Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল।
আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।
উত্তর ভিয়েতনাম ছিল কমিউনিস্টদের নিয়ন্ত্রণে। আর দক্ষিণ ভিয়েতনামে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, এই অজুহাতে যে সেইদিকে কমিউনিস্টদের অগ্রগমন ও আগ্রাসন তারা ঠেকাবে এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী অধ্যায়ে ‘উদার গণতন্ত্র’ রক্ষা করার পক্ষের মতবাদটি জনপ্রিয় হয়েছিল। এই বিষয়ে সবচেয়ে স্পষ্ট বিভাজন ঘটে গিয়েছিল ইউরোপে। একপক্ষে ছিল কিছু তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশ আর অন্যপক্ষে ছিল কিছু তথাকথিত কমিউনিস্ট দেশ। এই বিভাজন রেখাটিকে উইনস্টন চার্চিল ‘লৌহ যবনিকা’ বলেছিলেন।
সেনা বাহিনীতে আবশ্যিকভাবে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুবরা ‘দেশসেবা’র প্রয়োজনে প্রতিরক্ষার বিভিন্ন বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের গোড়ার দিকে আমেরিকার বহু যুবক স্বেচ্ছায় কাজটি করেছিলেন। যুদ্ধটা যখন থেমেও থামছে না, মন্থর-একঘেয়ে-ক্লান্তিকরভাবে চলছে, এবং একের পর এক সরকারের মিথ্যাচার খোলসা হচ্ছে, তখন মার্কিনিদের সেই সমর্থনের জায়গা নিল সংশয়বাদ। সংশয় বদলে গেল সন্দেহে এবং সন্দেহ বদলে গেল বিরোধিতায়।
প্রতিবাদী কণ্ঠ প্রথম ধ্বনিত হল যুবসমাজের মধ্যে থেকে—বিশেষ করে ছাত্র এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আহূত হয়েছিলেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে থেকে। তাঁরা সরকারের কাছে প্রথম জানতে চেয়েছিলেন—বহু দূরে একটি দেশ ভিয়েতনাম, আমরা সেখানে যুদ্ধ লড়তে গিয়েছি কেন? শয়ে শয়ে আমেরিকান যুবককে সেখানে গিয়ে মরতে হচ্ছে কেন? তৎকালীন রাজনৈতিক ব্যবস্থা এর সদুত্তর দিতে পারেনি।
মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা হাওয়া বুঝতে দেরি করে ফেলেছিলেন। আর ব্যাপারটা যখন তাঁরা ধরে ফেললেন তখন মার্কিন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা একরোখা হয়ে উঠলেন এবং গলার জোরে যুদ্ধের প্রয়োজনটাই ব্যাখ্যা করতে প্রয়াসী হলেন। কী কেনেডি, কী জনসন, কী নিক্সন—সকলের শ্রীমুখে এক ধুয়ো—ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা!
অবাক ব্যাপার, নিক্সনের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট শেষমেশ ওই যুদ্ধ থেকে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিলেন। কে এই রাষ্ট্রনায়ক? অন্যের উপর বলপ্রয়োগই যাঁর বিদেশনীতির সারকথা এবং কমিউনিস্টদের বিরোধিতায় যিনি অকৃত্রিম। তাহলে কেন তাঁর এই চৈতন্যোদয়? কারণ, দেরিতে হলেও তিনি সার বুঝে গিয়েছিলেন যে বিপুল অর্থ আর লোকক্ষয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে যা কোনোদিনই জেতার নয়।
কিছু ভীষণ রকমের ভুল
আজ ভারতজুড়ে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যায় ক্যাম্পাসে যে আলোড়ন ক্ষোভ বিক্ষোভ আমরা দেখছি, তার সঙ্গে ১৯৬৮-র ঘটনার কিছু উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। আজকের ছাত্রসমাজ যুবসমাজ বুঝতে পারছে যে দেশ যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তার ভিতরে কিছু ‘ভীষণ রকমের ভুল’ হয়ে যাচ্ছে। এই যে ক্ষোভের আগুন—তার সূত্র অনেক স্ফুলিঙ্গ। যেমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ব্যক্তিদের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে যাঁদের ‘ক্রিডেনশাল’ নিয়ে সংশয় রয়েছে, রাজ্যপাল/উপাচার্যদের অন্যায় হস্তক্ষেপ ঘটছে, তাঁরা অশোভনভাবে নিজেদের জাহির করছেন, অনেক শিক্ষকের নিয়োগও ত্রুটিপূর্ণ, পরীক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রেও অনেকসময় অব্যবস্থা লক্ষণীয়, ছাত্র-সংগঠনের স্বাভাবিক কাজকর্মও নিয়ন্ত্রিত করার প্রয়াস জারি রয়েছে, অন্যায়ভাবে ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে প্রভৃতি। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট মানসিকতা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং অন্যদের উপেক্ষা করে একটিমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শের ছাত্রদের ‘ফেভার’ করা হচ্ছে এবং সংঘর্ষে মদত দেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সবচেয়ে নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে দিল্লিতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ)। জেএনইউ প্রশাসন তো বিজেপির ছাত্র শাখা এবিভিপিকে খুল্লামখুল্লা মদত জুগিয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিবাদী কণ্ঠকে ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ বলে দেগে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রনেতাদের রাষ্ট্রদ্রোহের কেসেও ফাঁসানো হয়েছে।
যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নয়া ‘স্থিতাবস্থা’ ভয়তাড়িত করে থাকে তো সাধারণভাবে দেশের ‘স্থিতাবস্থা’য় চলছে দমন-পীড়ন। প্রতিটি দিন নতুন নতুন করে উঠে আসছে ধর্ষণ আর গণপ্রহারে মৃত্যুর খবর, অপছন্দের লোকদের অপমান অমর্যাদার ঘটনা, এবং ইচ্ছেখুশি গ্রেপ্তারের ঘটনা। সরকার বৃদ্ধি, উন্নয়ন আর চকারির অলীক গল্প ফেঁদেই চলেছে। এতে ভয়ানক ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন যুবক-যুবতীরা—যাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠায় কাটছে, বিশেষত চাকরি-বাকরি হবে কি হবে না তা নিয়ে যাঁরা অশান্তিতে আছেন। ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করলে একজন ছাত্র বুঝতে পারছেন যে এই নয়া ‘স্থিতাবস্থা’ চালনা করছে যে-শক্তি, যে এটার বৈধতার পক্ষে সওয়াল করছে, সে আর কেউ নয়—শাসকের গরিষ্ঠতার ঔদ্ধত্য। এই শক্তি নানাভাবে নিজেকে প্রকট করে তুলছে: ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণুতার প্রকাশ, অন্যের বিশ্বাসের প্রতি ঘৃণাপ্রদর্শন, আইনশঙ্খলারক্ষার নামে অহেতুক কঠোর মনোভাব দেখানো, সেন্সরশিপ এবং অন্যসকল নিয়ন্ত্রণের বাড়াবাড়ি (যেমন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া), যুক্তিগ্রাহ্য ‘চার্জ’ আনতে না-পারা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের দিনের পর দিন আটক করে রাখা, প্রতিবাদী বা অপছন্দের ছেলেমেয়েদের গায়ে প্রতিক্রিয়াশীল তকমা সেঁটে দেওয়া (অসবর্ণ কিংবা ভিন্নধর্মে বিবাহ অনুমোদন না-করা) প্রভৃতি।
অঙ্গীকারে প্রত্যাখ্যান
রাজনৈতিক স্তরে সংখ্যাগরিষ্ঠের ঔদ্ধত্য দেখা গেল যখন সরকার বিরোধীদের প্রতি তার অঙ্গীকার প্রত্যাখ্যান করে দিল এবং বিতর্কিত আইন সংসদে তড়িঘড়ি পাশ করালো। একটি দৃষ্টান্ত এই: ভারতের সংবিধানের ৫-১১ নম্বর অনুচ্ছেদে নাগরিকত্বের বিষয়গুলি আলোচিত হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ ক’টি গৃহীত হয়েছিল গণপরিষদে তিনমাসব্যাপী বিতর্ক-আলাপ-আলোচনার পর। আর এদিকে কী হল দেখুন! ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৯-কে মন্ত্রিসভা অনুমোদন করল, এরপর সংসদের উভয় কক্ষে তা পাশ করানো হল, এবং সেটাকে আইনে পরিণত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল ১১ ডিসেম্বর—অর্থাৎ সবটাই সেরে নেওয়া হল মাত্র ৭২ ঘণ্টার ভিতরে!
ভারত রাষ্ট্র এবং সংবিধানের পক্ষে এই যে বাস্তব বিপদটি উপস্থিত হল, তার বিরুদ্ধে সবার আগে ঘুম ভেঙেছে ছাত্রদের এবং যুবদের। তাঁদের এই ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে—এমনকী যেসব দল ব্যাপক হালুম-হুলুম করেছে, ছাপিয়ে গিয়েছে তাদেরকেও। ছাত্র-যুবরা যথার্থ উপলব্ধি করেছেন যে সংখ্যাগরিষ্ঠের এই ঔদ্ধত্য এবং পদক্ষেপই শেষমেশ ‘অথরিটারিয়ানিজম’-এর দিকে গড়াবে। আমরা জানি, অথরিটারিয়ানিজম হল এমন একটা ভয়ানক ব্যবস্থা, যেখানে ব্যক্তিস্বাধীনতার জায়গায় গুরুত্ব পায় সরকারের প্রতি আনুগত্যের নীতি। ছাত্র-যুবরা আরও বুঝেছেন, সরকারের এই নীতি ভারতকে বিভক্ত করবে এবং ভারতবাসীকেই ভারতবাসীর বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেবে। অধিকার, বিশেষ মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধার প্রশ্নে দেশের কিছু মানুষের গুরুত্ব খর্ব হবে। এই যে সর্বনাশা কাণ্ডটা হচ্ছে এর ফলে দেশ সত্তর বছর পিছনে ফিরে যাবে এবং স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত দেশের যাবতীয় প্রাপ্তি নস্যাৎ হয়ে যাবে।
আজকের প্রজন্মের ভিতরে নিরপেক্ষতা ও নিস্পৃহতার যে-ভাবটা ছিল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন সেটাকে নষ্ট করেছে। অন্যদিকে, এই আইন ভীষণ লজ্জিত করেছে বয়স্কদেরকে। হাজার হাজার কমবয়সি নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে এসে জাতীয় পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরে পদযাত্রা করেছেন, মোমবাতি হাতে মিছিল করেছেন, প্রতিবাদীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন আর সংবিধানের প্রস্তাবনার গভীর তাৎপর্য দেশবাসীর উপলব্ধিতে এনে দিয়েছেন। প্রত্যাশামতোই পাওয়া গিয়েছে শাসক গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া—তারা অন্ধ গতানুগতিক ভাবে ক্রোধে ফেটে পড়েছে। একইসঙ্গে লক্ষ করা গিয়েছে যে, শাসক আজ নার্ভাস, সোজা কথায়, বড্ড ভয় পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে দিয়েছেন যে, ‘‘আমরা সিএএ থেকে এক ইঞ্চিও সরছি না’’। মনে হচ্ছে একটা অপ্রতিরোধ্য শক্তি আর একটা অনড় বাধার সম্মুখীন। কাউকে অথবা কিছু একটা ছাড়তে হবে। ভারতের ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ এটার উপরেই ঝুলে রয়েছে। বছরের একটা অশুভ সূচনা হল। 
13th  January, 2020
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...

ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম সমালোচক তথা বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান। জেলের ভিতর সেই মৃত্যু নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিন্দার মুখে পড়েছেন পুতিন। ...

লক্ষ্য মহিলা ভোট নিজেদের দিকে আনা। সেই লক্ষ্যে সন্দেশখালির মহিলাদের সামনের সারিতে রেখে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের কৌশল নিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পকে নিয়ে প্রচারের কৌশল তারা ভোঁতা করতে উদ্যত হয়েছে ...

কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM