Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মূল্যবোধের রাজনীতি ও
মহারাষ্ট্রের কুর্সির লড়াই
হিমাংশু সিংহ

দেশের ভোট পাটিগণিতে উত্তরপ্রদেশের পরই স্থান মহারাষ্ট্রের। রাজ্য ভেঙে উত্তরাখণ্ড গঠনের পরও উত্তরপ্রদেশে এখনও লোকসভার ৮০টি আসন আছে। আর লোকসভার আসন সংখ্যার এই বিচারে দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র, সেখানে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪৮টি। দিল্লির ক্ষমতা দখলের যুদ্ধে তাই ওই দুই রাজ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের পর উত্তরপ্রদেশ এখন প্রহর গুনছে দ্রুত রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের। ঠিক তখনই আবার মহারাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিতর্কিত ৩৫৬ ধারার প্রয়োগ এবং রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নে আন্দোলিত হয়েছে জাতীয় রাজনীতি। যার অভিঘাতে কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে গিয়েছে অযোধ্যার রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় এবং এদেশে নির্বাচনকে পেশিশক্তির প্রভাব থেকে বের করে আনার প্রথম নায়ক অকুতোভয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের মৃত্যু। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রামমন্দির গড়ার পথ যেমন উজ্জ্বল হয়েছে, ঠিক তেমনি ভুললে চলবে না সেশন সাহেবই প্রথম ব্যক্তি যিনি ভারতীয় নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আপসহীন প্রয়াস চালিয়েছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি সচিত্র ভোটার তালিকা ও এপিক ভোটার কার্ড। ভারতীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে যার ভূমিকা অপরিসীম। সেই সঙ্গে কোনও সাংবিধানিক পদের ক্ষমতা ও গুরুত্ব কতটা তাও তিনি তাঁর কার্যকালে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিলেন। এবং, তা করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আঘাত করেছিলেন প্রভাবশালীদের সাজানো বাগান তথা ক্ষমতার মধুভাণ্ডে। আজ থেকে তিন দশক আগে কাজটা খুব সহজ ছিল না। এভাবেই প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শুধু বিরাগভাজনই তিনি হননি, কেউ আবার তাঁকে পাগল, বদ্ধ উন্মাদ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। কিন্তু, কোনও কিছুর কাছেই নতিস্বীকার না করে লক্ষ্যে অবিচল থেকে ভোট পরিচালনার কাজকে নিষ্কলুষ করার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। যাতে ভারতীয় গণতন্ত্র ও ভোটপ্রক্রিয়া অনেক পরিণত হয়েছে। সেজন্যই টি এন সেশনকে সোজা মেরুদণ্ডের আপসহীন আমলা হিসেবে দেশবাসী মনে রাখবে।
বর্তমান নির্বাচনী রাজনীতি যে কতটা পঙ্কিল ও নোংরা, তারই জ্বলন্ত প্রমাণ আজকের মহারাষ্ট্র। সঙ্কীর্ণ স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের নেশায় ছোটবড় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই আজ মরিয়া। মহারাষ্ট্রের ফল বেরনোর পর গত তিন সপ্তাহের রাজনীতির নাটকীয় ওঠাপড়া সেই অন্ধকার দিকটাকেই বড় প্রকট করে তুলেছে। ভোটের ফল ও কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন, তা নিয়ে দুই পুরনো জোট শরিকের দ্বন্দ্ব যে দেশের বাণিজ্য পীঠস্থান মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রকে এমন নজিরবিহীন সঙ্কটে ফেলবে, তা কে জানত? যে জোট পাঁচ বছর ধরে রাজ্য শাসন করল এবং এবারও গরিষ্ঠতা পেল, সেই জোটই ভেঙে খান খান! মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোটের পথচলা শুরু গত ১৯৮৯ সালে। বাজপেয়ি-আদবানিদের আমলে। সেই দীর্ঘ তিরিশ বছরের সম্পর্ক চুরমার হওয়ার একমাত্র কারণ উন্নয়ন নিয়ে দ্বিমত কিংবা রাজ্যের স্বার্থরক্ষা নিয়ে বিরোধ নয়, ছোট শরিক শিবসেনা এবার মুখ্যমন্ত্রীর পদের হিস্যা চায়। অঙ্কটা কী রকম? মুখ্যমন্ত্রী হবেন আড়াই বছর ফড়নবিশ, আর আড়াই বছর উদ্ধব অথবা পুত্র আদিত্য। বালাসাহেবের নাতি তথা পরিবারের প্রথম কোনও নির্বাচিত সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়া আর কোনও কিছু নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে নারাজ। আর সেইজন্যই বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে এবার শারদ পাওয়ারের এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন উদ্ধব ও আদিত্য থ্যাকারে। শনিবারই এই নয়া জোটের নেতাদের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কথা থাকলেও, শেষপর্যন্ত তা হয়নি। কংগ্রেস আবার বিষয়টিকে ঝুলিয়ে দিয়েছে। রবিবার দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে শারদ পাওয়ারের বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকের দিকেই সবাই তাকিয়ে। শোনা যাচ্ছে, তিন দলের আলোচনায় সরকার গঠনের যে ফর্মুলা তৈরি হয়েছে তাতে শিবসেনাই নাকি পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাবে। অন্যদিকে, এনসিপি ও কংগ্রেস পাবে উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। এখন সবকিছুই নির্ভর করছে রাজ্যপাল, কংগ্রেস এবং অবশ্যই শেষ প্রহরে মোদি-অমিত শাহ জুটির ওস্তাদের মার কোনও অঘটন ঘটায় কি না তার উপর।
আর এই ভোট-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়েই শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। যদিও যুদ্ধে এবং রাজনীতিতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু অথবা শত্রু বলে কিছুই হয় না। তবু, আসন ভাগাভাগি করে যে জোট নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেল, তাকে পিছনে ফেলে, দীর্ঘ ৩০ বছর যারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়েছে, একে অপরকে উচ্চকিত আক্রমণ করেছে, তারাই এখন গা ঘষাঘষি করছে, গদি দখলের নেশায়। আর এটাই রাজনৈতিক মূল্যবোধকে আঘাত করার পক্ষে যথেষ্ট নয় কি? সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনেও শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি ছিল একে অপরের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী। এককথায় রাজনৈতিক শত্রু। সেই ১৯৮৯ সাল থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে বাল থ্যাকারে ও তাঁর শিবসেনার কার্যত সাপে-নেউলে সম্পর্ক। রাজনীতির ময়দানে তাদের আক্রমণ ও পারস্পরিক শত্রুতা অনেক সময়ই শালীনতার ধার পর্যন্ত ধারেনি। একদা সোনিয়া গান্ধীকে প্রায় প্রতিদিনই বিদেশিনী বলে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন প্রয়াত বালাসাহেব ও তাঁর অনুগামীরা। যদিও আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতিভা পাতিল ও প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন দিতে কিন্তু পিছপা হননি বাল থ্যাকারে। তাই চিরদিনই রাজনীতির সম্পর্ক সরলরেখা মেনে চলে না। উত্থান-পতন, চড়াই-উতরাই তাই এই রাস্তার সহজাত উপকরণ।
দেশের ইতিহাসে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা যেখানেই প্রয়োগ হয়েছে তা কখনও সর্বসম্মত হয়নি। ইন্দিরা গান্ধীর জমানায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি ছিল জলভাতের মতো। ইদানীং তা কমেছে সন্দেহ নেই। তবু, রাজ্যপালের চটজলদি সুপারিশ এবং ব্রাজিল সফরে যাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্তে সিলমোহর, প্রমাণ করে যে স্ক্রিপ্টটা বোধহয় আগেই দিল্লিতে লেখা হয়ে গিয়েছিল। মোদি ও অমিত শাহের নেপথ্য কৌশলে শুধু যোগ্য সঙ্গতটুকু দিয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। উঠেছেও তাই। কেন রাজ্যপাল রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সময় দিয়েও দুপুর না হতেই দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ পাঠালেন, তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। গত ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ফল প্রকাশিত হয় ২৪ অক্টোবর। এরপর ইতিমধ্যেই প্রায় তিন সপ্তাহেরও বেশি কেটে গিয়েছে। মুম্বই তথা মহারাষ্ট্র হচ্ছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী। সারা দেশের ব্যবসায়িক উত্থান-পতন তথা আর্থিক লেনদেনের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে মুম্বই। সেই শহরে শুধুমাত্র কোন দলের নেতা মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে এমন নাছোড় বিরোধ এবং অচলাবস্থা মোটেই অভিপ্রেত নয়, বিশেষত, যখন দেশের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন। ভারতজুড়ে উৎপাদন মার খাচ্ছে, পণ্যের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা বাড়ছে না, যার নিটফল—কাজ হারাচ্ছেন অগণিত কর্মক্ষম মানুষ।
একথা বলাই বাহুল্য, মহারাষ্ট্রে মানুষ কিন্তু সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা জোটের পক্ষেই জনাদেশ দিয়েছিল। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি ১৫০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছে ১০৫টি আসনে। আর শিবসেনা ১২৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫৬টি আসনে জয়লাভ করেছে। অর্থাৎ বিজেপি-শিবসেনা জোট কিন্তু মোট ১৬১ আসনে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতাই পেয়েছিল। সরকার গড়তে তাদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বরং চিন্তা ছিল হরিয়ানা নিয়ে। কিন্তু ওই যে বললাম যুদ্ধ, আর রাজনীতিতে পাটিগণিতের সরল নিয়ম কখনও কখনও মেলে না। মহারাষ্ট্রেও তাই হল। ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করতে মরিয়া উদ্ধব থ্যাকারে ভোটের ফল বের হতেই স্বমূর্তি ধারণ করলেন। বললেন, যেহেতু অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে ভোটের আগেই ঠিক হয়েছিল মন্ত্রিসভায় দু’পক্ষের প্রতিনিধিত্ব হবে ৫০-৫০, তাই মুখ্যমন্ত্রীর পদকেও আড়াই বছর করে ভাগ করতে হবে। এই জটিলতা তিন সপ্তাহেও কাটেনি। উল্টে ২৪ অক্টোবর ফল বেরনোর পর থেকে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, শিবসেনা এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি ক্ষমতা দখলের সঙ্কীর্ণ রাজনীতির সেই মেঠোপথ ধরেই ক্রমাগত কানাগলিতে ঘুরপাক খেয়ে অবশেষে একটা নয়া ফলপ্রসূ জোট গড়ার পথে এগতে পেরেছে। তবে তারা সরকার গড়ার ডাক পাবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ভারতীয় সংবিধানে পরিষ্কার করে লেখা নেই সরকার গড়ার ক্ষেত্রে সঙ্কট দেখা দিলে রাজ্যপাল কোন দলকে কতটা সময় বরাদ্দ করবেন। শিবসেনাকে যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে শারদ পাওয়ারের এনসিপিকে দেওয়া হয়েছে তার চেয়েও কম। উল্টে রাত সাড়ে ৮টা যেখানে ছিল ডেডলাইন, সেখানে দুপুরবেলাই পাঠিয়ে দেওয়া হল রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ। তাও আবার বিধানসভা ভঙ্গ না করে বিধায়ক কেনাবেচার মধ্যে দিয়ে যে কোনও সময় সরকার গড়ার পথকে সুগম রেখেই। ঠিক সেই সুযোগেই একটি বিকল্প শক্তি নতুন জোট গড়ে ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস ঘটিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার দিকে এগচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতা দখল সম্ভব হলেও আগামী পাঁচ বছর এই বিপরীত মতাদর্শের তিন দলের জোট সরকার স্থায়ী হবে কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। ভয়টা সেই কারণেই।
17th  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। বিশদ

ভারত-মার্কিন সহযোগিতাই ঠেকাতে পারবে
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের বিপদ 
কেনেথ আই জাস্টার

কেউ কি ভাবতে পেরেছিল, সামান্য একটি ছাতাপড়া ‘মেলন’ জাতীয় ফলের ভিতর লুকিয়ে রয়েছে অগণিত মানুষের জিয়নকাঠি? হ্যাঁ, পেনিসিলিন—এটাই হল সর্বপ্রথম অ্যান্টিবায়োটিক।   বিশদ

20th  November, 2019
শিবসেনা ও একটি পরম্পরার অপমৃত্যু
শান্তনু দত্তগুপ্ত

শিবাজি পার্কের জনসভায় তির-ধনুকটা নামিয়ে বক্তৃতা শুরু করতে গিয়েও থমকে গেলেন বাল থ্যাকারে। শব্দবাজির দাপট কানের যাবতীয় সহ্যক্ষমতা অতিক্রম করছে। সঙ্গে চিৎকার... উল্লাস। অপেক্ষা করছেন শিবসেনা ‘প্রমুখ’। তির-ধনুক তাঁর দলের প্রতীক। পৌরুষের প্রতীক। তিনি নিজেও তাই। ১৯৯৫ সালের বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বের প্রচার।  
বিশদ

19th  November, 2019
প্রচলিত ছকে মৌসুমি বায়ু চরিত্র বোঝা যাচ্ছে না
শান্তনু বসু

২০১৯-এর এই উদ্বৃত্ত বৃষ্টিপাত আবহাওয়াবিদদের হিসেবেই ছিল না। উদ্বৃত্ত বৃষ্টিপাত ভূগর্ভস্থ জলস্তরকে পুনরুজ্জীবিত করবে সন্দেহ নেই, কিন্তু আগামী বছর যদি আরও দেরিতে কেরলে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে, ভারতের কৃষি আবার অনিশ্চয়তায় চলে যাবে। চলতি বছরের উদ্বৃত্ত জলকে ধরে রাখা হয়েছে—এমন সুখবর কিন্তু নেই।
বিশদ

18th  November, 2019
একটি কাল্পনিক স্মরণসভা
সন্দীপন বিশ্বাস

সাদা কাপড়ে মোড়া মঞ্চজুড়ে সারি সারি চেয়ার-টেবিল। টেবিলের উপরে ফুলদানিতে সাদা ফুল। মঞ্চের একপাশে বড় একটি ছবি। তাতে সাদা মালা দেওয়া। শোকস্তব্ধ পরিবেশ। আজ এখানে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সমাজের গণ্যমান্য সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই এসেছেন।  
বিশদ

18th  November, 2019
ঘর ওয়াপসি ও কিছু প্রশ্ন
তন্ময় মল্লিক

 ঘর ওয়াপসি। ঘরে ফেরা। ‘ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মুন্নির ঘরে ফেরার কাহিনীর দৌলতে ‘ঘর ওয়াপসি’ এখন আমবাঙালির অতি পরিচিত শব্দ। সেই পরিচিত শব্দটি অতি পরিচিতির মর্যাদা পেয়েছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের ঘন ঘন জার্সি বদলের দৌলতে।
বিশদ

16th  November, 2019
জল বেড়েছে, বোধ বাড়েনি
রঞ্জন সেন

 সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার ফলে পৃথিবীর বহু উপকূলবর্তী দেশ ও দ্বীপ বিপন্ন হবে বলে পরিবেশবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁরা এটাও বলছেন আমরা সবাই মিলে এবং রাষ্ট্রনায়কেরা চাইলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে এই অবস্থার মোকাবিলা করতে পারি। বিশদ

16th  November, 2019
সংবিধানই পথ
সমৃদ্ধ দত্ত

 তিন বছর ধরে সংবিধান রচনার কাজ অবশেষে যখন সমাপ্ত হল, তখন ১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতীয় সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া পেশ করে সংবিধান-সভায় তাঁর সর্বশেষ বক্তৃতায় সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান ড.ভীমরাও আম্বেদকর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ভারতের এই সংবিধানের মূল সুর এবং গণতন্ত্র কি আদৌ শেষ পর্যন্ত আগামী দিনে রক্ষা করা সম্ভব হবে? বিশদ

15th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বুড়ো হবার সব লক্ষণ একেবারে স্পষ্ট। 
বিশদ

14th  November, 2019
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে। বিশদ

13th  November, 2019
ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। বিশদ

13th  November, 2019
অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। 
বিশদ

12th  November, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শীতের মরশুমের আগেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় হাজির নতুন অতিথি। ভাইজাগ চিড়িয়াখানা থেকে মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় এল চারটি জঙ্গলি কুকুর বা ঢোল, দু’টি রিং টেলড লেমুর (বাঁদরের এক প্রজাতি) এবং দু’টি স্পুনবিল পেলিকান। ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: উত্তরপ্রদেশের আগ্রার অপহৃতা এক নাবালিকা উদ্ধার হল কাঁথিতে। আগ্রা থেকে ওই নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে পুলিস এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তার বাড়ি কাঁথি থানার ইড়দা গ্রামে। পুলিস ধৃত কিশোরের বাড়ি থেকে অপহৃতা নাবালিকাকে ...

 জেরুজালেম, ২০ নভেম্বর (এএফপি): সিরিয়ায় ইজরায়েলের আক্রমণে বুধবার মৃত্যু হল ১১ জন ইরানি এবং সিরীয় সেনার। মঙ্গলবারই সিরিয়ার দিক থেকে ইজরায়েলে চারটি রকেট হামলা করা হয়। এরপরেই সিরিয়ায় বিমান হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েল। ...

সংবাদদাতা, ইটাহার: ব্লক কৃষি দপ্তরের ‘সুধা’ (সুনিশ্চিত ধান) পদ্ধতিতে চাষ করে বিশেষ সফলতা পেলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলুয়া গ্রামের চাষি আবু শাহেদ। এঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকার অন্যান্য চাষিদের মধ্যে সুধা পদ্ধতিতে ধান চাষের ব্যাপারে উৎসাহ দেখা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস
১৬৯৪: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্ম
১৮৭৭: ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কথা জানালেন থমাস এডিসন
১৯৭০: নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরামনের মৃত্যু
১৯৭৪ - শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৭ টাকা ৭৩.৩৩ টাকা
পাউন্ড ৯০.৪৯ টাকা ৯৪.৮৫ টাকা
ইউরো ৭৭.৬২ টাকা ৮১.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৯৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৯৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৫৩৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ২১ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, নবমী ১৩/৫০ দিবা ১১/২৯। পূর্বফাল্গুনী ৩১/২২ রাত্রি ৬/২৯। সূ উ ৫/৫৬/৪২, অ ৪/৪৮/০০, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৩ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৫ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে।
৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ২১ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, নবমী ৮/১৫/৩৯ দিবা ৯/১৭/৩। পূর্বফাল্গুনী ২৮/৯/৬ সন্ধ্যা ৫/১৪/২৫, সূ উ ৫/৫৮/৪৭, অ ৪/৪৭/৪৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৪ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৫৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে ও ৪/২২ গতে ৬/০ মধ্যে, বারবেলা ৩/২৬/৪১ গতে ৪/৪৭/৪৮ মধ্যে, কালবেলা ২/৫/৩৩ গতে ৩/২৬/৪১ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২৩/১৭ গতে ১/২/১২ মধ্যে।
২৩ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শত্রু বশ মানতে বাধ্য হবে। বৃষ: বহু পুরানো মামলায় ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব টেলিভিশন দিবস১৬৯৪: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্ম১৮৭৭: ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কথা ...বিশদ

07:03:20 PM

৭৬ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:56:31 PM

চোর সন্দেহে গণপিটুনি, মৃত ২ 
কোচবিহারের পাইটকাপাড়া গ্রামে চোর সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গণপিটুনির অভিযোগ। বুধবার ...বিশদ

03:24:52 PM

রায়গঞ্জের মারাইকুড়া গ্রামে চোর সন্দেহে ৪ জনকে গণপিটুনি গ্রামবাসীদের 

03:22:00 PM

হুগলির পাণ্ডুয়াতে প্রেমিকাকে খুন করে আত্মঘাতী যুবক 
হুগলির পাণ্ডুয়াতে প্রেমিকাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার ...বিশদ

02:43:32 PM