Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গ্যালারি শো কতদিন?
খাবার জুটবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্যবসার কাজে হংকং গিয়েছিলেন বেথ এমহফ। কাজ সেরে পার্টি... তারপর দেশে ফেরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিকাগো হয়ে যখন মিনিয়াপোলিস ফিরলেন, ততক্ষণে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুই, চার, ১৬, ২৫৬... বাড়তে শুরু করল সংখ্যা। সর্দি, কাশি, জ্বর... মৃত্যু। এটাই ছিল চক্র। বাঁচার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশের বেশি নয়। আর চিকিৎসার জন্য সময় মেরেকেটে তিনদিন। বেথকে বাঁচানো যায়নি। শুধু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন স্বামী মিচ এমহফ। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, মৃত্যু হয়েছে বেথের। অজানা জ্বরে। যার কোনও চিকিৎসা নেই। এই ঘটনাক্রম আসলে একটি চিত্রনাট্য। হলিউডি ছবি ‘কন্টাজিয়ন’-এর। যা মুক্তি পেয়েছিল ২০১১ সালে। আর বেথ এমহফ ছিলেন বাদুড় থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়া মহামারীর প্রথম আক্রান্ত। পেশেন্ট জিরো।
উয়েই গুইজিয়ান। ১০ ডিসেম্বর তাঁর প্রথম কাশি শুরু হয়। ঠান্ডা লাগা। তারপর জ্বর। ৫৭ বছরের ওই প্রৌঢ়ার চিংড়ির দোকান... হুয়ানান মার্কেটে। চীনের উহানে। তারিখটা ছিল ১০ ডিসেম্বর। সাধারণ ফ্লু ভেবেছিলেন গুইজিয়ান। ডাক্তারখানায় গেলে সেখানে ডাক্তার তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেন। কাজ দেয়নি তাতে। প্রতি মুহূর্তে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন তিনি। বাধ্য হয়ে ইলেভেন্থ হসপিটাল। আর তারপর উহান ইউনিয়ন হাসপাতাল। সেখানেই গুইজিয়ান জানতে পারেন, হুয়ানান মার্কেটে দোকান রয়েছে বা সেখানে কেনাকাটা করতে গিয়েছেন এমন অনেকেই আসছেন এই হাসপাতালে। উপসর্গ সবার এক এবং প্রাণঘাতী। মুশকিল একটাই, রোগটা অজানা। তারিখটা ছিল ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯। আর উয়েই গুইজিয়ান করোনা ভাইরাসের পেশেন্ট জিরো।
সংখ্যাটা বাড়ছে। ঠিক যেভাবে ‘কন্টাজিয়ন’-এ দেখানো হয়েছিল... সেভাবেই। স্পর্শ থেকে, হাঁচি-কাশি থেকে, ব্যবহৃত বাসন থেকে। করোনা ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক নেই। প্রথাগত ফর্মুলায় চিকিৎসা চলছে। কেউ বাঁচছেন। কেউ না। আক্রান্ত হলে হাতে আর বেশি সময় থাকছে না। উপায় তাই একটাই। বাড়িতে থাকতে হবে। গৃহবন্দি হয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব চলছে, মারাত্মক ইগো এই ভাইরাসের। ডেকে না আনলে কিছুতেই ঘরে আসবে না। তাই গৃহবন্দিত্ব। পোশাকি বা সরকারি নাম ‘লকডাউন’। গত ২৪ মার্চ থেকে যা চালু হয়েছে দেশজুড়ে। আর পশ্চিমবঙ্গে ঠিক তার আগের দিন থেকে। লক্ষ্য, ভাইরাসের চেনটাকে ভেঙে দেওয়া। একটা থিওরি এক্ষেত্রে রয়েছে... সাতদিনে চেন ভাঙবে, আর এর মধ্যে যাঁরা আক্রান্ত হবেন, তাঁদের সেরে উঠতে সময় লাগবে ১৪ দিন। মানে, সব মিলিয়ে ২১ দিন। লকডাউনের হিসেবটাও সেভাবেই করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। কিন্তু তাতেও কি লাভের লাভ কিছু হচ্ছে? এর মধ্যেও লোকজন বাজার করছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, চায়ের দোকানে ‘একটাকে দুটো’ করার অর্ডার দিচ্ছেন...। রোগও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। প্রথম দিনের রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে পরের দিন। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিত্যনতুন ভাবনায় চেষ্টা করছেন দেশকে ‘একসূত্রে বাঁধার’। লকডাউনের আগেও একটা ড্রেস রিহার্সাল দিয়েছিলেন ‘জনতা কার্ফু’র মাধ্যমে। মানুষ কিন্তু সাড়াও দিয়েছিল সেদিন। কিন্তু মাঝে বিকেল ৫টায় সবাইকে দরজায় বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে থালা বাজাতে বলে গোটা দিনের যাবতীয় ‘পুণ্য সঞ্চয়ে’ জল ঢেলে দিয়েছিলেন তিনি। লকডাউনের উদ্দেশ্য যেখানে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, সেখানে ওই ২২ মার্চ বিকেল ৫টায় উৎসবের মেজাজে ঢাকঢোল পেটাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন মানুষ। জনতা কার্ফুর উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল তো?
একসূত্রে বাঁধার উদ্যোগ। সলিডারিটি। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য এটাই। গৃহবন্দি ভারতীয়দের বোঝাতে চাইছেন, বাড়িতে আছেন... তবে নিজেকে একলা ভেবে নেবেন না! ১৩০ কোটি ভারতীয় একে অপরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাই লাইট নিভিয়ে ফেলুন। মোমবাতি, টর্চের লাইট যা খুশি জ্বালিয়ে অন্ধকার বারান্দায় দাঁড়িয়ে পড়ুন। প্রধানমন্ত্রীর এই ‘দীপ জ্বেলে যাই’ ভাবনা প্রসঙ্গে অবশ্য মারাত্মক সব তত্ত্ব বাজারে ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ বলছিলেন, ১৩০ কোটি ভারতীয় একসঙ্গে একটি করে মোমবাতি জ্বালালে পরিবেশের তাপমাত্রা নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। তাতে করোনা ভাইরাসের মৃত্যু হবে। আবার অনেকে খোঁচা দিচ্ছেন, লকডাউনের মধ্যে তো আর ৬ এপ্রিল ধুমধাম করে বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা যাবে না... তাই জনসাধারণকে দিয়েই ঠিক আগের দিন রাত ন’টায় পালন করিয়ে দেওয়া গেল। আর মানুষ তো শুধু দীপ জ্বেলেই থেমে থাকলেন না! দেদার ফাটল শব্দবাজি, উড়ল ফানুস। লোকজন রাস্তায় নেমে এলেন। একে অপরের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আলো জ্বাললেন। অর্থাৎ সামাজিক দূরত্বের ‘আলোক সমাধি’ ঘটল আর কী! লকডাউন সফল হল তো?
নিন্দুকে বলে, তাঁর নাকি চওড়া কপাল। যখনই সরকার সঙ্কটে পড়ে, কোনও না কোনও উপায়ে তিনি নজরটা অন্যত্র ঘুরিয়ে দিতে পারেন। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গোটা দেশ যখন ফুঁসছে, তখনই উরি হামলা এবং তারপর সার্জিকাল স্ট্রাইক। জিএসটি এবং সরকারের আরও মিসঅ্যাডভেঞ্চারের চাকায় ভর করে যখন মোদি সরকার লোকসভা ভোটের দিকে দৌড়চ্ছে, ঠিক তখনই বালাকোট। আর এখন? গত এক বছর ধরে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির মধ্যেই করোনা দেখা দিল মহামারী রূপে। ভেঙে পড়া বাজার অর্থনীতি, উৎপাদনে ঘাটতি, আর্থিক বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনকভাবে নেমে আসা... আজ কি এর কোনও একটা বিষয় নিয়ে আর আলোচনা হয়? না, হয় না। এখন চর্চার বিষয়বস্তু মানেই নতুন রোগ... নতুন আতঙ্ক। এদেশে করোনার প্রবেশ ঘটেছে গত ৩০ জানুয়ারি। দু’মাসের উপর হতে চলল, অথচ এমন জনঘনত্বের দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু সেই অর্থে হুড়মুড়িয়ে বাড়েনি! ‘ভারত’ সরকার তাই আবার মহান। ইতালি, স্পেনের মতো দেশে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর নিরিখে পাঁচ অঙ্ক ছুঁতে চলেছে আমেরিকা। সেখানে দু’মাস পরও সংক্রমণ ৪ হাজারে ঠেকিয়ে রাখা সত্যিই তারিফ করার মতো ব্যাপার। প্রশংসায় অবশ্য ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদি ভাসছেন। আন্তর্জাতিক মহল, এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও ভারতের এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানানো হয়েছে। যার যা ভালো, তা তো স্বীকার করতেই হয়। হতেই পারে, এখনও ভারতে সেই অর্থে করোনার র‌্যান্ডাম টেস্ট করা হয়নি। অর্থাৎ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে গাইডলাইন দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী (প্রথমত, বাড়িতে থাকা এবং দ্বিতীয়ত, লাগাতার টেস্ট করে যাওয়া) সবকিছু মেনে চলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বেশি করে পরীক্ষা হলে করোনার সংখ্যাতত্ত্বে পরিবর্তন আসত কি না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে এই এতদিনে ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সংক্রমণের ক্লাস্টার বা সোজা ভাষায় বলতে গেলে যেখানে সংক্রমণ বেশি, সেই সব জায়গায় লাগাতার নমুনা পরীক্ষা হবে। সেটাও ১০০ শতাংশ সাফল্যের সঙ্গে সম্ভব হবে তো?
