Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব: ফিরে দেখা
জিষ্ণু বসু

রুশ বিপ্লবের গৌরবগাথা শুনেই আজকের বাঙালি বড় হয়েছে। জারের অত্যাচার থেকে রাশিয়ার মানুষকে বাঁচানোর জন্য বিপ্লব হয়েছিল কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে। আশির দশক পর্যন্ত বাঙালির ঘরে ঘরে ‘সোভিয়েত দেশ’ পত্রিকা আসত। ওইসব পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে আর দেশের বর্ণনা পড়ে মনে হতো পৃথিবীতে যদি স্বর্গ কোথাও থেকে থাকে তো সেটা সোভিয়েত রাশিয়া। আর এই স্বর্গের যিনি নির্মাতা তিনি কমরেড জোসেফ স্তালিন।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন ভেঙে গেল কেবল তখনই বাইরের সংবাদমাধ্যম রাশিয়ার ভেতরটা দেখতে পেল। দেখা গেল স্বর্গ তো দূরের কথা, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, দুর্নীতিতে জর্জরিত দেশটার অবস্থা নরকের থেকেও খারাপ। ক্ষুধা এতটাই ভীষণ যে একটি ১৭ বছরের মেয়ে একবেলা পেট ভরে খেতে পাওয়ার বিনিময়ে জীবনের সবটুকু দিতেও রাজি আছে! সবকিছুই লুকিয়ে রাখা হতো। চেরনোবিল-এর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভয়ানক ঘটনাও কমিউনিস্ট সরকার প্রথমে লুকাবার চেষ্টা করেছিল।
সোভিয়েতের পতনের পরে ধীরে ধীরে সব সত্য সামনে এসে গেল। এমনকী রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি’র অতি গোপন ফাইলও সারা পৃথিবীর মানুষ দেখতে পেল। আজকের গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিস্তৃত বর্ণনা, বৈজ্ঞানিক যুক্তিবোধ এসবের নিরিখে নভেম্বর বিপ্লবের পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন। কেবল কমিউনিজমের প্রতি ভক্তিভাব নিয়ে এই ঐতিহাসিক ঘটনার বিশ্লেষণ করা এক ধরনের ধর্মান্ধতা। আধুনিক যুক্তির আলোকে রুশ বিপ্লবের ঘটনাকে ফিরে দেখা প্রয়োজন।
প্রথমেই বলা দরকার যে, ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসের ৭ তারিখে মস্কোতে জারের শাসনের পতন হয়নি। সে বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই জারের সাম্রাজ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল। দেশে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কিয়েরেনস্কির নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভা আর দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধরে রাখার জন্য একটি সংসদও গঠিত হয়েছিল, রুশ ভাষায় যাকে ‘ডুমা’ বলা হতো। ৭ নভেম্বর মধ্যরাত্রে বলশেভিকরা এই ডুমার সদস্যদের হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। ত্রোৎস্কির নেতৃত্বে বলশেভিকদের এই অভিযানে সহায়তা করেছিলেন ‘জার্মান গোল্ড’ দিয়ে কেনা সরকারি আধিকারিক ও সৈনিকদের একাংশ। গণতন্ত্র সমাপ্ত হওয়ার পরে, ৮ নভেম্বর অজ্ঞাতবাস থেকে আত্মপ্রকাশ করেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিওনভ ওরফে লেনিন। পেত্রোগার্দ, মানে আজকের সেন্ট পিটার্সবাগে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন লেনিন।
৫ মে ১৯২০ আরও একটি বিখ্যাত ভাষণ দেন লেনিন। মস্কোর শ্রেদলোফ স্কোয়ারে সেই বক্তৃতাস্তম্ভের ঠিক নীচে দাঁড়িয়েছিলেন লিঁওফ ত্রোৎস্কি। যাঁর আসল নাম ছিল লেভ ডাভিডোভিচ ব্রণস্টেইন। পরে অবশ্য স্তালিন সেই ছবিটিকে বিকৃত করে বিশ্বের দরবারে পেশ করেন। ত্রোৎস্কিকে সরিয়ে সেখানে কয়েকটি কাঠের তক্তা রাখা হয়। সেটা ফটোশপের যুগ ছিল না, তবু রুশ শিল্পীরা ভালোই কাজ করেছিলেন কমরেড স্তালিনের আদেশে। ঐতিহাসিক ওই দিনগুলির কথা বিস্তৃতভাবে লিখেছিলেন এক তরুণ মার্কিন সাংবাদিক জন রিড। ‘দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন’ পুস্তকে ত্রোৎস্কির বীরত্বের কথাই বলা আছে। ১৯১৯ সালে লেনিন এই বইটি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর শ্রমিকদের কাছে এই বইটি পড়ার জন্য আমি সুপারিশ করছি। আমি চাই পৃথিবীর সব ভাষায় এই সত্যনিষ্ঠ বইটির কোটি কোটি কপি ছাপা হোক’। ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর জনের মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মৃত্যু হওয়ার পর তাঁকে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে ক্রেমলিন ওয়াল নেক্রোপলিস প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। কিন্তু লেনিনের মৃত্যুর পরে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টাতে থাকে। যেহেতু জন রিড তাঁর গ্রন্থে স্তালিনের ভূমিকা বিশেষ বর্ণনা করেননি, তাই খোদ রাশিয়াতেই নিষিদ্ধ হয়ে গেল ‘দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন’।
শুরু হল ত্রোৎস্কিকে মুছে ফেলার পালা। ত্রোৎস্কি ১৯১৮ সালের বসন্তে ‘রেড আর্মির’ প্রধান হয়েছিলেন। সেই বীরকেই নিজের দেশ ছেড়ে যেতে হল প্রাণ বাঁচাতে, স্ত্রী আর পুত্রকে নিয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। প্রথমে তুরস্কে, তারপর ফ্রান্সে, এরকম হতে হতে তাঁর শেষ ঠিকানা হয়েছিল মেক্সিকো। কিন্তু ১৯৩৯ সালের শেষের দিকে স্তালিন ত্রোৎস্কিকে মারার জন্য এন কে ভি ডি’র আধিকারিক পাভেল সুডোপলাটভকে নিয়োগ করলেন। তাঁরা মেক্সিকোর স্থানীয় দু-একজন পেশাদার খুনিকেও ভাড়া করেন। ১৯৪০ সালের ২৪ মে এই দল ত্রোৎস্কির বাড়ি আক্রমণ করে, তাঁর ১৪ বছরের নাতিকে গুলি করে আততায়ীরা। সেই বছর ৮ জুন ত্রোৎস্কি লিখলেন, ‘স্তালিন আমার মৃত্যু চান।’ তারপর শেষের সেই দিন এসে গেল। ১৯৪০ সালের ২০ আগস্ট বরফ কাটার কুড়ুল দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করা হল তাঁকে। একদিন পরেই মৃত্যু হল লেনিনের মূল সহযোগী ত্রোৎস্কির, হত্যার মূল যন্ত্রী ছিলেন জোসেফ স্তালিন।
রোমানভ পরিবারের হত্যাকাণ্ডও পৃথিবীর নির্মমতার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। জার দ্বিতীয় নিকোলাস তো বহুদিন ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। তার পর থেকে ওই পরিবারকে জবাই করতে
আনা পশুর মতো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে
নেওয়া হতে থাকে।
পরিবারের সদস্যরা; জার, জারিনা আলেকজান্দ্রা, চার মেয়ে ওলগা, মারিয়া, তাতিয়ানা, আনাস্তাসিয়া, একটি মাত্র ছোট ছেলে অ্যালেক্সি। ইকাটেরিনবুর্গের এক ইঞ্জিনিয়ারকে হত্যা করেছিল বলশেভিকরা। শেষে সেই বাড়িটাতেই রোমানভদের রাখা হয়েছিল। বাড়ির কোনও দরজায় ছিটকানি ছিল না। চার-চারটি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নিয়ে জারিনার জীবন মৃত্যুর সমান হয়ে গিয়েছিলেন। বাইরের যে কোনও লোক তাঁদের শয়ন কক্ষে, স্নানঘরে ঢুকে পড়ত। এত অত্যাচার করেও ওই পরিবারের সদস্যদের নিস্তার দেওয়া হয়নি। ১৯১৮ সালের ১৭ জুলাই ওই পরিবারের সব সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দুটি মেয়ে গুলি লাগার পরেও নড়ছিল। তাই বলশেভিকরা তাদের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
ইউরোভস্কি নামে চেকার এক অফিসার এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনিই জারকে এক লাইনের বিচার শুনিয়েছিলেন, ‘নিকোলাই আলেকজান্দ্রোভিচ, যেহেতু তোমার আত্মীয়রা এখনও সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে, তাই ইউরাল এক্সিকিউটিভ কমিটি তোমাদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ জার বাচ্চাদের দেখছিলেন, একবার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী? কী বললে?’ ইউরোভস্কি ঝটপট রায়টি আরেকবার পড়েই নিজের কোল্ট রিভলভার বের করে গুলি চালানো শুরু করলেন। মারিয়া, ওলগা পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মিলিটারি অফিসার পিটার ইরমাকভের বন্দুক গর্জে উঠল। এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তৃত বর্ণনা ইউরোভস্কি শ্রদ্ধাভরে মস্কোতে পাঠিয়েছিলেন।
এতকিছুর পরেও যে শাসন ব্যবস্থা রাশিয়াতে এসেছিল, তা যে কত নিষ্ঠুর ছিল সেটাও আলোচনা প্রয়োজন। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেতরে মানুষ কেমন ছিলেন? সে স্বপ্নের কথা শুনে বাংলার দুই প্রজন্ম বড় হয়েছে। সেই শ্রেণীহীন সমাজ বা সমগ্র সমাজে শ্রেণীচেতনার বিকাশ কেমন হয়েছিল? ১৯৯১ সালে সাত দশকের সোভিয়েত শাসনের পরে যখন ইউনিয়ন ভেঙে গেল তখন তার থেকে চারটি ইসলামিক রাষ্ট্র আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাকিস্তান আর উজবেকিস্তানের জন্ম হয়েছে। এত বছরের কমিউনিস্ট শাসনেও এইসব জায়গায় একবিন্দুও শ্রেণীচেতনা বাড়েনি আর মৌলবাদের প্রভাবও কমেনি।
কমিউনিস্ট শাসকরা এক একটি প্রাচীন জাতির উপর নিজেদের মত চাপিয়েছিলেন। যেসব জনগোষ্ঠী তা মানতে চায়নি তাদের উপর নির্দয় অত্যাচার নেমে এসেছে। এই রকম শত শত মর্মন্তুদ ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ছিল ইউক্রেনের ‘হলোডোমার’। হলোডোমার অপারেশন স্তালিন চালিয়েছিলেন ১৯৩১-৩২ সালে। কেবল খাদ্যশস্য বন্ধ করে দিয়ে স্তালিন এক বছরের কিছু বেশি সময় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার সাধারণ ইউক্রেনবাসীকে হত্যা করেছিলেন।
যতদিন পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের অস্তিত্ব ছিল ততদিন সারা পৃথিবীতে কমিউনিজমের নামে এই নিষ্ঠুরতাকে নির্লজ্জভাবে চালানো হয়েছে। শিক্ষিত রুচিশীল বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের একাংশ বৃহত্তর মানবিক স্বার্থের নামে এইসব অমানবিক কাজের সমর্থন করতেন। ডুমা সদস্যদের হত্যা এক অর্থে গণতন্ত্রের হত্যাই ছিল। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সমাপ্তি না ঘটালে সর্বহারার একনায়কতন্ত্র সম্ভব নয়। তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সঙ্গে যারাই যুক্ত, তাদেরকে শেষ করলেই বিশ্বজুড়ে যৌথ খামার হবে। এই আকাশকুসুম কল্পনাতে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষের প্রাণ গেছে।
এই বছরই এপ্রিল মাসে ওড়িশার কান্দামাল জেলায় লোকসভা ভোটের সময় সংযুক্তা দিগলের হত্যায় আবার এক প্রশ্ন সামনে উঠে এল। ৩১ বছরের তফসিলি জাতির দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সংযুক্তা ছিলেন প্রথম প্রজন্মের শিক্ষিত। সরকারি আধিকারিকের চাকরি পেয়েছিলেন নিজের যোগ্যতায়। গত বছরই বিয়ে হয়েছিল সংযুক্তার। কিন্তু অতিবিপ্লবীরা ভোট নিতে যাওয়ার অপরাধে তাঁর সব স্বপ্ন শেষ করে দিল। নভেম্বর বিপ্লবের শতবর্ষে ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে’ ডেভিড স্যাটারের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল, ‘হান্ড্রেড ইয়ার্স অফ কমিউনিজম অ্যান্ড হান্ড্রেড মিলিয়ন ডেড’। লেখায় উঠে এসেছে গত ১০০ বছরে বিপ্লবের নামে কীভাবে ১০ কোটি মানুষের প্রাণ গিয়েছে।
এই তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সেন বা কান্দামালের সংযুক্তা দিগলের মতো নিরপরাধ মানুষের নামও যুক্ত হওয়া উচিত। ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লবের দিবস সেই সব মানুষের বলিদানেরও স্মরণের দিন।
 লেখক কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট অফ
নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত।
07th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বুড়ো হবার সব লক্ষণ একেবারে স্পষ্ট। 
বিশদ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে। বিশদ

