Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। আপনি শুধু একবার বলে দেখুন... নাম-নিশান মুছে দেব।’ বিজেপি নেতা বললেন, ‘তাহলে অপেক্ষা কীসের? দাসত্বের চিহ্ন আর কতদিন বয়ে বেড়াব আমরা...?’ এম এস লিবারহান কমিশনে এক প্রত্যক্ষদর্শী এই বয়ান দিয়েছিলেন। আবার তারপর তুলেও নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এর মধ্যে জড়াতে চান না। তিনি যা দেখেছিলেন, তা বয়ান আকারে লিবারহান কমিশনের খাতায় থেকে গেলে এই মামলা কোনদিকে গড়াত, তা অনুমান করা যায় না। তবে হ্যাঁ, একটা বিষয় পরিষ্কার... অযোধ্যায় তারপর যা হয়েছিল, তার অনেকটা দায়িত্ব বহন করে ওই কথপোকথন। মামলার রায় প্রকাশিত। কোন মামলা? জমি কার... এই একটি প্রশ্নের বহু প্রতীক্ষিত উত্তর অবশেষে মিলেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ‘জমি রামলালার’। অর্থাৎ সেখানে রামমন্দিরই হবে। বাবরি মসজিদ যে জায়গায় ছিল, সেখানেই। কারণ, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট, রামায়ণ ও স্কন্দপুরাণের থেকে শ্লোক উল্লেখ করে শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ১৫২৮ সালে বাবরি মসজিদ নির্মাণের আগে সেখানে অন্য কিছু ছিল। অ-মুসলিম কোনও স্থাপত্য। যার জায়গায় বাবর ওই মসজিদ বানিয়েছিলেন। এবং জমিটিতে কখনওই মুসলিম সমাজের একচ্ছত্র অধিকার ছিল না। অর্থাৎ শতকের পর শতক ধরে এই জমির উপর হিন্দুরা অধিকার জানিয়ে এসেছেন। রামের জন্মস্থলে পৌঁছে মানুষ মাথা নিচু করেছে। পড়াশোনা নেই, দেশের রাষ্ট্রপতির নাম জিজ্ঞেস করলেও হয়তো তাঁরা বলতে পারবেন না সুপ্রিম কোর্টে কী নিয়ে মামলা চলছে... তাঁরা যে শুধুই তীর্থ করতে এসেছেন! রামলালাকে দেখতে এসেছেন। তাঁর জন্মভূমিতে একবার পা রাখতে।
এই বিশ্বাসের নামই যে অযোধ্যা! আর এই বিশ্বাসেরই মর্যাদা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘১৫২৮ খ্রিস্টাব্দের শত শত বছর আগে থেকে শাস্ত্র রয়েছে। যা হিন্দুত্বের মূল উৎস। তার উপরেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস গড়ে উঠেছে তিলে তিলে। বাল্মীকি রামায়ণ এদের মধ্যে অন্যতম, যার দশম শ্লোক থেকে আমরা জানতে পারি শ্রীরাম সম্পর্কে। তাঁর জন্মের সময় এই বিশ্বের আবহ যেমন হয়েছিল, তা দেখা যায় না। বোঝা গিয়েছিলে, এই শিশু সাধারণ নয়। গোটা বিশ্বের পালক। অযোধ্যা তাঁর জন্মে আশীর্বাদধন্য হয়ে উঠেছিল।’ যদিও আদালত আরও জানিয়েছে, অযোধ্যার উল্লেখ থাকলেও রামায়ণে কিন্তু বলা নেই যে শহরের ঠিক কোথায় ভগবান রাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মভূমি বলতে গোটা অযোধ্যাকেই বোঝানো হয়েছে। নিশ্চিতভাবে কোনও জায়গার কথা বলা হয়নি।’ পাশাপাশি স্কন্দপুরাণের প্রসঙ্গ টেনে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রামায়ণের মতো স্কন্দপুরাণেও কিন্তু বিশ্বাস করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। যা কি না খ্রিস্টপূর্ব ৮ শতাব্দীর বলে বিশ্বাস করা হয়। সেখানে কিন্তু বলা আছে, ‘ওই উত্তর-পশ্চিমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাম। বিঘ্নেশ্বরের পূর্বে, বশিষ্ঠের উত্তরে...। অর্থাৎ এটা দেখাই যাচ্ছে ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দের আগের বহু হিন্দু লেখা আছে, যা প্রমাণ করে অযোধ্যার ওই স্থানে রামের জন্ম হয়েছিল।’
ঐতিহাসিক রায়। লালকৃষ্ণ আদবানি আজ খুশি। আর বিতর্কের অবকাশ নেই। অযোধ্যার সেই ২.৭৭ একর জমিতেই রামমন্দির হবে। তাই খুশি আদবানি। ৯৩ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। ৮ নভেম্বর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহদের থেকে শুভেচ্ছা নেওয়ার পর রাতেই তিনি জেনেছিলেন, রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। পরদিনই। কিন্তু আদবানি কি মনে রেখেছেন...? ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের সেই হাড় হিম করে দেওয়া দিনটির আগে তিনি নিজে কী বলেছিলেন? তাঁর সাফ কথাই ছিল, ‘এই ধরনের বিতর্কের ফয়সালা করা আদালতের কাজ নয়। কোর্ট ঠিক করতে পারে না শ্রীরাম এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, নাকি অন্য কোথাও?’ অথচ সেই আদালতই নির্ধারণ করল শ্রীরামের জন্মস্থান। অযোধ্যা। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট, মানুষের বিশ্বাস, আর মামলার পক্ষে পেশ হওয়া বাদী-বিবাদীর তথ্য-প্রমাণ-যুক্তির ভিত্তিতে।
অবশেষে সফল আদবানি। বিজেপির লৌহপুরুষ তিনি। হিন্দুত্ব, রথযাত্রা, রামজন্মভূমি... অটলবিহারী বাজপেয়ি যদি দলের প্রশাসনিক দক্ষতা, শান্তি, বাগ্মিতার প্রতীক হন, আদবানি তাহলে হিন্দুত্বের এজেন্ডাকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার। সমান্তরালভাবে। তিনি ছিলেন কট্টরপন্থায় বিশ্বাসী। আর নরেন্দ্র মোদি অর্গানাইজড পদক্ষেপে। তাই আদবানি সফল, আর মোদি জয়ী। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অবশ্যই কোনও সম্প্রদায়ের জয়-পরাজয় চিহ্নিত করেনি। এই রায় প্রয়োজন ছিল কারণ, এই সংক্রান্ত দীর্ঘ বিবাদ, হিংসা, খুনোখুনি, দ্বিধাবিভক্ত ভারতীয় সমাজকে আরও একবার সবকিছু ভুলে এক হওয়ার বার্তা দেওয়ার ছিল। হিন্দুদের রামমন্দিরের জন্য অন্যত্র জমি দিয়ে যদি মুসলিম সমাজ অযোধ্যার ওই জমিতে ফের বাবরি মসজিদ বানানোর অনুমতি পেতেন, তাহলেও দেশের শান্তি এতটুকু বিঘ্নিত হতো না। দোকানপাট এভাবেই খুলত। আমাদের ছেলেমেয়েরা এভাবেই স্কুলে যেত। রায় যাই হোক না কেন... এটাই নিশ্চিত করেছিলেন মোদি। চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর। কেন্দ্রে তিনি ক্ষমতায়। রাজ্যেও তিনি। নামেই বিজেপি সরকার। এই শিবিরের চালিকাশক্তি যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, তা বোঝার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। তাই লোকসভা ভোট গত এক বছরে ব্যতিক্রম হয়েই এই সত্যিটাকে প্রমাণ করেছে। একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাকফুটে যেতে থাকা বিজেপি লোকসভা ভোটে কিন্তু মারকাটারি ফল করেছে। মানুষ দেখেছে, কুর্সিতে বসবেন উনি... নরেন্দ্র মোদি। বাকি সব রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাওয়ার যাঁর ক্ষমতা নেই। কিন্তু শান্তিরক্ষায় তাঁর আবেদনের দাম আছে। সেটাই রেখেছে ভারত। তাই তিনি জয়ী। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবাই এই রায় মেনেছে... তাই মোদি জয়ী। ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। সেটা ইতিউতি রয়েওছে। তার মানে সেই ক্ষোভ আগুন হয়ে ঝরে পড়াটা কখনওই সমাজতন্ত্রের, গণতন্ত্রের বিজ্ঞাপন নয়। এই ভারত সেটা জানে। তাই মোদি জয়ী। কিন্তু পরবর্তী যত বিধানসভা ভোট আছে, সেই সবেও কি নরেন্দ্র মোদি একইভাবে জয়লাভ করবেন? রামমন্দির কি তাঁকে ভোটযন্ত্রে আশীর্বাদের ফুল ছড়িয়ে দেবে?
ঝাড়খণ্ডের ভোটে এর উত্তর মিলবে না। ছোট রাজ্য। বিজেপি এখানে যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই পশ্চিমবঙ্গের পড়শি এই রাজ্য নিয়ে কারও তেমন মাথাব্যথা নেই। ব্যাপারটা কতক এমন যে, এখানে বিজেপি তো জিতেই রয়েছে। কিন্তু তারপর যে আরও অনেক পথ যাওয়া বাকি! এবং সেক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির হাতে আর কোনও ধর্মীয়-রাজনৈতিক তুরুপের তাস নেই। অযোধ্যা ইস্যুর উপর ভর করে সেই জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের বুকে গেরুয়া আবির ছড়িয়েছে বিজেপি। একের পর এক ভোট এসেছে... গিয়েছে। রামমন্দির নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু বিষয়টিকে উস্কে ভোটের ঝুলি ভরিয়েছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি নিজে অবশ্য হিন্দুত্বের কথা বেশি বলেন না। তিনি বিকাশে বিশ্বাসী। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। স্বপ্নের সওদাগর তিনি। তাই এখনও তাঁর ভোটাররা বিশ্বাস করে, আচ্ছে দিন সত্যি আসবে। আর সেক্ষেত্রে মোদি যে চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না, সে নিয়েও সন্দেহ নেই। তিনি আত্মবিশ্বাসী, অযোধ্যা ইস্যু না থাকলেও ভোটে জিততে তাঁর অসুবিধা হবে না। তাঁর কাজ দেখেই ভারত তাঁকে ভোট দেবে। জেতাবে। আর যদি ২০২৪ সালের মধ্যে সত্যিই রামমন্দির হয়ে যায় তার ডিভিডেন্ড তো কিছু আছেই! তবে এর মধ্যেও প্রশ্ন আছে... অযোধ্যার ফৌজদারি মামলাটির কী হল? ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২... বাবরি সৌধ ধ্বংসের কয়েক মিনিটের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় করসেবকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল অযোধ্যার রামজন্মভূমি থানায়। তার ঠিক ১০ মিনিটের মাথায়, অর্থাৎ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আর একটি এফআইআর হয়। তাতে নাম ছিল, লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলিমনোহর যোশি, উমা ভারতী, অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর, বিনয় কাটিয়ার, বিষ্ণু হরি ডালমিয়া এবং সাধ্বী ঋতাম্ভরার। এর পাশাপাশি আরও ৪৭টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। ৩০০ প্রত্যক্ষদর্শী... ৪৯ জন অভিযুক্ত মারা গিয়েছেন। তারপরও মামলা চলছে ২৭ বছর ধরে। লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে। সুপ্রিম কোর্ট কিন্তু বলেছে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি সৌধ ওইভাবে ভেঙে ফেলাটা অপরাধ। সেটা মোটেই ঠিক কাজ হয়নি। সিবিআই আদালতে শুনানিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এবার সেই রায় যদি বিজেপি ও আরএসএসের হাইপ্রোফাইল সব নেতানেত্রীর বিপক্ষে যায়? সুপ্রিম কোর্ট যে ইঙ্গিত দিয়েছে, তাতে তেমন কিছু হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। বিভিন্ন মহল মনে করছে, সেটা কিন্তু বিজেপির জন্য মোটেই সুখকর হবে না। এখানেও যে একটা অন্য সমীকরণ আছে! সেটা মোদির। অমিত শাহের। হিন্দুত্ব এজেন্ডা বিজেপিতে আছে। থাকবে। কিন্তু মোদি-অমিত শাহের জমানায় তারও যে অভিযোজন হয়েছে! সে আর উন্মুক্ত তরবারি নয়। বিজেপির এখনকার হিন্দুত্ব অর্গানাইজড। তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করে। হিন্দুত্বের নিশান উড়িয়ে বিজেপিকে ধর্মীয় মেরুকরণের ঘোষণা আজ না করলেও চলে। এই এজেন্ডা চোরাস্রোতের মতো ঢুকে পড়ে ভোটারের ঘরে। ভক্তের ঘরে। এর বিস্তার অসীম। কিন্তু চিরন্তন নয়। ছাপোষা মধ্যবিত্তের ঘরে ধর্ম ততক্ষণই ভালো লাগে, যতক্ষণ পেটে ভাত আছে। চাকরি না থাকলে, দু’বেলা দু’মুঠো খেতে না পেলে ধর্মীয় ভাবাবেগ, মন্দির রাজনীতি জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। তাই রাম-রাজনীতি আর নয়, মোদিকে আগে নিশ্চিত করতে হবে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি, মানুষের কর্মসংস্থান, গরিব মানুষের পেটের ভাত। ওই যে তিনি বলেন না... ‘আমি রাষ্ট্রভক্ত’। রাষ্ট্র মানেই তো মানুষ। ভারত মানে ভারতবাসী। পেটে খেলেই যে পিঠে সইবে... এ আজও মিছে কথা নয়! 
12th  November, 2019
মূল্যবোধের রাজনীতি ও
মহারাষ্ট্রের কুর্সির লড়াই
হিমাংশু সিংহ

আজকের নির্বাচনী রাজনীতি যে কতটা পঙ্কিল ও নোংরা তারই জ্বলন্ত প্রমাণ আজকের মহারাষ্ট্র। সঙ্কীর্ণ স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের নেশায় ছোটবড় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই আজ মরিয়া। মহারাষ্ট্রের ফল বেরনোর পর গত তিন সপ্তাহের রাজনীতির নাটকীয় ওঠাপড়া সেই অন্ধকার দিকটাকেই বড় প্রকট করে তুলেছে। ভোটের ফল ও কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন তা নিয়ে দুই পুরনো জোট শরিকের দ্বন্দ্ব যে দেশের বাণিজ্য পীঠস্থান মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রকে এমন নজিরবিহীন সঙ্কটে ফেলবে, তা কে জানত? যে জোট পাঁচ বছর ধরে রাজ্য শাসন করল এবং এবারও গরিষ্ঠতা পেল, সেই জোটই ভেঙে খান খান!
বিশদ

ঘর ওয়াপসি ও কিছু প্রশ্ন
তন্ময় মল্লিক

 ঘর ওয়াপসি। ঘরে ফেরা। ‘ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মুন্নির ঘরে ফেরার কাহিনীর দৌলতে ‘ঘর ওয়াপসি’ এখন আমবাঙালির অতি পরিচিত শব্দ। সেই পরিচিত শব্দটি অতি পরিচিতির মর্যাদা পেয়েছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের ঘন ঘন জার্সি বদলের দৌলতে।
বিশদ

16th  November, 2019
জল বেড়েছে, বোধ বাড়েনি
রঞ্জন সেন

 সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার ফলে পৃথিবীর বহু উপকূলবর্তী দেশ ও দ্বীপ বিপন্ন হবে বলে পরিবেশবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁরা এটাও বলছেন আমরা সবাই মিলে এবং রাষ্ট্রনায়কেরা চাইলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে এই অবস্থার মোকাবিলা করতে পারি। বিশদ

16th  November, 2019
সংবিধানই পথ
সমৃদ্ধ দত্ত

 তিন বছর ধরে সংবিধান রচনার কাজ অবশেষে যখন সমাপ্ত হল, তখন ১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতীয় সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া পেশ করে সংবিধান-সভায় তাঁর সর্বশেষ বক্তৃতায় সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান ড.ভীমরাও আম্বেদকর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ভারতের এই সংবিধানের মূল সুর এবং গণতন্ত্র কি আদৌ শেষ পর্যন্ত আগামী দিনে রক্ষা করা সম্ভব হবে? বিশদ

15th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বুড়ো হবার সব লক্ষণ একেবারে স্পষ্ট। 
বিশদ

14th  November, 2019
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে। বিশদ

13th  November, 2019
ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। বিশদ

13th  November, 2019
প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড!  
বিশদ

11th  November, 2019
ক্ষমতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে কমনিষ্ঠ পার্টি অব মৃত্যুলোকের নয়া পরিকল্পনা
সন্দীপন বিশ্বাস

হাতের চুরুটটা নিভতে নিভতেও আগুন ছুঁয়ে আছে। আর কমরেট প্রমোদিয়েভ ঝিমোতে ঝিমোতেও জেগে আছেন। ওদিকে কমরেট জ্যোতোভস্কি আরাম কেদারায় হেলান দিয়ে টেবিলে পা তুলে দিয়ে টিভি দেখছেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। এখনও অন্য কমরেটরা আসেননি। 
বিশদ

11th  November, 2019
সবার হাতে কাজ ছাড়া ‘সবকা বিকাশ’ অসম্ভব, মন্দির-মসজিদে তো পেট ভরবে না
হিমাংশু সিংহ

২০১৯ প্রায় শেষের দিকে। নতুন বছর আসতে আর বাকি দেড় মাসের সামান্য বেশি। বছরের শুরুটায় আপামর দেশবাসী মেতেছিল সাধারণ নির্বাচন নিয়ে। পাঁচবছরের জন্য কে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে তা ঘিরে রাজনৈতিক দাপাদাপি আর তরজায় জমজমাট ছিল বছরের শুরুটা। বিশদ

10th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

 পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
বিশদ

09th  November, 2019
ফজলুর রহমানের উত্থান, ইমরানের মাথাব্যথা
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা টলমল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! সরকারের অপদার্থতা, ভোটে রিগিং এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জমিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান।  
বিশদ

08th  November, 2019
একনজরে
 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়। হাওড়া: এবার আর ব্লক অফিসে নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে জেলা প্রশাসনের সমস্ত বিভাগকে নিয়ে গিয়ে বৈঠক করতে হবে জেলাশাসকদের। বছরে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তত তিন থেকে চারবার যাতে এই বৈঠক করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় লজিস্টিকস বা পণ্য পরিবহণ ও মজুত রাখা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়তে উৎসাহী বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে তাদের। ওই প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত হতে পারে বলে শনিবার দাবি ...

সংবাদদাতা, আরামবাগ: বিভিন্ন দাবিতে শনিবার আরামবাগে মিছিল করে সিপিএম। সিপিএমের-১ ও ২ নম্বর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এদিন একটি পথসভাও হয়। আরামবাগের ধামসা বাসস্ট্যান্ডে প্রথমে পথসভা ...

সংবাদদাতা, গাজোল: চড়া দামের ঠেলায় পড়ে এবার ভাতের হোটেলগুলিতেও কোপ পড়েছে ‘ফ্রি পেঁয়াজ’-এর উপর। সেইসঙ্গে চাউমিন বা এগরোলের মধ্যেও কমেছে পেঁয়াজের পরিমাণ। শসার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জোড়াতালি।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.০২ টাকা ৭৩.৫৬ টাকা
পাউন্ড ৯০.০৫ টাকা ৯৪.৯০ টাকা
ইউরো ৭৭.১৩ টাকা ৮১.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  November, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ কার্তিক ১৪২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ৩১/১৫ রাত্রি ৬/২৩। পুনর্বসু ৪২/৪৪ রাত্রি ১০/৫৯। সূ উ ৫/৫৪/৩, অ ৪/৪৮/৫৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ১/৩৩ মধ্যে পুনঃ ২/২৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/০ গতে ১২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/৩৯ মধ্যে।
৩০ কার্তিক ১৪২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ২৮/২৫/৫০ সন্ধ্যা ৫/১৭/৫৯। পুনর্বসু ৪১/৫৬/২২ রাত্রি ১০/৪২/১২, সূ উ ৫/৫৫/৩৯, অ ৪/৪৯/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ গতে ৮/৫৭ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৭ গতে ৯/১৪ মধ্যে ১১/৫৩ গতে ১/৪০ মধ্যে ও ২/৩৩ গতে ৫/৫৭ মধ্যে, বারবেলা ১০/০/৪৫ গতে ১১/২২/২৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/২২/২৬ গতে ১২/৪৪/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/০/৪৫ গতে ২/৩৯/৩ মধ্যে।
১৯ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো হবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীদের সুখবর ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক ছাত্র দিবস১৫২৫ - সিন্ধু প্রদেশের মধ্য দিয়ে মোগল সম্রাট ...বিশদ

07:03:20 PM

সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড 

04:12:19 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের আমিরাবাদ গ্রামে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা 

03:21:29 PM

আইসিসি টেস্ট বোলারদের তালিকায় প্রথম দশে স্থান পেলেন মহঃ সামি 

03:21:00 PM

ইকো পার্কে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের 

03:11:00 PM