এই সেদিনও রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকা ছিল লোকারণ্য। লকডাউন উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। এঁরা প্রত্যেকেই অসংগঠিত সেক্টরের সদস্য। তাঁদের অনেকেই চাষের মরশুমে ধানজমিতে কাজ করেন, আবার মরশুম ফুরিয়ে গেলে চলে আসেন কোনও শহরে... নির্মাণকাজে জোগানদারের কাজ করতে। কেউ আবার রান্নায় পারদর্শী। যাঁর হাতের তন্দুরি চিকেন খেলে পাঁচতারা হোটেলের স্বাদ মনে পড়ে... আবার লকডাউনের সময় মালিক হোটেলছাড়া করলে ভিড়ে আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ, তাঁর হয়তো না আছে আধার, না ভোটার কার্ড। ২১ দিনের লকডাউন পিরিয়ড অসংগঠিত এই ক্ষেত্রটিকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কি এঁদের নিয়ে আলাদা করে কিছু ভেবেছে? হাততালি দিয়ে, বা প্রদীপ জ্বালিয়ে এই শ্রেণীর মানুষের পেট ভরবে না। আর দু’বেলা খেতে না পাওয়া ভারতীয়ের সংখ্যাই কিন্তু বেশি।
সংগঠিত ক্ষেত্রই কি খুব নিশ্চিন্তে রয়েছে? জাতির উদ্দেশে ভাষণে কর্পোরেট এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির কাছে প্রধানমন্ত্রী আর্জি জানিয়েছিলেন, এই সঙ্কটে দয়া করে কর্মীদের বেতন কাটবেন না। কিন্তু সেই আবেদন বহু সংস্থাই রাখেনি। রাখা সম্ভব হচ্ছে না। উৎপাদন না হলে, বিক্রির সুযোগ না থাকলে কোনও কোম্পানিই কর্মীদের বসিয়ে খাওয়াবে না। এটাই ব্যবসার দস্তুর। প্রথমে বেতনে কাটছাঁট হবে। তারপর চাকরি যাবে। বিশ্বের সর্বত্র এই এক নিয়ম। কেউ দানছত্র খুলে বসেনি। এমন পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনার মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই দেশের সরকারের দায়িত্ব। কর্তব্য। আপাতত তেমন সুনির্দিষ্ট কিছুও সরকারের পক্ষ থেকে নজরে আসছে না। দক্ষিণ কলকাতার এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি কথায় কথায় বলছিলেন, করোনায় না মরলে মানুষ এবার না খেতে পেয়ে মরবে। কোনও দেশের পক্ষে, সমাজের পক্ষে এটা ভালো বিজ্ঞাপন হতে পারে না। এই মুহূর্তে দেশ তথা বিশ্ব অর্থনীতির যা অবস্থা, তাতে ঘুরে দাঁড়াতে ঠিক কত সময় লাগবে, তা কেউ জানে না। দু’মাস লাগতে পারে, ছ’মাস বা এক বছর। আর লকডাউনের মেয়াদ যদি বাড়ে? অন্ধকারে হাতড়ানো ছাড়া উপায়ন্তর থাকবে না।
গত ২৮ জানুয়ারি কেরলে ফিরেছিলেন তরুণী। চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ৩০ জানুয়ারি তাঁর দেহে মিলেছিল করোনার অস্তিত্ব। তিনিই ভারতে করোনার ‘পেশেন্ট জিরো’। ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখ হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। চাকা ঘুরছে। ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে। ধীরে হলেও। আজ না হয় কাল পৃথিবী শান্ত হবেই। মেয়াদ ফুরোবে গ্যালারি শোয়েরও। তখন প্রশ্ন থাকবে একটাই... পেটের জ্বালা মিটবে কীভাবে?
07th  April, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যের তিন লোকসভা আসনে ভোটকে কেন্দ্র করে মোট ২৭৪ টি অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে, যার মধ্যে ১৯৫ টির সমাধান করা হয়েছে

12:41:14 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ৩৩.২৮ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ২৫.২০ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ২৪.৮৩ শতাংশ ভোট পড়ল

12:38:01 PM

শীতলকুচিতে ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত ভোটার
ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত ভোটার। কোচবিহারের শীতলকুচির ছোট শালবাড়ির ঘটনা। ...বিশদ

12:37:25 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে- ২১.৮২ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে- ১৮.২৬ শতাংশ, অসমে- ২৭.২২ শতাংশ, বিহারে- ২০.৪২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে- ২৮.১২ শতাংশ ভোট পড়ল

12:37:02 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে- ১৬.৩৩ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে- ২২.৬০ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে- ৩০.৪৬ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে- ১৯.১৭ শতাংশ, মণিপুরে- ২৭.৬৪ শতাংশ ভোট পড়ল

12:30:20 PM

মণিপুরের মইরাংয়ে ভোট চলাকালীন একটি পোলিং বুথে চলল গুলি

12:27:19 PM