Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ট্রাম্পের ভারত সফর এবং প্রাপ্তিযোগের অঙ্ক 

শান্তনু দত্তগুপ্ত: সফর মাত্র দু’ঘণ্টার। আর তাতে আয়োজন পাহাড়প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে কথা! তাই এতটুকু ফাঁক রাখতে নারাজ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (বা বেসরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি)। স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে ধনকুবের প্রেসিডেন্ট আমেদাবাদ ভ্রমণে যাবেন বলে যুদ্ধকালীন ব্যস্ততায় চলছে প্রস্তুতি। অনুষ্ঠানের নাম ‘কেম ছো ট্রাম্প’। গত বছর মার্কিন মুলুকের হিউস্টনে ‘হাউডি মোদি’র প্রতিদান আর কী! ট্রাম্প নিজেই নাকি বিষয়টিতে বেশ ঘাবড়ে রয়েছেন। তিনি ট্যুইট করে রেখেছেন, ‘শুনছি নাকি ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ মানুষ এয়ারপোর্ট থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত থাকবে!’ বিজেপি সরকার আধ কোটি মানুষ দাঁড় করাতে পারবে কি না জানা নেই, তবে ‘কেম ছো ট্রাম্প’-এর উদযাপনস্থলে লক্ষাধিক মানুষ অবশ্যই হবে। অর্থাৎ, মোতেরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দেশের তো বটেই, দুনিয়ায় এত বেশি আসন কোনও ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেই। এতদিন ছিল মেলবোর্ন। সেখানে ১ লক্ষ ২৪ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাকে ছাপিয়ে গিয়ে মোতেরা, থুড়ি সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে পারবেন ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ। হতেই হবে... এর জন্য খরচ হয়েছে যে ১০ কোটি মার্কিন ডলার! ‘কেম ছো...’ দিনেই যার উদ্বোধন করবেন ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদি। এটা গেল ট্রাম্পের প্রাথমিক সফরসূচি। এবং তা খবরে প্রকাশিত। মানুষের এ নিয়ে আগ্রহ আছে, কিন্তু মাত্রাছাড়া কৌতূহল নেই। বরং অন্য একটি প্রশ্ন ভারতের আম আদমির মনের আনাচে কানাচে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে। তা হল, বিশ্বের বড়দাদা রাষ্ট্রটির গণতান্ত্রিক দণ্ডমুণ্ডের কর্তার আগমনের নেপথ্যে অজানা কী কারণ থাকতে পারে? প্রাথমিকভাবে মোড়ক একটা ছিল... ব্যবসা। মানে, ট্রাম্প এ দেশে আসবেন, আর চোখধাঁধানো কিছু চুক্তি হবে না? চোখধাঁধানো হোক না হোক, লোকদেখানো তো হওয়াই উচিত। কত কী না ছিল সম্ভাবনার তালিকায়...
১) স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্যের উপর আকাশছোঁয়া রপ্তানি শুল্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা উপায় খুঁজে বের করবে ভারত। পাশাপাশি, আমেরিকার আরও বেশি অংশে ভারত যাতে ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে পারে, সেই চেষ্টায় ত্রুটি থাকবে না।
২) উল্টোদিকে শোনা যাচ্ছিল, ট্রাম্পও একটা বড় দাঁও মারার সুযোগ ছাড়বেন না। তিনি আসলে ‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে’ তত্ত্বে বিশ্বাসী।  কী হারালাম নয়, কী পেলাম-এ বেশি আগ্রহী। ইমপিচমেন্টের গেরো কাটিয়ে বেরিয়ে আসার পর কিছুটা হলেও ভোটারদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। চীনের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সেরেছেন ট্রাম্প। এমনকী, আমেরিকা-মেক্সিকো-কানাডা বাণিজ্য চুক্তির (ইউএসএমসিএ) ক্ষেত্রেও সুবিধাজনক সমঝোতা করেছেন প্রেসিডেন্ট। কর ছাড় দিয়েছেন। যার ফলে মধ্যবিত্ত মার্কিনিদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি ‘ভোট-সহানুভূতি’ বাড়ছে বলেই মনে হয়। আর গত সাড়ে চার বছরের মধ্যে বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ এই মুহূর্তে সর্বাধিক। খুব স্বাভাবিকভাবেই নভেম্বরের নির্বাচনে একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেওয়ার মতো জায়গায় এসে গিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন, ডলারের মতো ভোট দখলে আনার রাজনীতিটাও তিনি ভালোই বোঝেন। এক ব্রাজিলের সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন,  টাকা থাকার সবচেয়ে ভালো আর খারাপ প্রভাব কী? ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘দুটো ক্ষেত্রেই আমার উত্তরটা এক... প্রভাব সেটাই, যা মানুষ হাড়ে হাড়ে বোঝে’। এতটাই সোজাসাপটা তিনি। অস্তিত্ব মানুষকে বুঝিয়েই ছাড়বেন। তা সে নিজের দেশের হোক বা পরদেশি।
যেমন এই মুহূর্তে হাড়ে হাড়ে বুঝছেন আমেদাবাদের মানুষও। ট্রাম্পের জন্য একদিকে দু’কোটি টাকা খরচ করে নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে, তাঁর যাত্রাপথের যাবতীয় বস্তি এলাকা ঢেকে দেওয়ার জন্য উঠছে দেওয়াল। লাগানো হচ্ছে গাছ। গরিবি দেখানো যাবে না... এটাই লক্ষ্য। আবরণটা যেন ঝাঁ-চকচকে হয়। ভিতরে গ্যাংগ্রিন হলেই বা কী! আমেদাবাদ পুরকর্তারা অবশ্য সাফাই দিচ্ছেন, ‘দু’মাস আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বস্তি এলাকা যাতে বেড়ে রাস্তার উপর না এসে পড়ে তাই এই প্রাচীর। এর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের কোনও সম্পর্ক নেই।’ তারপরও অবশ্য পুরসভা এখন রাস্তার কুকুর এবং গবাদি পশু তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অলিখিত নির্দেশ জারি হয়েছে, ট্রাম্প যাওয়ার সময় এসব যেন নজরে না আসে। এতে অবশ্য লাভ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের যাত্রাপথে পড়ে যাওয়া মানুষের। তাঁরা গলা ছেড়ে বিশ্ব অর্থনীতির ‘বড়দাদা’কে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। কারণ, তাঁর সৌজন্যে দীর্ঘদিন ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো তো পাকা হয়ে গেল! হয়েছেও তাই। বিমানবন্দর থেকে মহাত্মা গান্ধীর সবরমতী আশ্রম এবং মোতেরা স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাবতীয় রাস্তায় এখন পাত পেড়ে খাওয়া যায়। চলছে মশা তাড়ানো, আর রাস্তা জীবাণুমুক্ত (স্যানিটাইজ) করার কাজ।
সব মিলিয়ে তাহলে খরচ কত? কেউ বলছেন তিন কোটি, কেউ বলছেন আরও বেশি। সঠিক হিসেবটা আরটিআই না করলে জানা যাবে না। কিন্তু ট্রাম্পের এই সফর যে ব্যয়সাপেক্ষ তা নিয়ে সংশয় নেই। আশার আলো একটাই, যদি বাণিজ্যিক চুক্তি হলে কিছু প্রাপ্তিযোগ ঘটে!
কিন্তু তাও কি হবে? শেষ যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সেই আলোও বোধহয় নিভতে চলেছে। চীন বা ইউএসএমসিএ চুক্তির নেপথ্য নায়ক, অর্থাৎ মার্কিন বাণিজ্য পরামর্শদাতা রবার্ট লাইথিজার আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতে আসছেন না। তার থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি তেমন কোনও বাণিজ্যিক চুক্তি এবার হচ্ছে না? এরপরও সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, দেশটার নাম ভারত। বিশ্বের অন্যতম বড় বাজার অর্থনীতি। আমেরিকা, বা আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি এই বিশাল বাজার ধরতে পারেন, তার প্রভাব দেশের অর্থনীতি তো বটেই, আসন্ন নির্বাচনেও পড়তে বাধ্য। সেটা দ্বিতীয়বারের রিপাবলিকান পদপ্রার্থী বিলক্ষণ জানেন। পাশাপাশি রয়েছে সন্ত্রাসবাদ ইস্যু। ইরানের সামরিক কর্তা সুলেইমানিকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়ে নিকেশ করার পর খানিক বাহবা কুড়িয়েছেন ট্রাম্প। ইরানের সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক
ধাক্কা খেয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি তাঁকে সাধু সাধু করছে। ইরান যাও বা একটু তেড়েফুঁড়ে ওঠার চেষ্টা করছিল, দুর্ঘটনাবশত একটি অসামরিক বিমানে মিসাইল ছুঁড়ে হাত পোড়ানোর পর তা স্তিমিত হয়ে গিয়েছে।
এমন একটা পরিস্থিতিতে কৌশলে পাকিস্তানকেও কড়া কড়া কথা শুনিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। পক্ষ নিয়েছেন ভারতের। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হবে। না হলে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেব। একটা বড় অংশ ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর ভোটার! সন্দেহ নেই, ভারতের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তাঁকে ডিভিডেন্ড দেবে। বাকি রইলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি।
‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শুরুই করেছিলেন, ‘আব কি বার, ট্রাম্প সরকার’। বক্তব্য সাফ, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর সমর্থন রিপাবলিকানদের দিকেই। কাজেই আগামী সপ্তাহে আমেদাবাদ ও দিল্লি সফরে এসে মোদির সঙ্গে সেই সম্পর্ক এবং তাঁর ভোট-রাজনীতির প্রচারে একটা ভিন্ন মাত্রা ট্রাম্পের যোগ করাটাই স্বাভাবিক। তা হবেও। কারণ, ট্রাম্প আরও একটা কথা বলেন... ‘আমার যাবতীয় আইডিয়া মানুষ মানতে বাধ্য হবে... একেই বলে ক্ষমতা।’ উশুল তিনি করবেনই। এবং নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ফায়দা তুলবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও।
কারণ, মোদি নিজেও যে এই স্কুলেরই ছাত্র! 
18th  February, 2020
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM