Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভারত-মার্কিন সহযোগিতাই ঠেকাতে পারবে
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের বিপদ 
কেনেথ আই জাস্টার

কেউ কি ভাবতে পেরেছিল, সামান্য একটি ছাতাপড়া ‘মেলন’ জাতীয় ফলের ভিতর লুকিয়ে রয়েছে অগণিত মানুষের জিয়নকাঠি? হ্যাঁ, পেনিসিলিন—এটাই হল সর্বপ্রথম অ্যান্টিবায়োটিক। আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৯২৮-এ। আমরা জানি, আবিষ্কার করেছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আলেকজান্দার ফ্লেমিং। তবু ১৯৪২-এর আগে অবধি ক্যানটালোপের ভিতরে সঞ্চিত রহস্যের সাহায্যে পেনিসিলিয়ামের বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাজার হাজার অসুস্থ সৈনিকের জীবনদায়ী পেনিসিলিয়াম উৎপাদনের সূত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের ঔষধ শিল্প দ্রুত বিকশিত হতে পেরেছিল।
আমরা জানি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আহত সৈনিকরা যত সংখ্যায় না মরেছিল, তার তুলনায় বেশি সৈনিকের বেঘোরে প্রাণ গিয়েছিল নানাবিধ ইনফেকশন সারাতে না-পারার কারণে। উল্লেখযোগ্য ঘটনা এই, পেনিসিলিয়াম মিরাকল বা চমৎকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকাল থেকে মানবসভ্যতার কাছে বিরাট এক আশীর্বাদ হয়ে উঠল, আমরা আগের বিপদটির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সক্ষম হলাম। নিউমোনিয়া এবং নানা ধরনের চর্মরোগের মতো সাধারণ অসুখে মৃত্যুর ব্যাপক হারটিও হঠাৎ করে কমিয়ে আনা সম্ভব হল। এই যে অগ্রণী এক যুগ এসে গেল, অনেকের মতে, সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াইতে আমরা নিশ্চিতরূপে জয় ছিনিয়ে আনতে পারলাম। পেনিসিলিনের কার্যকারিতা হ্রাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মোকাবিলা করা গিয়েছিল নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের মাধ্যমে। তার ফলে, ১৯৮৫ সালে এসেও ইনফেকশাস ডিজিজেস সোসাইটি অফ অ্যামেরিকা তার বার্ষিক অধিবেশনে—সংক্রামক ব্যাধির জন্য স্পেশালিস্ট বা বিশেষজ্ঞদের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না—এরকম একটি প্রশ্ন তোলার অবকাশ পেয়েছিল।
অথচ, তার পর ৩৫ বছর পেরনোর আগেই আমাদের সামনে নতুন এক কঠিন বাস্তব এসে হাজির হয়েছে যে, এই সমস্ত জীবনদায়ী ওষুধ আর বেশিদিন কার্যকরী নাও থাকতে পারে। এই যে নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এর নাম দিয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টান্স (এএমআর)। সারা পৃথিবীতে মানুষের স্বাস্থ্যের সামনে যে ভয়ঙ্কর দশটি বিপদ উপস্থিত হয়েছে, এএমআর তারই একটি। বছরে ২ লক্ষ ১৪ হাজার নবজাতকের মৃত্যুর কারণ এএমআর প্যাথোজেনস অথবা ‘সুপারবাগস’। ‘প্যাথোজেন’ শব্দের বাংলা করা যায় ‘রোগের জনক’ বা যে ‘এজেন্ট’ রোগসৃষ্টির জন্য দায়ী। অন্যদিকে, ‘সুপারবাগ’ হল সেইসব মারাত্মক জীবাণু—নির্দিষ্ট জীবাণুপ্রতিরোধী ওষুধ প্রয়োগের পরেও যারা নির্বিকার থাকতে পারে। অর্থাৎ প্রতিটি ‘এএমআর প্যাথোজেন’ই হল জীবনঘাতী ‘সুপারবাগ’। বিশ্বজুড়ে এএমআর বেড়ে চলেছে। বলা দরকার, এটা পৃথিবীর যে-কোনও জায়গার যে-কোনও বয়সি মানুষের ক্ষতি করতে পারে। সামান্য ব্যাকটিরিয়াসংক্রমণের কারণে একসময় হরবখত মানুষ মারা যেত। ভয় হচ্ছে যে, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্সের বিপদ সেই ফেলে আসা দুঃসময়কেই না ফিরিয়ে আনে!
