Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক।
নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে এনআরসি প্রক্রিয়ার আগে অন্তত একটা ধর্মভিত্তিক আশ্বাস-আশঙ্কা ছিল। ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সবই গুবলেট হয়ে গিয়েছে। কাগজ জোগাড়ের আশায় ছুটছেন সবাই। এই প্রেক্ষাপটে গান্ধীজির ‘নাগরিক-সংজ্ঞা’ ফিরে দেখার লোভ সামাল দেওয়া গেল না। কারণ, গান্ধীজির কাছে ধর্ম কখনও নাগরিকত্বের পরিচায়ক ছিল না। স্বামী বিবেকানন্দের কাছেও না। যা আজ হতে চলেছে। সৌজন্যে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। যাকে হাতিয়ার করে নাগরিকত্ব ‘দেওয়ার’ ভিত শক্ত করেছে কেন্দ্র। এবং এনপিআর বা জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি। ইউপিএ আমলে শুরু হয়েছিল এই প্রক্রিয়া। উদ্দেশ্য ছিল হাউসলিস্টিং। অর্থাৎ একটি বাড়িতে পরিবারের কে কে থাকেন, সেখানে বাইরের রাজ্য থেকে এসে কেউ থাকছেন কি না, তার হিসেব নেওয়া। এবং এই হিসেবটা করা হয় গত ছ’মাস কেউ এক ঠিকানায় আছেন কি না, বা পরবর্তী ছ’মাস ওই ঠিকানায় থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত কি না, তার উপর ভিত্তি করে। আসলে নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ এবং নাগরিকত্ব বিধি, ২০০৩-কে সামনে খাড়া করে ভারতের একজন নাগরিকের যাবতীয় তথ্য জোগাড় করার নামই হল এনপিআর। সোজা কথায় ডেটাবেস তৈরি করা। এর জন্য বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা হবে ঠিকই, কিন্তু সরকার নিযুক্ত কর্মীরা কোনও নাগরিকের বায়োমেট্রিক বা পরিচয়ের প্রমাণপত্র চাইতে পারবেন না। এটাই জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি। এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে তাহলে এত হইচই কেন? তার দু’টো কারণ। প্রথমত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ... তিনি বলে ফেলেছিলেন, এনপিআর হল এনআরসির প্রথম ধাপ। সঙ্গে তাঁর মন্ত্রকের ওয়েবসাইট। যেখানে এই কথাটাই লেখা আছে ২০১৮-১৯ সালের বার্ষিক রিপোর্টের ২৬২ নম্বর পৃষ্ঠায়। দ্বিতীয়ত, শোনা যাচ্ছে এনপিআরে নতুন কিছু প্রশ্ন যোগ হয়েছে... যেমন বাবা মায়ের জন্মস্থান, আধার নম্বর, ধর্ম ইত্যাদি। যদি বাসস্থান সংক্রান্ত তথ্যই নেওয়ার থাকে, তাহলে এই অতিরিক্ত প্রশ্নের খোঁচার প্রয়োজন কী? এনআরসি ভারতীয় জনমানসে একেই আতঙ্ক ভরে দিয়েছে, তার উপর এই বাড়তি ইন্ধন। গোটা দেশে অসন্তোষের আগুন ছড়িয়ে পড়াটা অস্বাভাবিক কি? আর সেটাই হয়েছে। দিকে দিকে বিক্ষোভ, আন্দোলন, একটা শাহিনবাগ, একটা পার্ক সার্কাস শাসক দলকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, রাজনীতি নয়, ধর্ম নয়, আমরা নাগরিক। ভারতের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘কোনো বিশেষ ধর্মমত ও কোনো বিশেষ আচার কোনো জাতির নিত্য লক্ষণ হইতেই পারে না। হাঁসের পক্ষে জলে সাঁতার যেমন, মানুষের পক্ষে বিশেষ ধর্মমত কখনোই সেরূপ নহে। ধর্মমত জড় পদার্থ নহে—মানুষের বিদ্যাবুদ্ধি অবস্থার সঙ্গে সঙ্গেই তাহার বিকাশ আছে—এই জন্য ধর্ম কোনো জাতির অবিচলিত নিত্য পরিচয় হইতেই পারে না।’
এটাই চিরন্তন সত্য। অথচ, ধর্মের মেরুকরণ চলছে। খুল্লামখুল্লা। গোটা দেশে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তারই একটা শাখা মাত্র। প্রবল চাপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যতই বলুন না কেন, গোটা দেশে এনআরসির এখনই কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই। বা এই সংক্রান্ত কোনও বৈঠক হয়নি। তা সত্ত্বেও আতঙ্ক কাটছে না। কারণ, এনপিআর জুজু। সেটাই আপাতত সামনে খাড়া করে এগচ্ছে কেন্দ্র। বিজেপি ঢাক পেটাচ্ছে এতে কোনও গণ্ডগোল নেই। তথ্য দিলে অসুবিধা কী? বিরোধীরা মানছে না। মানুষও না। তাদের এক মত, আগে যে তথ্য নেওয়া হতো, তা দিতে তো অসুবিধা নেই! নতুন প্রশ্ন কেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এনপিআর হবে না। তাঁর সুরে সুর মিলিয়েছে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট সহ অন্য বিরোধীরাও। কিন্তু সেই তাল খানিক কেটেও গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দিল্লির ডাকা এনপিআর বৈঠকে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি যাবে না। প্রাথমিকভাবে একই গর্জন শোনা গিয়েছিল কংগ্রেস এবং বামেদের তরফ থেকেও। আদপে যা হয়নি। শেষমেশ দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি সব রাজ্যের প্রতিনিধিই বৈঠকে উপস্থিত। এমনকী কেরলও। পরে অবশ্য সিপিএমের তরফ থেকে সাফাই দেওয়া হয়, ‘আমরা যে এনপিআর করছি না, সেটা জানানোর জন্যই তো বৈঠকে গিয়েছিলাম!’ তার জন্য কি এই হাঁকডাক করে দিল্লি যাওয়ার দরকার ছিল? মমতা সরকার কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারি করে এনপিআর সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সেটাই যথেষ্ট নয় কি? বিজেপি উল্লসিত, বিরোধীরা ক্ষমতায় এমন সব রাজ্য সরকার(পশ্চিমবঙ্গ বাদে) বৈঠকে এসেছে মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একলা হয়ে গিয়েছেন। আর আক্রমণের ঝাঁঝ থাকবে না। বিজেপি এখানেই ভুল করছে। কোনও একটি ইস্যুতে যদি বিরোধিতাকে সপ্তমে নিয়ে যেতে হয়, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই যথেষ্ট। তাঁর কোনও সাঙ্গোপাঙ্গো লাগে না। এর প্রমাণ তিনি আগেও দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের শাসনকালে কোথায় ছিল বিরোধী? একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল গঠন করেছেন... তারপরও তিনিই হয়েছেন প্রধান বিরোধী মুখ। নির্বাচনে তিনি জিতেছেন, তৃণমূলের বাকি কেউ নয়... এমন দিনও দেখেছে বাংলা। তারপরও ফিরে এসেছেন মমতা। বিরোধিতার সেই ঝাঁঝকেই সম্বল করে। তা সে সিঙ্গুর হোক, নন্দীগ্রাম বা নেতাই। আক্রমণের সেই তীব্রতা আজ কিন্তু আরও একবার ফিরে এসেছে। নাগরিকত্বের প্রশ্নে। মানুষের পরিচিতি, তাঁর রাষ্ট্র, অধিকার কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য বানচাল করতে। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন, তাঁরা জানেন, একা হলেও তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। সত্যের জন্য। রবি ঠাকুরকে ধার করেই বলা যায়, ‘সত্য ওজনদরে বা গজের মাপে বিক্রয় হয় না—তাহা ছোটো হইলেও তাহা বড়ো। পর্বতপরিমাণ খড়বিচালি স্ফুলিঙ্গপরিমাণ আগুনের চেয়ে দেখিতেই বড়ো কিন্তু আসলে বড়ো নহে। সমস্ত শেজের মধ্যে যেখানে সলিতার সূচ্যগ্র পরিমাণ মুখটিতে আলো জ্বলিতেছে সেইখানেই সমস্ত শেজটার সার্থকতা। তেলের নিম্নভাগে অনেকখানি জল আছে তাহার পরিমাণ যতই হউক সেইটেকে আসল জিনিস বলিবার কোনো হেতু নাই। সকল সমাজেই সমস্ত সমাজপ্রদীপের আলোটুকু যাঁহারা জ্বালাইয়া আছেন তাঁহারা সংখ্যাহিসাবে নহে সত্যহিসাবে সে সমাজে অগ্রগণ্য। তাঁহারা দগ্ধ হইতেছেন, আপনাকে তাঁহারা নিমেষে নিমেষে ত্যাগই করিতেছেন তবু তাঁহাদের শিখা সমাজে সকলের চেয়ে উচ্চে—সমাজে তাঁহারাই সজীব, তাঁহারাই দীপ্যমান।’
আর একটা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, একটি শিখা কিন্তু গোটা লঙ্কাপুরীকে ছারখার করে দিতে পারে। কাজেই সতর্ক হওয়া সবার আগে দরকার। যাঁরা নাগরিকের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চাইছেন। নিজের দেশ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের পরবাসী করতে চাইছেন, তাঁরা এখনই সতর্ক না হলে রাবণের লঙ্কার দশা হবেই। আজ না হয় কাল। ধর্ম মানুষকে একজোট করে। বিভাজিত নয়।
আর বিভাজনের ফল একটাই... বিশ্বাসভঙ্গের অভিশাপ। নরেন্দ্র মোদিকে মানুষ মাথায় তুলে শিখরে বসিয়েছে। পরপর দু’বার। তাঁর প্রতি বিস্ময়,
ক্ষোভ যদি অবিশ্বাসে বদলে যায়? দেশবাসীকে রাষ্ট্রহীন করতে গিয়ে তিনিই না তখন পর হয়ে যান। বিশ্বকবি কিন্তু বলে গিয়েছিলেন, ‘যে আপনাকে পর করে সে পরকে আপনার করে না, যে আপন ঘরকে অস্বীকার করে কখনোই বিশ্ব তাহার ঘরে আতিথ্য গ্রহণ করিতে আসে না।’ 
21st  January, 2020
১৬০০ কোটি টাকায় কী হতে পারে?
মৃণালকান্তি দাস

শুধুমাত্র অসমে এনআরসি প্রক্রিয়া করতে গিয়েই সরকার খরচ করে ফেলেছে ১৬০০ কোটি টাকা! এত টাকা কীভাবে খরচ হল সেটা খতিয়ে দেখতে দাবি উঠেছে সিবিআই তদন্তের। শুধু তাই-ই নয়, এই এনআরসি করতে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলেছেন অসমের বিজেপি নেতা তথা অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই দুর্নীতির কথা ধরা পড়েছে ক্যাগের প্রতিবেদনেও। এনআরসির মুখ্য সমন্বয়কারী প্রতীক হাজেলাকে মধ্যপ্রদেশে বদলি করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না বিজেপি।
বিশদ

মুখ হয়ে ওঠার নিরন্তর প্রয়াস
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, মুখ হচ্ছে মনের আয়না। আবার কেউ কেউ মনে করেন, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। তাই অনেকেরই ধারণা, সাফল্য লাভের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই হল মুখ। রাজনীতিতেও সেই মুখের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে রাজনীতিতে সৌন্দর্য অপেক্ষা অধিকতর প্রাধান্য পেয়ে থাকে মুখের কথা, ভাষাও।  
বিশদ

নিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনার অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 আজকাল একটি বিশেষ শ্রেণীর কাছে দুটি শব্দ খুব অপছন্দের। সেকুলার এবং ইন্টেলেকচুয়াল। ওই লোকটিকে আমার পছন্দ নয়, কারণ লোকটি সেকুলার। ওই মানুষটি আসলে সুবিধাবাদী এবং খারাপ, কারণ তিনি ইন্টেলেকচুয়াল। সমাজের এই অংশের উচ্চকিত তর্জন গর্জন হাসি ঠাট্টা কটাক্ষ শুনলে মনে হবে, সেকুলার হওয়া বোধহয় সাংঘাতিক অপরাধ। বিশদ

24th  January, 2020
বাজেটের কোনও অঙ্কই মিলছে না, আসন্ন বাজেটে বৃদ্ধিতে গতি ফিরবে কীভাবে?
দেবনারায়ণ সরকার

বস্তুত, বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির চিত্র যথেষ্ট বিবর্ণ। সমৃদ্ধির হার ক্রমশ কমে ৫ শতাংশে নামার ইঙ্গিত, যা ১১ বছরে সর্বনিম্ন। মুদ্রাস্ফীতি গত ৩ বছরে সর্বাধিক। শিল্পে সমৃদ্ধির হার ৮ বছরে সর্বনিম্ন। পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধির হার ১৪ বছরে সর্বনিম্ন। বিদ্যুতের চাহিদা ১২ বছরে সর্বনিম্ন। বেসরকারি লগ্নি ১৬ বছরে সর্বনিম্ন। চাহিদা কমায় বাজারে ব্যাঙ্ক লগ্নি কমেছে, যা গত ৫৮ বছরে সর্বনিম্ন। রপ্তানিও যথেষ্ট ধাক্কা খাওয়ার ইঙ্গিত বর্তমান বছরে। এর উপর ভারতে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরে সর্বনিম্ন।
বিশদ

24th  January, 2020
ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

23rd  January, 2020
স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

23rd  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উৎপাদন কম থাকায় দাম বাড়ছে হু হু করে। সেকারণেই কুমোরটুলিতে শোলার বদলে সরস্বতী প্রতিমার সাজে ব্যবহার বাড়ছে জরির অলঙ্কারের। মৃৎশিল্পীদের কথায়, প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে যদি প্রতিমা শোলার অলঙ্কারে সাজাতে হয়, তাহলে ঢাকের ...

দাভোস, ২৪ জানুয়ারি: ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় গণতন্ত্রকে ‘ধ্বংসের মুখে’ ঠেলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার দাভোসের ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম-এর মঞ্চ থেকে ...

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: দক্ষিণবঙ্গ থেকে ভোজ্য তেল নিয়ে এসে কালিয়াচকের ডাঙা এলাকায় একটি গোডাইনে মজুত করেছিল পাচারকারীরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই তেল পাচারকারী লরির চালক ও খালাসিকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।  ...

সংবাদদাতা, কান্দি: বৃহস্পতিবার রাতে খবর পেয়ে বড়ঞা থানার শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম সাদ্দাম শেখ। ওই গ্রামেই তার বাড়ি।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় ভোটদাতা দিবস
১৮৫০: অভিনেতা অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফির জন্ম
১৮৫৬: সমাজসেবক ও লেখক অশ্বিনীকুমার দত্তের জন্ম
১৮৭৪: ইংরেজ লেখক সামারসেট মমের জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫১ টাকা ৭২.২১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯৮ টাকা ৯৫.৩২ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৮ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৭১০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৬২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,২০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, প্রতিপদ ৫৫/২৪ রাত্রি ৪/৩২। শ্রবণা ৫৫/৩৩ রাত্রি ৪/৩৬। সূ উ ৬/২২/৭, অ ৫/১৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ১০/০ গতে ১২/৫৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ১০/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ২/০ মধ্যে পুনঃ ২/৫২ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
১০ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, প্রতিপদ ৫২/৪৫/৪২ রাত্রি ৩/৩১/৩১। শ্রবণা ৫৪/৮/১ শেষরাত্রি ৪/৪/২৬। সূ উ ৬/২৫/১৪, অ ৫/১৪/৮, অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৭ মধ্যে ও রাত্রি ৭/৫৮ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬/২১ মধ্যে ও ৩/৫৪/২ গতে ৫/১৪/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৫৪/১ মধ্যে ও ৪/৪৬/২০ গতে ৬/২৪/৫৫ মধ্যে। 
২৯ জমাদিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: দাম্পত্যজীবন শুভ। বৃষ: উপার্জন ভাগ্য শুভাশুভ মিশ্রিত। মিথুন: কথাবার্তায় সংযত না ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় ভোটদাতা দিবস১৮৫০: অভিনেতা অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফির জন্ম১৮৫৬: সমাজসেবক ও ...বিশদ

07:03:20 PM

পদ্মভূষণ পাচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনহর পারিক্কর, ব্যবসায়ী আনন্দ মহিন্দ্রা ও ভেনু শ্রীনিবাসন, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু, নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস সি জমির এবং জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুজাফ্ফর হোসেন বেগ 

09:18:00 PM

পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি, স্বরাজ, জর্জ ফার্ণান্ডেজ, বক্সার মেরি কম, মরিশাসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অনিরুদ্ধ জগন্নাথ 

09:13:00 PM

 পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কঙ্গনা রানউত, একতা কাপুর, আদনান সামি এবং করণ জোহর

09:07:04 PM

ম্যাচ চলাকালীন অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, ম্যাচ ফি কাটা হল বেন স্টোকসের
জোহানেসবার্গ টেস্ট চলাকালীন অশ্লীল ভাষা ব্যবহারের অপরাধে ইংল্যান্ডের খেলোয়ার বেন ...বিশদ

08:05:00 PM