Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া কি রাজভবনের দায়বদ্ধতা?
হিমাংশু সিংহ

ভেবেছিলাম লিখব শুধু পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার ও রাজভবনের বিগত দু’মাসের অবাক করা ভূমিকা নিয়ে। কিন্তু শনিবার ভোর হতে না হতেই সুদূর মহারাষ্ট্রের রাজভবনের ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ স্পষ্ট করে প্রমাণ করল, আজকের রাজ্যপালরা কেন্দ্রের শাসক দলের হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নন। না হলে কার অঙ্গুলিহেলনে মহারাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে রাজভবনের সক্রিয় হস্তক্ষেপে এমন নিঃশব্দ রাজনৈতিক অভ্যুত্থান ঘটে গেল। কে নিশ্চিত করল শারদ পাওয়ারের দলের অধিকাংশ বিধায়কই ভাইপো অজিতের পাশে আছে? কার ফোনে ভোর ৫টা ৪৭ মিনিটে মহামান্য রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি শাসন নাটকীয়ভাবে প্রত্যাহার করে নিলেন এবং তার পরপরই ফাঁকা রাজভবনে শপথ নিলেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও এনসিপির নেতা অজিত পাওয়ার। কোন জাদুতে (পড়ুন চাপে!) তাদের গরিষ্ঠতা নিয়ে কাকভোরেই নিশ্চিত হয়ে গেলেন সংবিধানের ধারক ও বাহক মহামান্য রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। বিধায়কদের প্যারেড করানো হল কখন? গতকাল রাতেও এমন উলটপুরাণের কোনও ইঙ্গিত তো ছিল না। টের পায়নি কাকপক্ষীও। এই নজিরবিহীন ঘটনা সংবিধান ও রাজভবনের গরিমাকে যে কালো অন্ধকারে ঢেকে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পুরো ঘটনাক্রম থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, দেশে যে সামান্য কটি রাজ্যে এখনও বিরোধীদলের সরকার ক্ষমতায় রয়েছে তাদের যে কোনওভাবে নাস্তানাবুদ করার প্রয়াস জারি থাকবে। কেন্দ্রের এই মরিয়া খেলায় ব্রিটিশ শাসনের উত্তরাধিকার বহন করে আসা রাজভবনকে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। যেমনটি হচ্ছে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে।
প্রায় কোনও কারণ ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গেও এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরির চেষ্টা চলছে। গত প্রায় দু’মাস ধরে ধীরে ধীরে তার বীজ বোনার কাজ চলছে অত্যন্ত সন্তর্পণে। রাজভবনের আড়াল থেকে সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার দোহাই দিয়ে ক্রমাগত এরাজ্যের বিপুল গরিষ্ঠতায় নির্বাচিত সরকারকে বিব্রত করাই মহামান্য মহামহিমের একমাত্র
উদ্দেশ্য কি না তা বলা কঠিন। কিন্তু, রাজ্য পরিচালনার দুই স্তম্ভ রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে এত নিম্নরুচির চাপান-উতোর চলতে থাকলে তা সামগ্রিকভাবে কারুর ভাবমূর্তির পক্ষেই ভালো নয়। গত কয়েকদিনে রাজ্যপাল বনাম রাজ্যের সেই বিরোধ তথা
ইটের বদলে পাটকেল ছোঁড়া প্রায় রকের ঝগড়ায় পরিণত হয়েছে।
এমনিতে নতুন সরকারকে শপথ নেওয়ানো ছাড়া রাজভবনের আর তেমন কাজ নেই। কার্যত রাজভবন ও রাষ্ট্রপতি ভবন ব্রিটিশ শাসনেরই ফেলে যাওয়া উত্তরাধিকার ছাড়া আর কিছুই নয়। এর আদৌ
কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা নিয়েও বিতর্ক কিছু কম হয়নি। তবে রাষ্ট্রপতিকে এখনও ভোটে জিতে আসতে হয়, আর পছন্দের রাজ্যপালকে নিয়োগ করে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অর্থাৎ আজকের বিজেপি সরকারই রাজ্যপালের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কর্তা। সেই দিক দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যে একে অপরের বিরোধী দল ক্ষমতায় থাকলে কী হয়, মহামান্য রাজ্যপাল
তাই করে দেখাচ্ছেন।
শপথ নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই যাদবপুরে গণ্ডগোলের রাতে জনৈক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আটকে পড়ায় নজিরবিহীনভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মহামান্য রাজ্যপালের পদার্পণ দিয়েই এই সংঘাতের শুরু। তারপর ধীরে ধীরে উত্তাপ বাড়ছেই। যুযুধান দু’পক্ষের টানাপোড়েন কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এমনিতে এধরনের আইন-শৃঙ্খলা-জনিত সমস্যায় রাজ্যপালের সক্রিয় হস্তক্ষেপ ও লোকলস্কর নিয়ে নিজেই উপস্থিত হওয়া কতটা সংবিধানসম্মত তা নিঃসন্দেহে তর্কের বিষয়। ধর্মতলায় বোমা ফাটলে মহামান্য রাজ্যপাল অকুস্থলে হাজির হয়েছেন, এমন কথা যেমন আগে কেউ শুনেছেন বলে জানা নেই, তেমনি যাদবপুরেও হাঙ্গামা-গণ্ডগোল অতীতে বড় কম হয়নি। রাতের পর রাত উপাচার্যসহ বহু পদাধিকারী আটকে থেকেছেন। দীর্ঘ আলোচনা চলেছে, বাইরে থেকে পুলিস পর্যন্ত ডাকতে
হয়েছে। কিন্তু, মহামান্য কোনও ‘আচার্য’ রাজ্যপালই গণ্ডগোল চলাকালীন সেখানে উপস্থিত হয়েছেন
এমন কথা শোনা যায়নি।
কারণ, শৃঙ্খলারক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা একান্তভাবেই নির্বাচিত রাজ্য সরকারের কাজ। এ কাজে হস্তক্ষেপ করা মোটেই সমীচীন নয়। সংবিধানে সে-কথা বলাও নেই। আর, আচার্য হিসেবে
যখন তিনি উপস্থিত হলেনই তখন সেই রাতেই যাদবপুরের গেটে একদল বহিরাগতের লাঠিসোঁটা নিয়ে তাণ্ডবে কেন মুখ খুললেন না, সেই প্রশ্নও কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই উঠছে।
ওই একটি ঘটনাই নয়। তারপর থেকে রাজ্য ও রাজ্যপাল, দু’তরফের নাছোড় টানাপোড়েন কিন্তু বাড়ছেই। যেন ১৮০ ডিগ্রি তফাতে থেকে প্রশাসনের দুটি বিপরীত মেরু একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত তোপ দাগছে। যার জেরে প্রতিনিয়ত রাজভবন আর নবান্ন একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করা ছেড়ে সমালোচনা ও নিন্দায় সময় ব্যয় করছে। কিন্তু এটা হওয়া কি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় অভিপ্রেত? এমনকী নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী অথবা তাঁর মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য ঠিক করছেন না ভুল করছেন, কোথাও কোনও গাফিলতি আছে কি না সেই মূল্যায়নেরও দায়িত্ব কি সংবিধান রাজভবনকে দিয়েছে? সরকার সামগ্রিকভাবে সফল না ব্যর্থ, সে তো পাঁচবছর অন্তর রাজ্যের মানুষই ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তার রায়ে জানিয়ে দেবে।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তবে অন্যথা হওয়ার আসল কারণটা কী? আসল উদ্দেশ্য কী? আর কোনও রাজ্যে তো মহামান্য রাজ্যপালের এমন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। সংবিধান বিপন্ন হলে, পদে পদে তা লঙ্ঘিত হলে মহামান্য রাজ্যপাল কেন্দ্রকে গোপন রিপোর্ট পাঠাতেই পারেন। কিন্তু, নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারকে বিঁধে নিত্য সকাল বিকেল বিরূপ মন্তব্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কতটা শিষ্টাচারসম্মত? বিধানসভাতেও নির্বাচিত সরকারের লিখে দেওয়া রিপোর্ট পাঠ করা ছাড়া তাঁর অন্যথা করার সুযোগ বিশেষ নেই। নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিরও নেই, মহামান্য রাজ্যপালেরও নেই।
মহামান্য রাজ্যপাল নিজেই বলেছেন, তিনি কেন্দ্রের নিয়োগ করা এজেন্ট মাত্র। একদম ঠিক কথা। সেই বিচারে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যোগসূত্র রচনা করাই তাঁর মূল দায়িত্ব। সরকারকে বিদ্ধ করে প্রশাসনিক ভারসাম্য নষ্ট করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা তাঁর কাজ নয়। কখনও তা হতে পারে না। যদিও রাজ্যের গত দু’মাসের এই ঘটনাক্রমকে কোনওভাবেই আমি সাংবিধানিক সঙ্কট বলতে রাজি নই। কারণ, সংবিধানে কোথাও বলা নেই—বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতে আসা একটি সরকারের সঙ্গে রোজ, প্রতিমুহূর্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়াই মহামান্য ‘মহামহিম’-এর প্রধান সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা। বিশেষ করে বিধানসভায় সেই সরকারের গরিষ্ঠতা নিয়ে যখন কোনও প্রশ্ন বা সংশয় নেই। রাজ্যের সিংহভাগ জেলায় আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, অতি বড় নিন্দুকও যখন একথা বলতে পারবেন না। শাসক দলে আকস্মিক ভাঙন তথা রাজনৈতিক আনুগত্যের পুনর্বিন্যাসের জেরে বিধানসভার মধ্যে নতুন করে আস্থা প্রমাণ করতে বলার মতো কোনও পরিস্থিতিও যেখানে তৈরি হয়নি।
অতএব মহামান্যের এত তাড়াহুড়োটা কীসের? রাজ্য সরকার কি গরিষ্ঠতা হারিয়েছে, না কি রাজভবনের নির্দেশ মেনে আস্থাভোট নিতে ভারপ্রাপ্ত স্পিকার গড়িমসি করছেন? দিবাস্বপ্নেও তো এমন কোনও সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরির সুযোগই নেই। পরবর্তী মন্ত্রিসভার শপথ তো ২০২১ সালে রাজ্যের সপ্তদশ বিধানসভা নির্বাচনের পর।
এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে এসে প্রথম দিন থেকেই রাজভবনের প্রবীণ বিদগ্ধ মহামান্য কাণ্ডারীর হঠাৎ এরকম ‘প্রো-অ্যাক্টিভ’ ভূমিকার কথা কি ছত্রে ছত্রে সংবিধানে লেখা আছে? না-হলে নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই রাজ্যের সম্মাননীয় প্রথম নাগরিকের এত অভিযোগ, অসন্তোষ কীসের? বিশেষ করে যখন সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একা হাতে রাজ্যের উন্নয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রায় নিয়ম করে জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখভাল করছেন। এবং, যখন আগামী বিধানসভা নির্বাচন এখনও প্রায় দেড়বছর দূরে। সেই নির্বাচনে যতই কঠিন লড়াই হোক জনমত এখনও অনেকটাই জননেত্রীর পক্ষেই ঝুঁকে।
সাধারণত কোনও কিছু বলার থাকলে, কোনও নজিরবিহীন ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করার থাকলে রাজভবন থেকে প্রেস বিবৃতি জারি হয়ে থাকে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে তৎকালীন রাজ্যপাল মাননীয় গোপালকৃষ্ণ গান্ধী একাধিক বিবৃতি জারি করেছিলেন। বলেছিলেন, হাড় হিম করা সন্ত্রাসের কথা। প্রেস বিবৃতি ছাড়া কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া অথবা বেরিয়ে আসার পথে কোনও ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মহামান্য রাজ্যপাল দাঁড়িয়েই অত্যন্ত সংক্ষেপে মন্তব্য করেন। কিন্তু কোথাও কেউ শুনেছেন, রাজ্যে একটা বিপুল গরিষ্ঠতায় জিতে আসা সরকার ক্ষমতায় আসীন থাকা সত্ত্বেও রাজ্যপাল নিয়ম করে যেখানেই যাচ্ছেন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। এবং সবচেয়ে বড় কথা, সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ, কটাক্ষ উগরে দিচ্ছেন। মন্ত্রীদের বিঁধছেন। মুখ্যসচিব কেন দীর্ঘ ৫০ দিনেও তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। রাজ্যপাল ও মুখ্যসচিবের মধ্যে যদি কোনও দূরত্ব তৈরি হয়েও থাকে তা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের একটি অত্যন্ত গোপনীয় ব্যাপার। রাজভবনের সচিবালয়ের মাধ্যমেই তার নিষ্পত্তি করা বাঞ্ছনীয়। ভরাহাটের মধ্যিখানে বসে তা নিয়ে কথা বলা কি রাজ্যপাল পদের সম্মান ও গরিমার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
শুধু তাই নয়, শিলিগুড়ি বিমানবন্দর থেকে
সার্কিট হাউসে আসার পথে মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট দেখে তা নিয়েও সাংবাদিকদের কাছে শ্লেষ মেশানো মন্তব্য করতেও মহামান্য রাজ্যপাল ছাড়েননি।
অথচ, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে রাজ্যের
কিংবা রাষ্ট্রের সরকার যাঁর নামে চলে, যাঁর হাতে অঙ্গরাজ্য পরিচালনার ক্ষমতা ও দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে, তাঁর কাটআউট ও ছবি টাঙানো তো কোনও আইনলঙ্ঘনের মতো বাড়াবাড়ি হতে পারে না। বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অবিসংবাদিত জননেত্রী, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় যার গ্রহণযোগ্যতাকে ম্লান করার মতো কোনও নেতা বা নেত্রী আজও নেই। আর কে না জানে, হালফিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দিল্লি বিমানবন্দরের বাইরে নরেন্দ্র মোদি আর কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে মমতারই কাটআউটই শোভা পাবে। দিল্লিতে কি প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে মহামহিম রাষ্ট্রপতি মহামান্য রামনাথ কোবিন্দের কাটআউট শোভা পাচ্ছে? কিংবা রাজনৈতিক উত্থান পতনে সরগরম মহারাষ্ট্রে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির ক’টা ছবি কিংবা কাটআউট আছে?
তাহলে রাজভবনের এত গোঁসা কেন? মহামহিম রাজ্যপাল একটা কথা ঠিকই বলেছেন, তিনি সব অর্থেই ক্রিকেট মাঠের আম্পায়ার। শুধু নিঃশব্দে আঙুল তোলাই তাঁর একমাত্র কাজ। কিন্তু, তা না করে তিনি নিজেই যদি চার-ছয় মারতে নেমে যান তাহলে খেলাটা তো মাঠেই মারা যাবে! হচ্ছেও তাই। আম্পায়ার যদি বিরাট কোহলির ব্যাটিংয়ের ভুল ধরতে যান কিংবা নিজেই শামি-ইশানের মতো বলে ঝড় তুলতে চান তাহলে ক্রিকেট খেলাটা কিন্তু পণ্ড হতে বাধ্য। প্রবীণ, বিদগ্ধ, প্রাজ্ঞ আইনজীবী মহামান্য রাজ্যপাল যেন এই আপ্তবাক্যটি মনে রাখেন। না হলে কী মহারাষ্ট্র, আর কী পশ্চিমবঙ্গ, সর্বত্র এক অভূতপূর্ব সাংবিধানিক সঙ্কট শুরু হবে।
24th  November, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
ওভার কনফিডেন্স
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সব থেকে প্রিয় হবি হল পরিবর্তন। তাঁরা স্থিতাবস্থায় বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বদলের বন্দনাকারী। পরিবর্তন কি খারাপ জিনিস? মোটেই নয়। বরং পরিবর্তনই তো সভ্যতার স্থাণু হয়ে না থেকে এগিয়ে চলার প্রতীক।   বিশদ

29th  November, 2019
উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। বিশদ

28th  November, 2019
পাওয়ারের শক্তিপরীক্ষা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এখন সত্যিই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, বালাসাহেব থ্যাকারে বেঁচে থাকলে কী করতেন! আগের রাতে শুনে ঘুমাতে গেলেন, শিবসেনার জোট সরকার হচ্ছে এবং ছেলে উদ্ধব সেখানে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরদিন সাতসকালে ঘুম ভেঙে দেখলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন।
বিশদ

26th  November, 2019
মহারাষ্ট্রে টানটান সিরিয়ালের নায়ক কে
সন্দীপন বিশ্বাস

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অবসান হয়েছে। যুধিষ্টিরের অভিষেক পর্বও হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি, রাজধর্ম নিয়ে শিক্ষা নিতে তিনি গেলেন শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের কাছে। ভীষ্ম তাঁকে সেদিন যে উপদেশ দিয়েছিলেন তা আদর্শ রাজধর্ম এবং রাজনীতি বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু আজকের যুগের স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতি দেখলে মনে হয় এই রাজনীতি যেমন নীতির রাজা নয়, তেমনই রাজার নীতিও নয়। 
বিশদ

25th  November, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, কাঁথি: খেজুরি-১ বিডিওর উদ্যোগে বিবাহিতা এক নাবালিকাকে উদ্ধার করা হল। পাশাপাশি নাবালিকার পরিবারের লোকজন পুলিস¬-প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন, মেয়ে ১৮বছর হলেই তাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হবে। ততদিন পর্যন্ত বাপেরবাড়ির হেফাজতেই থেকে পড়াশোনা করবে সে।  ...

 নয়াদিল্লি, ৫ ডিসেম্বর (পিটিআই): আইনজীবীদের আদালত অবমাননার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর করজোড়ে ক্ষমা চাইলেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। মঙ্গলবার বিচারপতি মিশ্রর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে এক জমি অধিগ্রহণ মামলার শুনানি চলছিল। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা। স্থান সল্টলেক স্টেডিয়াম। যুবভারতীর বাঁ দিকে পাশাপাশি দু’টি প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। এটিকে’র প্র্যাকটিসের জন্য প্রথম মাঠটির ফ্লাড লাইট জ্বলে ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 ১৯০১ - মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম,
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩৫ - কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী

05th  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৯২ টাকা ৭৩.০৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.৬২ টাকা ৯৬.০৫ টাকা
ইউরো ৭৭.৪২ টাকা ৮১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, দশমী অহোরাত্র। উত্তরভাদ্রপদ ৪২/৬ রাত্রি ১০/৫৭। সূ উ ৬/৬/৫৩, অ ৪/৪৭/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ৯/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৭ গতে ৯/৪৭ মধ্যে।
১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, দশমী ৫৮/২৮/৪৯ শেষরাত্রি ৫/৩১/৫০। উত্তরভাদ্রপদ ৪১/৪৫/৪১ রাত্রি ১০/৫০/৩৪, সূ উ ৬/৮/১৮, অ ৪/৪৮/২৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ৩/৩৮ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৬/৯ মধ্যে, কালবেলা ১০/৮/২০ গতে ১১/২৮/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৮/২২ গতে ৯/৪৮/২১ মধ্যে।
৮ রবিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। বৃষ: সাংসারিক সমস্যার সমাধান সূত্র ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজের প্রথম টি-২০ জিতল ভারত

10:31:05 PM

 প্রথম টি২০: ভারত ১৭৭/২ (১৬ ওভার)

10:13:22 PM

প্রথম টি২০: ভারত ৮৯/১ (১০ ওভার) 

09:34:38 PM

প্রথম টি২০: ভারতকে ২০৮ রানের টার্গেট দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ 

08:34:59 PM