Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহারাষ্ট্রে টানটান সিরিয়ালের নায়ক কে
সন্দীপন বিশ্বাস

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অবসান হয়েছে। যুধিষ্টিরের অভিষেক পর্বও হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি, রাজধর্ম নিয়ে শিক্ষা নিতে তিনি গেলেন শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের কাছে। ভীষ্ম তাঁকে সেদিন যে উপদেশ দিয়েছিলেন তা আদর্শ রাজধর্ম এবং রাজনীতি বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু আজকের যুগের স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতি দেখলে মনে হয় এই রাজনীতি যেমন নীতির রাজা নয়, তেমনই রাজার নীতিও নয়। রামায়ণে মেঘনাদ বধের সময় লক্ষ্মণ যেমন সমস্ত রণনীতি বিসর্জন দিয়ে বলেছিলেন, ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে’। রামায়ণের সেই অপনীতিকেই শিরোধার্য করে আজকের রাজনীতিকরা যেন বলেন, ‘কর ক্ষমতা দখল, হোক সে যতই হীন কৌশল’।
এসব কথার পরিপ্রেক্ষিত যে অবশ্যই মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘটনা, তা নিশ্চয় বুদ্ধিমান পাঠককে বুঝিয়ে বলতে হবে না। মধ্যরাতে সেখানে চমক। একমাস ধরে চলা টানটান সিরিয়ালের ক্লাইম্যাক্স এবং কুর্সিদখল আমরা দেখলাম। এই ঘটনা মহারাষ্ট্র সহ দেশের মানুষকে আরও একবার বুঝিয়ে দিল রাজনীতিকদের কাছে ক্ষমতা দখলই আসল মধু। নীতির কথা বলে যখন দলনেতারা ভোটভিক্ষা করেন, সেটা তাঁদের মুখোশ আর মাঝরাতের কুনাট্যটাই আসল সত্যি। ভোর হওয়ার আগেই সাঙ্গ কর খেলা। দখল কর কুর্সি। রাতের অন্ধকারেই হোক ক্ষমতা দখলের গেরিলাযুদ্ধ। হাঃ হাঃ হাঃ। যাত্রাপালা হলে শহপগ্রহণের পর এমনই হতে পারত দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সংলাপ।
একমাসের টানটান সিরিয়াল বৈকি! অথচ একমাস আগে যখন হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের ফল প্রকাশিত হল, দেখা গেল বিজেপি এককভাবে কোথাও ক্ষমতাদখলের মতো জায়গায় নেই। অনেকেই মনে করেছিলেন, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনার সরকার হবে। কেননা সেখানে ঘোষিত জোট। সঙ্কটের কোনও প্রশ্নই নেই। বরং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে হরিয়ানা। কিন্তু সেখানে সঙ্কট তৈরি হল না। অমিত শাহের সুপার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে গেলেন জননায়ক জনতা পার্টির নেতা দুষ্যন্ত চৌতালা। দশটি আসনে জয়ী হয়ে তিনি বিজেপিকে সরকার গড়তে সাহায্য করলেন এবং নিজে উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন। উল্টোদিকে মহারাষ্ট্রে খুব সহজেই সরকার গড়া হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ফল ঘোষণার পর রাত পোহাতেই বেঁকে বসল শিবসেনা। তারা দাবি করল। আমরা আধাআধি ভাগ চাই। আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির কেউ। আর বাকি আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থাকবে শিবসেনার হাতে। নরমসরম রাজনীতিক উদ্ধব হঠাৎই ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য নাছোড় হয়ে উঠলেন। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারেকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন তিনি এতটা আগ্রাসী নন। হঠাৎ কী এমন হল যে তিনি এমন মরিয়া হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখলের জন্য। শিবসেনার অন্দরের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁদের ঝুলিতে আছে অনেক গোপন কথা। সেসব ছড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রের অলিতে গলিতে। ফলপ্রকাশের পরই হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠেন উদ্ধব থ্যাকারের স্ত্রী রশ্মি থ্যাকারে। তিনিও দীর্ঘদিন রাজনীতিকে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন। একটা সময় শিবসেনায় সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। বালাসাহেব-পরবর্তী সময়ে দলের নিয়ন্ত্রণ কার দিকে যাবে? ছেলে উদ্ধব, নাকি ভাইপো রাজ? রাজ অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন। দলের কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতাও বেশি। আর উদ্ধবের রাজনীতিতে তেমন মন নেই জাঙ্গল ফোটোগ্রাফি করে বেড়ান। বিভিন্ন দুর্গে ঘুরে ঘুরে ছবি তোলেন। সেটাই তাঁর ভালোলাগার জগৎ। কিন্তু রশ্মি সেদিন প্রভাব খাটিয়ে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এলেন উদ্ধবের দিকে। শিবসেনা ভাঙল। রাজ থ্যাকারে নতুন দল গড়লেন। রশ্মি একজন রাজনীতিক হিসেবে গড়ে তুলতে লাগলেন উদ্ধবকে। বালাসাহেবের অনুগতদের বেরতে দিলেন না রাজের দিকে। নিজে আড়ালেই থেকে গেলেন। কিন্তু শিবসেনার সকলেই জানেন আড়ালে থাকলেও তিনি দলের একজন বড় নীতিনির্ধারক। রাজনীতির অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গিয়েছে তাঁর অনায়াস পদক্ষেপ। দলের সবাই তাঁকে ডাকেন ‘বহিনি-সাহিব’ বলে। কিন্তু আসলে তিনি দ্বিতীয় ‘মা-সাহিব’। প্রথম মা ছিলেন বাল থ্যাকারের স্ত্রী মীনা থ্যাকারে। আর এখন তিনিই দ্বিতীয় মা। বহুক্ষেত্রেই দল তাঁর নীতি অনুসরণ করে চলে। ফলপ্রকাশের পর থেকেই দলের সমস্ত রাশ তাঁর হাতেই। তিনিই ঠিক করছেন কী হবে, কার সঙ্গে দল কথা বলতে হবে ইত্যাদি। তিনিই প্রথম আড়াই বছর করে ক্ষমতা দখলের কথা বলেন। বিজেপি তা অস্বীকার করলে রশ্মিই ঠিক করেন, পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় বসবেন তাঁর স্বামী উদ্ধব থ্যাকারে। এর জন্য যে সংখ্যার দরকার, তা নেওয়া হবে কংগ্রেস ও এনসিপির কাছ থেকে। দলের সকলকে বলে দেওয়া হল, প্রেসের কাছে কেউ মুখ খুলবেন না। যা বলার একা সঞ্জয় রাউতই বলবেন। সঞ্জয় দলের খুবই বিশ্বস্ত, অনুগত। ঘটনার দু’দিন আগে মাত্র তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্ল্যস্টি হয়েছিল। সেই অবস্থায় দলের নির্দেশে নেমে পড়লেন তিনি। কেন্দ্রে বিজেপি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন শিবসেনার অরবিন্দ সাওয়ান্ত। রশ্মির কাছে এটা ছিল ‘নাউ অর নেভার’। তিনি বুঝেছিলেন মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে শিবসেনার এক নম্বর হয়ে ওঠার এটাই মোক্ষম সময়।
শুরু হয়ে গেল সরকার গড়ার নানা নাটক। দু’পক্ষই তৎপর হল। কিছু খেলা চলল প্রকাশ্যে, আবার কিছু খেলা চলল গোপনে। সাধারণ মানুষ তার কিছুটা জানতে পারল আর কিছুটা জানতে পারল না। কিন্তু যেভাবে কুর্সি দখল নিয়ে গেম চলতে লাগল, তাতে ভোটাররা কার্যতই অসন্তুষ্ট। বিভিন্ন দলের মধ্যে আলোচনা যেটুকু চলতে লাগল, সবটাই দলীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে। মানুষ যে সমীকরণ দেখে ভোট দিয়েছিলেন। ভোটের পর সেই সমীকরণ বজায় রাখার ইচ্ছে বা মানসিকতা কারও দেখা গেল না। পক্ষের ভোট এবং বিরোধী ভোট জট পাকিয়ে ফায়দা তুলে ক্ষমতা দখলের সেই পুরনো খেলা চলতেই লাগল। যাঁরা পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরা অপমানিত হলেন। যাঁরা বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাও অপমানিত হলেন। অথচ কী আশ্চর্যের কথা, এসব মান-অপমান, অভিমানের হিসেব কষার সময় রাজনীতিকদের নেই।
আমরা দেখছি ঘটা করে শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি আলোচনার পর আলোচনা করেই চলেছে। যাঁরা মাছ ধরেন তাঁরা বলেন, বড়সড় মাছকে বেশি ছিপে খেলাতে যেও না। কখন যে ছিপ ছিঁড়ে পালিয়ে যাবে, কেউ জানতেও পারবে না। মহারাষ্ট্রেও সেটাই হল। শারদ পাওয়ারকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা অনেক আগেই শিবসেনাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপির দিকে হাতের তির ছুঁড়ে দেওয়ার পর শিবসেনার আর কিছুই করার ছিল না। সে নিজেই ক্রীড়নক হয়ে গিয়েছিল। অনেকেরই মনে আছে দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শারদ পাওয়ারের বৈঠকের কথা। মুখোমুখি শুধু দু’জন। পাওয়ারের দলের মাস্টার স্ট্রোক মারার কথাটা রটেছিল সেদিন থেকেই। কেননা সেদিন সেই মিটিং থেকে বেরিয়ে পাওয়ার বলেছিলেন, ‘আমাদের আলোচনা হয়েছে কৃষি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে।’ আশ্চর্য, এমন একটা মিটিং হল, অথচ সেখানে পাওয়ারের দলের কেউ নেই। মোদির সঙ্গেও কেউ ছিলেন না। এমনকী কৃষি নিয়ে আলোচনায় ডাকা হয়নি দেশের কৃষিমন্ত্রীকেও। অনেকেরই ভ্রু কুঁচকে গিয়েছিল। কেননা পাওয়ার রাজনীতিতে এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি কখন যে কী বল করবেন, কেউই জানেন না। তার আগে সংসদের অধিবেশনের শুরুতে মোদি উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন দুটি দলের। নবীনের বিজেডির এবং শারদের এনসিপি’র। এমনও হতে পারে যে তখন গোপনে বিজেপি শিবিরের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং অন্যদিকে মিটিংয়ের পর মিটিং চলছে শিবসেনার সঙ্গে। এসব কি তবে সময় নষ্টের খেলা ছিল?
এর মধ্যে উঠে আসছে অনেক অজানা তথ্য। রামদাস আটওয়ালে ইতিমধ্যেই শারদ পাওয়ারের দিকে একটা টোপ ছুঁড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘এনডিএতে আসুন। অনেক উপহার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।’ অনেকে কানাঘুষো করে বলছেন, আগামীদিনে পাওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে যদি কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়ে যান, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ভিতরে ভিতরে নাকি খেলা সেদিকেই এগচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এই খেলায় অজিত পাওয়ার নাকি বোড়ে। আসল খেলা পাওয়ারেরই হতে পারে। বহুযুদ্ধের, বহু ওলোটপালোটের ঘোড়া হলেন পাওয়ার। অজিত রাতারাতি ডিগবাজি খেলেন আর পাওয়ার তার কিছু জানতে পারলেন না, এটা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। মহারাষ্ট্রে কোন গাছের পাতা কখন পড়ল, তার খবরও চলে আসে পাওয়ারের কাছে। আর এমন অতর্কিত চালে পাশা উলটে দেওয়ার ইতিহাস পাওয়ারের আছেই। সেটা ১৯৭৮ সাল। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বসন্তদাদা পাতিল। উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নাসিকরাও তিরপুরে। আর এই সরকারের মন্ত্রিসভায় শ্রমমন্ত্রী ছিলেন শারদ পাওয়ার। কাকপক্ষী টেরও পেল না, একদিন হঠাৎ করে দান পালটে সরকার ফেলে পাওয়ার হয়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অনেকেই বলছেন, এখন সেই খেলাই পাওয়ার ভাইপোকে দিয়ে খেললেন নাতো!
এই পুরো সিরিয়ালের নায়ক কে তা অবশ্য জানা গেল না! তবে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে হেরে গেলেও আশা ছাড়ছেন না রশ্মি থ্যাকারে। তিনি অপেক্ষায় থাকছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, পাঁচ বছর অনেকটাই সময়। এর মধ্যে ফের পাশার দান উল্টে যেতে পারে। উদ্ধবকে মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে বসানোর পণ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত যাব’।
অনেকেই বলেন, অমিত শাহের বিরুদ্ধে খেলতে যেও না। কূটনীতি এবং পাওয়ার পলিটিক্সে তাঁকে হারানো খুব শক্ত। মহারাষ্ট্র জয় করে তিনি সেটা আবার সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন। তবে মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে এবার অনেক বেশি সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। কেননা খেলাটা এখন সেয়ানে সেয়ানে। বিজেপির একটা ভুল পদক্ষেপ ফের বাজি উল্টে দিতে পারে। অজিত পাওয়ারের জেলে ঢোকানোর হুঙ্কার বাস্তবে ঘটবে কি না, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। আর পাওয়ার সবকিছুর আড়ালে থেকে হয়তো বলবেন, খেলো খেলো আই অ্যাম ওয়াচিং। 
25th  November, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM