Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংবিধানই পথ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিন বছর ধরে সংবিধান রচনার কাজ অবশেষে যখন সমাপ্ত হল, তখন ১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতীয় সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া পেশ করে সংবিধান-সভায় তাঁর সর্বশেষ বক্তৃতায় সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান ড.ভীমরাও আম্বেদকর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ভারতের এই সংবিধানের মূল সুর এবং গণতন্ত্র কি আদৌ শেষ পর্যন্ত আগামী দিনে রক্ষা করা সম্ভব হবে? ভারত তার এই বহুকষ্টলব্ধ স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র আবার ভুল পদক্ষেপে হারিয়ে ফেলবে না তো?
তিনি আরও বলেছিলেন, জাতপাতের বিভাজন প্রবণতা বহু প্রাচীন এক শত্রু ভারতে। এই চেনা শত্রুদের পাশাপাশি, এখন ভারতে এসেছে নানাবিধ বৈচিত্র্যের রাজনৈতিক দল, যারা পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক নীতির অনুসারী। আম্বেদকর প্রশ্ন করেছিলেন, দেশবাসী কি সেই সব নীতির ঊর্ধ্বে রাখবে দেশকে? নাকি দেশের ঊর্ধ্বে রাখবে নিজেদের বিশ্বাস ও নীতিকে? আমার জানা নেই। কিন্তু এটা নিয়ে
সন্দেহ নেই যে, যদি রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের দলীয় নীতি আদর্শকে দেশের স্বার্থেরও উপরে স্থান দেয়, তা হলে আমাদের স্বাধীনতা দ্বিতীয়বারের
জন্য আবার সঙ্কটে পড়বে। হয়তো চিরকালের মতো সেই স্বাধীনতা লুপ্ত হবে।
ইংরেজিতে একটি শব্দ আছে। এথনিক ডেমোক্রেসি। অর্থাৎ বিশেষ সম্প্রদায়ের গণতন্ত্র। এই এথনিক ডেমোক্রেসির আদর্শ রূপ হিসাবে বলা হয় ইজরায়েলকে। সেখানে ডেমোক্রেসি থাকলেও ইহুদিদের সুযোগ সুবিধা অধিকার তুলনামূলকভাবে বেশি হিসাবেই অঘোষিত রীতি। সেটা অবশ্যই কোনও সরকারি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে না। তবে সমাজজীবনে পরিলক্ষিত। ভারত সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে দীর্ঘকাল ধরে যে ইমেজ রয়েছে সেটি হল বিশ্বের সবথেকে বৃহৎ একটি বহুত্ববাদী সংস্কৃতি। বস্তুত সেটাই ভারতের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে, সেই ইমেজটি সরিয়ে দিয়ে ভারতের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের জনগণ এবং শাসকগোষ্ঠী কি আদতে এথনিক ডেমোক্রেসির পথেই হাঁটতে আগ্রহী? নাকি ভারতের সংবিধান নির্দেশিত পথটিই অক্ষরে অক্ষরে পালিত হবে? এই প্রশ্নের উত্তরের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। একটি দেশের সংখ্যাগুরু শ্রেণী যদি সেই দেশের শাসককে স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দেয় যে, তারা এটা দেখে মনে মনে অত্যন্ত আনন্দিত হয় যখন বিশেষ কোনও সংখ্যালঘু শ্রেণীর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কিংবা ওই শ্রেণীকে সামাজিকভাবে কোণঠাসা হতে দেখা যাচ্ছে কিংবা সেই শ্রেণী যদি সরকার বা আইনের সহায়তা কম কম পাচ্ছে ইত্যাদি। সংখ্যালঘুদের এই সঙ্কট দেখে মনে চাপা আনন্দ হয় অনেকের। আর জনতার এই মনোভাব যদি সরকার বা শাসক জেনে যায়, তা হলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা থেকে জনতার দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়া সহজ হয়। কাশ্মীরের ৩৭০ নং ধারার অবলুপ্তিকরণকে যদি নীতিগত ভাবে ভারতের ঐক্যের জন্যই প্রয়োজন বলে মনে করা হয় (অবশ্যই সমর্থনযোগ্য), তা হলে সেই একই কারণে নাগাল্যাণ্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশের বিশেষ বিশেষ
অধিকার বা আইন নিয়েও আপত্তি বা ক্ষোভ থাকা উচিত ছিল সংখ্যাগুরুর। তা কিন্তু হচ্ছে না। যত ঐক্যের আবেগ কাশ্মীরকে ঘিরে দেখা গেল। কেন? উত্তরটা জানা সকলের।
এ ভাবে জনগণের মনের অনুভূতিকে বুঝতে পেরে যে জ্বলন্ত বিষয়গুলি জনগণকে প্রতিনিয়ত সঙ্কটে ফেলছে, অসুবিধার মুখোমুখি করাচ্ছে, আর্থিক ভাবে বিপদে ফেলছে, সেই ইস্যুগুলির তুলনায় শাসক সামনের সারিতে নিয়ে আসতে সুযোগ পায় ধর্মীয় অথবা সম্প্রদায়গত অ্যাজেণ্ডাকে দৈনন্দিন চর্চা বা পাবলিক ডিসকোর্সের মধ্যে নিয়ে আসতে।
আর এথনিক ডেমোক্রেসির বন্দনাকারী জনতাও আরও বেশি করে মশগুল হয়ে পড়ে। ৩৭০ নিয়ে আনন্দ হয়। রামমন্দির নিয়ে আনন্দ হয়। সংখ্যাগুরুর মনোভাবে এমনিতে দ্বিচারিতা মিশে থাকে।
যেমন সংখ্যাগুরু শ্রেণী অত্যন্ত খুশি হয়, যখন দেখা যায় একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হিন্দুদের পুজোয় অংশ নিয়েছে, কিংবা দুর্গাপূজায় আয়োজনে যুক্ত হয়েছে কিংবা কোনও মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণে এক মুসলিম জড়িত। তখন এই সংখ্যাগুরু শ্রেণী সেটিকে সর্বধর্মসমন্বয়ে, প্রকৃত ভারত, উদার
ভারত ইত্যাদি আখ্যায় ভূষিত করে। অথচ ঠিক বিপরীত যখন ঘটে, অর্থাৎ কোনও হিন্দু যদি মুসলিমদের পরবে অংশ নেয় অথবা কোনও বিতর্কে তাদের পক্ষে কথা বলে, তখন সেই লোকটিকে তকমা দেওয়া হয় তোষণকারী।
ভারতের মতো বৈচিত্র্যময় একটি দেশ যদি সার্বিকভাবে সংখ্যাগুরুর ডেমোক্রেসিতে পরিণত হয়, তা হলে সেই দেশের জনতার একটা সময় পর কিন্তু ক্লান্ত লাগবে। কারণ আমাদের দেশের অভ্যাসই হল সর্বধর্মসমন্বয়, বছরভর নানাবিধ পরবে মেতে থাকা। সেই কারণেই আজমির শরিফকে পাশ কাটিয়ে কেউ নিছক পুষ্করে পুজো দিয়ে আবার ফিরে আসে এমন নয়। আজমির শরিফেও একবার ঢুকে একটা চাদর চড়িয়ে আসেন হিন্দুরাও।
প্রতি বৃহস্পতিবার দিল্লির নিজামউদ্দিন দরগার কাওয়ালি অনুষ্ঠানে নিয়ম করে সব সম্প্রদায়ের মানুষই সমবেত হয়ে ওই ধর্মসঙ্গীত উপভোগ করেন হৃষ্ট চিত্তে। ক্রমেই যদি দেখা যায় গোটা দেশে সংখ্যাগুরুদের দাপটই বেশি এবং অন্য ধর্মাবলম্বীরা সম্পূর্ণ আড়ষ্ট ও নীরব জীবনযাপন করছেন, তা হলে আজ যারা এথনিক ডেমোক্রেসিকেই নিজের শক্তি হিসাবে কল্পনা করছে তাদের ভুল ভাঙবে এক সময়। কারণ যদি এটাই একটি দেশের প্রকৃত শক্তি বা উন্নয়নের রূপরেখা হতো, তা হলে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এতদিনে অনেক এগিয়ে যেত। এমনকী চীনকে এ ভাবে নিজেদের গোপন করে রাখতে হতো না। তাদের অভ্যন্তরে কী চলছে, কত মানুষ যে অপরিসীম দারিদ্র্যে বাস করছে সেটা যাতে বহির্জগৎ জানতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে এত কাঠখড় পোড়াতে হতো না চীনকে। দরজা খুলে দিত। এথনিক ডেমোক্রেসির লক্ষ্য হল সর্বদাই যে কোনও সমস্যার জন্য একটি বিশেষ শ্রেণীকেই দোষারোপ করার দিকে জনতাকে ঠেলে দেওয়া। এর ফলে সরকারের দিকে আঙুল তোলে না কেউ।
কিন্তু আশার কথা হল ভারতের একটা অত্যাশ্চার্য ব্যালান্স করার চরিত্র আছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ভারতের। ঠিক যখন মনে হচ্ছে ভারত বোধহয় ক্রমেই সংখ্যাগুরুর ডেমোক্রেসিতে পরিণত হতে চলেছে, তখনই আচমকা একের পর এক রাজ্য বিধানসভা ভোটে দেখা যাচ্ছে বিজেপি ধাক্কা খাচ্ছে। গত বছর এক সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে বিজেপির পরাজয় হওয়ার পরও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব কিংবা কর্মী সমর্থকরা সেই ফলাফলকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। ভাবা হয়েছিল ওটা বোধহয় সাধারণ অ্যান্টি ইনকামবেন্সি। কিন্তু এবার হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে বিজেপি একক গরিষ্ঠতা না পাওয়া আরও বড় বার্তা। অর্থাৎ হাইপার ন্যাশনালাইজেশন কিংবা হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেণ্ডা তীব্র হলেও বিজেপি বিপুল ভাবে জয়ী
হচ্ছে না। উল্টে কোনও কেন্দ্রীয় বা রাজ্য নেতা, শক্তিশালী সংগঠন না থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস বা বিরোধীরা অনায়াসে প্রচুর আসনে বিজেপিকে
হারিয়ে দিচ্ছে। এটা অবশ্যই এক অন্যরকম মনোভাব বদলের আভাস।
আর এই সমীকরণটির জন্ম হচ্ছে গ্রামীণ ভারতে। দেখা যাচ্ছে প্রধানত গ্রামাঞ্চলেই এভাবে বিজেপি ধাক্কা খাচ্ছে। অর্থাৎ যে গ্রামজীবনের সঙ্গে সরকারের প্রত্যক্ষ ভাবে রোটি কাপড়া মকানের সম্পর্ক, তারা কোনও কারণে ক্ষুব্ধ। তারা মনে করছে না যে তাদের সব কিছু ভালো আছে। তাই তারা সরকারি পার্টিকে ভোট দিচ্ছে না রাগ করে। এই রাগকে সংখ্যাগুরুর ডেমোক্রেসি কমাতে পারছে না। শিবসেনা এতকাল পর হঠাৎ কেন বিজেপির হাত ছেড়ে দেওয়ার সাহস পেল? তারা চূড়ান্ত প্রফেশনাল একটি পলিটিক্যাল পার্টি। তারা জানে কীভাবে কখন সুবিধা আদায় করতে হয়। সুতরাং নেহাত ইগো নয়। শিবসেনা হয়তো আঁচ পেয়েছে যে, বিজেপি দুর্বল হচ্ছে। এই প্রতিটি বার্তাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেন্দ্রে মনে করা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি অপরাজেয়। তাঁর তুলনীয় কোনও জনপ্রিয় নেতাই নেই বিরোধী শিবিরে। অথচ সেই মোদির নির্বাচনী প্রচার সত্ত্বেও রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি আগের তুলনায় আরও শক্তিশালী হওয়ার তুলনায় বরং ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। কেন? এই উত্তরটি খুঁজতে হবে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। বস্তুত মোদি সরকারকে বেছে নিতে হবে যে কোনও একটি পথ। হয় সংখ্যাগুরুর ডেমোক্রেসির পথকে আরও প্রশস্ত করা অথবা গণতন্ত্রের মূল স্ট্রাকচার অক্ষুণ্ণ রেখে অবিলম্বে রোটি কাপড়া মকান, বিজলী পানি সড়কের সেই চিরাচরিত লক্ষ্যপূরণে ডুবতে বসা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে রাজনৈতিক গণতন্ত্রকে সামাজিক গণতন্ত্রেও সম্প্রসারিত করা। কারণ, বিগত ৩০ বছরে সব থেকে বেশি যে ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত হারে বেড়েছে সেটি হল, বৈষম্য। ইনইকোয়ালিটি।
সর্বশেষ যে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভের হেলথ রাউণ্ড সমীক্ষা পাওয়া যাচ্ছে সেখানে একটা অদ্ভুত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই গরিব মানুষ চিকিৎসার কাছে যাচ্ছে না। অর্থাৎ প্রথাগত চিকিৎসার খরচ এতই বেড়ে গিয়েছে যে, ভারতের গরিব মানুষের বিপুল অংশ অনেক জটিল রোগ শরীরে পুষে রেখেই টোটকা বা ধামাচাপা দেওয়া ব্যবস্থায় থেকে যাচ্ছে। ১৯৮৬ সালের রাউণ্ড সার্ভের পর ২০১৬ সালের রাউণ্ড সার্ভে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে যে প্রবণতা কমার কথা, সেটি আদতে বেড়ে যাচ্ছে বছর বছর। অর্থাৎ গরিব মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে দূরে থাকা।
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এটা স্রেফ টাকার অভাবে। এটা হল স্বাস্থ্য। এবার শিক্ষা। একটিমাত্র রাজ্য নিয়ে ছোট একটি তথ্য। যেখানে আগামী ৩০ নভেম্বর বিধানসভা ভোট। ঝাড়খণ্ড। এই রাজ্যে প্রতি ১০০ টি ছাত্রছাত্রীর মধ্যে মাত্র ৩০ জন শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডিটি পেরোয়। ৭০ জনই প্রাইমারি লেভেলেই ড্রপ আউট হয়ে যায় স্কুল থেকে। যার মধ্যে আবার সিংহভাগ বালিকা। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলায়
এই বালিকাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় দুটি কারণে। হয় খেতমজুরি করতে পাঠানো হয় অথবা ওই বাল্যকালেই বিয়ে দেওয়া হয়! দুই ক্ষেত্রেই টাকা
পায় গরিব বাবা মা!
সংখ্যাগুরুর ডেমোক্রেসি নয়। বরং অনেক
জরুরি কাজ হল সংবিধান অনুসরণ করা। যেখানে রক্ষা করতে বলা হয়েছে, জাস্টিস, লিবার্টি, ইকোয়ালিটি! ওটাই পথ!
15th  November, 2019
ভারত-মার্কিন সহযোগিতাই ঠেকাতে পারবে
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের বিপদ 
কেনেথ আই জাস্টার

কেউ কি ভাবতে পেরেছিল, সামান্য একটি ছাতাপড়া ‘মেলন’ জাতীয় ফলের ভিতর লুকিয়ে রয়েছে অগণিত মানুষের জিয়নকাঠি? হ্যাঁ, পেনিসিলিন—এটাই হল সর্বপ্রথম অ্যান্টিবায়োটিক।   বিশদ

শিবসেনা ও একটি পরম্পরার অপমৃত্যু
শান্তনু দত্তগুপ্ত

শিবাজি পার্কের জনসভায় তির-ধনুকটা নামিয়ে বক্তৃতা শুরু করতে গিয়েও থমকে গেলেন বাল থ্যাকারে। শব্দবাজির দাপট কানের যাবতীয় সহ্যক্ষমতা অতিক্রম করছে। সঙ্গে চিৎকার... উল্লাস। অপেক্ষা করছেন শিবসেনা ‘প্রমুখ’। তির-ধনুক তাঁর দলের প্রতীক। পৌরুষের প্রতীক। তিনি নিজেও তাই। ১৯৯৫ সালের বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বের প্রচার।  
বিশদ

19th  November, 2019
প্রচলিত ছকে মৌসুমি বায়ু চরিত্র বোঝা যাচ্ছে না
শান্তনু বসু

২০১৯-এর এই উদ্বৃত্ত বৃষ্টিপাত আবহাওয়াবিদদের হিসেবেই ছিল না। উদ্বৃত্ত বৃষ্টিপাত ভূগর্ভস্থ জলস্তরকে পুনরুজ্জীবিত করবে সন্দেহ নেই, কিন্তু আগামী বছর যদি আরও দেরিতে কেরলে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে, ভারতের কৃষি আবার অনিশ্চয়তায় চলে যাবে। চলতি বছরের উদ্বৃত্ত জলকে ধরে রাখা হয়েছে—এমন সুখবর কিন্তু নেই।
বিশদ

18th  November, 2019
একটি কাল্পনিক স্মরণসভা
সন্দীপন বিশ্বাস

সাদা কাপড়ে মোড়া মঞ্চজুড়ে সারি সারি চেয়ার-টেবিল। টেবিলের উপরে ফুলদানিতে সাদা ফুল। মঞ্চের একপাশে বড় একটি ছবি। তাতে সাদা মালা দেওয়া। শোকস্তব্ধ পরিবেশ। আজ এখানে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সমাজের গণ্যমান্য সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই এসেছেন।  
বিশদ

18th  November, 2019
মূল্যবোধের রাজনীতি ও
মহারাষ্ট্রের কুর্সির লড়াই
হিমাংশু সিংহ

আজকের নির্বাচনী রাজনীতি যে কতটা পঙ্কিল ও নোংরা তারই জ্বলন্ত প্রমাণ আজকের মহারাষ্ট্র। সঙ্কীর্ণ স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের নেশায় ছোটবড় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই আজ মরিয়া। মহারাষ্ট্রের ফল বেরনোর পর গত তিন সপ্তাহের রাজনীতির নাটকীয় ওঠাপড়া সেই অন্ধকার দিকটাকেই বড় প্রকট করে তুলেছে। ভোটের ফল ও কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন তা নিয়ে দুই পুরনো জোট শরিকের দ্বন্দ্ব যে দেশের বাণিজ্য পীঠস্থান মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রকে এমন নজিরবিহীন সঙ্কটে ফেলবে, তা কে জানত? যে জোট পাঁচ বছর ধরে রাজ্য শাসন করল এবং এবারও গরিষ্ঠতা পেল, সেই জোটই ভেঙে খান খান!
বিশদ

17th  November, 2019
ঘর ওয়াপসি ও কিছু প্রশ্ন
তন্ময় মল্লিক

 ঘর ওয়াপসি। ঘরে ফেরা। ‘ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মুন্নির ঘরে ফেরার কাহিনীর দৌলতে ‘ঘর ওয়াপসি’ এখন আমবাঙালির অতি পরিচিত শব্দ। সেই পরিচিত শব্দটি অতি পরিচিতির মর্যাদা পেয়েছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের ঘন ঘন জার্সি বদলের দৌলতে।
বিশদ

16th  November, 2019
জল বেড়েছে, বোধ বাড়েনি
রঞ্জন সেন

 সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার ফলে পৃথিবীর বহু উপকূলবর্তী দেশ ও দ্বীপ বিপন্ন হবে বলে পরিবেশবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁরা এটাও বলছেন আমরা সবাই মিলে এবং রাষ্ট্রনায়কেরা চাইলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে এই অবস্থার মোকাবিলা করতে পারি। বিশদ

16th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বুড়ো হবার সব লক্ষণ একেবারে স্পষ্ট। 
বিশদ

14th  November, 2019
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে। বিশদ

13th  November, 2019
ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। বিশদ

13th  November, 2019
অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। 
বিশদ

12th  November, 2019
প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড!  
বিশদ

11th  November, 2019
একনজরে
বিএনএ, জলপাইগুড়ি: ব্যারাকপুরে একটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জলপাইগুড়ি শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হল একজনকে। মঙ্গলবার পিন্টু শর্মা নামে ওই অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ি মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হয়।  ...

সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: এসএসবি’র শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের হেড কোয়ার্টার রানিডাঙায় অষ্টম সর্ব ভারতীয় পুলিস তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি স্বর্ণপদক পেল মহারাষ্ট্র পুলিস। তারা মোট দু’টি স্বর্ণ ...

সুজিত ভৌমিক, কলকাতা: সাট্টা ডন রশিদ খানের সঙ্গী তথা বউবাজার বিস্ফোরণ মামলায় টাডা আইনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহম্মদ খালিদের আর্জি খারিজ করে দিল লালবাজার। খালিদ ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: আস্তাকুঁড় থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুকন্যা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ফরিদপুরের হোম থেকে নতুন বাবা¬-মায়ের হাত ধরে পাড়ি দিল সুদূর স্পেনের বার্সেলোনায়।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫০- মহীশূরের শাসক টিপু সুলতানের জন্ম
১৯১০- রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয়ের মৃত্যু
১৯১৭- কলকাতায় প্রতিষ্ঠা হল বোস রিসার্চ ইনস্টিটিউট
১৯৫৫- নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের পক্ষে টেস্টে প্রথম দ্বিশতরান করলেন পলি উমরিগড় 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭৩.৫০ টাকা
পাউন্ড ৯১.০২ টাকা ৯৫.৪১ টাকা
ইউরো ৭৭.৮১ টাকা ৮১.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ২০ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, অষ্টমী ১৯/২৩ দিবা ১/৪১। মঘা ৩৫/২১ রাত্রি ৮/৪। সূ উ ৫/৫৬/৪, অ ৪/৪৮/১০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৭/২৩ গতে ৮/৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৭ গতে ১২/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১৯ গতে ৩/১৯ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪০ গতে ১০/১ মধ্যে পুনঃ ১১/২২ গতে ১২/৪৪ মধ্যে, কালরাত্রি ২/৩৯ গতে ৪/১৮ মধ্যে। 
৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ২০ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, অষ্টমী ১৪/২/৪২ দিবা ১১/৩৫/৪। মঘা ৩২/১৪/২৪ রাত্রি ৬/৫১/৪৫, সূ উ ৫/৫৭/৫৯, অ ৪/৪৮/৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ মধ্যে ও ৭/৩৪ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ১০/২৪ গতে ১২/৩২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪১ গতে ৬/৩৪ মধ্যে ও ৮/২১ গতে ৩/২৮ মধ্যে, বারবেলা ১১/২৩/৬ গতে ১২/৪৪/২২ মধ্যে, কালবেলা ৮/৪০/৩২ গতে ১০/১/৪৯ মধ্যে, কালরাত্রি ২/৪০/৩২ গতে ৪/১৯/১৬ মধ্যে।  
২২ রবিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন ...বিশদ

07:11:04 PM

গোটা দেশে এনআরসি হবে: অমিত শাহ 
গোটা দেশে এনআরসি হবে বলে রাজ্যসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত ...বিশদ

04:31:00 PM

পর্ণশ্রীতে গ্যাস সিলিন্ডার চুরি, ধৃত ২ 

03:18:00 PM

নরেন্দ্রপুরে দম্পতির রহস্যমৃত্যু 
নরেন্দ্রপুরে এক দম্পতির দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। আজ সকালে নরেন্দ্রপুরের ...বিশদ

02:34:00 PM

মায়ের বকুনি, অভিমানে আত্মঘাতী সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া 
পড়াশোনা নিয়ে মায়ের বকুনির জেরে অভিমানে আত্মঘাতী হল সপ্তম শ্রেণীর ...বিশদ

01:38:34 PM

আসানসোলে ৫ কুখ্যাত দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার 
ডাকাতির উদ্দেশ্যে জরো হওয়া পাঁচ কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল আরপিএফের ...বিশদ

01:32:39 PM