Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ওভার কনফিডেন্স
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সব থেকে প্রিয় হবি হল পরিবর্তন। তাঁরা স্থিতাবস্থায় বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বদলের বন্দনাকারী। পরিবর্তন কি খারাপ জিনিস? মোটেই নয়। বরং পরিবর্তনই তো সভ্যতার স্থাণু হয়ে না থেকে এগিয়ে চলার প্রতীক। কিন্তু ভারতের সব থেকে শক্তিশালী দু’জন মানুষের মনোবাসনা প্রথম থেকেই হল দরকার পড়ুক অথবা না পড়ুক, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁদের নতুন সিদ্ধান্তের ছাপ রেখে যাওয়া। তাঁরা পরিবর্তন-বিলাসী। তাই ক্ষমতায় এসেই সর্বাগ্রে বদলে দিয়েছিলেন যোজনা কমিশনের নাম। নতুন নাম দেওয়া হয়েছিল নীতি আয়োগ। সেই নাম বদলের কোনও প্রভাব কিন্তু কাজে পড়েনি। যে কাজ যোজনা কমিশন করত, অবিকল একই কাজ আজও করে নীতি আয়োগ।
পার্থক্য হল, অনেক ক্ষমতা কমেই গিয়েছে তার। পুরনো আমলের নোট ভারতে থাকবে না। আমাদের চালু করা নতুন নোটই হবে ভারতের মুদ্রাব্যবস্থা। ভাবলেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। মনের এই ইচ্ছা থেকেই ২০১৬ সালে বদলে ফেলা ৫০০ ও এক হাজারের সমস্ত চালু নোট। বহু মানুষ টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে মারা গেলেন। বহু কোম্পানি চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল। লক্ষ লক্ষ মানুষ সম্পূর্ণ বেকার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেগুলিকে বলা যেতে পারে কো ল্যাটারাল ড্যামেজ। আসল লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। সেটি হল এখন গোটা ভারত তাঁদের আমলে চালু হওয়া নোটই ব্যবহার করছে। এর মধ্যে হয়তো একটা আত্মতৃপ্তি আছে। অবশ্য দুর্জনেরা বলেন, নোটের মূল্য বাড়েনি। পুরনো ৫০০ টাকার নোটের দাম আজও ৫০০ টাকাই। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের বিনিময় মূল্য হিসাবে নোটের দাম তলানিতে এসে ঠেকেছে। এটুকুই যা ফারাক হয়েছে।
এক্ষেত্রেও প্রশ্ন হল, লাভ কী হল? নোটবাতিল করে নিজেদের ছাপ রেখে যাওয়া না হয় হল, কিন্তু ২০১৬ সালের সেই ৮ নভেম্বরের রাত আটটার পর থেকে আজ ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে কী এমন বিরাট অর্থনৈতিক বিপ্লব হয়ে গেল? কিছুই না! কালো টাকা কমেছে? না। নোট জাল হওয়া কমেছে? না। অর্থনীতির উন্নয়ন হয়েছে? না। বরং অর্থনীতি রোজ একটু একটু করে ডুবছে। তা হলে ওই সিদ্ধান্তের কারণ কী ছিল? এবং কী দিল ভারতকে?
জম্মুকাশ্মীর একটিই রাজ্য ছিল। সেটা পছন্দ নয় তাঁদের। তাই ৩৭০ নং ধারা বিলোপ করাটাই যথেষ্ট মনে হয়নি। জম্মুকাশ্মীর নামক একটি প্রাচীন রাজ্যের স্ট্যাটাসও বদলে ফেলা হল। একটি রাজ্য ভেঙে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হল। এবং রাজ্যের সম্মান কেড়ে তাদের দেওয়া হল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তকমা। এই যে স্বাধীনতার পর থেকে ৩৭০ নং ধারা চলছিল, এতে বাকি ভারতের আমজনতার কী ক্ষতি হয়েছে? কিছুই না। আবার এই যে ৩৭০ নং ধারা অবলুপ্তি হল? তার পরও ভারতের বাকি পাবলিকের কী লাভ হয়েছে? কিছুই না। বরং কাশ্মীর একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে চলে গেল। কবে স্থিরতা আসবে সরকারই জানে না। আবার অন্য দিকে কাশ্মীরেরই বা কী লাভ হয়েছে ৩৭০ নং ধারা এতকাল ধরে থেকে? যদি ৩৭০ নং ধারা এতই ভালো, তা হলে কাশ্মীরে এত সন্ত্রাসবাদের দরকার পড়ল কেন?
সুতরাং জীবন যে খাতে চলার সেরকম আগেও চলেছে, এখনও চলবে। ৩৭০ নং ধারার থেকে যাওয়া অথবা অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া তামিলনাড়ু কিংবা পশ্চিমবঙ্গে কোনও প্রভাব ফেলে না। প্রভাব ফেলে পেঁয়াজের দাম কিংবা ছেলেমেয়ের চাকরি না পাওয়ায়। কিন্তু সেটা হুজুগে পাবলিক বোঝে না। তারা নিত্য নতুন চমকে ডুবে থাকতে খুব পছন্দ করে। সুযোগ করে দেয় শাসককে নতুন চমক নিয়ে আসার। চার মাস কেটে গেল। কাশ্মীরের ওই সিদ্ধান্ত আমাদের কী কাজে লাগছে? কবে স্বাভাবিক হবে কাশ্মীর?
তাই পরিবর্তনের পূজারি নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বদল-সফর অন্তহীন। তাঁরা থামছেন না। যে সরকারি কোম্পানিগুলি ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের অর্থনীতিকে শীর্ষস্তরে নিয়ে গিয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান দিয়েছে, এবার সেগুলি একে একে বিক্রি করে দিচ্ছে মোদি সরকার। সরকারের যুক্তি হল, কোম্পানি চালানো সরকারের কাজ নয়। ঠিক এই একই কথা আশির দশকে বলেছিলেন মার্গারেট থ্যাচার। তাঁর সেই নীতির জেরে আজ ব্রিটেনের বেহাল দশা। যে ব্রিটেন একদিন ম্যানুফাকচারিং শিল্পের ভরকেন্দ্র ছিল গোটা বিশ্বে, আজ সেই ব্রিটেনে শিল্প বলে আর কিছুই নেই। ধুঁকছে অর্থনীতি। ভারত সেদিকেই এগচ্ছে।
যোজনা কমিশনের নাম বদলে দেওয়া হল। নির্জোট সম্মেলনের গুরুত্ব বদলে দেওয়া হচ্ছে। বৈদেশিক বন্ধুদের বদলে দেওয়া হচ্ছে। দিল্লিতে রাস্তার নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে স্টেশনের নাম পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। এলাহাবাদ থেকে ফৈজাবাদ সব নাম বদলে গিয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ফি স্ট্রাকচার বদলে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যসভার মার্শালদের পোশাক বদলে দেওয়া হচ্ছে। মাত্র ৬ বছর ক্ষমতায় এসে ভারতের ৭২ বছরকে বদলে দেওয়ার একটি নেশায় যেন আসক্ত হয়ে পড়েছেন মোদি ও অমিত শাহ।
১৯৫১ সালে ডাচ চিত্রশিল্পী এম সি এসখারের আঁকা একটি পেন্টিং অত্যন্ত বিখ্যাত। সেটির নাম ‘হাউস অফ স্টেয়ারস’। সেই চিত্রে দেখানো হয়েছে, একটি সিঁড়ি, যার দুদিকেই খোলা, সেটি দিয়ে উপরের দিকে অন্তহীন হেঁটে চলেছে অসংখ্য মানুষ। প্রত্যেকে প্রচণ্ড উদ্বেগ নিয়ে সতর্ক ভাবে শুধুই উঠে চলছে, যাতে দুদিকের খোলা অংশ দিয়ে পতন না ঘটে। সকলের আশা কী ভাবে এই সিঁড়ি শেষ হয়ে সর্বশেষ ধাপে পৌঁছব। কিন্তু আসলে সেই সিঁড়ি কোথাও পৌঁছচ্ছে না। সেটি এমনই এক মেকানিজম যে মানুষকে সারাক্ষণ ব্যস্ত রাখছে সিঁড়ি ধরে উঠতে। গন্তব্য বলে কিছু নেই। ভারতের বর্তমান অবস্থা ঠিক ওই চিত্রটির মতোই করে দিয়েছেন অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদি। আধার কার্ডের সঙ্গে গ্যাস সংযোগ। নোটবাতিলের পর পুরনো টাকা ব্যাঙ্কে জমা করতে হবে। এটিএম থেকে নতুন টাকা তুলতে হবে। এনআরসি হবে। আমি কি তালিকায় থাকব? নাগরিকত্ব আইন আসছে। নাগরিকত্বের পরিচয় খুঁজে রেডি রাখতে হবে। আধার কিংবা প্যান অথবা ভোটার কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাল্টে গিয়ে একটিই মাল্টি টাস্কিং ডিজিটাল কার্ড। সেটা করতে গেলে কী কী ডকুমেণ্ট লাগবে? আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড যুক্ত করতে হবে। কবে লাস্ট ডেট? জিএসটি হার মাসে মাসে চেঞ্জ করা হচ্ছে। এই তালিকায় চোখ রাখলে বোঝা যাবে কীভাবে মানুষকে সারাক্ষণ ব্যস্ত, উদ্বিগ্ন, চিন্তিত করে রাখা হচ্ছে অবিরত। স্বাভাবিক নিয়ম হল কাজ করব, পড়াশোনা করব, সংসার করব, সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেব, জন্ম হবে, মৃত্যু হবে ইত্যাদি। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখা যাচ্ছে বিগত বছরগুলিতে এই স্বাভাবিক জীবনযাপনকে ছাপিয়ে অবিরাম সরকারের নানাবিধ সিদ্ধান্তের পিছনে আমাদের ছুটতে হচ্ছে। একটি কার্ড থেকে অন্য কার্ড। একটি নিয়ম থেকে অন্য নিয়ম। একটি প্রমাণপত্র থেকে আর একটি পরিচত্রপত্র। এই জার্নির কোনও গন্তব্য নেই। সব মিলিয়ে একটি নিরন্তর গতিশীল স্ক্রিপ্ট চলছে! আমরা সেই মেগা সিরিয়ালের নিছকই ক্রাউড সিনের কুশীলব।
দেখেশুনে সন্দেহ হয় অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদি কি একটি বিপজ্জনক প্রবণতায় আক্রান্ত? সেটি হল অতি আত্মবিশ্বাস! তাঁরা কি ভুলে যাচ্ছেন যে তাঁরা দুজনেই জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনে এসেছেন মাত্র ৬ বছর। তাই সর্বাগ্রে দরকার ছিল ধীরস্থির হয়ে ভারতকে আত্মস্থ করা। প্রতিটি রাজ্যের সংস্কৃতি, ইস্যু, মানুষের মনোভাব একটু একটু করে উপলব্ধি করে, সব রাজ্যের মানুষের মন জয় করে তার পর সুচারু প্ল্যানে নিজেদের পরিকল্পনাকে কৌশলে রূপদান করা। হঠাৎ করে ৭২ বছরের ইতিহাস পাল্টে ফেলার মরিয়া পদক্ষেপ মোটেই চাণক্যনীতি নয়। নিজের শক্তি, প্রতিপক্ষের শক্তি, নিজের দুর্বলতা, প্রতিপক্ষের দুর্বলতা সবটাই সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে এগনোই দীর্ঘকালীন সাফল্যের রাজনীতি। তাঁদের কাছে মানুষের সমর্থন আছে। গরিষ্ঠতা আছে। মোদির মতো এক চূড়ান্ত জনপ্রিয় মুখ আছে। তা হলে এত অধৈর্য কেন? ভাবতে হবে যে, কেন এই সেদিন লোকসভা ভোটে বিপুল জয় হল, অথচ মাত্র কয়েকমাস পর থেকেই একে একে রাজ্যগুলিতে গরিষ্ঠতা পাচ্ছি না? এখনও প্রতিটি নির্বাচনে তাঁরাই তো একক বৃহত্তম দল! সুতরাং পুনরায় একক গরিষ্ঠতায় ফিরে আসা মোটেই কঠিন নয়। শুধু প্রয়োজন অ্যাপ্রোচের পরিবর্তন। আর একটু ইতিবাচক মনোভাব নিতে হবে তাঁদের।
মাত্র ৬ বছর আগে গুজরাত থেকে এসেই অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদি যদি ভেবে বসেন, ১৯৮৪ সালে এমপি হয়ে দিল্লি আসা এবং সিপিএমের মতো এক শক্তিকে উৎখাত করে দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা ১৯৭৮ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে ধাক্কা দিয়ে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া শারদ পাওয়ারকে তাচ্ছিল্য করা যায়, নস্যাৎ করা যায় এবং অনায়াসে তাঁদের রাজনীতির রণকৌশলে পরাজিত করা সম্ভব, সেটা কি ওভার কনফিডেন্স নয়? মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের নাটকীয় পট পরিবর্তন এবং পশ্চিমবঙ্গের তিনটি উপ নির্বাচন কি সেই বার্তাই দিল না? পৃথিবী বিখ্যাত প্রাচীন চীনা গ্রন্থ ‘আর্ট অফ ওয়ার’ হাজার হাজার বছর ধরে আজও সমান প্রাসঙ্গিক যুদ্ধের ফর্মুলা হিসাবে। সেখানে বলা হয়েছে, তুমি যদি নিজেকে এবং প্রতিপক্ষকে কাউকেই না চেনো, তাহলে প্রতিটি যুদ্ধই হারবে। তুমি যদি নিজেকে চেনো অথচ প্রতিপক্ষকে চিনতে পারোনি, তা হলে যে কোনও যুদ্ধে জিতলেও একটি করে পরাজয়ের সম্ভাবনা থেকেই যাবে আগামীদিনে। আর তুমি যদি নিজেকে এবং প্রতিপক্ষকে সমানভাবে চিনে নাও, তা হলে পরাজয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। শুধু একটাই শর্ত, অধীর হলে হবে না। যুদ্ধজয়ের প্রধান শর্ত ধৈর্য আর প্রতিপক্ষকে গুরুত্ব দেওয়া! আর বর্জনীয়? অতি আত্মবিশ্বাস!  
29th  November, 2019
বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। বিশদ

28th  November, 2019
একনজরে
 দোহা, ৭ ডিসেম্বর (এএফপি): আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে তালিবানদের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু করল আমেরিকা। শনিবার, কাতারে দু’পক্ষের মধ্যে এক দফা আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মাস তিনেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাত্ করেই তালিবানদের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করে দিয়েছিলেন। ...

সংবাদদাতা, লালবাগ: লালগোলা ব্লকের বিলবোরা কোপরা গ্রাম পঞ্চায়েতের চিন্তামণি এবং বয়রা গ্রামে পদ্মা নদীর পাড় মেরামতির কাজ শুরুর আগে শনিবার সকালে নারকেল ফাটিয়ে পুজো দিলেন রাজ্যের শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন।  ...

 বিএনএ, চুঁচুড়া: পুরসভার ওয়ার্ডের কাজের জন্যে বরাদ্দ হয়েছিল ২৮ জন শ্রমিক। কিন্তু, বাস্তবে অনুসন্ধান করে পাওয়া গেল ৪ জন! খোদ পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এই পরিস্থিতি ...

  মেলবোর্ন, ৭ ডিসেম্বর: বিপজ্জনক আচরণ করছিল পিচ। আর সেই কারণে খেলা বন্ধ হয়ে গেল ঐতিহ্যশালী মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভিক্টোরিয়া এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভিক্টোরিয়া। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩৫- অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর জন্ম
১৯৭১- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় করাচি বন্দরে হানা দিল ভারতীয় নৌবাহিনী
১৯৭৪- গণভোটের মাধ্যমে গ্রিসে রাজতন্ত্রের অবসান
১৯৮০- নিউইয়র্কে এক মানসিক প্রতিবন্ধী ভক্তের হাতে খুন হলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ পপ গায়ক জন লেনন
১৯৯১- রাশিয়া, বেলারুশ এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রনেতারা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন এবং স্বাধীন রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে কমনওয়েলথ গঠন করলেন
২০০৯- বাগদাদে বোমা হামলায় নিহত ১২৭ এবং আহত ৪৪৮ জন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
07th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৩৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬, ৯৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩, ৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩, ৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, একাদশী ৫/৫৩ দিবা ৮/৩০। অশ্বিনী ৫৩/২৫ রাত্রি ৩/৩০। সূ উ ৬/৮/১৩, অ ৪/৪৮/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ২/৪০ গতে ২/৪০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/৪২ মধ্যে পুনঃ ২/৩৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে।
২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, একাদশী ৩/১৫/৫২ দিবা ৭/২৭/৫৯। অশ্বিনী ৫৩/১০/৩০ রাত্রি ৩/২৫/৫০, সূ উ ৬/৯/৩৮, অ ৪/৪৮/৪৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৮ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৩ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৫০ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৬/১০ মধ্যে, কালবেলা ১১/২৯/১৪ গতে ১২/৪৯/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৯/২০ গতে ২/৪৯/২৭ মধ্যে।
১০ রবিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের অবসান। মিথুন: স্বকীয়তা বজায় রেখে ...বিশদ

07:11:04 PM

দ্বিতীয় টি২০: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জিতল

10:32:44 PM

দ্বিতীয় টি২০: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৩/১ (১০ ওভার) 

09:47:37 PM

দ্বিতীয় টি২০: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭১ রানের টার্গেট দিল ভারত 

08:47:23 PM

কোচবিহারে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, জখম ২ 
কোচবিহারে ফের বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ। বোমার ঘায়ে জখম দুই তৃণমূল সমর্থক। ...বিশদ

08:23:24 PM

দ্বিতীয় টি২০: ভারত ১৩২/৪ (১৫ ওভার) 

08:19:18 PM