সোজা করে বললে বলতে হয় যে, অ্যান্টিবায়োটিকের মতো অমূল্য সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আমরা একেবারে ‘কেয়ারলেস’। আমরা এতটাই অবিবেচক যে অ্যান্টিবায়োটিক নিজেদের উপর এবং পশুদের উপরেও মুড়িমুড়কির মতো প্রয়োগ করে থাকি। এই যে সমস্যা তার মূলে আমাদের মধ্যে চারিয়ে যাওয়া কিছু সাধারণ ভুল ধারণা, যেমন ঠান্ডালাগা বা জ্বরজ্বালাতেও অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে—অথচ, বাস্তবটা হল, এইসব অ্যান্টিবায়োটিক কোনোভাবে ভাইরাসের ক্ষতি করতে পারে না। এবংবিধ ভুল ধারণা থেকেই আমাদের ভিতর অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের বদঅভ্যাস গড়ে উঠেছে এবং কিছু ডাক্তারও প্রয়োজনের অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার বা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, হাসপাতালগুলিতে যত ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’ ব্যবহার হচ্ছে তার প্রায় অর্ধেকের কোনও প্রয়োজন নেই অথবা যেমনভাবে ব্যবহার করা দরকার ঠিক সেইভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
অ্যান্টিবায়োটিকের আনাড়ির মতো এবং লাগামছাড়া ব্যবহার চলছে অন্যপ্রাণীদেরও উপর। যখন অগণিত মানুষের জীবনরক্ষার তাগিদে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা অক্ষুণ্ণ রাখা কর্তব্য, তখন এই ধরনের অনেকগুলি ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে—খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত কিংবা খাদ্যপ্রদায়ী পশুপাখিদের দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধির লোভ নিয়ে। পশুপাখির রোগসংক্রমণের চিকিৎসায় যত না তারা এইসব ওষুধ ব্যবহার করছে, তার চেয়ে বেশি করছে উপরোক্ত বাণিজ্যিক কারণে। চার দশকের বেশি হয়ে গেল, নতুন শ্রেণীর কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ‘ডেভেলপ’ করা সম্ভব হয়নি, তার মধ্যে চলা এই কাণ্ডটিকে উপদ্রবকর বলেই মনে হচ্ছে।
‘এএমআর থ্রেট’-এর মোকাবিলায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতার নেপথ্যে রয়েছে একটি ‘কমন ইন্টারেস্ট’। বিশ্বজুড়ে যেসব দেশে মাথাপিছু অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অন্যতম একটি। অন্যদিকে, অ্যান্টিবায়োটিকের সবর্মোট ব্যবহারের প্রশ্নে ভারত অন্য সমস্ত দেশকেই পিছনে ফেলে দিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জিং সিচুয়েশনেও বলতে চাই যে, আশা হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থায় কিন্তু আমরা পৌঁছে যাইনি। একটা সম্ভাবনাময় সমাধানের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত দুই দেশই অভিনব শক্তিতে সমুজ্জ্বল হয়ে উঠতে অভ্যস্ত।
ওষুধ আবিষ্কারের প্রশ্নে এবং সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াইতে যুক্তরাষ্ট্র একটি অগ্রণী দেশ। ভারতের রয়েছে সমৃদ্ধ ফার্মাসিউটিকাল সেক্টর এবং প্রাণচঞ্চল পাবলিক হেলথ কমিউনিটি। সমস্যাগুলিকে বিভিন্ন দিক থেকে মোকাবিলা করার কাজটি আমরা ইতিমধ্যেই শুরু করেছি। এর মধ্যে রয়েছে হাসপাতালগুলির রোগসংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও চাঙ্গা করা, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল-রেজিস্টান্ট ইনফেকশনের উপর নজরদারির ব্যবস্থা গড়ে তোলা, এএমআর সল্যুশানের বিষয়ে যেসব বিজ্ঞানী ও গবেষক কাজ করছেন তাঁদের পাশে দাঁড়ানো এবং জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নতুন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ডেভেলপমেন্টের জন্য তহবিল জোগানো।
এএমআর বিষয়ে গবেষণা ও নীতিনির্ধাণের উদ্দেশ্যে কলকাতায় একটি নতুন হাব গড়ে তোলা হয়েছে। সেটির উদ্বোধন উপলক্ষে গত মাসে আমার সঙ্গে সচিব তথা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গবের সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেখানেই এই বিপদ মোকাবিলার অঙ্গীকারটি পুনরাবৃত্ত হয়েছিল। আমি আশ্বস্ত করেছি যে, আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবেই কাজ চালিয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, এএমআর-এর বিপদ মোকাবিলায় আমাদের ইন্ডিয়ান পার্টনারদের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, আইসিএমআর এবং বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট।
যখন আমাদের সরকার দুটি পদ্ধতি মেনে পরিকল্পিত উপায়ে এই সমস্যার সমাধানে একযোগে কাজ করে, তখন এএমআর-এর মতো কঠিন বিপদটি নিয়ে আমাদেরও ব্যক্তিগত স্তর থেকে সমষ্টিগতভাবে জরুরি ভিত্তিতে সোচ্চার হতে হবে, সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যপরিষেবার গ্রহীতা হিসেবে যে-কোনও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বা অন্যভাবে নেওয়ার আগে আমাদের কর্তব্য হল উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ। সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানো ঠেকাতে প্রত্যেককেই বিরত থাকতে হবে। এজন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের যথাযথ ধারণা। এই ধারণা থাকলে আমরা হাত পরিচ্ছন্ন রাখব, মুখ খুলে কাশি দেব না, অসুস্থ শরীর নিয়ে বাইরে বেরব না। রোগসংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতে হবে, চিকিৎসার স্বীকৃত গাইডলাইন বা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে, প্রেসক্রিপশনে অপ্রয়োজনেও অ্যান্টিবায়োটিক লেখায় ক্ষান্ত দিতে হবে। আর যেটা দরকার তা হল, সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চালু ভ্যাকসিন বা টিকাগুলি যাতে মানুষ ঠিকমতো নেয় তার জন্য প্রচার বাড়াতে হবে। কৃষকদের উচিত গবাদি পশুপাখিদের টিকাকরণের উপর গুরুত্ব দেওয়া। কেবলমাত্র সংক্রামক ব্যাধি নিরাময়ের প্রয়োজনেই গবাদি পশুপাখিদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া দরকার এবং অবশ্যই তা প্রয়োগ করতে হবে উপযুক্ত পশুচিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে। নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে আমাদের শিল্পও গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের দায়িত্বশীল অভিভাবক হয়ে ওঠাও প্রয়োজন। অব্যবহার্য অ্যা঩ন্টিবায়োটিকের ‘ডিসপোজাল’-এর বিষয়েও বিবেচনাপূর্ণ ভূমিকা থাকা দরকার।
এই বিরাট চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় আমাদের ব্যক্তিগতভাবে এবং সমষ্টিগতভাবে—দু’ভাবেই সক্রিয় হতে হবে। এএমআর মোকাবিলায় আমাদের সহযোগিতা দুই দিক থেকে প্রতিনিধিত্ব করবে। একদিকে, ইউএস-ইন্ডিয়া কোঅপারেশন একটি সিম্বল হয়ে উঠবে। অন্যদিকে, এমন একটি ‘লঞ্চ প্যাড’ হিসেবে ভাস্বর থাকবে, যেখানে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে এবং যেখান থেকে আমাদের দুটি দেশ তো বটেই সারা পৃথিবীও উপকৃত হবে।
 লেখক ভারতে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত 
20th  November, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত লখনউয়ের

07:01:00 PM

দীঘার সমুদ্র সৈকতে মিলল নীল ডলফিন!
টিভি বা সিনেমার পর্দায় নয়, নীল রঙের বিরল প্রজাতির ডলফিনের ...বিশদ

06:36:06 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে ৫৯.০২ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৫.০৮ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৩.২৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৪.৮৫ শতাংশ, মণিপুরে ৬৭.৬৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬৯.৯১ শতাংশ, মিজোরামে ৫২.৭৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫৫.৭৯ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৭২.৮৪ শতাংশ ও রাজস্থানে ৫০.২৭ শতাংশ, সিকিমে ৬৮.০৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে ৫৬.৮৭ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে ৬৩.৪৪ শতাংশ, অসমে ৭০.৭৭ শতাংশ, বিহারে ৪৬.৩২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৬৩.৪১ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৬২.০২ শতাংশ, ত্রিপুরাতে ৭৬.১০ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৭.৫৪ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৫৩.৫৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:26:06 PM