Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। সেখানকার আর একটা সুবিধে হল যে গোটা বিষয়টার সঙ্গে বেসরকারি মুনাফার সেভাবে কোনও সম্পর্ক নেই। খুচরো বেনিয়ম আছে অনেক, তবে তার সুফল-কুফল সবটাই ভোগ করেন নিম্নবিত্ত মানুষ। সেখানে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে যন্ত্র কিনে বছরখানেকের মধ্যে লাভ করার অঙ্ক কষতে হয় না। অনেকসময় যন্ত্র খারাপ হয়ে পড়ে থাকে, তবে কাজ করলে তা আম জনতার স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেই ব্যবহৃত হয়। তুলনায় স্বচ্ছলদের জন্যে থিকথিকে মানুষে ভরা সরকারি হাসপাতাল স্বাভাবিক গন্তব্য নয়। আশির দশকেও কলকাতায় খুব বেশি মধ্যবিত্ত মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পেতেন না। তখনও সরকারি হাসপাতালই ছিল মূল গন্তব্য। তবে তারপর থেকে ধীরে ধীরে কলকাতার চরিত্র বদলাতে থাকে। বাড়ির বদলে ফ্ল্যাটের মতই সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি নার্সিং হোমের দিকে দলবেঁধে হাঁটতে শুরু করে মধ্যবিত্ত চিকিৎসাপ্রার্থী বাঙালি। সেই পথেই আজকের দিনে বাইপাসের ধারে উল্টোডাঙা থেকে বারুইপুর পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালের অভাব নেই। তবে একমাত্র বাইপাসকে চিহ্নিত করে লাভ নেই। কলকাতার অন্যান্য রাস্তার ধারেও প্রচুর বেসরকারি হাসপাতাল আছে। শুধু রাস্তাই বা কেন, গলি কিংবা তস্য গলিতেও নার্সিং হোমের খোঁজ পাওয়া যাবে এই কলকাতায়। এই সমস্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনেকের চিকিৎসা হয়, প্রচুর মানুষের চাকরির সুযোগ হয়, আর তাই সব মিলিয়ে এর গুরুত্বও অস্বীকার করা যায় না। আবার একইসঙ্গে লাভ না করলে এই সমস্ত চিকিৎসাকেন্দ্র চলবে না। এখন প্রশ্ন হল লাভ কতটা করা হবে এবং কোন পথে করা হবে। কলকাতার বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের সবকিছুই যে খারাপ এমনটাও নয়। সেখানেও বেশ কয়েকজন অসাধারণ চিকিৎসক আছেন যাঁরা শুধু নিজের নামেই এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির ঊর্ধ্বে। অত্যন্ত সৎভাবে রোগীর সেবা করেন তাঁরা। অন্যদিকে সব চিকিৎসকই যে মহৎ হবেন, এমন উপপাদ্যও কোথাও লেখা নেই। ফলে সেই জায়গাতে বাঙালি মধ্যবিত্তর হয়রানি যথেষ্ট। অনেকটা বেশি টাকা খরচ হলেও বিভিন্ন ঝকঝকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল বেশ খারাপ। সেই প্রেক্ষিতে মুনাফাভিত্তিক চিকিৎসাকেন্দ্রের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণাও অমূলক নয়।
আজকের দিনে এমনটা বলাও ঠিক না যে রোগীর পরিবারের লোকজন একেবারে ধোয়া তুলসীপাতা। তাঁদের অনেকে চিকিৎসকদের অনেক বেশি উত্যক্ত করেন। এর একটি কারণ গুগুল করলেই চটজলদি আপাতভাবে অনেক কিছু জানা যায়। ফলে অল্প শিখে রোগীর আত্মীয় স্বজন আরও বেশি উদ্বিগ্ন হন, এবং সঙ্গে আসে অসহিষ্ণুতা। তাঁরা বারবার প্রশ্ন করেন রোগীর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে, অনেক সময় তর্ক চলে অপ্রয়োজনে। এতে চিকিৎসকদের বিরক্তি উৎপাদন হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চিকিৎসাব্যবস্থারও উপযুক্ত বদল প্রয়োজন। চিকিৎসক এবং রোগীর পরিবারদের মধ্যে বদলা নেওয়ার প্রতিযোগিতায় রোগীর যে আদৌ কোনও লাভ হয় না সে বোধ সকলেরই আছে। তবু সমাধান দূরে থাক, গত একদশকে ডেঙ্গুর প্রাবল্যে বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে। কোনও এক অজানা কারণে ডেঙ্গু সংক্রান্ত সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ পাচ্ছে না। তবে গত এক বছরে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টা আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে, কমেছে ডেঙ্গু লুকিয়ে রাখার প্রবণতাও। তা সত্ত্বেও একথা বলতেই হয় সরকারের দিক থেকে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি। রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ যেরকম সাংঘাতিক, তাতে জনগণকে বাঁচতে গেলে মশারি ঘাড়ে নিয়ে চলাফেরা করা ছাড়া আর বিশেষ কোনও পথ দেখা যাচ্ছে না। আর এ রোগে চিকিৎসার একটা বড় অংশ বাড়িতে সম্ভব, কিন্তু বাড়াবাড়ি হলে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে। যেকথা আগেই বলছিলাম, অর্থনীতির নিয়মে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিম্নবিত্তদের যেতে হবে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আর মধ্যবিত্তদের স্থান হবে বেসরকারি হাসপাতালে।
সরকারি হাসপাতালে পরিষেবার অপ্রতুলতা থাকলেও টাকা পয়সা নিয়ে গোলমাল কম। অন্যদিকে অস্বীকার করার উপায় নেই যে মধ্যবিত্তদের মূল সন্দেহ হল বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের ঠকাচ্ছে কিনা। এই ঘটনা যে কোনও অসুখের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অর্থাৎ এমনটা হতেই পারে যে অসুখ যেটুকু হয়েছে তার থেকে অনেকটা বেশি রোজগার করছে কিছু বেসরকারি চিকিৎসালয়। সাধারণভাবে এর সত্য মিথ্যা যাচাই করা কঠিন, তবে আমজনতার উপলব্ধি অমূলক নাও হতে পারে। ঠিক এরকমই একটা বিভ্রাট অণুচক্রিকার গণনায়। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা প্লেটলেট (অণুচক্রিকা) কমে যাওয়া। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় না গিয়েও যেটা বলা যায় তা হল একক মাইক্রোলিটার পরিমাণ রক্তের মধ্যে এর সংখ্যা থাকা উচিত অন্তত দেড় লক্ষের বেশি। কিন্তু ডেঙ্গুর আক্রমণে যদি এর পরিমাণ কয়েক হাজারে নেমে যায় তখন ভীষণ বিপদ। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখতে হয় রোগীকে। অণুচক্রিকার সংখ্যা গোনার দুটি উপায় আছে। এক হল যন্ত্রের মাধ্যমে আর অন্য উপায় হল প্রশিক্ষিত চিকিৎসক যখন নিজের চোখে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে তা দেখেন। যন্ত্রের যে গণনা তা মূলত আনুমানিক। তাই চিকিৎসকের নিজের চোখে বিচার করা সংখ্যাই অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য। শরীরে অণুচক্রিকার পরিমাণ বেশি থাকলে যন্ত্রই মাপুক, কিংবা চিকিৎসক, খুব কিছু যায় আসে না। কিন্তু সে সংখ্যা যখন কমে আসে মাত্র কয়েক হাজারে, তখন গোলমাল অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, যন্ত্রে যে মাপ আট হাজার, তাই হয়তো চোখে দেখলে আঠাশ হাজার। এবার অণুচক্রিকার সংখ্যা কম শুনে রোগীর পরিবারের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় অনেক বেশি, এবং সেই পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষে মুনাফার পরিমাণ বাড়িয়ে নেওয়াও সহজ। অন্যদিকে যন্ত্র কিছুটা বেশি বলায় হয়তো বাড়ির লোক নিশ্চিন্ত হলেন, এদিকে চোখে দেখে কিছুক্ষণ পরে জানা গেল যে তা অনেকটাই কম। সে আর এক বিপদ।
এর সমাধান কি নেই? একটা পথ হল রোগীর পরিবার চাইলেই রক্তের কিছুটা নমুনা তার পরিবারের সদস্যদের মত অনুযায়ী অন্য কোনও জায়গা থেকে পরীক্ষা করে আনা যেতেই পারে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়িক কারণ আর হয়তো বা কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত নিয়মের বাধ্যবাধকতায় বেসরকারি হাসপাতালগুলি এ ব্যাপারে একেবারেই সহযোগিতা করে না। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে সরকার নতুন করে কিছু নিয়মাবলী স্থির করতেই পারে। যার কাছে খরচ করার মত পয়সা আছে, সে যদি নিয়মিত একাধিক জায়গা থেকে অণুচক্রিকা গুনিয়ে আনে, তাতে বেসরকারি হাসপাতালের বাধা দেওয়ার কোন যুক্তিযুক্ত কারণ নেই। অন্যদিকে এই অনুমতি দিলে সেই প্রতিষ্ঠানের উপর মানুষের বিশ্বাস বাড়বে অনেকটা। দুটি ভিন্ন জায়গা থেকে কোনও নমুনা পরীক্ষা করলে যে সঠিক অনুমানের সম্ভাবনা বেশি তা রাশিবিজ্ঞানের গোড়ার পরিচ্ছেদেই লেখা থাকে। দ্বিতীয় কথা হল ডেঙ্গুর প্রকোপ যদি এভাবে বাড়তে থাকে সেক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসার জন্যে যন্ত্রগণকের বদলে বিশেষজ্ঞের চোখে দেখে অণুচক্রিকার সংখ্যা গোনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চিকিৎসকের সংখ্যা যদি সীমিত হয় এবং নমুনার সংখ্যা থাকে অনেক বেশি, তাহলে অপেক্ষার সময় অনেকটা বেড়ে যাবে। চিকিৎসায় বিলম্ব হবে সঙ্কটাপন্ন রোগীর। অর্থাৎ বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কিছু কর্মী যদি চিকিৎসকদের এই চোখে দেখার কাজে সাহায্য করতে পারেন, তাহলে অনেক বেশি অসুস্থ মানুষের শারীরিক অবস্থার সঠিক নির্ণয় দ্রুততর হওয়া সম্ভব। একথা মেনে নিতেই হবে যে ডেঙ্গুর রমরমা বেসরকারি চিকিৎসাব্যবস্থাকে বছরভর অনেক বেশি অক্সিজেন দিচ্ছে। তবুও সামান্য অণুচক্রিকার সংখ্যা গোনা নিয়েই প্রতিদিন রোগীর পরিবার এবং বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দিনভর দ্বন্দ্ব। এর মধ্যেই বেশিরভাগ রোগী সুস্থ হয়েই ঘরে ফিরছেন, কিন্তু দু-একটি ক্ষেত্রে তা ঘটছে না। সেকথা গত কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রশাসন অণুচক্রিকা বিভ্রাট আর একটু স্বচ্ছভাবে সামলাতে পারলে সব পক্ষেরই মঙ্গল।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত
 
06th  December, 2019
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...

নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সিবিআই, এনআইএ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওরা: মমতা

02:28:23 PM

মোদি জিতলে এটাই শেষ নির্বাচন: মমতা

02:28:00 PM

রাজ্য ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দিয়েছে: মমতা

02:25:57 PM

হরিরামপুরের জনসভায় বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

02:24:59 PM

১১ লক্ষ বাড়ির টাকা দেয়নি কেন্দ্র, ভোটের পর আমরা বাড়ির টাকা দেব: মমতা

02:24:23 PM

বিজেপি জুমলাবাজ, লুটেরাদের দল: মমতা

02:23:16 PM