাতে হবে। না হলে দেশকে আটকানো যাবে না। আমাদের দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। একবার ছড়ালে আর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বিশ্বজুড়ে যে ছবিটা আমরা দেখছি, তাতে শিয়রে কিন্তু শমন। একটু শৃঙ্খলার অভাব হলেই করোনা কিন্তু আমাদের দেশে ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা এখন থার্ড স্টেজের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছি। এই সময়ে দেশবাসীর এমন শিশুসুলভ উন্মাদনা মোটেই শোভা পায় না। পরিস্থিতি বিচার করে দেখলে বোঝা যায়, একমাত্র অজ্ঞতা, তাচ্ছিল্য মনোভাবই এই রোগের ছড়িয়ে পড়ার কারণ। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীকে আরও কঠোর হাতে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। দেশের সবকিছু তাঁরই হাতে। তাই সবকিছু সুরক্ষিত রাখার দায়ও তাঁরই। তিনি রামমন্দির বানান বা রামচন্দ্রের পাঁচ হাজার ফুট উঁচু মূর্তি, কারও কিছু বলার নেই। কেননা ক্ষমতা তাঁরই হাতে। তবে এখন কোনও শৈথিল্য ভাব এলেই কিন্তু দিকে দিকে ‘রাম নাম সত্য হ্যায়’ শুরু হয়ে যাবে। রামের পুজো করতে গিয়ে আমরা যেন কুম্ভকর্ণ হয়ে না উঠি।
আমরা জানি, করোনা কোনও শত্রু দেশ নয়। শুধু হুঙ্কারে সে ভয় পাবে না। কৌশলে তাকে মারতে হবে। এখন তাই যুদ্ধপ্রস্তুতি, সঙ্কল্প অনেক বড়। মানুষকে বাঁচাতে হবে। প্রতিটি রাজ্যকে কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে শামিল হতে হবে। সেইসঙ্গে দেশের প্রত্যেকে সচেতন হোক। আগামী দু’তিন বছর ধরে কিন্তু চলবে এই লড়াই। এ আমাদের দীর্ঘ এক ব্যথার পূজা। আপন ঘরে থেকে নিভৃতে প্রদীপ জ্বালিয়ে এখন আমাদের পূজার সময়। তাড়াতাড়ি তার সমাপন হবে না। লড়াই আর পূজা আজ একসঙ্গে হাত ধরাধরি করে গিয়ে চলুক জগতের আনন্দযজ্ঞের দিকে।
08th  April, 2020
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পোলবা-দাদপুরের বিডিও অফিসে আগুন
হুগলির পোলবা-দাদপুর বিডিও অফিসে ভয়াবহ আগুন। আজ, শনিবার দুপুর ১২টা ...বিশদ

01:07:01 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপায় রোড শোর মাধ্যমে প্রচার সারলেন কংগ্রেস প্রার্থী ওয়াইএস শর্মিলা

12:56:37 PM

অসমে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে নদীর জলে ডুবল ইভিএম
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই নদীর জলে ডুবে নষ্ট হল ইভিএম ...বিশদ

12:19:14 PM

ইরাকে ইরান সমর্থিত বাহিনীর ক্যাম্পে বিস্ফোরণ, মৃত ৩
ইরাকে ইরান সমর্থিত বাহিনীর সেনা ক্যাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। যাকে ঘিরে ...বিশদ

11:56:50 AM

কংগ্রেস ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘনিষ্ঠ নেতা তাজিন্দর সিং বিট্টু

11:42:36 AM

ফের অধীর চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান
ফের অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হল। ...বিশদ

11:26:47 AM