Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বিদেশিদের সফর, রহস্যময়ী
ম্যাডি শর্মা ও পাঁচ বাঙালির নৃশংস হত্যা 
হিমাংশু সিংহ

কাকতালীয় ঘটনা হলেও সত্যি! বাংলার পাঁচ শ্রমিককে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন করার দিনেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যে অবরুদ্ধ কাশ্মীর সফর করেছেন একঝাঁক বিদেশি প্রতিনিধি। আমাদের দেশের নেতানেত্রীরা যখন ব্রাত্য তখনই আর্ন্তজাতিক ‘বিজনেস ব্রোকার’ রহস্যময়ী ম্যাডি শর্মার ব্যবস্থাপনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের আঠাশজন প্রতিনিধি তিনদিনের ভারত সফরে এসেছিলেন। কাশ্মীরে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ২৩ জন। বাকি পাঁচজন কেন দিল্লি এসেও কাশ্মীরে সরকারি কন্ডাকটেড ট্যুরে গেলেন না তা অজ্ঞাত। মূলত দুটো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা এদেশে এসেছিলেন। এক নম্বর উদ্দেশ্য, যখন কাশ্মীরে দেশের তাবড় নেতানেত্রী, সাধারণ মানুষই যাওয়ার ছাড়পত্র পাচ্ছেন না, তখন সেখানে গিয়ে কেন্দ্রের সমর্থনে সব ঠিক হ্যায় সার্টিফিকেট দেওয়া ও বিরোধীদের অভিযোগকে নস্যাৎ করা। এবং এভাবেই তাদের দেওয়া সেই শংসাপত্রের জোরে দেশে বিদেশে সরকারের মুখ উজ্জ্বল করা। আর দ্বিতীয় উদ্দেশ্য, সেই ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করা। কথা বলা। সে রাজনীতি নিয়েও হতে পারে অথবা বাণিজ্যিক আদানপ্রদান। এককথায় ‘গিভ অ্যান্ড টেক’। কিছু দাও বদলে কিছু নাও। অর্থাৎ যে কাশ্মীর ভারতের একান্ত সার্বভৌম অংশ, যেখানে কোনও বিদেশি শক্তির দৌত্য কিম্বা হস্তক্ষেপ আমরা মানব না বলে বারংবার বিশ্বমঞ্চে জানিয়ে দিয়েছি, হঠাত্ই বিশেষ উদ্দেশ্যপূরণের জন্য তা লঙ্ঘন করে পুরো বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের সামনে কাশ্মীরের দরজা হাট করে খুলে দেওয়া। সবচেয়ে আশ্চর্যের, সবটাই হল ভারত সরকারের নিজের উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায়। যার সুযোগ নিল কিছু বিদেশি প্রতিনিধি এবং ইউরোপের একটি এনজিও।
কিন্তু এত করেও কি শান্ত স্বাভাবিক কাশ্মীরের সর্বাঙ্গ সুন্দর ছবিটা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরা গেল? প্রমাণ কি দেওয়া গেল যে দেখে যাও, ৩৭০ ধারা হটিয়ে সন্ত্রাসকে পুরোপুরি জব্দ করা গিয়েছে? পরখ করো, সন্ত্রাসহীন কাশ্মীরকে। উল্টে সামনে এল নতুন সমস্যা। কাশ্মীরি-অকাশ্মীরি বিরোধ। বিদ্বেষ। ভিনরাজ্য থেকে কাজের টানে যেসব শ্রমিক কর্মচারী কাশ্মীরে আছেন তাদের উপর একটা আক্রোশ। আর সেই বিদ্বেষের মূল কারণ, ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি। বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর একটা ধারণার সৃষ্টি হয় যে ভিনরাজ্যের লোকজন এবার কাশ্মীরের স্থাবর সম্পত্তি কিনে তার মালিক হতে পারবেন। এতদিন তা হতো না। কিন্তু নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার পর উপত্যকার জমি কেনায় আর কোনও বাধা রইল না। এতে সাধারণ কাশ্মীরিরা গোটা উপত্যকার জনসংখ্যা ও জনভিত্তির পরিবর্তনের আশঙ্কায় ভীত হয়ে উঠছে। তারই জেরে বিগত ১৪ অক্টোবর থেকে একের পর এক কাশ্মীরের বুকে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের উপর বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। ষষ্ঠ ঘটনাটি ঘটল গত মঙ্গলবার। শেষটায় বাঙালিদের উপর। এই নিয়ে গত আড়াই সপ্তাহে মোট ১১ জন অসহায় শ্রমিক ও ট্রাক ড্রাইভার প্রাণ হারালেন। গত ১৪ অক্টোবর প্রথম ঘটনাটি ঘটে এক নিরীহ ট্রাক ড্রাইভারের হত্যা দিয়ে। তাঁর নাম ছিল মহম্মদ শরিফ। শরিফ রাজস্থানের লোক, কাজের আশায় কাশ্মীরে ডেরা বেঁধেছিলেন। এরপর ১৬ অক্টোবর পাঞ্জাবের চিরঞ্জিত সিং ও চণ্ডীগড়ের শেঠি কুমার সাগর জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান। ২৩ অক্টোবর হত্যা করা হয় মহম্মদ ইলিয়াস ও জাহিদকে। দু’জনেই রাজস্থান থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এরপর গত সোম ও মঙ্গলবার ফের ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা প্রাণঘাতী হামলার শিকার হলেন। এই ঘটনা ঘটল ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলের সফরের মধ্যেই। সব মিলিয়ে এপর্যন্ত ভিনরাজ্যের শ্রমিক হত্যার ঘটনা সংক্রামিত হতে শুরু করেছে। আর ভয়টা সেখানেই। এর থেকেই স্পষ্ট, ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পর কাশ্মীরে জঙ্গিরা নতুন পথ বেছে নিয়েছে। জন্ম নিয়েছে নতুন ধরনের ঘৃণা ও আক্রোশের। যার সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত অপহরণ করে নৃশংসভাবে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ অসহায় শ্রমিকের নির্মম হত্যা। এই ঘটনা আরও একবার জানান দিল ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি কাশ্মীর সমস্যার প্রকৃত সমাধান হতে পারে না। উল্টে তা আরও বড় সমস্যার জন্ম দিতে বাধ্য। আর তা ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। কাজে যাওয়া অসহায় পরিবারগুলোর কী দোষ? পেটের দায়ে এদেশের যেকোনও স্থানে একজন নাগরিক যেতে পারেন। কাজ করতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গেও ভিনরাজ্যের বহু শ্রমিক কাজ করছেন। সংবিধানই দেশের প্রত্যেক নাগরিককে এই অধিকার দিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের এই নয়া সাংবিধানিক পরিবর্তন সেখানকার অসহায় শ্রমিকদের সেই অধিকারই কি কেড়ে নিতে চলেছে?
এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ভিনরাজ্যের প্রায় দশ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক কাশ্মীরে এই মুহূর্তে কর্মরত। মূলত পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের শ্রমিকরা কাশ্মীরে কর্মরত। অথচ পরিবারগুলো ভয়ঙ্কর এক বিপন্নতা ও আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কখন কার উপর আক্রমণ নেমে আসে কেউ জানে না। ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বার বার বলছেন, এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের অর্থই না কি কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ এক কথায় খতম করা। এবার ভূস্বর্গে শুধুই উন্নয়ন শুরু হবে। আপাতত মোদি সরকারের সেটাই লক্ষ্য। সেই মতো গত ১ নভেম্বর সরকারিভাবে পূর্ণরাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্মও হয়ে গিয়েছে। দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর শপথ নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু কাশ্মীর কি স্বাভাবিক হয়েছে। সেখানকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কি ভালো আছে? অজানা আশঙ্কা ও আতঙ্ক মানুষের আত্মবিশ্বাসকে ধ্বংস করে। আর নিরাপত্তাহীন বিপন্ন জীবন তাকে বিপথে যেতে বাধ্য করে। কাশ্মীরে নতুন করে সেই অধ্যায়ই শুরু হচ্ছে না তো?
মোদি ও অমিত শাহের বৈপ্লবিক সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতেই গত ৫ আগস্ট সংসদে ঐতিহাসিক কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলটি পাশ হয়। আর মাত্র গত শুক্রবারই পূর্ণ রাজ্যের তকমা হারিয়ে গোটা জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছে। শুরু হয়েছে নতুন পথচলা। কিন্তু এখনও দেশের সাধারণ মানুষ বিনা বাধায় কাশ্মীরে যাওয়ার ছাড়পত্র পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। নেতানেত্রীদের সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র জোগাড় করতে হচ্ছে। পরিস্থিতিটা এতই খারাপ যে আগস্টের পর থেকে বহু এলাকায় দোকানপাট, স্কুল কলেজ, অফিস কাছারি আজও স্বাভাবিক হয়নি। স্কুল খুললেও অজানা আশঙ্কায় কেউ ছেলে মেয়েদের পাঠাচ্ছেন না। দোকানপাট সকালে খুব অল্প সময়ের জন্য খুলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেক দোকানে আবার স্থানীয় লোকজন ছাড়া অন্যদের জিনিসপত্রই বিক্রি করা হচ্ছে না। আর এই অন্যায় ও আশঙ্কার কারণেই উৎসব মরশুমেও ভূস্বর্গ কার্যত পর্যটকশূন্য হয়েই থেকে গিয়েছে। একেই বোধহয় বলে অঘোষিত জনতা কার্ফু। যেখানে সাধারণ মানুষ নিজে থেকেই নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখে প্রতিবাদ জানায়। সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখানো তথা পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করার এ এক অভিনব উপায়, সন্দেহ নেই। গত তিন মাসে শ্রীনগর বিমানবন্দরে নেমেই ফিরতে হয়েছে অনেককে। পরে অবশ্য দু’একজন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে উপত্যকায় ঢুকেছেন। কিন্তু রাজ্যের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, পুত্র ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি এখনও কার্যত অন্তরালেই। বহু ছোট ব্যবসায়ী কাজ হারিয়ে রোজগার হারিয়ে অসহায় দিনযাপন করছেন। সেই আগস্ট মাস থেকে পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে কৃষি ও হস্তশিল্পও। এই সব কাজে নিযুক্ত কৃষক, শ্রমিক, হস্তশিল্পী, রাজমিস্ত্রিরা দলে দলে এসেছে ভিনরাজ্য থেকে। এতদিন তাদের সঙ্গে কাশ্মীরের মানুষের শত্রুতা তৈরি হয়নি। কিন্তু এবার বাইরের রাজ্যের লোকেরা জমি বাড়ি সম্পত্তি কেনার আইনি অধিকার পেতে চলেছেন বলে যেই রটছে, তখনই বিদ্বেষের সৃষ্টি হচ্ছে। এই কাশ্মীরি আর অকাশ্মীরি বিভেদ ও দূরত্ব আগামী দিনে আরও বাড়তে বাধ্য। কিন্তু এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সুদূর ব্রাসেলসের একটি এনজিও ও তার প্রধান অখ্যাত ম্যাডি শর্মার আমন্ত্রণে কাশ্মীর দেখতে আসছেন একদল ইউরোপীয় প্রতিনিধি, এটাই অবাক করা ঘটনা। ব্যাপারটা মোটেই সহজবোধ্য নয়। আবার বলা হচ্ছে এটা না কি তাঁদের ব্যক্তিগত সফর! বিরোধীরা স্বভাবতই জোরালো ভাষায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যদি সরকার এর সঙ্গে যুক্ত নাই থাকে তবে কার অঙ্গুলিহেলনে ‘ওয়েস্ট’ নামে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হল, তা চরম রহস্যাবৃত। দেশের লোকের যাওয়ার অনুমতি নেই অথচ বেমালুম কিছু বিদেশি শুধু শ্রীনগর ঘুরে সর্বত্র শান্তি বিরাজ করছে বলে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন, এ বড়ই বেমানান। তার উপর একজন বিদেশি মহিলা সেই সফরের মূল আয়োজক এটাই নানা সন্দেহেরও জন্ম দিতে বাধ্য। যার পরিষ্কার উত্তর সরকারি তরফেও এখনও দেওয়া হয়নি। তবে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে যতই ঢাক ঢোল পেটানো হোক, উপত্যকায় এখনই জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ হওয়া দূরঅস্ত! আগামী দিনে ভূস্বর্গে সন্ত্রাস নতুন চেহারায় সামনে আসবে এবং ক্রমাগত সাধারণ মানুষকে বিপন্ন করবে, এই আশঙ্কাই বদ্ধমূল হচ্ছে।  
03rd  November, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM