Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নিত্যযন্ত্রণা এবং সরকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমাদের এই বাংলায় এক প্রবাদপ্রতিম ভদ্রলোক আছেন। তাঁর নাম গৌরী সেন। মানে টাকার জোগানদার। শুধু হাত পেতে দাঁড়ানোর অপেক্ষা... তিনি তো দেওয়ার জন্য মুখিয়েই আছেন! আমাদের এই পোড়া দেশে গৌরী সেন হল সরকার। তা সে রাজ্যই হোক বা কেন্দ্র। মানে, যে সরকারকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, সেই সরকার আমাদের ভর্তুকি দেবে। তেলে ভর্তুকি, গ্যাসে ভর্তুকি, চাল-চিনিতে ভর্তুকি...। ইদানীং এই গৌরী সেনের চরিত্র কিছুটা বদলেছে বলে বোধ হচ্ছে। কারণ, মূলত তেল-গ্যাস থেকে ভর্তুকি কমাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সেদিন কলকাতায় এলপিজির দাম বাড়ল সাড়ে ২০ টাকা। ডিজেলের দাম ৭১ টাকা ছাড়িয়েছে। আর তার পাশাপাশি ধীরে ধীরে বাড়ছে পরিষেবা খরচ। যার মধ্যে অন্যতম অবশ্যই রেলভাড়া। পাশাপাশি কোনওরকম ঢাকঢোল না বাজিয়েই বেড়ে গিয়েছে বিমানের জ্বালানির দাম বা এটিএফ। এই দুই ক্ষেত্রেই যতটা প্রভাব চোখের সামনে দেখা যায়, ঠিক ততটাই থাকে আড়ালে। প্রথমত আসা যাক রেলে। শুধু যাত্রীভাড়া নয়, পণ্য পরিবহণও রেলের সঙ্গে জড়িত। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণের খরচ বাড়লে খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই পণ্য আর বাজারে পুরনো দামে পাওয়া যাবে না। মূল্য আকাশছোঁয়া হবেই। পাশাপাশি এটিএফ কিন্তু বিমানের পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রেও ব্যবহার হয়। বিমানভাড়া বৃদ্ধিটা না হয় একটা শ্রেণীর মানুষের পকেটে হাত বাড়াবে। উৎপাদনের খরচ বাড়লে যদি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি বিদ্যুতের দামও বাড়ায়, তার ধাক্কা আপামর জনসাধারণকেই সামলাতে হবে।
সেটাই আপাতত হচ্ছে। একদিকে কর্মসংস্থানের অভাব। নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি তো হচ্ছেই না, উল্টোদিকে ছাঁটাই হচ্ছে পুরোদমে। মানুষের হাতে টাকা নেই। ফলে বাজারে পণ্যের চাহিদা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখে পণ্য প্রস্তুতকারক যাবতীয় সংস্থা তাদের উৎপাদন কমিয়েছে। আজকের বাজার অর্থনীতির পরিস্থিতি এটাই। এবং এই পরিস্থিতি চলছে দিনের পর দিন। মাসের পর মাস। সঙ্গে খাদ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি। গত ছ’বছরের মধ্যে যার সূচক সর্বাধিক। মানুষ গাড়ি, বাড়ি, ঘর সাজানোর জিনিসপত্র না কিনে চালাতে পারে। কিন্তু খাবারই যদি না জোটে? এখন ১০০ টাকা পকেটে নিয়ে বাজার করতে বেরলে থলের এককোনাও ভরে না। জ্যোতি আলু খুচরো বাজারে হরেদরে ৩২ টাকা কেজি, পেঁয়াজ কমসম করেও ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। খাদ্যসামগ্রীর বাজার কিন্তু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এর জন্য সরকার কতটা দায়ী? আগে দেখা যাক, কীভাবে হয় এই ফুড ইনফ্লেশন। ধরা যাক আগের বছর উৎপাদন ভালো হওয়া সত্ত্বেও চাষিরা ফসলের উপযুক্ত দাম পাননি। লোকসান এতটাই হয়েছিল যে, এ বছর তাঁরা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন (যা হয়েছে এবার পেঁয়াজের ক্ষেত্রে)। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাজারে সেই পণ্যের জোগান কমে যাবে। তার উপর রয়েছে অকাল বর্ষণ।
ফলে মূল্যবৃদ্ধি যে হবেই, সে ব্যাপারে প্রশ্নের অবকাশ নেই। অন্য একটা সমীকরণও রয়েছে। তা হল, সরকার বাজার অর্থনীতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে, সেটাও মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারের এক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব রয়েছে। কোনও ফসলের যদি উৎপাদনে ঘাটতি না থাকে, তাহলে তার দাম মাত্রা ছাড়ায় কী করে? এর কারণ একটাই। সেই ফসল বা খাদ্যদ্রব্য বাজারে সঠিকভাবে সময়ে সময়ে বণ্টন হয়নি। তার জন্যই বছরের শেষে এসে দামটাও নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। এটাও খাদ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
মূল্যবৃদ্ধির এই সাঁড়াশি আক্রমণের ঠেলায় আজ তাই মধ্য ও নিম্নবিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে। এবার দেখা যাক, সরকার কী করতে পারে। অর্থনৈতিক মন্দার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে সবার আগে দরকার বাজারকে চাঙ্গা করা। সরাসরিভাবে বলতে গেলে পরিকাঠামো খাতে খরচ বাড়ানো। পাশাপাশি পণ্যপ্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে উৎপাদন বাড়ানোর মতো পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। সেটা কীভাবে? ভারত সরকার উল্লেখযোগ্য ভর্তুকি দেয় তেলের উপর। অপরিশোধিত তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে যত বাড়ে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের বাজারে বৃদ্ধি পায় পেট্রল-ডিজেলের দাম। এর সঙ্গে জুড়েছে আন্তর্জাতিক সমস্যা। অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ড্রোন হামলায় ইরানের সেনাকর্তার মৃত্যুতে রীতিমতো চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই ঝামেলায় আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে শুরু করেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। খুব স্বাভাবিকভাবেই যার প্রভাব পড়বে এদেশের পেট্রল-ডিজেলের মার্কেটে। কারণ, ভারতে যে পরিমাণ তেলের প্রয়োজন, তার ৮৪ শতাংশই আসে আমদানি থেকে। ইতিমধ্যে গত তিন মাসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৫৮ থেকে ৬৯ ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। এই আন্তর্জাতিক টালমাটাল পরিস্থিতি বজায় থাকলে যা আরও বাড়বে।
সরকার এখন কী করতে পারে? তেল কোম্পানিগুলিকে যে ভর্তুকি দেওয়া হয়, তা সরকার দিল না। সংস্থাগুলিকেই বলল, আন্তর্জাতিক বাজারের উপর ভিত্তি করে আপনারা দাম কমান বা বাড়ান। কিন্তু তাতে কেন্দ্রীয় নজরদারি থাকবে। অর্থাৎ, কোনও সংস্থা বাজারের সঙ্গে সামঞ্চস্য না রেখে দাম বাড়ালে সরকার তাকে চেপে ধরতে পারবে। এবার যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি কেন্দ্র তেল কোম্পানিগুলিকে দিচ্ছে, সেটাই খরচ হবে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে। বা কোনও শিল্পক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে। তেলের দাম যদি কমে, তার সরাসরি প্রভাব হিসেবেই মূল্যবৃদ্ধি কমবে। তখন ব্যাঙ্কগুলি পারবে সুদের হার কমাতে। অর্থাৎ কম সুদের হারে ঋণ দিতে। তাতে বিনিয়োগ বাড়বে, উৎপাদন ক্ষেত্র চাঙ্গা হবে এবং তার সঙ্গে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এটা একটা উপায় হতে পারে মন্দা থেকে বেরনোর। যতদিন না এমন কিছু সম্ভব হচ্ছে, ততদিন সরকারকে দেখতে হবে যাতে পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের সহ্যের সীমার বাইরে না চলে যায়। কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো অত্যন্ত সাধু উদ্যোগ। কিন্তু এর ফল এখনই পাওয়া যাবে না। অপেক্ষা করতে হবে বছর শেষের জন্য। ট্যাক্স একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়ায় সংস্থাগুলি যে বেশি লাভ করবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত। কিন্তু তাতেও যে উৎপাদন বাড়বে বা নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। কর্পোরেট ট্যাক্সে কিন্তু দেশ চলে। ব্যক্তিগত ট্যাক্সে নয়। কাজেই ৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স কমে যাওয়া মানে দেশের রাজস্বে বড় ঘাটতি। বরং বাজারে কোনও শিল্পের ওঠানামার উপর নির্ভর করে সেই সংক্রান্ত জিএসটি বা অন্যান্য শুল্কের হারে বদল আনলে সুরাহা পাওয়া যেতে পারে। আর সাধারণ মানুষের আয়করে যদি মোদি সরকার ছাড় দেয়, তা মানুষের কাছে বিশল্যকরণীর মতো হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি কি তা করবেন? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ, লোকসভা ভোটে সদ্য জয়ের পর আরও শক্ত জমিতে পা রেখেছেন তিনি। আগামী পাঁচ বছর নিশ্চিন্ত। এরপর যদি কোনও বিষয় মোদিকে টলাতে পারে, তা হল একের পর এক বিধানসভা ভোটে বিজেপির ধাক্কা খাওয়া। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ভোট। তারপর বছরখানেক সময় পাওয়া যাবে।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার। তার আগে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি আর একটা কিছু মাস্টার স্ট্রোক দেবেন। কারণ, শুধু পাকিস্তান দিয়ে যে বিধানসভা ভোটগুলিতে শিকে ছিঁড়বে না, তা বিজেপি বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছে। বাকি রইল ধর্মীয় মেরুকরণ। এই ইস্যু অবশ্যই এখনও জ্বলজ্যান্ত। এবং দেশের নানা প্রান্তে সাফল্যের সঙ্গে গেরুয়া শিবির এই ইস্যু প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। ভারতে এই প্রথম ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবেন। অথচ এই নরেন্দ্র মোদিই নাকি কথায় কথায় মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ করেন! সেই মহাত্মা গান্ধী, যিনি ৬ থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি সব শিখেছিলেন। ধর্ম ছাড়া। এপাশ ওপাশে যা দেখতেন, শুনতেন সেখান থেকেই কিছু না কিছু কুড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেন। এসব করতে গিয়ে ‘ধর্ম’ বিষয়টির এক অন্য মানে করেছিলেন তিনি। তাঁর কাছে ধর্ম বলতে ছিল আত্ম উপলব্ধি বা আত্মিক জ্ঞান। অবশ্যই প্রধানতম কারণ হল, গান্ধীজি এখনও পাবলিকের কাছে গ্রহণযোগ্য। অন্তত ছবি টাঙিয়ে দেওয়ালের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য তো বটেই!
তাই ধর্ম নিয়ে গান্ধীজির মতামত যাই থাকুক না কেন, স্বচ্ছতা অভিযানে অন্তত তাঁকে আদর্শ খাড়া করে দেশ ও দশের প্রিয় হওয়ার মাস্টারস্ট্রোক মোদি তাঁর প্রথম ইনিংসেই দিয়েছিলেন। আসলে এই কাজটা তিনি ভীষণ ভালোভাবে পারেন... একটা বিষয়ের থেকে অন্যটিকে আলাদা করে রাখতে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং মহাত্মা গান্ধী, দু’জনকেই গুরুত্ব দেবেন। অথচ দু’জনের আদর্শগত বিরোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার প্রসঙ্গ তুলবেন। কিন্তু তাঁর সর্বধর্ম, আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলনের আকাঙ্ক্ষাকে সযত্নে এড়িয়ে যাবেন। আচ্ছে দিনের কথা বলবেন। কিন্তু মানুষের সমস্যা, নিত্যযন্ত্রণা যে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখবেন।
কিন্তু আর কতদিন? মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় যদি এখনও না আসে, তাহলে কবে আসবে সেই ‘আচ্ছে দিন’। যখন নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর বিজেপি সরকার দেশের অর্থনীতি নিয়ে সত্যিকারের কিছু করার কথা ভাববেন... দেশবাসীর পাশে থেকে নিত্যযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা অন্তত করবেন।
07th  January, 2020
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিয়ে সেরেই ভোট দিতে ছুটলেন নবদম্পতি
জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরের একটি বুথে হঠাৎই বেধে গেল হইচই। ভোটের দিন ...বিশদ

04:43:36 PM

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধপরিস্থিতি: আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত ও তেল আভিভের মধ্যে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখল এয়ার ইন্ডিয়া

04:39:42 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৬৬.২৩ শতাংশ, কোচবিহারে ৬৫.৫৪ শতাংশ ও জলপাইগুড়িতে ৬৭.২৮ শতাংশ ভোট পড়ল

04:33:34 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬১.৯৫ শতাংশ, মিজোরামে ৪৯.১৪ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫১.৭৩ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৫৮.৮৬ শতাংশ ও রাজস্থানে ৪১.৫১ শতাংশ, সিকিমে ৫২.৭২ শতাংশ ভোট পড়ল

04:30:18 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে- ৪৩.৯৮ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে- ৫৭.০৯ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে- ৫৩.৪০ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে- ৪৪.১২ শতাংশ, মণিপুরে- ৬৩.০৩ শতাংশ ভোট পড়ল

04:25:12 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৫১.০১ শতাংশ, ত্রিপুরাতে ৬৮.৩৫ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৪৭.৪৪ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৪৫.৬২ শতাংশ ভোট পড়ল

04:20:51 PM