Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানুষ কী চায়, বুঝিয়ে দেবে দিল্লির ভোটের ফল
সন্দীপন বিশ্বাস

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘বাহুবল ও বাক্যবল’ নিবন্ধে দুই প্রকার বলের প্রভূত ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তিনি বলেছেন, বাহুবল পশুর বল এবং বাক্যবল মানুষের বল, তা সত্ত্বেও মনুষ্য সমাজে বাহুবলের প্রয়োগ অনবরত দেখা যায়। মানুষের বল সমাজ গঠনে কখনও কখনও নিশ্চয়ই কাজে লাগে। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ আপন স্বার্থে এই বাহুবলকে ব্যবহার করে। সাধারণ মানুষ ক্রোধে-বিদ্বেষে এই বলের প্রয়োগ করে থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলি সেই বাহুবলকে প্রায়শই নির্বিচারে ব্যবহার করে। দেশের রাজনৈতিক খুনের সালতামামি কষলে এই তথ্য নগ্নভাবেই প্রকাশ্যে চলে আসে। রাষ্ট্রক্ষমতা রাজনৈতিক দলগুলির হাতে থাকে বলে অনেক সময় তাদের মধ্যে এই বাহুবলের উদগ্র বাসনা লক্ষ্য করা যায়। বিপুল সংখ্যায় জিতে এলে সেই সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে এক ধরনের ঔদ্ধত্য জন্মায়। তখন তাদের মনে হয়, মানুষকে আমি যেমন ইচ্ছে ওঠাব বা বসাব। কিংবা লাইফ হেল করে ছেড়ে দেব। অথবা প্রকাশ্যে গুলি করে মারার স্লোগান ছড়িয়ে হিংসাকে মনোপলি কারবারে পরিণত করে তুলব।
রাজধানী দিল্লির ভোট হয়ে গিয়েছে। ফল প্রকাশিত হবে আগামীকাল। সেই ফল দেশকে নতুন দিশা দেখাতে সক্ষম হবে বলে গরিষ্ঠতম ভারতবাসীর বিশ্বাস। অর্থাৎ ভারত হিন্দু বাদে সবাইকে দুচ্ছাই করে তাড়াবার চেষ্টা করবে, নাকি সবাইকে আপন করে নেওয়ার মন্ত্রপাঠ করে, উজ্জীবিত হয়ে এক নতুন ভবিষ্যতের দিকে হেঁটে যাবে? তা বলে দেবে দিল্লির নির্বাচনী ফল। এই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্কিমচন্দ্রের বাহুবল ও বাক্যবলের প্রসঙ্গটি মনে পড়ে গেল। সৌজন্যে অনুরাগ ঠাকুর সহ বিজেপির একাধিক নেতার প্রচার। ভাবা যায়, প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপির মন্ত্রী মানুষকে উস্কানি দিয়ে বলছেন, ‘দেশকো গদ্দারো কো’, সমস্বরে গেরুয়া বাহিনীর সমর্থকরা উন্মত্তভাবে চিৎকার করে বলছেন, ‘গোলি মারো...’। এই সব বিদ্বেষমূলক প্রচারের মধ্যেই দুটি ক্ষেত্রে দুই রামভক্তের গুলিছোঁড়ার ঘটনা রাজধানীতে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিল। একটি জামিয়া মিলিয়ায় এবং অন্যটি শাহিনবাগে। এই দুটি ঘটনার সঙ্গে অনুরাগের ওই স্লোগানের কোনও প্রত্যক্ষ যোগ আছে কি না আমরা জানি না। কিন্তু একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে হিংসার আগুন ছড়িয়ে দেওয়ার স্লোগান দেন, তখন সেটাকে ধিক্কার জানাতেই হয়।
এই সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির ভোট সার্বিক ক্ষেত্রে এক বিরাট অগ্নিপরীক্ষার মতো। সেই অগ্নিপরীক্ষা ভারতের অন্তরাত্মারই। এই ভোটই বলে দেবে ভারতের অন্তরাত্মা আসলে কী বলছে? সে কি ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে, নাকি বিজেপির হিন্দুত্বের পক্ষে? বিজেপি এই দেশকে যেদিকে নিয়ে যেতে চায়, তাতে কি সমর্থন রয়েছে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের? নাকি সিএএ, এনআরসি’র আন্দোলনে রাত জাগছেন যাঁরা, তাঁদের স্বপ্নটাই ঠিক? আগামীকালের ফলই বলে দেবে সেকথা।
একটা তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় আমরা সকলেই লক্ষ্য করেছি। সেটা হল দিল্লির ভোটের প্রচারে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ভোট প্রচারের চরিত্রগত পার্থক্য। একদিকে আপ তাদের প্রচারে বারাবার উন্নয়নের কথা বলেছে। অর্থাৎ বিগত পাঁচ বছরে তারা রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্য কী কী কাজ করেছে, তার কথা বলেছে। যেমন বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, ওয়াইফাই। নিরাপত্তায় সিসি টিভি, মেয়েদের বিনামূল্যে বাসে যাতায়াত ইত্যাদি। এছাড়া স্কুলশিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও নজির গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। স্বভাবতই এই উন্নয়নের নজিরের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো শক্তি দিল্লি বিজেপির ছিল না। একেই তারা এখন সিএএ, এনআরসি নিয়ে দেশে কোণঠাসা অবস্থায়। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি গোহারা হেরেছে। এখন দিল্লিতে হারলে লজ্জার আর শেষ থাকবে না। তাই তারা প্রচারে পাল্টা স্ট্রাটেজি হিসেবে শুধু বিদ্বেষ বিষ ছড়িয়েছে। তারা প্রচারে বারবার হিংসার কথা বলেছে। বলেছে কেউ গেরুয়া সমর্থক না হলেই সে দেশের শত্রু, বলেছে শাহিনবাগের কথা, বলেছে টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের কথা। বলেছে গোলি মারার কথা। এর থেকে বোঝা যায় একটা দলের কাছে উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকলে তাকে এমন ছন্নছাড়া খেলাই খেলতে হয়। তাকে মন্দির নির্মাণের তাস খেলে ভোট বাক্স আঁকড়ে ধরার খেলা খেলতে হয়। সুতরাং প্রচার কৌশলে ইতিমধ্যেই বিজেপি আপের কাছে হেরে বসে আছে।
ভোটের ফল কী হবে, তা অবশ্য কালই জানা যাবে। কিন্তু দিল্লির কয়েকজন মানুষের সঙ্গে কথা বলে মনে হল, তাঁরা কেজরিওয়ালের ফিরে আসার ব্যাপারেই আশাবাদী। তার কারণ কেজরিওয়ালের স্বপ্নসজ্জায় অনেকটাই সেজে উঠেছে দিল্লি। তিনি ফিরে এলে অসম্পূর্ণ কাজ করবেন। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আম আদমি পার্টি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিল। পাশাপাশি শূন্যগর্ভ বিজেপি নেতারা ছায়াশত্রুর সঙ্গে যুদ্ধু যুদ্ধু খেলা খেলেই আনন্দে মেতে থেকেছেন। মাঝে মাঝেই মোদিজি বলেন, ‘এক্ষুণি যুদ্ধ হলে পাকিস্তানকে হারাব।’ আমরা কেউ কেউ ভাবি, এই বুঝি যুদ্ধ বেধে গেল। আমাদের, মানে দেশের সাধারণ মানুষের কী হবে? দেশাত্মবোধে সকলকে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠে মোদিজি অভয়বাণী দেন, ভয় কী? আমি তো আছি। সত্যিই তো আমাদের আর ভয় কী? ডাকাবুকো মোদিজি আছেন তো। আমাদের পাহারাদার। তিনিই তো আমাদের সব ধরনের শত্রুর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করবেন।
যুদ্ধটা যেন তাঁর চেতন, অচেতনের মধ্যে জড়িয়ে আছে। স্বপ্নে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলাটাও এক ধরনের রোগ বলে মনে করতেন স্বপ্নতত্ত্ববিদ সিগমুন্ড ফ্রয়েড। তাঁর ব্যাখ্যা অনুযায়ী যাঁদের স্বপ্নে যুদ্ধ বারবার ফিরে আসে, তাঁরা আসলে কোনও কিছুর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয় পান। মনে হয়, কিছু একটা আছে, এই বুঝি হারাব। অথবা নিজের ভয়টাকে অন্যের মধ্যে চারিত করে এও এক ধরনের মানসিক তুষ্টিবোধ। বিজ্ঞান সেটাই বলছে। তাহলে কি মোদি এবং তাঁর দলের অন্যরা কিছু হারানোর ভয় পাচ্ছেন?
যদি তিনি সত্যিই ভয় পান, তবে তার কারণও আছে। কেননা গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে একের পর এক হেরেই চলেছেন তিনি। মোদি-শাহ জুটির তলোয়ার ঘুরিয়ে যুদ্ধ পরিচালনার কোনও পজিটিভ ফলই আর সেভাবে মিলছে না। যত কোণঠাসা হচ্ছেন, ততই নানাবিধ ইস্যুতে তাঁরা দেশটাকে বেঁধে ফেলতে চাইছেন। চিরাচরিত, নম্র, ভারতকে তাঁরা নিয়ে চলেছেন অন্য এক দিকনির্দেশে। আমাদের মন্ত্রই ছিল ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। সারা বিশ্বই আমার আত্মীয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া, বুকের মধ্যে বিশ্বলোকের পাবি সাড়া।’ কিন্তু কেউ যদি নিজের মধ্য থেকে বেরতে না পারেন, কূপমণ্ডুকতা যদি তাঁকে গিলে খায়, তবে তিনি হয়ে ওঠেন কুয়োর ব্যাঙ। দৃষ্টির স্বচ্ছতা হারিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন অন্ধ। সত্যের পথ তিনি দেখতে পান না। বিজেপি আজ ক্রমেই সেই পরিণতির দিকে এগচ্ছে। এর একটাই কারণ, তারা মনে করছে, এখনও আমরা সাড়ে চার বছর কেন্দ্রে থাকব।। আমরা অনেক কিছু এই সময়ের মধ্যে উলটে দেব। মানুষের সব বিরোধী মনোভাবকে পক্ষে আনতে সক্ষম হব। সেও এক মূঢ় ভাবনা। তার গদি এখন অনেকটাই টলোমলো। এই মুহূর্তে দেশের সাধারণ নির্বাচন হলে মোদি-শাহ জুটি ফিরতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও তর্কের অবকাশ আছে। কিন্তু এই জুটি গত কয়েকমাসে সারা দেশের মানুষকে যে বিপন্নতার দিকে ঠেলে দিয়েছেন, তার ফল তাঁদের ভুগতেই হবে। সে বিপন্নতা মানুষের অস্তিত্বের বিপন্নতা। আমার আজন্মের দেশ আর আমার থাকবে কিনা, এই বিপন্নতা সব থেকে বড়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিপন্নতা। ব্যাঙ্কগুলি আজ অনেকটাই বিপন্ন। সুদের হার তলানিতে। ব্যাঙ্কে টাকা রাখা আজ অনেকটা অর্থহীন। অবসরের পর যে সুদের টাকায় মানুষ বাকি দিনগুলি মোটামুটিভাবে কাটানোর স্বপ্ন দেখত, তা এখন ভেঙে চুরমার। বাজেটের দিশাহীন অবস্থায় মানুষ আরও বিপন্নতার শিকার।
এই পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির ভোট কতটা ইঙ্গিতবাহী হয়ে ওঠে, তা বোঝা যাবে কালই। যদিও বুথফেরত সমীক্ষায় সকলেই বলছে, আপ আবার ফিরে আসবে। বিজেপির কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর কোনও ইঙ্গিত এই সব সমীক্ষায় মেলেনি। তবু সত্য জানার জন্য কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
কালই বোঝা যাবে, আম আদমি পার্টির ঝাড়ু কতটা কার্যকর প্রতীক। ঝাড়ু হল সব ধরনের আবর্জনাকে ঝেঁটিয়ে দূর করার প্রতীক। গত দুই টার্মে কেজরিওয়াল এই ঝাড়ু দিয়ে ‘স্বচ্ছ দিল্লি’ গড়ার কাজ করে চলেছেন। এবার তিনি হ্যাটট্রিক করতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার। বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী ফল হলে আপ-নেতা কর্মীরা মনের আনন্দে সলিল চৌধুরীর সেই গানটা গাইতে পারবন। ‘মার ঝাড়ু মার ঝাড়ু মেরে ঝেঁটিয়ে বিদায় কর..।’
দিল্লির ফল আগামীদিনের পক্ষে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কেননা আগামীদিনে ভোট পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, বিহার, চেন্নাই, পুদুচেরিতে। রাজ্যগুলিতে এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদ তুঙ্গে। সেই প্রতিবাদে এবং বিরোধী দলগুলিকে নতুন করে অক্সিজেন জোগাবে দিল্লির এই ফল। তাই দিল্লির ফল এই সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 
10th  February, 2020
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM