Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনৈতিক স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গে
আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

শনিবার যখন এই লেখা লিখছি তখনও চারদিক থেকে গণ্ডগোল, অবরোধ, আগুন লাগানোর খবর আসছে। নাগরিক বিল নিয়ে এককথায় রাজ্য উত্তাল। কিন্তু এই অশান্তি কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে তাই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন মেনে হাঙ্গামায় প্ররোচনা দেওয়া বন্ধ হোক। বন্ধ হোক আগুন নিয়ে খেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দিয়েছেন, বাংলায় তিনি বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে দেবেন না। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে আরও অনেক রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে সম্মান জানিয়েই আপাতত সবার উচিত শান্ত থাকা।
সংযত থাকা। মনে রাখতে হবে, এখন রাজনীতির সময় নয়। তার জন্য অনেক সময় পড়ে আছে। রাজনৈতিক স্বার্থে গোলমাল পাকিয়ে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা ব্যর্থ করুন। প্রশাসন কঠোর হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করুক। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা পরাজিত হোক।
বলা বাহুল্য, এ রাজ্যের পক্ষে সময়টা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই সুযোগ সন্ধানীরা ইন্ধন দেবেই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু হল বলে। সব মিলিয়ে আর পনেরো ষোলো মাস বাকি। বাংলায় এবার মোকাবিলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি বিজেপির। সিপিএম, কংগ্রেস জোট হোক আর নাই হোক, আপাতত এরাজ্যে তারা নিতান্তই এলেবেলে শক্তি, তায় একে অপরের লেজুড়। আপাতত ওদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। এই মুহূর্তে ধারে ভারে সার্বিক গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে থাকলেও এরাজ্যে লড়াইয়ের চূড়ান্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে মরিয়া হয়ে নেমেছেন অমিত শাহরা। বিজেপি নেতৃত্ব জানেন, এই মুহূর্তে সারা দেশে বাংলার জননেত্রীর মতো সোজা মেরুদণ্ডের আপসহীন লড়াকু আর একজনও নেই। হার্ভার্ড ও অক্সফোর্ডে উচ্চশিক্ষিত কংগ্রেসের তাবড় নেতা নেত্রীরাও মমতার নাছোড় লড়াইয়ের সামনে তাই ম্লান। সম্প্রতি রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে গেরুয়া দলের ভরাডুবিই প্রমাণ করেছে, এখনও মমতাতেই আস্থা গোটা বাংলার। দু’হাজার একুশেও মমতাকেই বাংলার সিংহাসনে বসানোর জন্য রাজ্যবাসী প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি এবং অগ্নিকন্যা মমতা শক্ত ঠাঁই বুঝেই তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে সংবিধানটাকেই দুমড়ে মুচড়ে তার অন্তর্নিহিত আত্মাকে খতম করে দেওয়ার ভয়ঙ্কর খেলায় নেমেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি ও অমিত শাহের বিজেপি। দরকার হলে গোলপোস্টের অবস্থানটাকেই বদলে দিতেও তাঁরা যে দু’বার ভাববেন না, তাও পরিষ্কার। সেই কারণেই দেশভাগের ক্ষত বয়ে চলা বাংলায় এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার কদর্য খেলায় নেমেছে গেরুয়া শিবির। যার আসল উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে একজোট করা। তবে একটা কথা বিনা দ্বিধায় বলতে পারি, হার মানার পাত্রী অগ্নিকন্যা নন। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আবার ধর্মের ভিত্তিতে মানুষভাগের হীন চক্রান্ত তিনি রুখবেনই রুখবেন। এখনও বাংলার মানুষের সেই বিশ্বাস আছে।
নরেন্দ্র মোদির দল বিলক্ষণ জানে সোজাসাপ্টা লড়াইয়ে একুশে বাংলা দখল কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এখানে বিগত তিন দশক ধরে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা আন্দোলন প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে মমতাকে কেন্দ্র করেই। তিনি বাংলার অবিসংবাদিত নেত্রী। উল্টে, এনআরসির ঠেলায় জেলায় জেলায় ভয় আর আতঙ্কে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। যেটুকু সমর্থন বিজেপি পেয়েছিল লোকসভা ভোটে, তা দ্রুত কমছে। এই পরিস্থিতিতেই ভারতীয় সংবিধানের বিবেককে বিসর্জন দিয়ে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে, মানুষে মানুষে বিভেদ ও বৈষম্য তৈরির আরও ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে বিজেপির সরকার। চালু হচ্ছে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান। তুমি হিন্দু হলে, শিখ হলে, বৌদ্ধ হলে, পার্সি হলে, খ্রিস্টান হলে, জৈন হলে শরণার্থী হয়েও নাগরিকত্ব পাবে। আর মুসলমান হলে, তোমার পরিচয় হবে ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’, বৈধ নাগরিকত্ব তুমি পাবে না। ভারতের সংবিধান যে-দর্শনের উপর দাঁড়িয়ে, তা মানুষে-মানুষে এই বিভেদ বৈষম্যের কথা কখনও বলে না। সব ধর্ম, সব সম্প্রদায়কে সমানভাবে দেখা ও প্রত্যেককে সুবিচার দেওয়ার জন্যই কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ এই সংবিধানের
মূল সুর। অথচ, আজ ৭০ বছর পর এর ঠিক
উল্টোটাই মোদি অমিত শাহদের রাজনীতির ধ্রুবপদ। ফলে ভয়ঙ্কর সঙ্ঘাত ও তার থেকে রক্তক্ষরণ অবশ্যম্ভাবী। হচ্ছেও তাই।
নোটবন্দি এবং ত্রুটিপূর্ণ তড়িঘড়ি জিএসটি চাপিয়ে দেওয়া থেকে রক্ত ঝরছে ভারতের অর্থনীতির। ৩৭০ ধারার ধাক্কায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে গোটা কাশ্মীর উপত্যকা। আজ সেই ঘটনার পাঁচ মাস পরেও ওই রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্যত নজরবন্দি। বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে কোনও যোগ নেই উপত্যকার বহু অংশের। আর গতকাল থেকে একই কায়দায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে অসমে। গুয়াহাটি, তেজপুর, ডিব্রুগড় জ্বলছে। মানুষ বিপন্ন। প্রাণও হারাচ্ছে। আর ভোটব্যাঙ্কে ফায়দার হিসেব কষছেন বিজেপি নেতারা। আসল সঙ্কটের দিকে তাকানোর সময়ই নেই অমিত শাহদের। দেশজুড়ে যুবসমাজ নানা সমস্যায় দীর্ণ। চাকরি নেই, ব্যবসা নেই, উৎপাদন নেই, শিক্ষার প্রসার নেই। আর এসব নিয়ে কোনও কথা নেই, আলোচনা নেই সংসদেও। মাঝে মাঝে মহামান্য অর্থমন্ত্রী কিছু ঘোষণা করছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অর্থনীতি জাগছে না। পুরো সরকারটা মজে আছে শুধু ধর্ম আর তার ভিত্তিতে অবিশ্বাস, ঘৃণা ও বিদ্বেষের মিথ্যে বাতাবরণ তৈরি করতে। মানুষের ধর্ম আর বিশ্বাসকে সম্বল করে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন বিজেপির মজ্জাগত। আর, পশ্চিমবঙ্গে দেশভাগের আগুন, সব হারানো মানুষের আর্তনাদ আজ সাত দশক পরেও ঘোর বাস্তব। শিশু কোলে শরণার্থী এরাজ্যের মানুষের স্মৃতিতে টাটকা। তাই এনআরসি এবং নাগরিকত্ব বিলের আড়ালে হিন্দুদের মনে সেই দেশভাগের স্মৃতিকে উস্কে হিন্দু ভোটকে নিজেদের পদ্মফুল প্রতীকের দিকে টানার জঘন্য খেলা শুরু হয়েছে। লক্ষ্য, বিধানসভা ভোট। এই আগুন
নিয়ে খেলা বন্ধ করতে না-পারলে এরাজ্যও অন্ধকারে ডুবে যাবে। বিভেদ আর চূড়ান্ত ধর্মীয় মেরুকরণ আখেরে মূল সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ারই চেষ্টা। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করার পর তাই বিজেপির পরবর্তী লক্ষ্য গোটা উত্তর-পূর্বের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও। আর, বিজেপির এই সাম্প্রদায়িক দাপাদাপি থামাতে পারেন একমাত্র মা-মাটি-মানুষের নেত্রীই।
বাংলায় সিপিএমের দিন গিয়েছে অনেকদিন হল। জাতীয় রাজনীতিতেও বামেদের আর তাৎপর্য নেই। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যপাট হারানোর পর বামেদের সেই যে ভোটব্যাঙ্কের ক্ষয় শুরু হয়েছে তা অতি সম্প্রতি রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জারি আছে আমরা দেখলাম। কংগ্রেসের অবস্থা আরও করুণ। কার্যত দু’দলই এরাজ্যে অস্তিত্বের তীব্র সঙ্কটে ভুগছে। জোট করেও একে অপরকে জাগাতে পারছে না। নেতৃত্বের সঙ্কটের কারণে জাতীয় স্তরেও কংগ্রেসের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে জোট করে এরাজ্যে সিপিএম-কংগ্রেস দু’তরফেরই ভরাডুবি হয়। ভুললে চলবে না, তখনও বিজেপি এত প্রবলভাবে রাজ্য-রাজনীতিতে মাথা তোলেনি। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফল সংসদীয় রাজনীতিটাকেই চূড়ান্ত একপেশে করে দিয়েছে। বামেদের কার্যত সংসদে দূরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সংখ্যার বিচারে কংগ্রেস আর তেমন কোনও চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এর বাইরে অধিকাংশ দলই চূড়ান্ত সংশয় ও দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। যার জেরে লোকসভা তো বটেই রাজ্যসভাতেও বিজেপিকে কোনও বিল পাশ করাতে আর বেগই পেতে হচ্ছে না। বিতর্কের মানও অত্যন্ত দুর্বল। আরও কত কী যে হতে পারে, আগামী পাঁচবছর তা একমাত্র মোদি-অমিত শাহই জানেন। গত মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক বিতর্কিত বিল আইনে পরিণত করে চলেছেন মোদি-শাহ জুটি। তাঁদের যেন বিরাম বিশ্রাম নেওয়ার অবকাশই নেই! লোকসভা তো বটেই রাজ্যসভাও এখন পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। তাই সংসদে বিল পাশ করানো এখন আর কোনও চিন্তার বিষয়ই নয়। তবে, সরকারেরও মনে রাখা দরকার যে ঘৃণা ছড়িয়ে কিন্তু শেষরক্ষা সম্ভব নয়। পাকিস্তান ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল বলেই তার অগ্রগতি ও সামগ্রিক বিকাশ ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের মতো হয়নি। ধর্ম, সম্প্রদায়কে অন্তরাত্মা করলে কোনও রাষ্ট্রই এগতে পারে না। এবার বিজেপি যদি ভারতকে একটি ‘হিন্দু-পাকিস্তান’-এ পরিণত করার কথা ভেবে থাকে তবে ভুলই করবে। এই উন্নত বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার যে পরিসর আমরা অনেক কষ্টে তৈরি করেছি, পরিণামে, সেটুকুও হারাব। আত্মহত্যা কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের ‘চয়েস’ হতে পারে না।
15th  December, 2019
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
আকাশপথে ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। এবার বেলারুশ সীমান্তবর্তী চেরনিহিভ শহরের একটি আটতলা ভবনকে নিশানা করে মিসাইল ছোড়ে পুতিনের দেশ। এই হামলায় ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ...

নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দিল্লি

17-04-2024 - 10:27:17 PM

আইপিএল: ১৯ রানে আউট সাই হোপ, দিল্লি ৬৭/৪ (৫.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 10:14:08 PM

আইপিএল: ১৫ রানে আউট অভিষেক পোরেল, দিল্লি ৬৫/৩ (৫ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 10:08:47 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এক পরিযায়ী শ্রমিক

17-04-2024 - 10:01:42 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট পৃথ্বী শ, দিল্লি ৩১/২ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 09:53:34 PM

আইপিএল: ২০ রানে আউট জ্যাক, দিল্লি ২৫/১ (২ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 09:50:47 PM