Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একটি কাল্পনিক স্মরণসভা
সন্দীপন বিশ্বাস

সাদা কাপড়ে মোড়া মঞ্চজুড়ে সারি সারি চেয়ার-টেবিল। টেবিলের উপরে ফুলদানিতে সাদা ফুল। মঞ্চের একপাশে বড় একটি ছবি। তাতে সাদা মালা দেওয়া। শোকস্তব্ধ পরিবেশ। আজ এখানে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সমাজের গণ্যমান্য সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই এসেছেন। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেননি। দর্শকদের মধ্যে তাই নিয়ে চলছে ফিসফিসানি। একজন দর্শক-শ্রোতা অপর একজনকে বললেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে পলিটিশিয়ানরা তাঁকে কী চোখে দেখতেন!’ অপরজন বললেন, ‘হ্যাঁ, উনি যে ব্যথা দিয়ে গিয়েছেন তা এখনও পলিটিশিয়ানরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।’ প্রথম জন বললেন, ‘আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে, ওনাদের আরও টাইট দিয়ে যেতেন।’ দ্বিতীয় জন বললেন, ‘মনে আছে, সেই সময় তাঁকে তাড়ানোর জন্য পলিটিশিয়ানদের সে কী দৌড়ঝাঁপ!’ দ্বিতীয় জন বললেন, ‘বিরোধী নেতানেত্রীরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কত নাক শোঁকাশুঁকি করেছিলেন।’ প্রথম জন বললেন, ‘ইতিহাস সব মনে রেখেছে।’
যথাসময়ে শুরু হল স্মরণসভা। প্রথম বক্তা ছিলেন তাঁর কিছুটা ঘনিষ্ঠ। তাঁর কথায় উঠে এল মানুষ সেশনের জীবনের নানা দিক। বললেন, ‘উনি ছিলেন একজন অকুতোভয় মানুষ। সেই জওহরলাল নেহরুর আমল থেকে তিনি সরকারি পদের দায়িত্ব সামলেছেন। সেদিন সেই তরুণ সাহসী, সৎ কর্মীটি নেহরুর নজরে পড়েছিলেন। কর্মজীবনের প্রথম পর্যায়ে তিনি ছিলেন তামিলনাড়ুর পরিবহণ কমিশনার। দায়িত্ব নিয়ে পড়লেন মহা ফাঁপড়ে। তিনি না জানেন গাড়ি চালাতে, না জানেন গাড়ি সারাতে। সেদিনই ঠিক করলেন, পরিবহণ কমিশনার হলে এগুলো জানা দরকার। দু’মাসের মধ্যে গাড়ি চালানো এবং গাড়ি সারানোর কাজ শিখে নিলেন। একেবারে গোড়া থেকেই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন আজীবন সৎ থাকবেন। পরবর্তীকালে জুনিয়র অফিসারদের বলতেন, ‘একজন সরকারি আধিকারিকের একটা গুণই থাকা দরকার। সেটা হল সত্ত্ব গুণ। তাহলে জীবনে কোনও গ্লানি থাকবে না।’ এই সৎপথে থেকেই তাঁর একের পর এক উত্থান।
অথচ তিনি নিজের অস্তিত্বের মধ্য থেকে তাঁর মাটির গন্ধটাকে কোনওদিন মুছে ফেলেননি। কেরলের পালাক্কাড়ের সেই নরম, ভক্তিভাবালু মানুষটি কিন্তু শেষ পর্যন্ত অন্তরে একইরকম ছিলেন। ১৯৫৫ সালের তামিলনাড়ু ব্যাচের এই আইএএস মানুষটির কঠোরতা আমরা দেখতে পাই তাঁর কেরিয়ারের গোড়া থেকেই। তামিলনাড়ুতে তখন চলছে হিন্দি ভাষা বিরোধী আন্দোলন। সেই আন্দোলন দমন করার জন্য তাঁকে দায়িত্ব দেন তৎকালীন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী এম ভক্তবৎসলম। কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার চাইছিল দক্ষিণী রাজ্যগুলিতেও জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দিতে। এতেই আগুন জ্বলে ওঠে রাজ্যজুড়ে। সেশন কঠোর হাতে সেই আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করেছিলেন। এতে তিনি তৎকালীন বিরোধী দল ডিএমকের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন। পরের নির্বাচনে ডিএমকে ক্ষমতায় এলে তিনি দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন।
তাঁকে ভালোবাসতেন জওহরলালের নাতি রাজীব গান্ধীও। তখন তিনি রাজীবের সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর। একবার এক অনুষ্ঠানে রাজীব গান্ধীকে খাবার দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে একটা সিঙ্গারা জাতীয় কিছু একটা তুলে রাজীব মুখে দিতে যাচ্ছিলেন। সেটা দেখে সেশন তাঁর হাত থেকে সেটি কেড়ে নিয়ে বলেন, ‘স্যার, এভাবে কোনও খাবার আপনার খাওয়া ঠিক নয়। কেননা এই খাবারটির গুণমান পরীক্ষিত নয়।’ সেদিন রাজীব মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’। রাজীব তাঁকে প্রমোশন দেন। পরিবেশ সচিবের পদ থেকে তাঁকে নিয়ে আসেন প্রতিরক্ষা সচিবের পদে। ভি পি সিং তাঁকে নিয়ে আসেন যোজনা কমিশনে। একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে তিনি আজীবন নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন।
দ্বিতীয় ব্যক্তি তাঁকে স্মরণ করতে উঠে বললেন, ‘একবার তিনি বসে একটি গান শুনছিলেন। গানটি তখনকার খুব বিখ্যাত গান। ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত’। তাঁর ঘনিষ্ঠ একজন তাঁকে বললেন, ‘আপনার মতো মানুষ এমন গান শুনছেন?’ উনি হেসে বলেছিলেন, ‘আমার শুনতে শুনতে মনে হল গানের কথাটা ভুল লেখা হয়েছে। ওটা হওয়া উচিত- তু চিজ বড়ি হ্যায় ভ্রষ্ট ভ্রষ্ট।’ রাজনীতিকদের এভাবে ব্যঙ্গ করে নিজেই হা হা করে হেসে উঠেছিলেন। অধিকাংশ ‘ভ্রষ্ট’ রাজনীতিকের বিরুদ্ধে তিনি জেহাদে নেমেছিলেন। জেহাদ না বলে ধর্মযুদ্ধ বলাটাই শ্রেয় হবে। একজন সৎ আমলা সবসময় মন্ত্রী বা নেতাদের বশংবদ হন না। তাঁদের কাজে বা পরিকল্পনায় ভুল থাকলে মেরুদণ্ডসম্পন্ন আমলারা প্রতিবাদও করেন। হয়তো অনেক সময় সেই প্রতিবাদ শাসকের ক্ষমতার কাছে হার মেনে যায়। তাঁর সঙ্গেও বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্ঘাত বেধেছিল। বহুক্ষেত্রেই এইসব সঙ্ঘাত আদর্শগত। তাঁর সঙ্গে বিরোধ বেধেছিল তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমজি রামচন্দ্রনের। তিনি বিরোধিতা করেছিলেন সর্দার সরোবর প্রকল্পের। পরিবেশ সচিব থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে বিরোধ হয়েছিল মন্ত্রী ভজনলালের। অনেক সময় অনেকের মনে হয়েছে তিনি অহংকারী, উদ্ধত, আত্মম্ভর। কিন্তু মনে রাখা দরকার ধর্মযোদ্ধারা এমনই নির্ভীক ও আত্মবিশ্বাসী হন।
আমরা তাঁকে জানি একজন বলিষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার হিসেবে। কিন্তু তিনি আজীবন সত্যের জন্য লড়াই করেছেন। তিনি যখন হার্ভার্ডে পড়তে যান সেখানে তাঁর শিক্ষক ছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর পরামর্শেই চন্দ্রশেখর তাঁকে নির্বাচন কমিশনারের পদে নিয়ে আসেন। তাঁকে ডেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি প্রথমে ঠিক করতে পারেননি কী করবেন। দায়িত্ব কি নেবেন! উত্তর খুঁজতে সোজা চলে গেলেন কাঞ্চীপুরমের শঙ্করাচার্যের কাছে। সব কথা বললেন। বললেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করলেই সারা দেশের রাজনীতিকরা আমার উপর চটে যাবেন। আমি সেটা চাই না। আমি সংবিধান মেনে কাজ করলেই সবাই রে রে করে উঠে আমার শত্রু বনে যাবেন। আমি সেটা চাই না।’ শঙ্করাচার্য তাঁকে গীতার শ্লোক বললেন। ধর্মপালন, ধর্মরক্ষা এবং সত্যের শক্তির কী মাহাত্ম্য বোঝালেন। মনস্থির করে ফেললেন সেশন।
দায়িত্ব নিয়েই তালিকা করতে বসলেন। কতরকম ভাবে নির্বাচনী দুর্নীতি হয়। তালিকা দীর্ঘ হতে থাকত। ঠিক করলেন এগুলিকে নির্মূল করে ভারতীয় নির্বাচন পদ্ধতিকে কালিমামুক্ত করবেন। নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করা, ছাপ্পা-রিগিং, গুন্ডাগার্দি বন্ধ করে নির্বাচনকে স্বচ্ছ করা এবং ভোটারদের একশো শতাংশ অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। এই পণ নিয়ে তিনি কাজ শুরু করে দেন। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি থেকে ভোটারদের পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ তিনিই শুরু করেছিলেন। আজ নির্বাচন ব্যবস্থা যতটুকু স্বচ্ছ হয়েছে, তার পিছনে একমাত্র ব্যক্তি হলেন সেশন। অনেকে তাঁকে বলতেন হোলি টেরর। বহু রাজনীতিকের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন। মেগালোম্যানিয়াক, বুলডগ, খ্যাপা কুকুর যে যা ইচ্ছে তাঁকে বলেছেন। বহু রাজনীতিক আতঙ্কে তাঁদের সৌজন্যটুকুকে মুছে ফেলেছিলেন। মানুষ বুঝেছিলেন, তিনি দুষ্টু মৌমাছিদের চাকে ঢিল মেরেছেন। তিনি নিজেও ব্যাপারটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতেন। সাংবাদিকদের তিনি মজা করে বলতেন। ‘আমি রাজনীতিকদের দিয়ে ব্রেকফাস্ট করি।’ তিনি বলতেন, ‘খেলার মাঠে যেমন রেফারি, তেমনই নির্বাচনী ময়দানে আমি। রেফারি যেমন কেউ ভুল করলে ফাউল বা অফসাইড দেন, আমিও তেমনই দুর্নীতি বা অন্যায় দেখলেই বাঁশি বাজাই।’
তৃতীয় ব্যক্তি তাঁকে স্মরণ করতে উঠে বললেন, ‘সেদিন সেশন সাহেব ভোটার কার্ড চালু করার কথা বলতেই অনেকে প্রমাদ গণেছিলেন। তাঁরা বুঝেছিলেন এতে রিগিং, অবাধ ছাপ্পা বন্ধ হয়ে যাবে। কাঁধে বন্দুক নিয়ে ভোটকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আর ভোট করা যাবে না। একচেটিয়া ভোট লুট বন্ধ হয়ে যাবে। জ্যোতি বসু, মুলায়ম সিং যাদব, লালুপ্রসাদ যাদব সহ অনেকেই পরিচয়পত্রের বিরোধিতা শুরু করলেন। তাঁরা বুঝেছিলেন ওই ভদ্রলোক তাঁদের পাকা ধানে মই দিতে এসেছেন। সেশনও কম যান না। রাজনীতিকরা বুনো ওল হলে তিনি বাঘা তেঁতুল। তিনি বললেন, ‘পরিচয়পত্র না হলে তিনি নির্বাচন হতে দেবেন না। সব স্থগিত করে দেবেন।’ অনেকেই দল বেঁধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন। কোর্ট জানিয়ে দিল মানুষের এই অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। তাঁর ক্ষমতায় থাকার শেষ ভাগে এসে শুরু হয়ে গেল ভোটারদের পরিচয়পত্র প্রদানের কাজ। সেই আনন্দ নিয়েই তিনি অবসর নিয়েছিলেন। সব কাজ তিনি করে যেতে পারেননি। কিন্তু অন্ধকারের শেষে এনে দিয়েছিলেন আলোর ইঙ্গিত। তাঁর আমলেই সারা দেশ দেখেছিল মডেল কোড অব কন্ডাক্ট কাকে বলে। সেই কন্ডাক্ট সেই সময় বহু রাজনীতিকের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল। তাঁদের স্বার্থে আঘাত লেগেছিল। তাই তাঁরা সেশনকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন। তাঁরা বললেন, ‘নির্বাচন কমিশনে সেশন স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছেন। এটা সেশনোম্যানিয়া। ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ এমন ‘স্বেচ্ছাচারী’ মনোভাব না দেখাতে পারেন, বা ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তার জন্য একাধিক নির্বাচন কমিশনারের প্রয়োজন।’ তারপর থেকেই নির্বাচন কমিশন হয়ে গেল তিনজনের। অথচ রাজনৈতিক নেতারা কিন্তু বলেন না, একজন মুখ্যমন্ত্রী বা একজন প্রধানমন্ত্রী যাতে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তার জন্য একাধিক মুখ্যমন্ত্রী বা একাধিক প্রধানমন্ত্রী দরকার।
গত কয়েক বছর ধরে তিনি লিখেছেন তাঁর আত্মজীবনী। বোঝাই যায়, সেই আত্মজীবনী একটা টাইম বোমার মতো। সে কথা জানতে পেরে তাঁর কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী তাঁকে বলেছিলেন, ‘এটা ছাপা হোক, সকলে অনেক সত্যি কথা জানতে পারবেন।’ তিনি হেসে বলেছিলেন, ‘এই আত্মজীবনী আমি নিজের আনন্দের জন্য লিখেছি। এটা প্রকাশিত হলে অনেকেই অখুশি হবেন।’ সেই আত্মজীবনী প্রকাশিত হলে কার কার মুখোশ যে খসে পড়বে আমরা তা জানি না! 
18th  November, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দেওয়ানকোর্টে জয়দুয়ার গ্রামে ২৫১ নম্বর বুথে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে হামলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি

11:58:53 AM

তৃণমূলের কর্মীদের ভোট দিতে যেতে বাধা শীতলকুচির ছোট শালবাড়ির পঞ্চারহাট এলাকায়, প্রতিবাদে পথ অবরোধ

11:58:00 AM

জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে সিপিএম কর্মীর মৃত্যু
বুথের বাইরে অস্থায়ী ক্যাম্পে আচমকাই মৃত্যু হল সিপিএম কর্মীর। আজ, ...বিশদ

11:56:43 AM

ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চলছে ভোট
জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোট। ...বিশদ

11:54:00 AM

পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে স্লো ওভার রেটের জন্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করল বিসিসিআই

11:47:36 AM

ইজরায়েলি সেনার হামলার জের, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সক্রিয় করল ইরান

11:46:55 AM