Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো:
প্রশ্ন:
(ক) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি), কেন্দ্র ও রাজ্যের কোনও আইন প্রয়োগ সংস্থা, পুলিস, কেন্দ্র ও রাজ্যের কোনও ধরনের গোয়েন্দা সংস্থা প্রভৃতির মধ্যে কেউ কি ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ নামে কোনও সংঠগনকে চিহ্নিত এবং তালিকাভুক্ত করেছে?
(খ) ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’—এমন একটি পরিভাষা যে ব্যবহার করা হচ্ছে, এর ভিত্তিটা কী—কেন্দ্রীয় মন্ত্রক কিংবা আইন প্রয়োগ সংস্থা অথবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে পাওয়া কোনও তথ্য?
(গ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, এনসিআরবি, অথবা আইন প্রয়োগ সংস্থা অথবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কি ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর অভিযুক্ত নেতাদের এবং তার সদস্যদের তালিকা তৈরি করেছে?
(ঘ)‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োগের মতো কোনও ফৌজদারি শাস্তির কথা (বিশেষ করে ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসি অথবা অন্য আইনে নির্দিষ্ট) বিবেচনা করা হচ্ছে কি? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কিংবা অন্য কোনও আইন প্রয়োগ সংস্থা অথবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কি এটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে?
(ঙ) যদি সেরকম হয়, তবে বিস্তারিত জানানো হোক।
উত্তর
(ক) থেকে (ঘ): কোনও ধরনের আইন প্রয়োগ সংস্থা এই বিষয়ে কোনও প্রকার তথ্য সরকারের গোচরে আনেনি।
দেশকে টুকরো করা হচ্ছে?
যেহেতু ২০১৯-এর মে মাসে ভোটের মাধ্যমে বিজেপিকে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরানো হয়েছে, সেই সূত্রে দেশের অনেক মানুষকেই খাওয়ানো গিয়েছে যে, ভারত বিপদের মধ্যে রয়েছে। ভারতকে টুকরো টুকরো করার লক্ষ্যে কয়েকটি গোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে অপকম্ম করে চলেছে। এই গোষ্ঠীগুলিকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের নামে দেগে দেওয়া হয়েছে—নকশাল, মাওবাদী, মুসলিম সন্ত্রাসবাদী, শহুরে নকশাল প্রভৃতি। কানহাইয়া কুমারসহ চারজন ছাত্রনেতার নামে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) একটি বড় ছাত্রসমাবেশ হয়েছিল। ওই প্রতিবাদী ছাত্রদেরকেই ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ নামে দেগে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে বিজেপির নীতি ও কাজের বিরোধী সকলকেই ওই তকমাটাই সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। এই তকমা রাজনৈতিক ভাষণের ভিতরেও ঢুকে পড়েছে। দুর্ভাগ্য যে, সেটা মার্জিত রুচির বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের ভাষণেও জায়গা করে নিয়েছে।
বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং মানুষের গায়ে এই তকমা সেঁটে দেওয়ার দ্রুততায় অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে ভেবে নিচ্ছেন যে, ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ সত্যিই রয়েছে আর সেটা দেশের সামনে এক ভয়ংকর ও ক্রমবর্ধমান বিপদরূপেই উপস্থিত হয়েছে। এই ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর মধ্যে বিজেপির বিরোধী কাকে না ধরা হয়েছে—শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, লেখক, শিল্পী, ছাত্রছাত্রী, শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন, কৃষক, বেকার যুবক-যুবতী, মহিলা, এমনকী শিশুরাও। আর অবশ্যই নাম করতে হবে বিরোধী দলগুলির নেতাদের। মহিলা ও শিশুরা হল ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এ সর্বশেষ সংযোজন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং প্রস্তাবিত জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জির (এনপিআর) বিরুদ্ধে শাহিনবাগে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠতেই তাদেরকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তালিকাটি রোজ লম্বা হচ্ছে।
ছকে সামান্য ভুল
দিল্লি বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দুটি পদযাত্রায় অংশ নিয়ে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর কথা তুলে তাদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। খবরের কাগজ, টিভি চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া অবশ্য এই ‘গ্যাং’-এর চেহারাটা দেখিয়ে দিয়েছে। যাই হোক, ছকে সামান্য ভুল রয়ে গিয়েছে। আমরা কী দেখলাম—‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ যাদের বলা হচ্ছে তাদের এক হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা আর অন্য হাতে ভারতের সংবিধানের একটি কপি! এখানেই শেষ নয়, ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর সদস্যদের দরাজ গলায় মাঝে মাঝেই ধ্বনিত হচ্ছে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত! মানুষকে যে বাগাড়ম্বর শোনানো হয়েছিল আর মানুষ স্বচক্ষে যে ছবি দেখল, তা তো মিলছে না—একেবারেই যে আলাদা! মনে হয় সব ধরনের মানুষ তাদের বিশ্বাস অনুযায়ীই সব বিশ্বাস করেছে।
মন্ত্রী মশায়ের বিবৃতিটা চমকপ্রদ। গত কয়েক মাস যাবৎ বিজেপি নেতারা যেসব অভিযোগ করলেন আর গত সপ্তাহে সংসদে মন্ত্রী মশায় যে বিবৃতি দিলেন তা তো উল্টো! এই বৈপরীত্যের ব্যাখ্যা কী—তা দেওয়ার জন্য বিজেপির কোনও নেতাই এগিয়ে আসার সাহস দেখালেন না।
দক্ষিণপন্থী মতাদর্শে এ জিনিস মোটেই অস্বাভাবিক কিংবা চারিত্রিক ত্রুটি বলে গণ্য হয় না। দক্ষিণপন্থী নেতারা এসবে বিশ্বাসের ব্যাপারে যে কট্টর তা নিয়েও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কেবলমাত্র দক্ষিণপন্থীরা যখনই তাদের ধর্মের রাজনীতিকরণ করে এবং ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করার অপচেষ্টা নেয়—‘আমার ধর্ম বনাম তোমার ধর্ম’ করে বেড়ায়—তখনই সংবিধান লঙ্ঘিত এবং সামাজিক ঐক্য বিঘ্নিত হয়। বিজেপি ঠিক এটাই করেছে। গত ছ’বছর ধরে সরকারে এবং অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে সেই লোকগুলিকে বসিয়ে দিয়েছে, যারা নিছক ধার্মিক নয়, অসংখ্য মানুষের মনে ভয় ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে দিতে তাদের ধর্মবিশ্বাসকে অস্ত্র হিসেবে যারা ব্যবহার করবে।
যেমন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নীরা চান্ধোক লিখেছেন, ‘‘সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা যেটার সঙ্গে লড়াই করে সেটা হল—ক্ষমতার রাজনীতিকরণ, ক্ষমতার পক্ষে ধর্মের আশ্রয় গ্রহণ, ধর্মীয় পরিচয়কে ক্ষমতায় রূপান্তর ... রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে মরিয়া রাজনীতির বর্ম পরা ধর্মকে ঠেকাবার একটি চেষ্টারও নাম সেকুলারিজম। এটা অপরিহার্যই ছিল। কারণ, দেশটা ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল।’’
ধর্মের রাজনীতিকরণ এবং ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান অক্ষুণ্ণ রাখা—লড়াইটা এই দুইয়ের মধ্যে। লড়াই জারি রয়েছে দিল্লি, লখনউ, কলকাতা, হায়দরাবাদ, পুণে, কোচিতে ও অনেক ছোট শহরে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এবং আরও নানা স্থানে। এই আন্দোলনে মাথা গলাচ্ছেন যাঁরা তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলির চেনা মুখ নন। তাঁরা বরং একেবারে সোজা সাপটা অরাজনৈতিক মানুষজন। তাঁদের মধ্যে আছেন মহিলারা এবং তাঁদের খুদে ছেলমেয়েরা, বেশিরভাগ সময় যাঁরা বাড়ির চৌহদ্দিতেই কাটাতে অভ্যস্ত। আর যোগ দিয়েছেন রাজনীতি-বিমুখ যুব সম্প্রদায়ের অংশটা—যাঁরা পর পর গদিয়ান এই সরকারের কাজকর্মে হতাশ। শীতের কামড়, জলকামান, লাঠির আঘাত, এমনকী গুলির মতো মৃত্যুবাণকেও পরোয়া করেননি। উল্লেখ করা যায় যে, শুধু উত্তরপ্রদেশেই পুলিসের গুলি ২৩ জনের প্রাণ নিয়েছে।
দিল্লির ভোট ভারতের জন্য ‘ভিয়েতনাম আন্দোলন’ হয়ে উঠেছিল। জয়টা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠল, যখন দিল্লির ভোটদাতারা দরাজ হাতে সমতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষ নিলেন। তাতে করে আমরা কী দেখলাম? বিজেপি-কথিত সেই ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ই বিজয়ীর হাসি হাসল। প্রার্থনা করি, তাদের সাংবিধানিক লক্ষ্য পূরণ না-হওয়া অবধি ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ আরও শক্তিশালী হোক।
 লেখক কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
17th  February, 2020
পদবি বনাম ব্যক্তি, কংগ্রেসের নেতৃত্ব সঙ্কট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 তিনমূর্তি ভবনে শায়িত নিথর শরীরটা। পাশে দাঁড়িয়ে ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর। নিষ্প্রাণ মুখটার দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে রয়েছে তার চোখ দুটো। ভবনের পরিবেশ ভারী হতে হতে প্রায় দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা... ছেলেটি তার মৃত ঠাকুমার ভিজে গাল সবার অলক্ষে পরিষ্কার করে দিল।
বিশদ

25th  February, 2020
ঈশ্বরদর্শনে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের অষ্টমার্গ
বাবুলাল দাস

ঈশ্বরে মন এলে ক্রমে বুদ্ধি সুপথে পরিচালিত হয়। মন শুদ্ধ হয়ে ওঠে। শুদ্ধ মনে সদা শান্তি বিরাজ করে। শান্ত মনে ঈশ্বর অনুভব হয়। এসব কেবল শাস্ত্রেরই কথা নয়। এটিই অতি বাস্তব সত্য। শ্রীরামকৃষ্ণ তা হাতেকলমে দেখিয়ে দিয়েছেন। সংসারে থেকে নানান প্রলোভনে পড়ে আমরা তা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হই। শুদ্ধ মন কী জিনিস বুঝি না। তাই এত গোল। এত কষ্ট। ঠাকুর উপায় বলে দিলেন। একহাতে সংসার ধরো, অন্য হাতে ঈশ্বর।
বিশদ

25th  February, 2020
কুকথায় পঞ্চমুখ, কণ্ঠভরা বিষ ...
সন্দীপন বিশ্বাস

আচ্ছা, দুধ থেকে কি করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা থাকে?
আচমকা শিবের প্রশ্নে একটু থতমত খেয়ে যান পার্বতী। একটু থেমে বলেন, এমন কথা বলছো কেন?  বিশদ

24th  February, 2020
মোদি সরকারের সবকিছুই জাতীয় স্বার্থে আর তার তালিকাটিও শেষ হওয়ার নয়
পি চিদম্বরম

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বারাণসীতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করার প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তগুলি জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও আমরা এই সিদ্ধান্তগুলির পক্ষে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’’ 
বিশদ

24th  February, 2020
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট কার্যত সেমিফাইনাল
হিমাংশু সিংহ

মাত্র এক বছর পরেই বিধানসভার ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পরপর তিনবার বাংলায় ক্ষমতা দখলের সুবর্ণ সুযোগ। এই অবস্থায় শাসক তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের উচিত সংযত থাকা। সেইসঙ্গে গণ্ডগোল, রক্তপাত এড়ানোর সবরকম চেষ্টা করা। তাহলেই এরাজ্যের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দ্বিধায় আরও একবার দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।
বিশদ

23rd  February, 2020
প্রার্থী নির্বাচনে সাহসী হলে পুরভোটে লাভ পাবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন মানেই পরীক্ষা। রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের হলে বিষয়বস্তু হয় উন্নয়ন, পরিষেবা ও সমস্যা। কিন্তু, এই ধরনের পরীক্ষায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর মুখ। আর এবার পুরভোটে তৃণমূলের কাছে প্রার্থী নির্বাচনই অগ্নিপরীক্ষা। তার জন্য তৃণমূল সহ রাজ্যবাসী তাকিয়ে আছে টিম পিকের দিকে।  
বিশদ

22nd  February, 2020
বিশ্বাসের অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 বিগত তিন বছর ধরে ভারতের সিংহভাগ সাধারণ মানুষ নিজেদের সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখছে বেসরকারি ব্যাঙ্কে। সরকারি তথা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে নয়। দেশের আটটি সরকারি এবং আটটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। যার ফলশ্রুতি হল সরকারি ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা রয়েছে তার সিংহভাগই আগে থেকে জমা হয়ে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট।
বিশদ

21st  February, 2020
মুখ চাই মুখ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

মুখ হয়তো অনেক আছে। কিন্তু, ঠিক সেই মুখটির দেখা এখনও মেলেনি। কোন মুখটি? যে মুখটি সৌজন্যে পরাক্রমে রাজনৈতিক কূটকৌশলে এবং অবশ্যই জনপ্রীতিতে পাল্লা দিতে পারে বাংলার একচ্ছত্র নেত্রীকে, ২০২১ বিধানসভার রণাঙ্গনে ছুঁড়ে দিতে পারে চ্যালেঞ্জ, জাগাতে পারে আর এক মহাবিজয়ের সম্ভাবনা। সেই মুখ কোথায় পদ্মশিবিরে? 
বিশদ

20th  February, 2020
বিপুল অভ্যর্থনা পেয়ে বিশ্বজয়ী বিবেকানন্দ
কলকাতায় বলেন, এ ঠাকুরেরই ‌জয়জয়কার
হারাধন চৌধুরী

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘‘নরেন শিক্ষে দেবে।’’ ঠাকুরের কথা ফলিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মানসপুত্রটি বেছে নিয়েছিলেন পাশ্চাত্যের মাটি। কারণ, যে-কোনও জিনিস পাশ্চাত্যের মানুষ গ্রহণ করার পরেই যে ভারতের মানুষ তা গ্রহণে অভ্যস্ত! স্বামী বিবেকানন্দের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছিল শিকাগো বিশ্ব ধর্ম মহাসভা।
বিশদ

19th  February, 2020
ট্রাম্পের ভারত সফর এবং প্রাপ্তিযোগের অঙ্ক 

শান্তনু দত্তগুপ্ত: সফর মাত্র দু’ঘণ্টার। আর তাতে আয়োজন পাহাড়প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে কথা! তাই এতটুকু ফাঁক রাখতে নারাজ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (বা বেসরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি)।  বিশদ

18th  February, 2020
স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

17th  February, 2020
এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। 
বিশদ

16th  February, 2020
একনজরে
প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: বাণিজ্যিক গাড়ির বকেয়া দীর্ঘদিনের সিএফ (সার্টিফিকেট অব ফিটনেস)-এর পুনর্নবীকরণে জরিমানা বাবদ অতিরিক্ত ফি মেটাতে ‘ধামাকা অফার’ ঘোষণা করেছিল রাজ্য। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই স্কিমের সুবিধা নেওয়া যাবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।  ...

তেহরান ও বেজিং, ২৫ ফেব্রুয়ারি: করোনার হানায় নতুন করে ৭১ জনের মৃত্যুর পর চীনজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ৬৬৩। এর মধ্যে উবেইতে মারা গিয়েছেন ৬৮ জন। যদিও দেশের স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্তের ...

লখিমপুর খেরি, ২৫ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): উত্তরপ্রদেশের নওগাঁ গ্রামের কাছে এক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিন বাইক আরোহী। সোমবার গভীর রাতে তাঁরা আলিয়াপুর গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন।  ...

মাদ্রিদ, ২৫ ফেব্রুয়ারি: সের্গিও র‌্যামোস, করিম বেনজেমা, সের্গিও আগুয়েরো, কেভিন ডি ব্রুইনের মতো তারকা ফুটবলাররা রয়েছেন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩৬: চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.০৩ টাকা ৭২.৭৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.৩৮ টাকা ৯৪.৬৭ টাকা
ইউরো ৭৬.৬৪ টাকা ৭৯.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,৩৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪১,১৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৭৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) তৃতীয়া ৫৫/১৮ রাত্রি ৪/১২। উত্তরভাদ্রপদ ৪০/৮ রাত্রি ১০/৮। সূ উ ৬/৫/৪, অ ৫/৩৪/৩২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৬ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/২৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫৭ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
১৩ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, তৃতীয়া ৪৯/৪২/৮ রাত্রি ২/০/৫৫। উত্তরভাদ্রপদ ৩৫/৫৬/৩২ রাত্রি ৮/৩০/৪১। সূ উ ৬/৮/৪, অ ৫/৩৩/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩১ মধ্যে ও ৯/৫১ গতে ১১/২৪ মধ্যে ও ৩/১৮ গতে ৪/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৫১ গতে ৬/৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫৯/২৭ গতে ১০/২৫/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫৯/২৭ গতে ৪/৩৩/৪৫ মধ্যে। 
১ রজব  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিন  
১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

৫০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স  

03:18:18 PM

শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন, দিল্লিবাসীর কাছে আবেদন প্রধানমন্ত্রীর 
উত্তর-পূর্ব দিল্লিজুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার চার দিনের মাথায় এবিষয়ে প্রথম ...বিশদ

02:56:50 PM

মহিষবাথানে অগ্নিদগ্ধ প্রৌঢ়া
রান্না করতে গিয়ে গায়ে আগুন লেগে গুরুতর জখম হলেন এক ...বিশদ

02:46:00 PM

উত্তর-পূর্ব দিল্লির চাঁদবাগে মিলল আইবি অফিসারের মৃতদেহ 

02:16:00 PM