Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড! ধরা যাক, কোনও যুবা প্রেমিকপুরুষ প্রেমিকার সঙ্গে নিভৃত মিলনের জন্যে একটি ডেট দিয়েছে। এবং, নির্দিষ্ট দিনক্ষণে ঘর ছেড়ে নিভৃত স্থানে প্রেমিকা চলেও এল। তখন প্রেমিক কী করবে? আবেগে রোমান্সে প্রেমিকার সঙ্গে মিলিত হবে নিশ্চয়। অবশ্যই কলহ বিতর্কে সুযোগটি মাটি করে দেবে না। কিন্তু, উল্লিখিত পুরুষ বিশারদটি করে বসল উল্টোটাই। এই বিশারদ কে? পিরিতির শিরোমণি গোপীকান্ত রাধাকান্ত স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। মিলনের প্রাকরাস পর্বে একটি ভয়ঙ্কর সংকট তৈরি করে ফেলল। একরকম অবাঞ্ছিত ঘোর অশান্তি।
কাত্যায়নী ব্রতদিনেই যমুনা পুলিনে হচ্ছে বস্ত্রহরণ। গোপীদের সেসময় কথা দিয়েছিল প্রেমিক কৃষ্ণ। শারদ পূর্ণিমার চাঁদিনি রাতে আমি তোমাদের সঙ্গে মিলিত হব। এবং, এই কথামতোই সেদিন যথাসময়ে বংশীধ্বনি করে আবাহনও করল কৃষ্ণ। মোহিনী রাত, উজ্জ্বল নীলাকাশ, ফুলময় কুঞ্জবনে ভ্রমরার গুঞ্জন। রাসপূর্ণিমার বহু বাঞ্ছিত রাত্রি। এবং স্বামী স্বজন পরিজন আর সর্বস্ব ছেড়ে একমাত্র কৃষ্ণমুখী হয়ে গোপীরা নিকুঞ্জবনে উপস্থিত। ওরা তখন প্রেমে উন্মাদিনী। এবং, হরিষে বিষাদ। অভাবনীয় সংকট শুরু। ভাবা যায় না।
এহেন পরিমণ্ডলে নাগর কানাইয়ের অবিশ্বাস্য প্রতিক্রিয়া পুরোপুরি বদলে গেল। গোপীকান্তর চিত্রটা পুরো বিপরীত। গোপীদের দর্শন মাত্রই বিস্ময়। নির্লিপ্ত নির্বিকার উদাসীন এবং বিরক্ত। পারদ চড়ছে ক্রমে। অবজ্ঞা অবমাননা অপমান। নেপথ্য থেকে সবই দেখছে যোগমায়া, দেখছে প্রকৃতি। কৃষ্ণ-মানসের কী আশ্চর্য বৈপরীত্য! হঠাৎ করেই শুষ্ক সম্বোধন। ‘স্বাগতং বো মহাভাগাঃ’। সৌজন্যসার নিষ্প্রাণ সম্বোধনের পরেই বলছে, ‘‘তোমরা কেন এসেছ? বলো, আমি তোমাদের কী উপকার করতে পারি। ব্রজের কোনও অমঙ্গল হয়েছে কি?’’ ইত্যাদি মামুলি কথায় প্রেমিকাকুল শুধু বিস্মিতই নয়, নৈরাশ্যে শীতল। এ কী ব্যবহার প্রিয়তমের! অন্তর্যামী কৃষ্ণ, মনোবিদ কৃষ্ণ কিন্তু গোপীদের নৈরাশ্যটি ভালোই বুঝেছে। তারপরই বলছে, ‘‘তোমরা তো সুন্দরী যুবতী। তাতে আবার এখন রাত্রিকাল। নির্জন বন, পথঘাট বিপদ সংকুল। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি তো একজন পরপুরুষ। তাই বলছিলাম কী, তোমাদের আর এখানে থাকা ঠিক নয়। ব্রজে ঘরে ফিরে যাও।’’
গোপীরা ভেবে কুলকিনারা পায় না। এসব কী শব্দাবলি। পরপুরুষ, ঘরে ফিরে যাও, প্রিয়তমের মুখে এসব কী কথা! এদিকে কৃষ্ণ আরেকটি বাক্যবাণ ছুঁড়ল—‘‘দেখো, আমি তো ব্রহ্মচারী, সবাই জানে লোকনিন্দা বলে তো একটা কথা আছে।’’ এত তীব্র উপেক্ষায় গোপীরা দিশাহারা। আবার বলছে কৃষ্ণ, ‘‘আমার ইচ্ছা ও নির্দেশ যদি তোমরা না মানো, তবে তোমরা থাকো। আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি। পরনারীর সঙ্গে এই নির্জন পরিবেশে থাকতে আমি রাজি নই। লোকনিন্দা লোকভয় আমার তো আছে। তোমরা চলে যাও।’’ ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে গোপিকাদের। উপেক্ষা অপমানে তির বেঁধা হংসী ওরা। তবু সংগ্রামী শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে ছাড়ছে না। ভাবছে, দেখা যাক না, কে হারে কে জেতে।
কোমল কণ্ঠেই বলল গোপীরা, ‘‘প্রাণধন তোমার পাদপদ্মই তো আমাদের সবচেয়ে নিরাপদ ঠাঁই। তবে কেন নিরাপত্তা পরপুরুষ লোকনিন্দার কথা বলছ। এ কী দুঃস্বপ্ন দেখছি আমরা!’’ চোখের জল ঝরিয়ে তারপর বলল, ‘‘না আমরা ঘরে ফিরব না। সর্বস্ব ত্যাগ করে যখন এসেছি, তখন ঘরে আর ফিরব না। বাঁশিতে ডেকে এনে এখন সাধু উপদেশ! তোমার চরণেই নিজেদের সঁপে দেব। এটা আমাদের দৃঢ় সিদ্ধান্ত।’’
কৃষ্ণের মন গলল না। বলছে, ‘‘তোমরা ঘরে গিয়ে পতিসেবা করো। শিশুদের দুগ্ধ পান করাও। জানি তোমরা আমাকে ভালোবাসো। ব্রজের পশুপাখিরাও আমাকে ভালোবাসে।’’ কৃষ্ণের এই যুক্তিতে হার মানল না গোপীকুল। অবাক হচ্ছে বরং। ব্রজের সবার সঙ্গে আমাদের ভালোবাসার উপমা! হায় বিধি। এমনতরো মূল্যায়ন ভালোবাসার! তির ছুঁড়ল আবার কৃষ্ণ—‘‘আমার প্রতি আসক্ত হয়ো না। সতী-ধর্ম নষ্ট কোরো না। আমি তো পরপুরুষ।’’ বজ্রসম এই যুক্তি। অচলা গোপীরা বলছে উত্তরে, ‘‘আমাদের অন্তর তো তুমি নয়। তোমার সেবাই তো আমাদের পতিসেবা। তুমি তো গোপীকান্ত।’’ সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণের যুক্তি—‘‘পতি ছাড়া অন্য পুরুষে প্রেম খুবই কুৎসিত। স্বর্গপ্রাপ্তির বড় বাধা। এটা ঔপপত্য অপরাধ। ঘরে ফিরে যাও।’’—‘‘না, স্বর্গ চাহি না, পুণ্য চাই না, ঔপপত্য দোষ মানি না।’’ বাণ ফুরোয়নি কৃষ্ণের সহজে। বলছে, ‘‘তাই নাকি! কিন্তু এতে যে ভালোবাসা নেই, সেটা জানো না। আর এতে তো আমিও দোষী হয়ে যাব। তো আমার ক্ষতি করা কি তোমাদের ভালোবাসা? যদি তাই চাও, তবে সেই প্রেম আমি বুঝতে অক্ষম। বরং দূর থেকে আমার ধ্যান করো। কিন্তু অঙ্গস্পর্শে প্রেমকে এবং আমাকে কলঙ্কিত কোরো না। ঘরে গিয়ে গৃহধর্ম করো বরং।’’
যন্ত্রণায় বিদ্ধ হয়েও কৃষ্ণপ্রেমে অবিচল গোপীরা। নিখাদ প্রেম এমনই। রবীন্দ্র ভাবনায় দেখি, ভালোবাসা কারে কয়। তাই তো কবির কথা, ‘‘আরো আরো প্রভু আরো, এমনি করে আমায় মারো।... যা কিছু আছে সব কাড়ো কাড়ো।’ গোপীদের ভালোবাসা কি রবীন্দ্রকথাতে এমনি করেই প্রতিফলিত! সেই প্রতিফলিত আলোর অক্ষরেই দেখতে পাই,‘ও নিঠুর আরো কি বাণ তোমার তুণে আছে। তুমি মনে আমায় মারবে।’ গোপীপ্রেম-কৃষ্ণপ্রেম—উপেক্ষা কেমন যেন রহস্যময় হয়ে উঠছে। তবু আরও গভীরে যাওয়া যাক না।
গোপীদের বিরহ ও অন্তর্বেদনা প্রসঙ্গে একটি দৃষ্টান্তে শ্রীমদ্‌ মহানামব্রত ব্রহ্মচারী কী বলেছেন, সেটা ভাবা যাক। চৈতন্য পারিষদ সনাতন গোস্বামী কৃষ্ণের গোপীদের উদ্দেশে বলা দশটি শ্লোকের ব্যাখ্যা করেছেন। মহানামব্রতজি ভাগবতের ১০ম স্কন্ধের ২য় খণ্ডের ফেলালবে ওই বিশেষ ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বড় অন্তরস্পর্শী ইমেজ সৃষ্টি করেছেন। বলেছেন, ‘‘দশটি শ্লোক নয়, দশটি ইন্ধন—শুষ্ক কাষ্ঠ। তাতে সংযোগ করিয়াছেন ঔদাস্য বহ্নি।’’ অর্থাৎ কৃষ্ণের গোপীদের উদ্দেশে শ্লোক যেন গোপীদের বিরহের আগুনে ইন্ধন জুগিয়েছে। মহানামব্রতজি ফেলালবে আরও বলেছেন ‘করাতিরা যখন করাত দিয়া কাঠ ফাড়ে, তখন আগে কালো রেখা টানিয়া লয়, তারপর সেই দাগে কাটে। গোপীর অঙ্গে কালো রেখা খবর দিতেছিল এখনই কৃষ্ণের বিরহ ক্রকচ (করাত) তাঁহাদের দেহ কাটিয়া খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিবে।’’ গোপী বিরহের উদাহরণ অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। গোপীরা এই যন্ত্রণা ও কৃষ্ণের উপেক্ষার মধ্যেও বলল, কৃষ্ণচরণে আত্মসমর্পণের কথা। বলল, ‘‘তোমার পদে রাখো আমাদের।’’ কৃষ্ণগত একনিষ্ঠ প্রাণই পারে এমন কথা বলতে। ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিল এই ‘পদে রাখো’ মিনতির কথা। তুমুল যুদ্ধ চলছিল। সুতীব্র উপেক্ষা অবমাননা। কিন্তু বিস্ময়ের এই যুদ্ধাগ্নিতে জল ঢেলে দিল গোপীদের ‘পদে রাখো’ কথাটি। এক মুহূর্তে। অমনি ভক্তের অবিচল প্রেম ভক্তির অন্তহীন নিষ্ঠায় বিগলিত হয়ে গেল যন্ত্রণাদাতা কৃষ্ণ। বলল, ‘‘চলো নিকুঞ্জে যাই। পূর্ণ হবে প্রেম তৃষ্ণা। স্বচ্ছন্দে বিহার করো। যাচ্ঞা করিয়াছ যাহা যাহা, লুটিয়া লও স্বচ্ছন্দে। খুলিয়া দিলাম অন্তরের কপাট।’’ তখন পদ্মপলাশ নয়নে কৃষ্ণের শুধু প্রেম আর করুণা।
কিন্তু, এই যে মিলনের সহৃদয় ডাক, তার আগে এত দীর্ঘকাল বিরহ যন্ত্রণায় গোপীদের দগ্ধ করার কী দরকার ছিল? বংশীধ্বনিতে আহ্বান করে কেন এত আঘাতের পর আঘাত। দরকার ছিল বইকি। কৃষ্ণ প্রেমভক্তির গভীরতার পরীক্ষা নিল যে। তাই পরীক্ষা, তাই বিরহ। বিরহ ছাড়া মিলন অপূর্ণ। রাসলীলার পরিপূর্ণ সর্বাত্মক আস্বাদনের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন বিরহের। আর এটাই ছিল ‘যোগমায়া’র একটি মূল্যবান কৌশল। সেই কৌশলে বিরহ পরীক্ষায় সমর্যাদায় উত্তীর্ণ গোপীগণ। গোপীপ্রেম যে কত নিখাদ, কত গভীর কত পরিপূর্ণ তা সর্বৈব প্রমাণিত হয়ে গেল যোগমায়ার কৌশলাত্মক মহাপরীক্ষায়। কঠিন বেদনার পরীক্ষায় প্রেমের উজ্জ্বল বার্তাটি প্রকাশিত। যার যোগ্যতর উদাহরণ দুর্লভ।
এবার গোপীদের সঙ্গে প্রেমের রাসলীলা শুরু। শ্রীরাধারমণ গোপিকাকান্ত কৃষ্ণচন্দ্র গোপীদের নিবিড় বেষ্টনে প্রেমলীলায় ডুবে গেল। এখন মধুময় প্রেমময় নিকুঞ্জবন। আনন্দলহরীতে বংশীধ্বনি মূর্ছনায় রাসবাসর এবার মুখরিত।

 
11th  November, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী জনসভা, রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও

10:56:57 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: চেন্নাইতে ভোট দিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত

10:53:32 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: জয়পুরে ভোট দিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী দিয়া কুমারী

10:53:02 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: চেন্নাইতে ভোট দিলেন অভিনেতা বিজয় সেতুপথি

10:52:15 AM

ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে বোমা বিস্ফোরণে জখম এক সিআরপিএফ জওয়ান

10:50:45 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: গ্যাংটকে ভোট দিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং

10:50:39 AM