13th  November, 2019
ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। বিশদ

13th  November, 2019
অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। 
বিশদ

12th  November, 2019
প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড!  
বিশদ

11th  November, 2019
ক্ষমতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে কমনিষ্ঠ পার্টি অব মৃত্যুলোকের নয়া পরিকল্পনা
সন্দীপন বিশ্বাস

হাতের চুরুটটা নিভতে নিভতেও আগুন ছুঁয়ে আছে। আর কমরেট প্রমোদিয়েভ ঝিমোতে ঝিমোতেও জেগে আছেন। ওদিকে কমরেট জ্যোতোভস্কি আরাম কেদারায় হেলান দিয়ে টেবিলে পা তুলে দিয়ে টিভি দেখছেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। এখনও অন্য কমরেটরা আসেননি। 
বিশদ

11th  November, 2019
সবার হাতে কাজ ছাড়া ‘সবকা বিকাশ’ অসম্ভব, মন্দির-মসজিদে তো পেট ভরবে না
হিমাংশু সিংহ

২০১৯ প্রায় শেষের দিকে। নতুন বছর আসতে আর বাকি দেড় মাসের সামান্য বেশি। বছরের শুরুটায় আপামর দেশবাসী মেতেছিল সাধারণ নির্বাচন নিয়ে। পাঁচবছরের জন্য কে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে তা ঘিরে রাজনৈতিক দাপাদাপি আর তরজায় জমজমাট ছিল বছরের শুরুটা। বিশদ

10th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

 পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
বিশদ

09th  November, 2019
ফজলুর রহমানের উত্থান, ইমরানের মাথাব্যথা
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা টলমল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! সরকারের অপদার্থতা, ভোটে রিগিং এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জমিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান।  
বিশদ

08th  November, 2019
ঘরে ঘরে হানাদার 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উওটার স্লটবুম আমস্টারডামের একটি কাফেতে ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ডাচ সাংবাদিক। কাফেতে ওয়াই-ফাই চলছে। স্লটবুম একটি চেয়ার টেনে বসে তাঁর ল্যাপটপটা খুললেন। পাশে ছোট কালো রঙের একটা ডিভাইস।  বিশদ

05th  November, 2019
মর্ত্যলোক থেকে ঘুরে গিয়ে শিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিল টিম-দুর্গা
সন্দীপন বিশ্বাস

মর্ত্য থেকে ফিরে প্রতিবারই শিবের কাছে টিম-দুর্গা একটা করে রিপোর্ট জমা দেয়। ‘পিতৃগৃহং পরিক্রমণং সন্দেশম্‌’ ফাইলে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে এবং শিব সেই রিপোর্ট পড়ে মর্ত্যধামের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হন। এবারও যথারীতি প্রত্যেকে তাঁদের রিপোর্ট ‘মহাদেব অ্যাট কৈলাস ডট কমে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওটা শিবের ই-মেল অ্যাড্রেস। 
বিশদ

04th  November, 2019
অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বিদেশিদের সফর, রহস্যময়ী
ম্যাডি শর্মা ও পাঁচ বাঙালির নৃশংস হত্যা 
হিমাংশু সিংহ

কাকতালীয় ঘটনা হলেও সত্যি! বাংলার পাঁচ শ্রমিককে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন করার দিনেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যে অবরুদ্ধ কাশ্মীর সফর করেছেন একঝাঁক বিদেশি প্রতিনিধি।
বিশদ

03rd  November, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বুলবুলের কারণে হাওড়া জেলায় ৮৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর থেকে নবান্নে যে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, মূলত আমতা ১ ও ২, শ্যামপুর ১ ও ২, বাগনান ১ ও ...

বিশ্বজিৎ মাইতি, বারাসত, বিএনএ: গ্রামীণ ডাক সেবকদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার জন্য এবার শিক্ষা ভাতা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি জেলার পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্টদের কাছে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ওই নির্দেশিকার সঙ্গে এই ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদনের ফর্ম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকেই ...

ইন্দোর, ১৩ নভেম্বর: ৩২টি টেস্ট খেলে ২৬টি’তে জয়। পাঁচটি ড্র। একটিতে হার। ২০১৩ সাল থেকে ঘরের মাঠে লাল বলের ক্রিকেটে ‘টিম ইন্ডিয়া’র সাফল্যের এই পরিসংখ্যানই ...

সংবাদদাতা, গুসকরা: আউশগ্রামের সরগ্রামে হস্টেলে বড় ছেলেকে পোশাক দিতে এসে স্ত্রী ও ছোট ছেলে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করলেন গলসির মেরুয়াল গ্রামের বাসিন্দা সোমলাল মার্ডি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আউশগ্রাম থানায় এনিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তিনি।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৩ টাকা ৭৩.২৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.০১ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.১৫ টাকা ৮০.৮৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ কার্তিক ১৪২৬, ১৪ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয়া ৩৫/৭ রাত্রি ৭/৫৫। রোহিণী ৪২/১৮ রাত্রি ১০/৪৭। সূ উ ৫/৫২/৭, অ ৪/৪৯/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৬ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
২৭ কার্তিক ১৪২৬, ১৪ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয়া ৩৪/৪২/৫২ রাত্রি ৭/৪৬/৩৬। রোহিণী ৪৪/২/৫২ রাত্রি ১১/৩০/৩৬, সূ উ ৫/৫৩/২৭, অ ৪/৫০/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩০ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৫২ গতে ৩/২৫ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৪ মধ্যে, বারবেলা ৩/২৮/২০ গতে ৪/৫০/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/৬/১২ গতে ৩/২৮/২০ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২১/৫৭ গতে ১২/৫৯/৫০ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। বৃষ: প্রেমে সাফল্য। মিথুন: কর্মক্ষেত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস১৮৮৯: পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্ম ও শিশুদিবস১৯৭১: অস্ট্রেলিয়ার ...বিশদ

07:03:20 PM

  এবার রাজভবনেও হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ
এবার রাজভবনেও তৈরি হল হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। ১০২ জন ...বিশদ

06:07:00 PM

রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য?
নির্দিষ্টভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কথায় চলছেন রাজ্যপাল। আজ এভাবেই রাজ্যপালের ...বিশদ

05:59:00 PM

হেলিকপ্টার না পাওয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি রাজভবনের
আগামীকাল শুক্রবার স্থলপথেই ৬০০ কিমি যাত্রা করবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ...বিশদ

05:48:00 PM

প্রথম টেস্ট: প্রথম দিনের শেষে ভারত ৮৬/১ 

05:07:03 PM