Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। তবে সদ্য অনুষ্ঠিত তিনটি উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে গত কয়েকদিন রাস্তাঘাটে যে আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ দেখেছি তাতে এটুকু বলাই যায়—পারদ চড়েছে যথেষ্ট। চড়া স্বাভাবিক। তার প্রথম এবং প্রধান কারণ— লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে এই প্রথম রাজ্যবাসীর রাজনৈতিক পছন্দ প্রকাশ্যে আসতে চলেছে। মাত্র তিনটি কেন্দ্রে হলেও বিগত লোকসভা ফলের পরিপ্রেক্ষিতে তার গুরুত্ব কেউই অস্বীকার করতে পারছেন না।
মহারাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে আজ বিজেপির ভূমিকা ও তার পরিণতি যাই হোক কেন্দ্রে এখনও তাদের একাধিপত্য অটুট। সর্বভারতীয় রাজনীতিতেও এই মুহূর্তে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো শক্তিশালী বিরোধীর দেখা মেলেনি। কংগ্রেস মাঝেমধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর আসা জাগালেও সে যেন অনেকটা দপ করে জ্বলে উঠে হারিয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত লোকসভা ভোটের সময় প্রাণপণ চেষ্টা করেও সর্বভারতীয় স্তরে পদ্ম-বিরোধীদের এককট্টা করতে পারেননি। প্রথামিকভাবে যাঁরা পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন, হাতে হাত ধরে ছবি তুলেছিলেন— কার্যকালে তাঁদের অনেকেই নিজ নিজ দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে গাছাড়া দিয়েছিলেন বা বেসুরো গেয়েছিলেন। ভোটফল প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী ঠিক হবে বলেও তৎকালের কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তাঁদের বিজেপি বিরোধী, বলা ভালো মোদি বিরোধী জোটশক্তি ধরে রাখতে পারেননি। ফলে মমতাকেও বাংলায় কার্যত একলা চলো রে বলে ভারত শাসকের বিরুদ্ধে শেষঅব্দি যুদ্ধে নেমে পড়তে হয়েছিল। এবং সেই লড়াইতে উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে এই রাজ্যে লোকসভার ৪২ আসনের ১৮টিতে পদ্ম ফুটিয়েছিল বিজেপি!
লোকসভা ভোটের আগে অবশ্য এই রাজ্যে বিজেপি দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসবে এটা মোটামুটি রাজনৈতিক মহলের সকলেই বুঝতে পারছিলেন, সাধারণ জনতার আন্দাজও ছিল তেমনই। কিন্তু, এতটা যে উঠবে এবং আরও বেশ কয়েকটা আসনে যে একচ্ছত্র তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলবে—মুখে যে যাই বলুন এটা বিজেপির অন্দর বাহিরে কেউই প্রত্যাশা করেননি, হলফ করেই তা বলা যায়। রাজ্যবাসী বা রাজ্য রাজনীতির তাবড় পণ্ডিতও না। সংখ্যাটা ঘোরাঘুরি করছিল ১০ থেকে ১২ (অতি বিশ্বাসীদের হিসেবে ১৪)—ব্যস, ওই পর্যন্ত! ভোটফলের দিন শেষ পর্যন্ত ১৮ এবং ভোট শতাংশে ২২ উন্নতি দেখার পর গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রী সমর্থকদের মুখ ও প্রতিক্রিয়া আবেগ ও উল্লাসের বিস্ফারিত দৃশ্যগুলিতে তাই ঝলকে উঠেছিল অসম্ভবকে সম্ভব করার অপার আনন্দ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাসফুল-সবুজ বাংলায় এত পদ্ম! অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল বঙ্গজনতারও। পথেঘাটে সে প্রমাণও মিলেছিল। কিন্তু, ওই যে বলে—ফলেন পরিচীয়তে—ফলের কাছে সবাইকেই নতজানু হতে হয়।
তারপর এই আজ ফের একটা ফল প্রকাশ হতে যাচ্ছে। হোক না উপনির্বাচনী ফল, মোট ২৯৪ আসনের রাজ্য বিধানসভার মাত্র তিনটির ফল— আমজনতার মতামত তো, আজকের পরিস্থিতির বিচারে তাকে কি উপেক্ষা করা যায়? লোকসভা ভোটের পর এই তো প্রথম জনতার মতামত জানার আবার একটা সুযোগ মিলছে। শাসক তৃণমূলই হোক, কি রাজ্যে প্রধান বিরোধী বিজেপি উভয়ের কাছেই আজ তাই খড়্গপুর, করিমপুর আর কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনের ফলাফল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মমতার রাজ্যব্যাপী সার্বিক উন্নয়ন, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ক্যারিশমা নাকি বিজেপির গেরুয়া ঝড় মোদি ম্যাজিকের চমক—কোনটা শেষ পর্যন্ত বিজয়নিশান তোলে তা দেখার এই তো সুযোগ। ১৮ আসন জয়ের গৌরবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে নাকি প্রশান্ত দাওয়াইতে পশ্চিমবঙ্গে ফিকে হচ্ছে গেরুয়ার ক্রমবর্ধমান আধিপত্য তার আভাস মিলবে— শাসক বিরোধী উভয় সমাজেই আজ সেও এক উৎকণ্ঠ জিজ্ঞাসা। ২০২১ সালে বিধানসভা মহারণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই জিজ্ঞাসার ইতিবাচকতা বিশেষ মাত্রা যোগ করবেই। কলকাতা সমেত রাজ্যের পুরসভা নির্বাচনও তো আর বেশি দূরে নয়। মোদ্দা কথা, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বব্যাপী প্রভাব প্রতিপত্তিতে এই মুহূর্তে গেরুয়া ছোপ কতটা ধরে আছে, ১৮ আসন প্রাপ্তির মহালগ্নের পর নরেন্দ্র মোদি সরকারের এনআরসি, নাগরিকত্ব বিল ৩৭০ ধারা লোপ শিল্পবিলগ্নীকরণ ইত্যাদি সংস্কারী পদক্ষেপের প্রভাবে এই রাজ্যে সেটা বাড়ছে, না কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে তার জরিপ করার একটা উপায় হয়ে আসছে আজকের ফল।
শুধু কি তাই? করিমপুর কালিয়াগঞ্জের মতো মুসলিম ও দলিতপ্রধান এলাকায় মমতার উন্নয়নমুখী সহমর্মী ভাবমূর্তি সাধারণজনের মাঝে আজও অটুট আছে না হায়দরাবাদি ‘মিম’-এর প্ররোচনা তাতে ভাঙনের ইন্ধন জোগাতে শুরু করেছে—তারও একটা প্রাথমিক ইঙ্গিত ওই দুই কেন্দ্রের ফলে মিলতে পারে। একথা অনেকেই জানেন, সাম্প্রতিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) হয়ে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রচার চালিয়ে চলেছেন। হায়দরাবাদের এই সংসদ সদস্য ওয়াইসি এখন বাংলার রাজনৈতিক মহলে তথা সাধারণ জনমধ্যে বিশেষ আলোচিত। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের ধারণা, ওয়াইসির দল আসন্ন বিধানসভায় মুসলিমপ্রধান আসনগুলিতে প্রার্থী দেবে এবং জিততে না পারলেও ভোট কেটে বিজেপির এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা সহজতর করবে। রাজ্যে ৭০-৭৫ খানা এমন আসন আছে যেখানে ভোটফলের নির্ণায়ক হয়ে ওঠেন মুসলিম ভোটাররা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াইসির বিরুদ্ধে উস্কানিমূলকতার অভিযোগ এনে তোপ দেগেছেন। তবে, ২০২১ সালে ওয়াইসি তৃণমূলের পক্ষে কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠবেন বা তাঁর জন্য প্রধান প্রতিপক্ষ পদ্মশিবির কতটা সুবিধে পাবে তার হিসেব এখনই করা মুশকিল।
তার কারণ, এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট এখনও বছর দূরে, তার মধ্যে গঙ্গার জল অনেক গড়াবে। এবং, তার চেয়েও বড় কথা এরাজ্যে বাম-কংগ্রেস এবার আগেভাগেই জোট করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। বলা বাহুল্য, মুসলিম ও দলিত ভোটের একটা অংশ এখনও বাম-কংগ্রেসের ঘরে যায়। কট্টররা হয়তো ওয়াইসির কথায় প্রভাবিত হবে কিন্তু সাধারণ শান্তিপ্রিয় মুসলমান ভোটার ভিন রাজ্যের এক নেতার কথা কতটা আস্থাভরে মানবেন—তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতার উন্নয়নমূলক কাজকর্মের যে সুবিধা এরাজ্যের সংখ্যালঘুরা পেয়েছেন, পেয়ে চলেছেন, এত তাড়াতাড়ি সেসব বেমালুম ভুলে ওয়াইসির বক্তৃতায় প্রভাবিত হয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেবেন—এমনটা কতদূর ঘটবে তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
তবু, সাবধানের মার নেই। কণ্টক যতই ক্ষুদ্র হোক তার বিদ্ধ করিবার ক্ষমতা থাকে— আর সে কাঁটা যদি বিষাক্ত হয় তাতে প্রাণসংশয়ও অস্বাভাবিক নয়। একথা মমতার মতো পোড়খাওয়া লড়াকু নেত্রী জানেন। সে জন্যই উন্নয়নে আরও আরও গতি আনতে তিনি ইতিমধ্যেই দিনরাত একাকার করে জেলাসফরে নেমে পড়েছেন। একের পর এক প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। উন্নয়নকাজে গাফিলতি দেখলে রেয়াত করছেন না কাউকে। পাশাপাশি এনআরসির বিপদ মিম-এর বিপদ থেকে নানান কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কুফল জনতাকে বোঝাচ্ছেন। তার কিছু ফল যে মিলতে শুরু করেছে—ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের প্রথম রিপোর্টে তার ইতিবাচক আভাস বেশ স্পষ্টভাবেই মিলেছে। রিপোর্ট নাকি বলছে, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার অধিকাংশ সিটে মমতার তৃণমূল জমি ফিরে পেয়েছে, চা বাগান এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হটিয়ে জমি শক্ত করতে তৃণমূলের পুরনো কর্মকর্তাদের হটিয়ে পিকের সুপারিশ মতো নতুন কমিটি হয়েছে। গত ২৯ জুলাই থেকে চালু ‘দিদিকে বলো’ উদ্যোগেরও নাকি ফল বেশ ভালো। সব মিলিয়ে ১৮ আসনের ধাক্কাক্ষত খানিকটা হলেও মেরামত করা গেছে—এমনটাই বক্তব্য পিকের। পিকের এই ভাবনার সঙ্গে আজকের ভোটফল কতটা সঙ্গতিপূর্ণ হয়— সেটাও দেখার।
আসলে, উপনির্বাচন পুরনির্বাচন পঞ্চায়েত নির্বাচন আর লোকসভা বিধানসভা চরিত্রগতভাবে এক নয়। আকারে প্রকারে বড়ত্বেই শুধু নয়, লোকভাবনার দিক থেকেও ভিন্ন। লোকসভার কথা বাদ দিচ্ছি। বিধানসভায় মানুষ সরকারের বিগত কর্মকালের হিসেব করেই ভোটটা দেয়। সঙ্গে থাকে রাজনৈতিক পছন্দ। এর মধ্যে একটা অ্যান্টি-ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টার থাকে ঠিকই, তবে নিতান্ত অন্ধবধির ছাড়া বাকি জনের কাছে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণের বাস্তবতা ব্যাপ্তি ও সাফল্যও ভোট-বিবেচনার সময় বিশেষ গুরুত্ব পায়। এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতার উন্নয়নকামী ভাবমূর্তি এখনও রীতিমতো উজ্জ্বল। সেই ঔজ্জ্বল্য ছাপিয়ে পদ্মদল কতটা এতে পারে, ওয়াইসির মিম কতটা বাগড়া হয়ে দাঁড়াতে পারে—বলবে সময়। কিন্তু, আজ খড়্গপুর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ যে সেসবের একটা
ইঙ্গিত অন্তত দিয়ে যাবে—তাতে সন্দেহ নেই। আর সে জন্যই তো বঙ্গ জুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের। নয় কি?
28th  November, 2019
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

শপিং মলের পর এবার গির্জা। ফের ছুরি নিয়ে হামলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সোমবার আচমকা ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন গির্জার বিশপ সহ আরও বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। জখম ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃণমূল সরকার সন্দেশখালি কাণ্ডে অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে: নরেন্দ্র মোদি

03:06:00 PM

কম দামে সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুতের বিল জিরো করে দেব: নরেন্দ্র মোদি

03:05:26 PM

তৃণমূলের নেতাদের বাড়িতে রেড করলেই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায়: নরেন্দ্র মোদি

03:05:00 PM

দুর্নীতিগ্রস্তদের বাড়িতে রেড করতে গেলে তৃণমূল হামলা চালায়: নরেন্দ্র মোদি

03:05:00 PM

আপনাদের স্বপ্নই, আমার সংকল্প: নরেন্দ্র মোদি

03:03:00 PM

বাংলা বলছে ৪ জুন, ৪০০ পার: নরেন্দ্র মোদি

03:02:09 PM