Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক।
নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে এনআরসি প্রক্রিয়ার আগে অন্তত একটা ধর্মভিত্তিক আশ্বাস-আশঙ্কা ছিল। ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সবই গুবলেট হয়ে গিয়েছে। কাগজ জোগাড়ের আশায় ছুটছেন সবাই। এই প্রেক্ষাপটে গান্ধীজির ‘নাগরিক-সংজ্ঞা’ ফিরে দেখার লোভ সামাল দেওয়া গেল না। কারণ, গান্ধীজির কাছে ধর্ম কখনও নাগরিকত্বের পরিচায়ক ছিল না। স্বামী বিবেকানন্দের কাছেও না। যা আজ হতে চলেছে। সৌজন্যে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। যাকে হাতিয়ার করে নাগরিকত্ব ‘দেওয়ার’ ভিত শক্ত করেছে কেন্দ্র। এবং এনপিআর বা জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি। ইউপিএ আমলে শুরু হয়েছিল এই প্রক্রিয়া। উদ্দেশ্য ছিল হাউসলিস্টিং। অর্থাৎ একটি বাড়িতে পরিবারের কে কে থাকেন, সেখানে বাইরের রাজ্য থেকে এসে কেউ থাকছেন কি না, তার হিসেব নেওয়া। এবং এই হিসেবটা করা হয় গত ছ’মাস কেউ এক ঠিকানায় আছেন কি না, বা পরবর্তী ছ’মাস ওই ঠিকানায় থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত কি না, তার উপর ভিত্তি করে। আসলে নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ এবং নাগরিকত্ব বিধি, ২০০৩-কে সামনে খাড়া করে ভারতের একজন নাগরিকের যাবতীয় তথ্য জোগাড় করার নামই হল এনপিআর। সোজা কথায় ডেটাবেস তৈরি করা। এর জন্য বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা হবে ঠিকই, কিন্তু সরকার নিযুক্ত কর্মীরা কোনও নাগরিকের বায়োমেট্রিক বা পরিচয়ের প্রমাণপত্র চাইতে পারবেন না। এটাই জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি। এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে তাহলে এত হইচই কেন? তার দু’টো কারণ। প্রথমত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ... তিনি বলে ফেলেছিলেন, এনপিআর হল এনআরসির প্রথম ধাপ। সঙ্গে তাঁর মন্ত্রকের ওয়েবসাইট। যেখানে এই কথাটাই লেখা আছে ২০১৮-১৯ সালের বার্ষিক রিপোর্টের ২৬২ নম্বর পৃষ্ঠায়। দ্বিতীয়ত, শোনা যাচ্ছে এনপিআরে নতুন কিছু প্রশ্ন যোগ হয়েছে... যেমন বাবা মায়ের জন্মস্থান, আধার নম্বর, ধর্ম ইত্যাদি। যদি বাসস্থান সংক্রান্ত তথ্যই নেওয়ার থাকে, তাহলে এই অতিরিক্ত প্রশ্নের খোঁচার প্রয়োজন কী? এনআরসি ভারতীয় জনমানসে একেই আতঙ্ক ভরে দিয়েছে, তার উপর এই বাড়তি ইন্ধন। গোটা দেশে অসন্তোষের আগুন ছড়িয়ে পড়াটা অস্বাভাবিক কি? আর সেটাই হয়েছে। দিকে দিকে বিক্ষোভ, আন্দোলন, একটা শাহিনবাগ, একটা পার্ক সার্কাস শাসক দলকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, রাজনীতি নয়, ধর্ম নয়, আমরা নাগরিক। ভারতের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘কোনো বিশেষ ধর্মমত ও কোনো বিশেষ আচার কোনো জাতির নিত্য লক্ষণ হইতেই পারে না। হাঁসের পক্ষে জলে সাঁতার যেমন, মানুষের পক্ষে বিশেষ ধর্মমত কখনোই সেরূপ নহে। ধর্মমত জড় পদার্থ নহে—মানুষের বিদ্যাবুদ্ধি অবস্থার সঙ্গে সঙ্গেই তাহার বিকাশ আছে—এই জন্য ধর্ম কোনো জাতির অবিচলিত নিত্য পরিচয় হইতেই পারে না।’
এটাই চিরন্তন সত্য। অথচ, ধর্মের মেরুকরণ চলছে। খুল্লামখুল্লা। গোটা দেশে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তারই একটা শাখা মাত্র। প্রবল চাপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যতই বলুন না কেন, গোটা দেশে এনআরসির এখনই কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই। বা এই সংক্রান্ত কোনও বৈঠক হয়নি। তা সত্ত্বেও আতঙ্ক কাটছে না। কারণ, এনপিআর জুজু। সেটাই আপাতত সামনে খাড়া করে এগচ্ছে কেন্দ্র। বিজেপি ঢাক পেটাচ্ছে এতে কোনও গণ্ডগোল নেই। তথ্য দিলে অসুবিধা কী? বিরোধীরা মানছে না। মানুষও না। তাদের এক মত, আগে যে তথ্য নেওয়া হতো, তা দিতে তো অসুবিধা নেই! নতুন প্রশ্ন কেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এনপিআর হবে না। তাঁর সুরে সুর মিলিয়েছে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট সহ অন্য বিরোধীরাও। কিন্তু সেই তাল খানিক কেটেও গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দিল্লির ডাকা এনপিআর বৈঠকে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি যাবে না। প্রাথমিকভাবে একই গর্জন শোনা গিয়েছিল কংগ্রেস এবং বামেদের তরফ থেকেও। আদপে যা হয়নি। শেষমেশ দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি সব রাজ্যের প্রতিনিধিই বৈঠকে উপস্থিত। এমনকী কেরলও। পরে অবশ্য সিপিএমের তরফ থেকে সাফাই দেওয়া হয়, ‘আমরা যে এনপিআর করছি না, সেটা জানানোর জন্যই তো বৈঠকে গিয়েছিলাম!’ তার জন্য কি এই হাঁকডাক করে দিল্লি যাওয়ার দরকার ছিল? মমতা সরকার কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারি করে এনপিআর সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সেটাই যথেষ্ট নয় কি? বিজেপি উল্লসিত, বিরোধীরা ক্ষমতায় এমন সব রাজ্য সরকার(পশ্চিমবঙ্গ বাদে) বৈঠকে এসেছে মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একলা হয়ে গিয়েছেন। আর আক্রমণের ঝাঁঝ থাকবে না। বিজেপি এখানেই ভুল করছে। কোনও একটি ইস্যুতে যদি বিরোধিতাকে সপ্তমে নিয়ে যেতে হয়, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই যথেষ্ট। তাঁর কোনও সাঙ্গোপাঙ্গো লাগে না। এর প্রমাণ তিনি আগেও দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের শাসনকালে কোথায় ছিল বিরোধী? একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল গঠন করেছেন... তারপরও তিনিই হয়েছেন প্রধান বিরোধী মুখ। নির্বাচনে তিনি জিতেছেন, তৃণমূলের বাকি কেউ নয়... এমন দিনও দেখেছে বাংলা। তারপরও ফিরে এসেছেন মমতা। বিরোধিতার সেই ঝাঁঝকেই সম্বল করে। তা সে সিঙ্গুর হোক, নন্দীগ্রাম বা নেতাই। আক্রমণের সেই তীব্রতা আজ কিন্তু আরও একবার ফিরে এসেছে। নাগরিকত্বের প্রশ্নে। মানুষের পরিচিতি, তাঁর রাষ্ট্র, অধিকার কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য বানচাল করতে। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন, তাঁরা জানেন, একা হলেও তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। সত্যের জন্য। রবি ঠাকুরকে ধার করেই বলা যায়, ‘সত্য ওজনদরে বা গজের মাপে বিক্রয় হয় না—তাহা ছোটো হইলেও তাহা বড়ো। পর্বতপরিমাণ খড়বিচালি স্ফুলিঙ্গপরিমাণ আগুনের চেয়ে দেখিতেই বড়ো কিন্তু আসলে বড়ো নহে। সমস্ত শেজের মধ্যে যেখানে সলিতার সূচ্যগ্র পরিমাণ মুখটিতে আলো জ্বলিতেছে সেইখানেই সমস্ত শেজটার সার্থকতা। তেলের নিম্নভাগে অনেকখানি জল আছে তাহার পরিমাণ যতই হউক সেইটেকে আসল জিনিস বলিবার কোনো হেতু নাই। সকল সমাজেই সমস্ত সমাজপ্রদীপের আলোটুকু যাঁহারা জ্বালাইয়া আছেন তাঁহারা সংখ্যাহিসাবে নহে সত্যহিসাবে সে সমাজে অগ্রগণ্য। তাঁহারা দগ্ধ হইতেছেন, আপনাকে তাঁহারা নিমেষে নিমেষে ত্যাগই করিতেছেন তবু তাঁহাদের শিখা সমাজে সকলের চেয়ে উচ্চে—সমাজে তাঁহারাই সজীব, তাঁহারাই দীপ্যমান।’
আর একটা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, একটি শিখা কিন্তু গোটা লঙ্কাপুরীকে ছারখার করে দিতে পারে। কাজেই সতর্ক হওয়া সবার আগে দরকার। যাঁরা নাগরিকের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চাইছেন। নিজের দেশ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের পরবাসী করতে চাইছেন, তাঁরা এখনই সতর্ক না হলে রাবণের লঙ্কার দশা হবেই। আজ না হয় কাল। ধর্ম মানুষকে একজোট করে। বিভাজিত নয়।
আর বিভাজনের ফল একটাই... বিশ্বাসভঙ্গের অভিশাপ। নরেন্দ্র মোদিকে মানুষ মাথায় তুলে শিখরে বসিয়েছে। পরপর দু’বার। তাঁর প্রতি বিস্ময়,
ক্ষোভ যদি অবিশ্বাসে বদলে যায়? দেশবাসীকে রাষ্ট্রহীন করতে গিয়ে তিনিই না তখন পর হয়ে যান। বিশ্বকবি কিন্তু বলে গিয়েছিলেন, ‘যে আপনাকে পর করে সে পরকে আপনার করে না, যে আপন ঘরকে অস্বীকার করে কখনোই বিশ্ব তাহার ঘরে আতিথ্য গ্রহণ করিতে আসে না।’ 
21st  January, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM