Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সময় এসেছে সিরিয়াস কিছু প্রশ্নের
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে কিছুটা নিশ্চয়ই বোঝা গেল নিজের পাড়ায় দাঙ্গা এলে কী হবে? অতএব এটাও আশা করি আন্দাজ করা গেল যে, এনআরসি, সিএএ, এনপিআর, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, হিন্দু মুসলমান সবই হল নেহাত সাধারণ টাইমপাস। বাঁচব কি না এই আতঙ্ক যখন গ্রাস করে, তখন বাকি সব শূন্য হয়ে যায়, এই সাধারণ উপলব্ধিটা আপাতত কিছুটা হলেও তো আশা করা যায় পাওয়া গিয়েছে? এই যে সারা বছর ধরে অন্য রাজ্যে, অন্য এলাকায়, অন্য শহরের দাঙ্গার খবরকে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে, ফেক নিউজ জেনেও ফরওয়ার্ড করে, হিন্দু বনাম মুসলিম প্ররোচনামূলক আলোচনা, ঝগড়া, তর্ক করেও নিজেদের বেশ দূরে থেকে নিরাপদ হাসিখুশি জীবনযাপন করার অভ্যাসকে অবশেষে সজোরে একটা ধাক্কা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। এই প্রথম আমাদের ভয় লাগতে শুরু করেছে। যদি আমারও হয়! হ্যাঁ। এটাই নিয়ম। যখন বিপদ দোরগোড়ায় এসেছে তখনই ভয় পাই আমরা। যতক্ষণ দূরে থাকে বিপদ ততক্ষণ ভাবি আমার কী যায় আসে? তাই হাসিঠাট্টা, ইয়ার্কি, নির্বোধ রসিকতা চলে। তাই এবার প্রমাণ হল যে বিপদ যখন কাছে আসে, তখনই শুধু ভয় পাওয়াটা দরকার এমন নয়। উপলব্ধি করা উচিত যে, দূরের ভয় কয়েকদিনের মধ্যেই নিজের ঘরেও ঢুকতে পারে। তাই বিপদ আগামীদিনে অনেক দূরে থাকলেও ভয় পাওয়া অভ্যাস করা দরকার। ওটা ভালো অভ্যাস। যতই দিন যাচ্ছে ততই একটা স্বার্থান্বেষী চক্র আমাদের মধ্যে হিন্দু বনাম মুসলিম নামক হেটগেম ইনস্টল করে দিয়ে নিজেরা সবরকম সুযোগসুবিধা পেয়ে চলেছে। আর আমরা নিজেদের মধ্যেই ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি করছি এবং দিনরাত ব্যস্ত আছি ওই একটি বিষয়কেই জীবনের প্রধান ইস্যু ধরে নিয়ে। কেন করছি? কারণ, আমাদের পাড়ায় তো দাঙ্গা হচ্ছে না। দাঙ্গা হচ্ছে দিল্লি অথবা মুজফফরনগর কিংবা বিহারের কোনও প্রান্তিক মফস্‌সলে। অথবা বসিরহাট কিংবা ধূলাগড়ের কোনও পাড়ায় এক্সপেরিমেন্ট চলছে মাঝেমধ্যেই। কিন্তু আমাদের জীবনযাপনে কোনও হেরফের হয়নি। তাই গায়ে আঁচও লাগেনি। মনের সুখে বছরভর হিন্দু-মুসলমান তর্কাতর্কি আর ‘ওদের টাইট দেওয়া দরকার’ মন্ত্রেই নিজেদের ব্যস্ত রেখে চলেছি। তার জেরে আমার যে কী সুবিধা হবে তা জানি না। যে নেতানেত্রীরা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের চেনেনই না, তাঁর হয়েই লড়াই করে যাই বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে। যে দলের হয়ে চেনা লোকজনের সঙ্গে সারাদিন ধরে ঝগড়াঝাঁটি করছি, তাদের লোকাল দপ্তরে গেলেও নেতার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে হয়তো ঢুকতেই দেবে না আমাদের। কিন্তু তাও অবোধের মতো এসব করে চলেছি। যে লোকটির সঙ্গে ঝগড়া করছি তিনি তাঁর পছন্দের দলকে ভোট দিয়ে সরকার বা রাষ্ট্র থেকে যেসব সুবিধা অসুবিধা ভোগ করছেন, আমি বিপরীত কোনও দলকে ভোট দিয়েও সেই একই সুবিধা অসুবিধা ভোগ করছি। কেউই এক্সট্রা সুযোগ পাচ্ছি না, আবার কেউই বেশি বঞ্চনা ভোগ করছি না। আমি যে বিশেষ দলকে ভোট দিয়ে একটু কম আয়কর দিচ্ছি তাও নয়। সাংঘাতিক মজার ব্যাপার। লক্ষ্য করেছেন যে, এই কয়েকদিন আর ওইসব হিন্দু খারাপ, মুসলিম খারাপ মার্কা আলোচনা একটু হলেও স্তিমিত হয়েছে।
কারণ কী? কারণ হল, এবার সরাসরি জীবনে আঁচ লাগছে করোনা ভাইরাসের। বাজার বন্ধ হলে খাবো কী? ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে টাকা তুলব কীভাবে? এই যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স থেকে সিবিএসই পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেল এবার আমার ছেলেমেয়েটার কী হবে? কবে হবে পরীক্ষা? কেরিয়ারটা কি পিছিয়ে গেল এভাবে? এটাই হলাম আমরা। যতক্ষণ না নিজেরা আক্রান্ত হচ্ছি পরিস্থিতির চাপে, ততক্ষণ অনুধাবন করতে পারি না যে, সাধারণ সময়ে কতরকম অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছি।
এবার করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। চীন থেকে ইতালি। আমেরিকা থেকে ইরান। তুরস্ক থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত ঠিক ছিল। এমনকী দিল্লি, তেলেঙ্গানা, মুম্বইয়ে তিনজনের মৃত্যু হল যখন, তখনও আমাদের একাংশের হেলদোল ছিল না। বরং ফাজলামি ছিল। ছড়া লেখা হয়েছে। কার্টুন আঁকা চলেছে। মিম তৈরি হয়েছে। সামাজিক সচেতনতাও লক্ষ্য করা যায়নি। বরং মোটামুটি একটা ক্যালাস, ডোন্ট কেয়ার আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর কলকাতা থেকেই পাওয়া গেল তৎক্ষণাৎ কমবেশি একটা আতঙ্ক সকলের মধ্যেই গ্রাস করল। সরকার ও বিশেষজ্ঞরা বলল, সামাজিক ট্র্যান্সমিশনে সংক্রমণ হতে পারে। সবরকম সমাবেশ বন্ধ, খেলা বন্ধ, সিনেমা হল বন্ধ, আগামীদিনে মার্কেটও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভিড় ট্রেন বাসে চলাফেরা করলে সংক্রমণ বাড়তে পারে। মার্কেট থেকে আমরা বাজার করে মজুত করতে শুরু করলাম। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাপন ক্রমেই ব্যাহত হয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে আরও কী ভয়ঙ্কর অবস্থা অপেক্ষা করে আছে তাও নিশ্চিত নয়। কমপ্লিট শাটডাউন ও লকডাউন কাকে বলে তা আমরা দেখিনি অদূর অতীতেও। এবার সেই আশঙ্কা এসেছে। তাই আমরা ভয় পাচ্ছি। আতঙ্কিত হচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব এই সঙ্কট কেটে যাক এটাই সকলের কাম্য। গোটা দুনিয়ায় কালান্তক মহামারী এসে উপস্থিত হলে আদৌ কতজন বাঁচবে, কতজন প্রাণ হারাবে তাও অজানা। একবার বিশ্বের আঙিনায় যখন ভাইরাস প্রবেশ করেছে, তখন এত দ্রুত তার করাল ছায়া অন্তর্হিত হবে কি? এই প্রশ্ন গোটা বিশ্বের।
আসুন এটাই আদর্শ সময় ভাবার যে, এই সঙ্কট কেটে যাওয়ার পর নিজেরা আর ম্যানমেড সঙ্কট ডেকে আনব না। ম্যানমেড মহামারী হল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। করোনা ভাইরাসের উপর মানুষের হাত ছিল না। কিন্তু এই সঙ্কটের পরবর্তী সময়ে অযথা আর আগামীদিনে দাঙ্গাকে প্ররোচনা যেন না দিই। অনেক দূরে দিল্লি অথবা রাজস্থান, যেখানেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সংবাদ আসবে, তৎক্ষণাৎ যেন ভয় পাই আমরা। কারণ আমরা ওই আগুনকে গুজব, জল্পনা, কল্পনা আর রাজনীতির স্বার্থসিদ্ধির বাতাস দিলে একদিন না একদিন আমাদের ঘরের মধ্যে, দোরগোড়ায় আছড়ে পড়বে সেই আগুন। অবিকল এরকমই সঙ্কট নিয়ে আসে দাঙ্গা আর গৃহযুদ্ধ। জীবনের সব স্বাভাবিকতা চলে যায়। এই যে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক আমাদের সকলকে গ্রাস করেছে, ঠিক এই সময়ে সদ্য দাঙ্গাবিধ্বস্ত উত্তর পশ্চিম দিল্লির মহল্লার পর মহল্লায় গেলে দেখা যাচ্ছে অকল্পনীয় দৃশ্য। সামান্য চাল ডাল রাখার পাত্র অবশিষ্ট নেই। বাড়ির একমাত্র রোজগার করা মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই আয় করার কেউ নেই স্ত্রী আর ছোট ছোট সন্তানদের ঘরে। করোনার মাস্ক কেনা তো দূরে কথা, সামান্য খাবার জোটানোর জন্য বহু মানুষ আজও ত্রাণ শিবির ছাড়ছে না। কারণ খাবার পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কতদিন পাওয়া যাবে? ঠিক নেই। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিবিরগুলি। সুতরাং মনে রাখতে হবে আমাদের বাংলাও অতীতে দাঙ্গা প্রত্যক্ষ করেছে সবথেকে খারাপ আকারে। তাই, বাকি সব চলুক। সাম্প্রদায়িক উসকানি বন্ধ হোক। একবার দাঙ্গা শুরু হলে করোনা ভাইরাসের মতোই আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা গ্রাস করবে। ইতিহাস সাক্ষী আছে। রোদ্দুর রায়কে নিয়ে মনস্তাস্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক আলোচনা এখন আর নেই। রাজ্যসভার ভোটে সিপিএম ও কংগ্রেসের জোটের বিশ্লেষণ নেই, প্রতিদিন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কী কী করা উচিত এবং তাঁরা কী কী ভুল করলেন এই পরামর্শ ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপে দেওয়া নেই এখন। কারণ, এখন সরাসরি জীবনযাপনেই থ্রেট এসেছে। করোনা বিপুল ক্ষতি করে দিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের। অর্থনীতির, জীবনযাপনের, শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে। কিন্তু এই ধাক্কা থেকেই আমাদের ইতিবাচক একটা উপলব্ধি হওয়া দরকার যে, সারা বছর ধরে আমরা যে অযথা নন-সিরিয়াস অন্তহীন বিষয়গুলি নিয়ে মাতামাতি করি, এবার কিছুটা হলেও সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করব।
করোনা নিয়ে যে সচেতনতা দেখানো শুরু করেছি, সেই প্রবণতা আগামীদিনেও বজায় রাখা দরকার। কেন দরকার? কারণ, পাবলিক ডিসকোর্সে স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় না বেশি। এবার থেকে এই আলোচনায় বেশি বেশি প্রবেশ করা দরকার। আমাদের রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করতে হবে যে, কেন আজ থেকে ২০ বছর আগেও মোট জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ দেশের হেলথকেয়ারে বরাদ্দ করা হতো এবং আজও সেই ১ শতাংশই বরাদ্দ করা হয়? একটি দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সূত্রপাত হল সেই দেশের শিশুদের স্বাস্থ্য দিয়ে। গরিব শিশুদের স্বাস্থ্যোন্নয়নের সবথেকে বৃহৎ প্রকল্প আইসিডিএস প্রকল্পের বরাদ্দ বেশি হয় না বাজেটে? কেন আইসিডিএস এবং মিড ডে মিলকে ধীরে ধীরে বেসরকারি হাতে, কর্পোরেট এনজিওর হাতে ক্রমেই দেওয়া হচ্ছে? দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবায় সরকার খুব চিন্তিত এটা বোঝাতে সবথেকে বেশি যে প্রকল্প বারংবার ঘোষণা করা হয় হেলথকেয়ারে, সেটি হল স্বাস্থ্যবিমা। ইউপিএ আমলের আম আদমি স্বাস্থ্য বিমা অথবা মোদি সরকারের আমলে আয়ুষ্মান ভারত বিমা যোজনা। অথবা কৃষকদের ফসল বিমা। ক্রমেই রাষ্ট্রের জনকল্যাণ প্রকল্পগুলির সঙ্গে প্রাইভেট বিমা সংস্থাগুলির সংযুক্তি হচ্ছে কেন? রাষ্ট্র ধীরে ধীরে বিমা উন্নয়ন মডেলে চলে যাচ্ছে কেন? এই একের পর এক বিমা প্রকল্পে ৮২ শতাংশ বিলো পভার্টি লা‌঩ইনের দেশে গরিবদের জন্য হরেকরকম বিমা প্রকল্পে প্রিমিয়ামের টাকা থেকে কাদের লাভ হচ্ছে সবথেকে বেশি? এইসব স্বাস্থ্যবিমা অথবা কৃষিবিমায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং ক্লেইম পাওয়ার গোপন শর্তাবলি কী? করোনার কারণে স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ যখন একবার এসেছে সমাজে, তখন আগামীদিনে এসব নিয়েও একটু আলোচনা করা হোক। ন্যাশনাল নিউট্রিশন মনিটরিং ব্যুরো কয়েক বছর আগে সমীক্ষায় বলেছে, ভারতের ৪ থেকে ৬ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ পায়, মাত্র ৩৫ শতাংশ শিশু আয়রন পায়, ৩৩ শতাংশ পায় ক্যালসিয়াম। অর্থাৎ বাকি বিপুল অংশের শিশুরা এসব পায় না। আর প্রবল অপুষ্টি তাই বেড়ে চলে দেশে। কেন পাঁচ বছরের কম বয়সি ভারতের ৪৩ শতাংশ শিশুই অপুষ্ট? সাপ্লিমেন্টারি ফুড প্রোগ্রামের টাকা কোথায় যাচ্ছে? 
20th  March, 2020
ঘরে থাকতে অক্ষম যে ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 রণবীর সিং। বয়স ৩৮ বছর। ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করতেন দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি। জাতীয় সড়ক ধরে। যেভাবে হোক গ্রামে পৌঁছতে হবে। গ্রাম মানে মধ্যপ্রদেশের কোথাও একটা... দিল্লি থেকে বহুদূর।
বিশদ

ভীরু এবং আধখেঁচড়া
ব্যবস্থা, তবু স্বাগত
পি চিদম্বরম

গত ১৯ মার্চ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে ২২ মার্চ, রবিবার দেশজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালন করা হবে। আমি ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী জল মাপছেন, জনতা কার্ফুর শেষে তিনি নানা ধরনের লকডাউন ঘোষণা করবেন। কিন্তু রবিবার কোনও ঘোষণা শোনা গেল না। বিশদ

30th  March, 2020
 করোনা যুদ্ধের অক্লান্ত সৈনিক ডাক্তারবাবুরা,
দোহাই ওদের গায়ে আর কেউ হাত তুলবেন না
হিমাংশু সিংহ

পৃথিবীব্যাপী এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে। অদৃশ্য জৈবযুদ্ধ। এলওসিতে দাঁড়িয়ে মেশিনগান হাতে কোনও সেনা নয়, রাফাল নিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও নয়। হাসপাতালের আইসিইউতে নিরস্ত্র ডাক্তারবাবুরা বুক চিতিয়ে এই নির্ণায়ক যুদ্ধ লড়ছেন রাতের পর রাত ক্লান্তিহীন। বিশদ

29th  March, 2020
এ লড়াই বাঁচার লড়াই,
এ লড়াই জিততে হবে
তন্ময় মল্লিক

 এখন দোষারোপের সময় নয়। এখন আঙুল তোলার সময় নয়। এখন সমালোচনার সময় নয়। এখন লড়াইয়ের সময়। এ এক কঠিন লড়াই। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। এ লড়াই জিততে হবে।
বিশদ

28th  March, 2020
মিসাইল বানানোর চেয়ে ডাক্তার
তৈরি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ
মৃণালকান্তি দাস

লিউয়েনহুক যখন সাড়ে তিনশো বছর আগে আতশ কাঁচের নীচে কিলবিল করা প্রাণগুলোকে দেখতে পেয়েছিলেন, তখনও তিনি জানতেন না যে তিনি এক নতুন দুনিয়ার সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন। তিনিই প্রথম আণুবীক্ষণিক প্রাণের দুনিয়াকে মানুষের সামনে উন্মোচিত করেন। ওই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণগুলোর নাম দেন ‘অ্যানিম্যালকুলস’। বিশদ

27th  March, 2020
করোনা ছুটছে গণিতের অঙ্ক মেনে,
থামাতে হবে ‘হাতুড়ি’র ঘা দিয়েই
ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ

 জানেন কি, গণিতের নিয়ম মেনেই ভারত সহ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনা ভাইরাস? একজন আক্রান্ত থেকে গুণিতক হারে অন্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস! আর অসতর্কতার কারণে মাত্র এক-দু’সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা এক ঝটকায় অনেকটা বাড়ছে। ঠিক যেমন হয়েছে চীন, ইতালি, স্পেনের মতো দেশগুলিতে।
বিশদ

27th  March, 2020
পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ, অস্ত্র নাগরিক সচেতনতা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাঃ সুশীলা কাটারিয়া। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাঁদের জন্য পাঁচটা মিনিট সময় বের করার আর্জি জানিয়েছিলেন, ডাঃ কাটারিয়া তাঁদেরই মধ্যে একজন। গুরুগ্রামে একটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডিরেক্টর তিনি। বয়স ৪২ বছর। গত ৪ মার্চ যখন তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনার দায়িত্বে ১৪ জন ইতালীয় পর্যটককে ভর্তি করা হচ্ছে, তখনও তিনি রোগের নাড়িনক্ষত্র ভালোভাবে জানেন না। 
বিশদ

24th  March, 2020
মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি
 সন্দীপন বিশ্বাস

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন। আর এই ‘অসুখ’ থেকে বারবার মানুষ লড়াই করে ফিরে এসেছে। প্রতিবার অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে লড়াই করে মানুষ এগিয়ে গিয়েছে উত্তরণের পথে। প্রকৃতির কোনও মারণ আক্রমণেই সে পিছিয়ে পড়েনি। তাই মানুষ বারবার ঋণী মানুষেরই কাছে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং তারপর
পি চিদম্বরম

আপনি এই লেখা যখন পড়ছেন, ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ভারত এগতে পারল না কি পিছনে পড়ে গেল। সরকার ব্যস্ত ভিডিও কনফারেন্সে, আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং করোনা থেকে বাঁচার জন্য নির্দেশিকা (হাত জীবাণুমুক্ত করা, নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং মাস্ক পরা) জারিতে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
ভয় পাবেন না, গুজব ছড়াবেন না, জনতা কার্ফুতে ঘরে থাকুন, বিশ্বযুদ্ধে ভাইরাস পরাজিত হবেই
হিমাংশু সিংহ

 এক মারণ ভাইরাসের ভয়ঙ্কর সংক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মহাযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের একদিকে করোনা আর অন্যদিকে গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব। প্রবীণ মানুষরা বহু স্মৃতি ঘেঁটেও এমন নজির মনে করতে পারছেন না যেখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটা রোগ ঘিরে এমন ত্রাস, আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মানুষের মনে।
বিশদ

22nd  March, 2020
লড়াই
তন্ময় মল্লিক

 করোনা ভাইরাস। এই দু’টি শব্দই গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প গোটা পৃথিবী। চীন, জার্মানি, ইতালি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে ক্ষতবিক্ষত করে করোনা এবার থাবা বসাতে শুরু করেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে।
বিশদ

21st  March, 2020
যুদ্ধপরিস্থিতি
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 এ সবকিছুর জন্য দায়ী ওই চীন, বুঝলেন। চীনেরাই ওই করোনা তৈরি করেছে। করে সামলাতে পারেনি। কোনওভাবে সেটা ফাঁক গলে বেরিয়ে পড়েছে। এখন নিজেরাও মরছে, আমাদেরও বিপদে ফেলে দিয়েছে। কাগজে পড়ছি ফ্রান্স, ইতালি, ইরান, ইরাক, আমেরিকা সব নাকি ওই ভাইরাসের দাপটে একেবারে নাজেহাল। বিশদ

19th  March, 2020
একনজরে
বিএনএ, গোঘাট: করোনা আতঙ্কে লকডাউনের জেরে রাজ্যবাসী গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় মানুষের পরিষেবায় সর্বক্ষণ ব্যস্ত রয়েছেন পুলিসকর্মীরা। তাই এই পরিস্থিতে কোনও পুলিসকর্মীর জুতো সেলাই বা পালিশের প্রয়োজন পড়লে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউনের জেরে স্তব্ধ গোটা দেশ। বন্ধ সব খেলা। গত ১৩ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল আই লিগের খেলা। ঠিক ছিল, ৩০ ...

অভিজিৎ চৌধুরী, চুঁচুড়া, বিএনএ: ক্ষ্যান্তবুড়ির দিদি শাশুড়িরা শাড়িগুলি উনুনে বিছাত, আর হাঁড়িগুলো রাখত আলনায়। কবিগুরুর ‘খাপছাড়া’র সেই আবহই বাস্তবে এনে দিয়েছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। হুগলিতে এখন দুষ্কৃতীরা অস্ত্রশস্ত্র সব তুলে রেখে ভালো খোকাটি সেজে গিয়েছে। ...

 করোনায় সন্ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাত লক্ষ। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ। ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এই প্রথম নয়, অতীতেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব চিকিৎসক দিবস
১৮৯৯ - বাঙালি লেখক ও চিত্রনাট্যকার শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯: রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক গান্ধীজির
১৯৪৫: অস্ট্রিয়াকে আক্রমণ করল সোভিয়েত ইউনিয়ন
১৯৫৬- বাংলা ভাষার রূপকথার বিশিষ্ট রচয়িতা ও সংগ্রাহক দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদারের মৃত্যু
১৯৫৬: পরমাণু পরীক্ষা করল সোভিয়েত ইউনিয়ন
১৯৬৫- বাঙালি সাহিত্যিক সতীনাথ ভাদুড়ীর মৃত্যু
১৯৭৯ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট জ্যাজ্ সঙ্গীত শিল্পী, পিয়ানো বাদক এবং অভিনেত্রী নোরা জোন্সের জন্ম
১৯৮১: ওয়াশিংটন ডিসি’র এক হোটেলের বাইরে জন হিঙ্কলে নামে এক ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনকে গুলি করেন
১৯৮৬ - স্প্যানিশ ফুটবল খেলোয়াড় সার্জিও র্যামোসের জন্ম
২০০২- বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার আনন্দ বক্সীর মৃত্যু
২০১৩ - মার্কিন কবি ও শিক্ষাবিদ ড্যানিয়েল হফম্যানের মৃত্যু

30th  March, 2020


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৬৪ টাকা ৭৬.৩৬ টাকা
পাউন্ড ৯১.৭৭ টাকা ৯৫.০৭ টাকা
ইউরো ৮২.১০ টাকা ৮৫.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৭ চৈত্র ১৪২৬, ৩১ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) সপ্তমী ৫৫/৪১ রাত্রি ৩/৫০। মৃগশিরা ৩২/৫৫ রাত্রি ৬/৪৪। সূ উ ৫/৩৩/৫৭, অ ৫/৪৭/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৮/১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৪ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৪/৫৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১৭ মধ্যে পুনঃ ১/৩৮ গতে ৩/১২ মধ্যে, বারবেলা ৭/৭ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৫ গতে ৮/৪৪ মধ্যে।
১৭ চৈত্র ১৪২৬, ৩১ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৩৮/৩৮ রাত্রি ১০/৩৯/১১। মৃগশিরা ২১/৫২/৪৩ দিবা ২/২০/৪৯। সূ উ ৫/৩৫/৪৪, অ ৫/৪৮/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৪ গতে ১০/২৩ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৭ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/৬ মধ্যে। কালবেলা ১/১৩/২৯ গতে ২/৪৫/২ মধ্যে।
 ৬ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭২৭: বিজ্ঞানী আইজাক নিউটনের মৃত্যু১৭৭৪ - কলকাতায় পোস্ট মাস্টার জেনারেলের ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও ১ 
পশ্চিমবঙ্গে আরও এক করোনা রোগীর খোঁজ মিলল। দমদমের আইএলএস হাসপাতালে ...বিশদ

10:59:57 PM

হাওড়ায় আরও এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু 
হাওড়ায় মৃত্যু হল আরও এক করোনা আক্রান্তের। মৃতের নাম সুরেন্দ্র ...বিশদ

10:56:00 PM

করোনা: এগরায় আক্রান্ত আরও এক
 

এগরায় করোনায় আক্রান্ত হলেন আরও একজন। এবার মারণ ভাইরাসের শিকার ...বিশদ

10:49:00 PM

এনআরএসে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু 
মারণ করোনা ভাইরাস পশ্চিমবঙ্গে আরও এক প্রাণ নিল। মঙ্গলবার রাতে ...বিশদ

10:32:56 PM

চণ্ডীগড়ে করোনায় আক্রান্ত হলেন ব্রিটেন ফেরত এক ব্যক্তি 

10:30:26 PM