Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মিসাইল বানানোর চেয়ে ডাক্তার
তৈরি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ
মৃণালকান্তি দাস

লিউয়েনহুক যখন সাড়ে তিনশো বছর আগে আতশ কাঁচের নীচে কিলবিল করা প্রাণগুলোকে দেখতে পেয়েছিলেন, তখনও তিনি জানতেন না যে তিনি এক নতুন দুনিয়ার সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন। তিনিই প্রথম আণুবীক্ষণিক প্রাণের দুনিয়াকে মানুষের সামনে উন্মোচিত করেন। ওই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণগুলোর নাম দেন ‘অ্যানিম্যালকুলস’। ইতিহাসের শুরু থেকেই মানুষ এই অণুজীবদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে কোটি কোটি। অথচ কারা এই প্রাণহাণির কারণ তা মানুষের বুঝে উঠতে সময় লেগেছে হাজার হাজার বছর। ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারেরও বেশ কিছু সময় পর, রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস সম্পর্কে মানুষ জানতে শুরু করে উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে। ইতিহাসে এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবসৃষ্ট মহামারীর প্রভাবে সভ্যতা ধ্বংস হয়েছে, পাল্টে গিয়েছে সমাজ-অর্থনীতি। মহামারীর ইতিহাস ও মানুষের মধ্যে তার প্রভাব নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। মানুষের প্রাচীন ফসিল বিশ্লেষণ করে স্মলপক্স, টিউবারকিউলোসিসসহ বিভিন্ন রোগের নিদর্শন পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এই দুনিয়া বিশ্বায়িত হওয়ার বহু আগেও লাখ লাখ মানুষ মহামারীতে মারা গিয়েছে। আসলে উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে বিশ্বে জনসংখ্যা যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে রোগ বালাইয়ের প্রকোপ। মানুষ পশুপাখিকে যখন গৃহপালিত করতে শেখে, তখন সেই গৃহপালিত পশু পাখি থেকেও মানুষ সহজে সংক্রমিত হয়েছে। অন্যদিকে, বিশুদ্ধ জলের অভাবে গ্রামকে গ্রাম উজার হয়েছে। নগরসভ্যতা হারিয়ে গিয়েছে মহামারীতে। ওল্ড টেস্টামেন্টে যেমন ঈশ্বরের শাস্তি হিসেবে মহামারীর নিদর্শন আমরা পাই, তেমনই প্রাচীন গ্রিসের ইতিহাসবিদ থুসিসাইডিসের রচনাতেও মহামারীর উল্লেখ পাওয়া যায়। থুসিসাইডিসের রচনা থেকে আমরা জানিতে পারি, পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধের সময় টাইফাস মহামারীতে এথেন্সের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ মারা যায়। যার কারণে স্পার্টার জয়লাভ সম্ভব হয়েছিল। ১৬৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮০ খ্রিস্টাব্দে রোমে স্মল পক্স মহামারীতে বহু মানুষ মারা যায়, রাজপরিবারের সদস্যরাও এর প্রকোপ থেকে বাঁচেনি। বিখ্যাত রোমান সম্রাট মার্কাস অরেলিয়াসের ভাই লুইসিয়াস ভেরাসের মারা গিয়েছিলেন। ২৫০ খ্রিস্টাব্দে সাইপ্রিয়ানের প্লেগ মহামারী রোমান সাম্রাজ্যকে দুর্বল করে দেয়। এরপর, পঞ্চম শতাব্দীতে একদিকে যুদ্ধ অন্যদিকে এই মহামারী শক্তিশালী পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যকেই শেষ করে দেয়।
১৪ শতকে যখন কোনও বিমান কিংবা প্রমোদতরী কিছুই ছিল না, তখনও ব্ল্যাক ডেথ নামে মহামারী এক যুগের কিছুটা বেশি সময়ের মধ্যেই প্রাচ্য এশিয়া থেকে পাশ্চাত্য ইউরোপ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। এটি ইউরো-এশিয়া অঞ্চলটির সাড়ে সাত কোটি মানুষকে মেরে ফেলেছিল। যা ইউরো-এশিয়ার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ। ইংল্যান্ডে প্রতি দশজনে চারজন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ফ্লোরেন্স শহরে এক লাখ নাগরিকের মধ্যে ৫০ হাজার নাগরিক প্রাণ হারায়। সময়টা ১৫২০ সালের মার্চ মাস। গুটিবসন্তের (স্মল পক্স) একজন মাত্র বাহক ফ্রান্সিকো ডি অ্যাগুইয়া মেক্সিকোতে পা রাখেন। সেই সময় মধ্য আমেরিকায় কোনও ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা ছিল না। ছিল না কোনও বাস পরিবহন। তা সত্ত্বেও ডিসেম্বরের মধ্যে গুটি বসন্ত মহামারি আকারে পুরো মধ্য আমেরিকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা মধ্য আমেরিকার মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখানেই শেষ নয়! ১৯১৮ সালে একটি বিশেষ ধরনের ফ্লু ভাইরাস কয়েকমাসের মধ্যেই পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পঞ্চাশ কোটি মানুষকে আক্রান্ত করে, যা তখনকার মানব প্রজাতির এক চতুর্থাংশেরও বেশি। এই ভাইরাসে ভারতের মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশের মৃত্যু হয়। ওই মহামারীতে এক বছরেরও কম সময়ে ১০ কোটি মানুষ প্রাণ হারায়। চার বছর ধরে চলা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যার চেয়েও তা বেশি ছিল। মহামারীর এরকম বহু নিদর্শন পাওয়া যায় ইতিহাসে, যা শুধু মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে এমন নয়, গোটা সমাজ-রাজনীতির সমীকরণকেই বদলে দিয়েছে। মহামারী বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ডেমোগ্রাফিকে বদলে দিয়েছে। বদলে দিয়েছে তার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে। রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহেও ফেলেছে সুদূরপ্রসারী প্রভাব।
তাহলে কি করোনা ভাইরাসের প্রকোপেও আধুনিক বিশ্ব পাল্টে যাবে?
জার্মানির চ্যান্সেলর মার্কেল গত ১৮ মার্চ দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রথম করোনা সংক্রমণকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী সবচেয়ে বড় সঙ্কট বলেছেন। ২০১৯–এর ডিসেম্বরের পরের পৃথিবী আগের মতো নেই। পরিবর্তনটা হবে অস্বাভাবিকভাবে ভিন্ন এবং মৌলিক। নতুন অনেক কিছুর জন্য প্রস্তুত হতে হবে মানবজাতিকে। কিছু কিছু পরিবর্তন স্থায়ী হয়ে উঠবে। মনে রাখবেন, ১৯৪৫ সালের মে মাসের আগের ও পরের বিশ্ব আলাদা হয়ে গিয়েছিল। করোনা ভাইরাস মহাযুদ্ধের চেয়েও বেশি মাত্রায় চেনাজানা বিশ্বকে পাল্টে দিতে পারে। সেই অর্থে করোনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় ‘রাজনৈতিক ঘটনা’।
এই প্রজন্ম এ রকম সর্বগ্রাসী দুর্যোগ আর দেখেনি। প্রতিদিনই কোভিড-১৯ ক্ষয়ক্ষতির চমক দেখাচ্ছে। এর শেষ কোথায়, আমরা কেউই জানি না। ঝড়ের বেগে ধাবমান মানব সভ্যতা অতর্কিতে থেমে গিয়েছে। শিল্প-বাণিজ্য-বিশ্বায়ন, পরিবেশ দূষণের উদ্দাম গতি, সব কিছু থমকে দাঁড়িয়েছে এক মাসের মধ্যে। করোনা-উত্তর পৃথিবীতে মানুষ কবে আবার ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে ফিরবে, তার উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়নি, চীন এত দ্রুত ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এও মনে হয়নি, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় বিপর্যয় এত ব্যাপক হবে।
তুলনামূলকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা ছিল ওই সব অঞ্চল। অথচ সেখানেই অস্তিত্বের সঙ্কট তীব্র চেহারা নিয়েছে। ইরানে সংক্রমণের ব্যাপকতারও কোনও উত্তর মেলেনি আজও। এটুকুই শুধু বোঝা যাচ্ছে, যেসব দেশ ও সরকার আগেভাগে সমস্যার রূঢ়তা চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ সক্রিয় হয়েছে, তারা ভাইরাসের আগ্রাসন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অন্যত্র ঘটেছে উল্টো। এই বিপর্যয় মোকাবিলায় আমেরিকা, ব্রিটেনসহ বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর নেতারা ব্যর্থ। নিজেদের সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁদের তরফ থেকে এখনও এমন একটি বাক্যও পাওয়া যায়নি, যা বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করতে পারে। যা বিশ্বে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পালাবদলের ইঙ্গিত। অতীতে মহামারীর ইতিহাসে শুধুমাত্র সঠিক ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়ে বহু রাজত্ব নুয়ে পড়েছিল। তবে সব মহামারির শিক্ষা এক রকম নয়।
ইউরোপ যুগের পর যুগ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধে শরিক হয়েছে আমেরিকার। অথচ, ভাইরাস হানা দেওয়ামাত্র ওয়াশিংটন কোনও ধরনের আলোচনা ছাড়াই ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বাকি বিশ্বের দায় এড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই পরিস্থিতি যেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘স্প্যানিশ-ফ্লু’র কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই দুর্যোগে অস্ট্রিয়া আর জার্মানি শক্তি হারিয়ে উত্থান ঘটেছিল ব্রিটেন ও ফ্রান্সের। তবে মহামারী শুধু রাজনীতিতে নয়, নাটকীয় পরিবর্তন আনে অর্থনীতিতেও। ডলার-পাউন্ড পকেটে নিয়ে পণ্য না পাওয়ার অভিজ্ঞতা আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক নাগরিকের জীবনে এই প্রথম। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সীমান্ত বন্ধ এবং জরুরি অবস্থার মতো ঘটনা।
আপাতত গোটা পৃথিবী জুড়ে বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ, পর্যটন স্তব্ধ, হোটেল, খাবার দোকান সবেতেই তালা ঝুলছে। এমন চললে মে মাসের শেষের মধ্যে প্রায় সব বিমান সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা। পর্যটন-শিল্পেও একই কালো মেঘ। শিল্পের যে ক্ষেত্রগুলো কাজ তৈরি করে, তার মধ্যে প্রধানই হল ভ্রমণ ও পর্যটন— পৃথিবীব্যাপী আনুমানিক ২০ শতাংশ মানুষের জীবিকার কেন্দ্র। ফলে যে সংখ্যায় মানুষ কাজ হারাতে চলেছে আগামী এক-দুই মাসে, তার হিসেব আন্দাজ করা যায় না। বিশ্বজুড়ে সাপ্লাই চেন ভেঙে পড়েছে। বড় ধরনের মন্দার মুখে গোটা বিশ্ব। সব দেশেই ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার জন্য মরিয়া। কেউ চাইছেন নগদ সহায়তা, কেউ কর ছাড়। পরিস্থিতি অভূতপূর্ব। কিন্তু অধিকাংশ অর্থমন্ত্রী হতবিহ্বল। রাষ্ট্রগুলো সাহায্য চাইছে বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ, এডিবির কাছে।
চীনকে বাদ দিলে ভারতসহ পৃথিবীর সব শেয়ার মার্কেটে অবিরাম রক্তক্ষরণ চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০৮ সালের আর্থিক ‘মন্দা’র পরিস্থিতি আবার ফিরে এসেছে। মাসখানেকের মধ্যে পরিস্থিতির মোড় না ঘুরলে হয়তো আমরা ১৯৩০ সালের ‘গ্রেট ডিপ্রেশন’ এর সঙ্গে তুলনীয় জায়গায় পৌঁছে যাব। ভাইরাস–ঝড় থামার পরই পুঁজি তার পুনরুত্থানের জন্য অটোমেশনের উপর জোর দেবে। কারখানা ও সাপ্লাই চেন দুটোর অটোমেশন করা গেলে পরের ভাইরাস যুদ্ধগুলোকে এড়ানো সহজ হতে পারে। আর এই অটোমেশন যুগের ব্যাপকতা শ্রমজীবীনির্ভর দেশগুলোর জন্য খারাপ খবর। অসংগঠিত শ্রমিকের হারও কমে আসবে।
প্রতিটি সংকটই কিছু সম্ভাবনার দ্বারও খুলে দেয়। অর্গানিক ফুডের বাজার চাঙা হয়ে উঠবে। বিশেষ করে যেসব খাবার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সেগুলোর দিকে মানুষের আগ্রহ বাড়বে। মাস্ক পরার চেয়েও শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকা যে অধিক জরুরি ছিল, সেটা করোনা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে। ফলে ভোগের ধরন পাল্টাবে। জীবনযাপনের ধরনও। ‘লাইফস্টাইল’ জগতে তাই পরিবর্তন হবে বিস্ময়কর। করোনা ভাইরাস শুধু বিশ্বায়নের ধরনই নয়, হয়তো অনেক সামাজিক মূল্যবোধই আমূল পাল্টে দিতে পারে। গোলার্ধজুড়ে বইতে পারে স্বাস্থ্যসচেতনতার নতুন তরঙ্গ। মানুষ টের পাচ্ছে, একটা মিসাইল বানানোর চেয়ে একজন ডাক্তার তৈরি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। করোনা–আতঙ্ক সেই শিক্ষাই দিচ্ছে!
27th  March, 2020
ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে কি শেষে
হার মানবে করোনা বিরোধী লড়াই?
হিমাংশু সিংহ

 এই ভয়ঙ্কর মহামারীর দিনে দিল্লির নিজামুদ্দিনে লকডাউন ভেঙে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের জমায়েত থেকে মানবসভ্যতার কী লাভ হল? কিংবা গত বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে রামনবমীর ভিড়ে ঠাসা মেলায়? সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রামমন্দিরের সামনে মানুষের লম্বা লাইনে?
বিশদ

আত্মঘাতী খেলা
তন্ময় মল্লিক

লড়াইটা আমরা কি ক্রমশই কঠিন করে ফেলছি। লকডাউন ঘোষণার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই লড়াইকে হাল্কা চালে নেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। আর সেটা এই মুহূর্তে রুখে দিতে না পারলে সর্বনাশ অনিবার্য। ইতালি, আমেরিকা, স্পেনের রিপ্লে দেখতে হবে ভারতেও। প্রথমদিকে লকডাউন মানার যে মানসিক দৃঢ়তা আমরা দেখাতে পেরেছিলাম, দিন দিন তা শিথিল হচ্ছে।
বিশদ

04th  April, 2020
হাঁটার গল্প
সমৃদ্ধ দত্ত 

অনেকবার আবেদন করেও আধার কার্ড পায়নি রতু লাল। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত না করা হলে রেশনও পাওয়া যায় না। সুতরাং সে রেশন পায় না। তার খুব দুঃখ ছিল, সরকারের কোনও কাগজ তার কাছে নেই বলে। সেই কষ্ট ঘুচল। অবশেষে করোনা ভাইরাসের দৌলতে এই প্রথম সরকারিভাবে একটি স্বীকৃতি পেল রতু লাল। কোনও কাগজ, সার্টিফিকেট নয়। আরও স্পষ্ট, আরও সোজাসুজি।   বিশদ

03rd  April, 2020
তাল কেটে দিল দিল্লি একাই
হারাধন চৌধুরী

একটি মাত্র শব্দ। করোনা। সারা পৃথিবীর শিরোনাম দখল করেছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতা। বিনোদনের পাতা। খেলার পাতা। টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেল। সব রকম সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলিও আজ করোনাময়! সকাল থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের কুশলাদি বিনিময়ের বিস্তৃত সংস্কৃতিতেও করোনা ভাগ বসিয়েছে পুরোমাত্রায়।  বিশদ

02nd  April, 2020
লকডাউনেই থামবে করোনার অশ্বমেধের ঘোড়া
সন্দীপন বিশ্বাস

 এ এক অন্য পৃথিবী। এই পৃথিবী দেখার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অতি দ্রুত আমরা মুখোমুখি হলাম এই অন্য পৃথিবীর। যেখানে গাছের পাতা ঝরার মতোই ঝরে পড়ছে মানুষের প্রাণ। বিশদ

01st  April, 2020
ঘরে থাকতে অক্ষম যে ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 রণবীর সিং। বয়স ৩৮ বছর। ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করতেন দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি। জাতীয় সড়ক ধরে। যেভাবে হোক গ্রামে পৌঁছতে হবে। গ্রাম মানে মধ্যপ্রদেশের কোথাও একটা... দিল্লি থেকে বহুদূর।
বিশদ

31st  March, 2020
ভীরু এবং আধখেঁচড়া
ব্যবস্থা, তবু স্বাগত
পি চিদম্বরম

গত ১৯ মার্চ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে ২২ মার্চ, রবিবার দেশজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালন করা হবে। আমি ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী জল মাপছেন, জনতা কার্ফুর শেষে তিনি নানা ধরনের লকডাউন ঘোষণা করবেন। কিন্তু রবিবার কোনও ঘোষণা শোনা গেল না। বিশদ

30th  March, 2020
 করোনা যুদ্ধের অক্লান্ত সৈনিক ডাক্তারবাবুরা,
দোহাই ওদের গায়ে আর কেউ হাত তুলবেন না
হিমাংশু সিংহ

পৃথিবীব্যাপী এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে। অদৃশ্য জৈবযুদ্ধ। এলওসিতে দাঁড়িয়ে মেশিনগান হাতে কোনও সেনা নয়, রাফাল নিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও নয়। হাসপাতালের আইসিইউতে নিরস্ত্র ডাক্তারবাবুরা বুক চিতিয়ে এই নির্ণায়ক যুদ্ধ লড়ছেন রাতের পর রাত ক্লান্তিহীন। বিশদ

29th  March, 2020
এ লড়াই বাঁচার লড়াই,
এ লড়াই জিততে হবে
তন্ময় মল্লিক

 এখন দোষারোপের সময় নয়। এখন আঙুল তোলার সময় নয়। এখন সমালোচনার সময় নয়। এখন লড়াইয়ের সময়। এ এক কঠিন লড়াই। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। এ লড়াই জিততে হবে।
বিশদ

28th  March, 2020
করোনা ছুটছে গণিতের অঙ্ক মেনে,
থামাতে হবে ‘হাতুড়ি’র ঘা দিয়েই
ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ

 জানেন কি, গণিতের নিয়ম মেনেই ভারত সহ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনা ভাইরাস? একজন আক্রান্ত থেকে গুণিতক হারে অন্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস! আর অসতর্কতার কারণে মাত্র এক-দু’সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা এক ঝটকায় অনেকটা বাড়ছে। ঠিক যেমন হয়েছে চীন, ইতালি, স্পেনের মতো দেশগুলিতে।
বিশদ

27th  March, 2020
পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ, অস্ত্র নাগরিক সচেতনতা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাঃ সুশীলা কাটারিয়া। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাঁদের জন্য পাঁচটা মিনিট সময় বের করার আর্জি জানিয়েছিলেন, ডাঃ কাটারিয়া তাঁদেরই মধ্যে একজন। গুরুগ্রামে একটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডিরেক্টর তিনি। বয়স ৪২ বছর। গত ৪ মার্চ যখন তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনার দায়িত্বে ১৪ জন ইতালীয় পর্যটককে ভর্তি করা হচ্ছে, তখনও তিনি রোগের নাড়িনক্ষত্র ভালোভাবে জানেন না। 
বিশদ

24th  March, 2020
মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি
 সন্দীপন বিশ্বাস

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন। আর এই ‘অসুখ’ থেকে বারবার মানুষ লড়াই করে ফিরে এসেছে। প্রতিবার অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে লড়াই করে মানুষ এগিয়ে গিয়েছে উত্তরণের পথে। প্রকৃতির কোনও মারণ আক্রমণেই সে পিছিয়ে পড়েনি। তাই মানুষ বারবার ঋণী মানুষেরই কাছে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
একনজরে
বিএনএ, তমলুক: লকডাউনের মধ্যেই শুক্রবার রাতে চণ্ডীপুর থানার হাঁসচড়ায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভল্ট খুলে ৩৪লক্ষ টাকা চুরি করে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। চাবি ব্যাঙ্কে থাকায় দুষ্কৃতীদের ভল্ট ভাঙতে হয়নি।   ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়েছিল। সেটিকে অবশ্য সরকারি মহল থেকেই ‘ভুয়ো’ বলা হয়েছে। ওই ভিডিওতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব করোনা তাড়ানোর জন্য কয়েকজন সাধুর সঙ্গে নাচ-গান করছেন বলে দেখানো হয়। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জলের অপচয় বন্ধে বারবার কলকাতা পুর প্রশাসনের তরফে আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, শহরের বেশ কিছু অংশে জলের অপচয়ের মাত্রা ...

সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করা হবে স্থানীয় শ্মশানে, এই আশঙ্কায় শ্মশানঘাটের চারদিকের রাস্তা আটকে ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৮- রাজনীতিক জগজীবন রামের জন্ম
১৯১৬- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের জন্ম
১৯৩২ - বিশিষ্ট বাঙালী সাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখাপাধ্যায়ের মত্যু
১৯৫৭- কেরলে প্রথম ক্ষমতায় এলেন কমিউনিস্টরা
১৯৯৩- বলিউডের অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর মৃত্যু
২০০০- রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০০৭- সাহিত্যিক লীলা মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.২৪ টাকা ৭৬.৯৬ টাকা
পাউন্ড ৯২.৫১ টাকা ৯৫.৮২ টাকা
ইউরো ৮১.০৩ টাকা ৮৪.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
04th  April, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

২২ চৈত্র ১৪২৬, ৫ এপ্রিল ২০২০, রবিবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) দ্বাদশী ৩৪/৫০ রাত্রি ৭/২৫। মঘা ২৩/৪০ দিবা ২/৫৭। সূ উ ৫/২৯/১৫, অ ৫/৪৯/৩৫, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৬ গতে ২/৩৪ মধ্যে।
২২ চৈত্র ১৪২৬, ৫ এপ্রিল ২০২০, রবিবার, দ্বাদশী ২৫/৩১/০ দিবা ৩/৪৩/১২। মঘা ১৪/৫০/৩৮ দিবা ১১/২৭/৩। সূ উ ৫/৩০/৪৮, অ ৫/৫০/৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৫ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ১/৪১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/৮/২ গতে ১১/৪০/২৭ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪০/২৭ গতে ১/১২/৫১ মধ্যে।
 ১১ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯০৮- রাজনীতিক জগজীবন রামের জন্ম১৯১৬- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের জন্ম১৯৩২ ...বিশদ

07:03:20 PM

ভূমিকম্প অনুভুত অসমে 
বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কের মাঝে এবার ভূমিকম্প অনুভুত হল অসমে। রিখটার ...বিশদ

11:39:32 PM

নিরোর কথা শুনেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীকে দেখলাম, ট্যুইট ফিরহাদ হাকিমের 
প্রধানমন্ত্রীর ডাকে রবিবার রাত ন’টার সময় ন’মিনিট ঘরের আলো জ্বালিয়ে ...বিশদ

10:04:34 PM

৯ মিনিটের ‘লাইট আউট’-এর জন্য বিদ্যুৎ গ্রিডে কোনও প্রভাব পড়েনি: কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিং 

09:45:20 PM

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১১১, মৃত ১২৬: পিটিআই 

09:20:30 PM

করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করুন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বার্তা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের 

09:18:00 PM