Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সময় এসেছে সিরিয়াস কিছু প্রশ্নের
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে কিছুটা নিশ্চয়ই বোঝা গেল নিজের পাড়ায় দাঙ্গা এলে কী হবে? অতএব এটাও আশা করি আন্দাজ করা গেল যে, এনআরসি, সিএএ, এনপিআর, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, হিন্দু মুসলমান সবই হল নেহাত সাধারণ টাইমপাস। বাঁচব কি না এই আতঙ্ক যখন গ্রাস করে, তখন বাকি সব শূন্য হয়ে যায়, এই সাধারণ উপলব্ধিটা আপাতত কিছুটা হলেও তো আশা করা যায় পাওয়া গিয়েছে? এই যে সারা বছর ধরে অন্য রাজ্যে, অন্য এলাকায়, অন্য শহরের দাঙ্গার খবরকে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে, ফেক নিউজ জেনেও ফরওয়ার্ড করে, হিন্দু বনাম মুসলিম প্ররোচনামূলক আলোচনা, ঝগড়া, তর্ক করেও নিজেদের বেশ দূরে থেকে নিরাপদ হাসিখুশি জীবনযাপন করার অভ্যাসকে অবশেষে সজোরে একটা ধাক্কা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। এই প্রথম আমাদের ভয় লাগতে শুরু করেছে। যদি আমারও হয়! হ্যাঁ। এটাই নিয়ম। যখন বিপদ দোরগোড়ায় এসেছে তখনই ভয় পাই আমরা। যতক্ষণ দূরে থাকে বিপদ ততক্ষণ ভাবি আমার কী যায় আসে? তাই হাসিঠাট্টা, ইয়ার্কি, নির্বোধ রসিকতা চলে। তাই এবার প্রমাণ হল যে বিপদ যখন কাছে আসে, তখনই শুধু ভয় পাওয়াটা দরকার এমন নয়। উপলব্ধি করা উচিত যে, দূরের ভয় কয়েকদিনের মধ্যেই নিজের ঘরেও ঢুকতে পারে। তাই বিপদ আগামীদিনে অনেক দূরে থাকলেও ভয় পাওয়া অভ্যাস করা দরকার। ওটা ভালো অভ্যাস। যতই দিন যাচ্ছে ততই একটা স্বার্থান্বেষী চক্র আমাদের মধ্যে হিন্দু বনাম মুসলিম নামক হেটগেম ইনস্টল করে দিয়ে নিজেরা সবরকম সুযোগসুবিধা পেয়ে চলেছে। আর আমরা নিজেদের মধ্যেই ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি করছি এবং দিনরাত ব্যস্ত আছি ওই একটি বিষয়কেই জীবনের প্রধান ইস্যু ধরে নিয়ে। কেন করছি? কারণ, আমাদের পাড়ায় তো দাঙ্গা হচ্ছে না। দাঙ্গা হচ্ছে দিল্লি অথবা মুজফফরনগর কিংবা বিহারের কোনও প্রান্তিক মফস্‌সলে। অথবা বসিরহাট কিংবা ধূলাগড়ের কোনও পাড়ায় এক্সপেরিমেন্ট চলছে মাঝেমধ্যেই। কিন্তু আমাদের জীবনযাপনে কোনও হেরফের হয়নি। তাই গায়ে আঁচও লাগেনি। মনের সুখে বছরভর হিন্দু-মুসলমান তর্কাতর্কি আর ‘ওদের টাইট দেওয়া দরকার’ মন্ত্রেই নিজেদের ব্যস্ত রেখে চলেছি। তার জেরে আমার যে কী সুবিধা হবে তা জানি না। যে নেতানেত্রীরা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের চেনেনই না, তাঁর হয়েই লড়াই করে যাই বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে। যে দলের হয়ে চেনা লোকজনের সঙ্গে সারাদিন ধরে ঝগড়াঝাঁটি করছি, তাদের লোকাল দপ্তরে গেলেও নেতার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে হয়তো ঢুকতেই দেবে না আমাদের। কিন্তু তাও অবোধের মতো এসব করে চলেছি। যে লোকটির সঙ্গে ঝগড়া করছি তিনি তাঁর পছন্দের দলকে ভোট দিয়ে সরকার বা রাষ্ট্র থেকে যেসব সুবিধা অসুবিধা ভোগ করছেন, আমি বিপরীত কোনও দলকে ভোট দিয়েও সেই একই সুবিধা অসুবিধা ভোগ করছি। কেউই এক্সট্রা সুযোগ পাচ্ছি না, আবার কেউই বেশি বঞ্চনা ভোগ করছি না। আমি যে বিশেষ দলকে ভোট দিয়ে একটু কম আয়কর দিচ্ছি তাও নয়। সাংঘাতিক মজার ব্যাপার। লক্ষ্য করেছেন যে, এই কয়েকদিন আর ওইসব হিন্দু খারাপ, মুসলিম খারাপ মার্কা আলোচনা একটু হলেও স্তিমিত হয়েছে।
কারণ কী? কারণ হল, এবার সরাসরি জীবনে আঁচ লাগছে করোনা ভাইরাসের। বাজার বন্ধ হলে খাবো কী? ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে টাকা তুলব কীভাবে? এই যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স থেকে সিবিএসই পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেল এবার আমার ছেলেমেয়েটার কী হবে? কবে হবে পরীক্ষা? কেরিয়ারটা কি পিছিয়ে গেল এভাবে? এটাই হলাম আমরা। যতক্ষণ না নিজেরা আক্রান্ত হচ্ছি পরিস্থিতির চাপে, ততক্ষণ অনুধাবন করতে পারি না যে, সাধারণ সময়ে কতরকম অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছি।
এবার করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। চীন থেকে ইতালি। আমেরিকা থেকে ইরান। তুরস্ক থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত ঠিক ছিল। এমনকী দিল্লি, তেলেঙ্গানা, মুম্বইয়ে তিনজনের মৃত্যু হল যখন, তখনও আমাদের একাংশের হেলদোল ছিল না। বরং ফাজলামি ছিল। ছড়া লেখা হয়েছে। কার্টুন আঁকা চলেছে। মিম তৈরি হয়েছে। সামাজিক সচেতনতাও লক্ষ্য করা যায়নি। বরং মোটামুটি একটা ক্যালাস, ডোন্ট কেয়ার আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর কলকাতা থেকেই পাওয়া গেল তৎক্ষণাৎ কমবেশি একটা আতঙ্ক সকলের মধ্যেই গ্রাস করল। সরকার ও বিশেষজ্ঞরা বলল, সামাজিক ট্র্যান্সমিশনে সংক্রমণ হতে পারে। সবরকম সমাবেশ বন্ধ, খেলা বন্ধ, সিনেমা হল বন্ধ, আগামীদিনে মার্কেটও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভিড় ট্রেন বাসে চলাফেরা করলে সংক্রমণ বাড়তে পারে। মার্কেট থেকে আমরা বাজার করে মজুত করতে শুরু করলাম। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাপন ক্রমেই ব্যাহত হয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে আরও কী ভয়ঙ্কর অবস্থা অপেক্ষা করে আছে তাও নিশ্চিত নয়। কমপ্লিট শাটডাউন ও লকডাউন কাকে বলে তা আমরা দেখিনি অদূর অতীতেও। এবার সেই আশঙ্কা এসেছে। তাই আমরা ভয় পাচ্ছি। আতঙ্কিত হচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব এই সঙ্কট কেটে যাক এটাই সকলের কাম্য। গোটা দুনিয়ায় কালান্তক মহামারী এসে উপস্থিত হলে আদৌ কতজন বাঁচবে, কতজন প্রাণ হারাবে তাও অজানা। একবার বিশ্বের আঙিনায় যখন ভাইরাস প্রবেশ করেছে, তখন এত দ্রুত তার করাল ছায়া অন্তর্হিত হবে কি? এই প্রশ্ন গোটা বিশ্বের।
আসুন এটাই আদর্শ সময় ভাবার যে, এই সঙ্কট কেটে যাওয়ার পর নিজেরা আর ম্যানমেড সঙ্কট ডেকে আনব না। ম্যানমেড মহামারী হল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। করোনা ভাইরাসের উপর মানুষের হাত ছিল না। কিন্তু এই সঙ্কটের পরবর্তী সময়ে অযথা আর আগামীদিনে দাঙ্গাকে প্ররোচনা যেন না দিই। অনেক দূরে দিল্লি অথবা রাজস্থান, যেখানেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সংবাদ আসবে, তৎক্ষণাৎ যেন ভয় পাই আমরা। কারণ আমরা ওই আগুনকে গুজব, জল্পনা, কল্পনা আর রাজনীতির স্বার্থসিদ্ধির বাতাস দিলে একদিন না একদিন আমাদের ঘরের মধ্যে, দোরগোড়ায় আছড়ে পড়বে সেই আগুন। অবিকল এরকমই সঙ্কট নিয়ে আসে দাঙ্গা আর গৃহযুদ্ধ। জীবনের সব স্বাভাবিকতা চলে যায়। এই যে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক আমাদের সকলকে গ্রাস করেছে, ঠিক এই সময়ে সদ্য দাঙ্গাবিধ্বস্ত উত্তর পশ্চিম দিল্লির মহল্লার পর মহল্লায় গেলে দেখা যাচ্ছে অকল্পনীয় দৃশ্য। সামান্য চাল ডাল রাখার পাত্র অবশিষ্ট নেই। বাড়ির একমাত্র রোজগার করা মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই আয় করার কেউ নেই স্ত্রী আর ছোট ছোট সন্তানদের ঘরে। করোনার মাস্ক কেনা তো দূরে কথা, সামান্য খাবার জোটানোর জন্য বহু মানুষ আজও ত্রাণ শিবির ছাড়ছে না। কারণ খাবার পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কতদিন পাওয়া যাবে? ঠিক নেই। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিবিরগুলি। সুতরাং মনে রাখতে হবে আমাদের বাংলাও অতীতে দাঙ্গা প্রত্যক্ষ করেছে সবথেকে খারাপ আকারে। তাই, বাকি সব চলুক। সাম্প্রদায়িক উসকানি বন্ধ হোক। একবার দাঙ্গা শুরু হলে করোনা ভাইরাসের মতোই আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা গ্রাস করবে। ইতিহাস সাক্ষী আছে। রোদ্দুর রায়কে নিয়ে মনস্তাস্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক আলোচনা এখন আর নেই। রাজ্যসভার ভোটে সিপিএম ও কংগ্রেসের জোটের বিশ্লেষণ নেই, প্রতিদিন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কী কী করা উচিত এবং তাঁরা কী কী ভুল করলেন এই পরামর্শ ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপে দেওয়া নেই এখন। কারণ, এখন সরাসরি জীবনযাপনেই থ্রেট এসেছে। করোনা বিপুল ক্ষতি করে দিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের। অর্থনীতির, জীবনযাপনের, শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে। কিন্তু এই ধাক্কা থেকেই আমাদের ইতিবাচক একটা উপলব্ধি হওয়া দরকার যে, সারা বছর ধরে আমরা যে অযথা নন-সিরিয়াস অন্তহীন বিষয়গুলি নিয়ে মাতামাতি করি, এবার কিছুটা হলেও সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করব।
করোনা নিয়ে যে সচেতনতা দেখানো শুরু করেছি, সেই প্রবণতা আগামীদিনেও বজায় রাখা দরকার। কেন দরকার? কারণ, পাবলিক ডিসকোর্সে স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় না বেশি। এবার থেকে এই আলোচনায় বেশি বেশি প্রবেশ করা দরকার। আমাদের রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করতে হবে যে, কেন আজ থেকে ২০ বছর আগেও মোট জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ দেশের হেলথকেয়ারে বরাদ্দ করা হতো এবং আজও সেই ১ শতাংশই বরাদ্দ করা হয়? একটি দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সূত্রপাত হল সেই দেশের শিশুদের স্বাস্থ্য দিয়ে। গরিব শিশুদের স্বাস্থ্যোন্নয়নের সবথেকে বৃহৎ প্রকল্প আইসিডিএস প্রকল্পের বরাদ্দ বেশি হয় না বাজেটে? কেন আইসিডিএস এবং মিড ডে মিলকে ধীরে ধীরে বেসরকারি হাতে, কর্পোরেট এনজিওর হাতে ক্রমেই দেওয়া হচ্ছে? দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবায় সরকার খুব চিন্তিত এটা বোঝাতে সবথেকে বেশি যে প্রকল্প বারংবার ঘোষণা করা হয় হেলথকেয়ারে, সেটি হল স্বাস্থ্যবিমা। ইউপিএ আমলের আম আদমি স্বাস্থ্য বিমা অথবা মোদি সরকারের আমলে আয়ুষ্মান ভারত বিমা যোজনা। অথবা কৃষকদের ফসল বিমা। ক্রমেই রাষ্ট্রের জনকল্যাণ প্রকল্পগুলির সঙ্গে প্রাইভেট বিমা সংস্থাগুলির সংযুক্তি হচ্ছে কেন? রাষ্ট্র ধীরে ধীরে বিমা উন্নয়ন মডেলে চলে যাচ্ছে কেন? এই একের পর এক বিমা প্রকল্পে ৮২ শতাংশ বিলো পভার্টি লা‌঩ইনের দেশে গরিবদের জন্য হরেকরকম বিমা প্রকল্পে প্রিমিয়ামের টাকা থেকে কাদের লাভ হচ্ছে সবথেকে বেশি? এইসব স্বাস্থ্যবিমা অথবা কৃষিবিমায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং ক্লেইম পাওয়ার গোপন শর্তাবলি কী? করোনার কারণে স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ যখন একবার এসেছে সমাজে, তখন আগামীদিনে এসব নিয়েও একটু আলোচনা করা হোক। ন্যাশনাল নিউট্রিশন মনিটরিং ব্যুরো কয়েক বছর আগে সমীক্ষায় বলেছে, ভারতের ৪ থেকে ৬ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ পায়, মাত্র ৩৫ শতাংশ শিশু আয়রন পায়, ৩৩ শতাংশ পায় ক্যালসিয়াম। অর্থাৎ বাকি বিপুল অংশের শিশুরা এসব পায় না। আর প্রবল অপুষ্টি তাই বেড়ে চলে দেশে। কেন পাঁচ বছরের কম বয়সি ভারতের ৪৩ শতাংশ শিশুই অপুষ্ট? সাপ্লিমেন্টারি ফুড প্রোগ্রামের টাকা কোথায় যাচ্ছে? 
20th  March, 2020
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM

মানিকচকের জনসভায় বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:09:19 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:02:00 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:01:50 PM

অসমে যখন এনআরসিতে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম কেটে দিল, কোথায় ছিল সব রাজনৈতিক দল: মমতা

04:01:00 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:00:53 PM