Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 
নভেম্বর ৪, ২০১৯ তারিখটা ভারতের ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন হিসেবেই সংযোজিত হয়ে গেল। বৃহৎ আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য আরসিইপি (রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ) থেকে ভারত আপাতত দূরে থাকার বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে এই দিনটিতে। ক্রমোন্নত ভারত যে তার স্বার্থ ও সুরক্ষার প্রয়োজনে যে-কোনও সাহসী পদক্ষেপ করতে সক্ষম, এই সিদ্ধান্তটি দেশকে সেই মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে আজকের নতুন ভারত থেকে নতুন আত্মপ্রত্যয়ের প্রতিফলন ঘটছে।
আরসিইপি-তে ভারত যোগদান না-করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কারণটি সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তিনি বলেছেন, ‘‘আরসিইপি-তে কোন স্বার্থে ভারতের যোগদান করা প্রয়োজন, তা খুঁজতে গিয়ে আমি কোনও ইতিবাচক উত্তর পাইনি। গান্ধীজির আত্মনির্ভর- শীলতার নীতি এবং আমার চিন্তাচেতনা —কোনও দিক থেকেই আরসিইপি-তে ভারতের যোগদানের সম্মতি পাইনি।’’
সিদ্ধান্তটি এই কারণে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে, এটা দেখিয়ে দিয়েছে—কৃষক, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী, টেক্সটাইল, ডেয়ারি ও ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প, ওষুধ, ইস্পাত ও রাসায়নিক শিল্পের স্বার্থরক্ষার প্রয়োজনে তিনি যত দূর সম্ভব যেতে পারেন। এই বাণিজ্য চুক্তিটি যেহেতু ভারতের বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি বা ক্ষতি এবং পণ্যের অনাবশ্যক ডাম্পিংয়ের বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রাখে না, তাই তিনি বিষয়টির সঙ্গে কোনোরকম আপস করেননি। যে-কোনও একপেশে এবং দেশের কৃষক ও শিল্পোদ্যোগীদের স্বার্থ-বিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ভারতের যোগদান করা অনুচিত বলে আমিও মনে করি। এই ব্যাপারে আমার মনোভাবও খুব স্পষ্ট ও দৃঢ়।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার দেশের স্বার্থরক্ষায় কতটা ব্যর্থ ছিল তা আমরা জানি। ২০০৭ সালে তৎকালীন সরকার চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তিতে (আরটিএ) শামিল হওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছিল। ইউপিএ জমানায় চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল? ভারতের বাণিজ্যিক ক্ষতি ২৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। যে ক্ষতির পরিমাণ ২০০৫ সালে ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল, সেটা ২০১৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশীয় শিল্পের উপর এই আঘাত কী ভয়ানক হয়েছিল তা আর বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।
বস্তুত কংগ্রেসের ইতিহাস হল ভারতের কৃষক ও শিল্পের স্বার্থের সঙ্গে আপস করা। এর একটি দৃষ্টান্ত—২০১৩ সালের বালি এগ্রিমেন্ট। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে তৎকালীন বাণ্যিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লুটিও) সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে কৃষিতে ভর্তুকি এবং সহায়ক মূল্যের যে ব্যবস্থা ও অবস্থান আমাদের রয়েছে সেটাকে বিস্ময়করভাবে তাঁরা দুর্বল করে দিলেন। যদি না ২০১৪ সালে যথাসময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হস্তক্ষেপ করতেন কৃষকের বিরাট ক্ষতি হয়ে যেত। আমাদের কৃষকদের স্বার্থে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইউপিএ সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি বাতিল করে দিয়েছিলেন।
এটাই মজার ব্যাপার যে, এই ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলি নিয়ে যে-কংগ্রেসের দুর্বল ভূমিকার ইতিহাস আমরা জানি, সেই কংগ্রেসই আরসিইপি থেকে প্রধানমন্ত্রীর দূরে থাকার সিদ্ধান্তের কৃতিত্বের ভাগ দাবি করছে এবং মরিয়া হয়ে! বস্তুত, ইতিহাসই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে কংগ্রেস নেতৃত্বের দূরদৃষ্টির অভাবের কারণেই ভারতকে এই ধরনের দেশের স্বার্থ-বিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তির অংশ হতে হয়েছিল। আদি রূপ ধরলে আরসিইপি-তে আসিয়ানভুক্ত দশটি দেশের বাইরে শুধুমাত্র চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যোগ দিয়েছিল। কংগ্রেসের দূরদর্শিতার অভাব এবং ছোট উদ্যোগী ও কৃষকদের ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ না-থাকার জন্যই ইউপিএ সরকার এই ধরনের আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর অংশ হয়েছিল। গোড়া থেকেই স্পষ্ট যে এটাই ভারতে অবাধে চীনা পণ্য প্রবেশের ‘ফ্লাড গেট’ খুলে দিতে পারত। অন্যদিকে, এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীভুক্ত কোনও দেশের উপর ভারত তার পক্ষে অনুকূল কোনও বাণিজ্য-শর্ত আরোপ করতে পারেনি।
আসিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া এগ্রিমেন্টেও (এফটিএ) ভারতের স্বার্থের সঙ্গে কংগ্রেস আপস করেছিল। অথচ, ভারতের মতো দুর্বল মানসিকতার পরিচয় দেয়নি তুলনায় ছোট দেশ ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনাম। যেখানে ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনাম তাদের মার্কেট শেয়ারের যথাক্রমে ৫০ শতাংশ ও ৬৯ শতাংশ ভারতের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেখানে ভারত তাদের পণ্যের বাজারের ৭৪ শতাংশ এই বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। এমন কিছু অবিবেচক সিদ্ধান্তের সৌজন্যেই আরসিইপি দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যে আমাদের বিপুল আর্থিক ক্ষতি মেনে নিতে হয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণ ২০০৪ সালের ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০১৪ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার হালফিল বিনিময় মূল্যমানে বলতে হয়—ক্ষতির পরিমাণ ২০০৪ সালের ৫০ হাজার কোটি টাকা থেকে ২০১৪ সালে বেড়ে হয়েছিল ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
২০১৪ সালে মোদি সরকার আসার পর থেকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের ভুল সিদ্ধান্তগুলির ধারাবাহিক সংশোধন জারি রয়েছে। আরসিইপি আলোচনায় ভারত সবসময় দৃঢ়তার সঙ্গে তার স্বার্থ সুরক্ষার উপর জোর দিয়েছে। সদস্য দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যে অনুকূল শর্তই আরোপ করেছে ভারত। যেমন অন্যসকল শর্তাবলির সঙ্গে এই প্রথমবার ভারতের জন্য সার্ভিস সেক্টর
উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং ভারত থেকে বেশি পরিমাণ পণ্য রপ্তানির শর্ত চাপানো হয়েছে।
চুক্তি ২০১৬ সাল থেকে কার্যকরী হবে ধরে নিয়েও, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারিতে প্রযোজ্য আমদানি শুল্কের (ইমপোর্ট ডিউটি) ভিত্তিতে (বেস রেট) কংগ্রেস আরসিইপি-র অংশ হয়ে উঠতে ব্যগ্র ছিল। ২০১৪ সালের বেস রেট মেনে নিয়ে এই ব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার কারণে ভারতের বাজারে বিদেশি প঩ণ্যের প্রবেশ অবাধ হয়ে যেত এবং তাতে আমাদের দেশীয় শিল্পের সর্বনাশ হতে পারত। অবশ্য, গত কয়েক বছরে অনেকগুলি বিদেশি পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দৃঢ়চেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালের বেস রেট ধার্য করার দাবিতেই সওয়াল করে গিয়েছেন।
আরসিইপি কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী মোদিজি এবং তাঁর বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দেশের কৃষক, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী এবং ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের স্বার্থরক্ষার বিষয়েই তাঁদের মতামত পেশ করে গিয়েছেন। তাঁরা এই বিষয়ে যেসব সংশোধনী দাবি করেছেন তারও পিছনে ছিল শুধু দেশের স্বার্থ।
তাঁদের পেশ করা প্রধান ও উল্লেখ্যযোগ্য দাবিগুলির মধ্যে ছিল: ট্যারিফ ডিফারেন্সিয়াল সংশোধন, কাস্টমস ডিউটির বেস রেট পরিবর্তন, চুক্তির অংশ হিসেবে ‘র‌্যাচিট অবলিগেশনস’ (একমুখী ব্যবস্থা)-এ ছাড় এবং লগ্নির সময় ভারতের ফেডারেল ব্যবস্থাকে মর্যাদা দানের দাবি। অগ্রণী ইস্যুগুলির সমাধানে ভারত যে আপস না-করার নীতিতে অবিচল হতে পেরেছে, তার জন্য মোদিজির ‘ডায়নামিক’ ব্যক্তিত্বের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। সত্তরটি আইটেমের অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনায় ভারতের উদ্বেগের বিষয় ছিল পঞ্চাশটি—তার থেকেই একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয়েছে।
আমরা আসিয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কমপ্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) পুনর্মূল্যায়নের কাজ শুরু করেছি। জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় এবং অন্য উন্নত দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যসম্পর্ক প্রভাবিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই উদ্যোগ ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতিতে উন্নীত করতে সাহায্য করবে। এবং, প্রত্যাশিত যে, আমাদের কৃষকরা, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীরা এবং ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর এর সুবিধা পাবে।
আমরা বুঝতে পারছি যে, মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে।
 লেখক ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
 
13th  November, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM