Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোট: বিধ্বস্ত বিরোধী
বনাম দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদি-অমিত শাহ জুটি
বিশ্বনাথ চক্রবতী

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর চার মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের সম্মুখীন মোদি-অমিত শাহ জুটি। এই দুই রাজ্যে পাঁচ বছর শাসন করবার পরও মোদিই বিজেপির প্রধান ভরসার স্থল। কাশ্মীর প্রশ্নে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ, সংসদে তিন তালাক রদ আইন পাশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মোদির যে ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার সামনে এখনকার দিশাহীন কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী পক্ষ কেমন লড়াই করে সেটাই দেখার।
আসা যাক মহারাষ্ট্রর কথায়। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নিরবিচ্ছিন্নভাবে পাঁচ বছর মহারাষ্ট্র শাসনের মধ্যে দিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ কিছু কাঠামগত পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। যেমন—(ক) মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিজেপি ছিল শিবসেনার জুনিয়র পার্টনার। গত পাঁচ বছরে শিবসেনা পরিণত হয়েছে বিজেপির জুনিয়র পার্টনারে। এবারের নির্বাচনে রাজ্যে ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৬২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, শিবসেনার ভাগ্যে জুটেছে মাত্র ১২৬ আসন। ১০ বছর আগেও সিংহ ভাগ আসনে কিন্তু লড়ত শিবসেনা। (খ) কিছু কাল আগেও বিদর্ভ, মারাঠাওয়ারা অঞলে এনসিপি বা কংগ্রেস ছাড়া বিজেপির তেমন কোনও প্রভাব ছিল না। আখ চাষিদের মধ্যে শারদ পাওয়ারের দলের দশকের পর দশক ধরে প্রভাব ছিল প্রশ্নাতীত। রাজ্যে বিজেপির পাঁচ বছর শাসন করবার পর বিদর্ভ, মারাঠাওয়ারা অঞলে এনসিপি বা কংগ্রেসের শক্তি যেমন একদিকে হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে ওইসব এলাকাতে বিজেপির প্রভাবও যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদর্ভ, মারাঠাওয়াড়া অঞলে এনসিপি বা কংগ্রেসের একাধিক আঞলিক নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। (গ) শিবাজিকে সামনে রেখে শিবসেনার জাতীয়তাবাদ এখন বিজেপির ঘরের সম্পদ। মোদি-অমিত শাহ-রা লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও শিবাজির জাতীয়তাবাদকে সামনে রেখে মারাঠিদের প্রভাবিত করতে চাইছেন।
২০১৪-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং শিবসেনা আলাদাভাবে লড়ে বিজেপি ১২২টি আসন এবং শিবসেনা ৬৩টি আসন পায়। সরকার গঠনের সময় শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়। তবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকারের সঙ্গে থাকলেও শিবসেনাকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপির সমালোচনায় সরব হতে দেখা গেছে। এমনকী শিবসেনা নেতাদেরও বারবার নানা ইস্যুতে দিল্লির মোদি সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গেছে। লোকসভা নির্বাচনে মোদির বিপুল জয়ের ফলে শিবসেনার পক্ষে বিজেপির সঙ্গে আর দর কষাকষি করবার মতো পরিস্থিতি ছিল না। এবারের নির্বাচনে তাই উদ্ধব ঠাকরেকে বিজেপির শর্তেই আসন সমঝোতায় রাজি হতে হয়েছে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৫০.৮৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে ৪১টি আসন লাভ করেছে। এরমধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ২৩টি আসন এবং শিবসেনা ১৮টি আসন। পাঁচ বছর শাসনের পর বিজেপি একদিকে যখন স্বচ্ছ দায়বদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের সাফল্যের দাবি করছে তখন অন্যদিকে একাধিক এনসিপি নেতা দুর্নীতির অভিযোগে জেলে বন্দি (যেমন ছগন ভুজবল) অথবা দুর্নীতির প্রশ্নে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। বিগত পাঁচ বছরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে আপেক্ষিকভাবে অচেনা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ যখন বিজেপি শিবিরে নিজের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে রাজ্য রাজনীতিতে প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন তখন কংগ্রেস-এনসিপি শিবির অন্তর্দ্বন্দ্বে বিদীর্ণ। একের পর এক নেতার দলত্যাগের পাশাপাশি এনসিপি শিবিরে অজিত পাওয়ার এবং সুপ্রিয়া সুলের দলের ভেতরেও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে যেমন বিবাদ রয়েছে তেমন কংগ্রেস শিবিরেও তেমন কোনও বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্ব নেই।
দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সরকার একাধিক শহরের মেট্রো প্রকল্পের কাজকে সামনে রেখে উন্নয়নের ধ্বজা প্রচারে ওড়াচ্ছেন। যদিও বিরোধীদের তরফ থেকে সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, কৃষকের আত্মহত্যা, বেকারত্বের ইস্যুকে সামনে এনে বিজেপি-শিবসেনার বিরুদ্ধে প্রচার চালান হচ্ছে। ফড়নবিশ বিজেপির মহারাষ্ট্রের মনোহর যোশির পরে দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী যিনি ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ভুক্ত হলেও সমাজের অন্যান্য বর্গ—ওবিসি, তফসিলি জাতি, উপজাতি সকলকে একসূত্রে বাধতে সক্ষম হয়েছেন। এক্ষেত্রে বৃহত্তর হিন্দুত্বের যে ভাবনা মোদি, অমিত শাহরা বিজেপির রাজনীতিতে কার্যকর করেছেন তার ফসল দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবারের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পাবেন বলে সমস্ত প্রাক নির্বাচনী জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে। লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর দিশাহীন কংগ্রেস–এনসিপি জোটের পক্ষে আদতেও লড়াই দেওয়া সম্ভব কিনা তার জন্য চলতি মাসের ২৪ তারিখ ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
এবার চোখ রাখা যাক হরিয়ানার নির্বাচনে। হরিয়ানার রাজনীতিতে তিন দশক ধরে চলে আসা দেবীলালের পরিবারতন্ত্র এবং ভূপেন্দ্র সিং হুড্ডার প্রভাব প্রতিহত করে বিজেপি রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে। দেবীলালের পরিবারের প্রভাব হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে হরিয়ানায় দীর্ঘদিন ধরে চলা জাঠদের প্রভাব উপেক্ষা করে বিজেপি নেতৃত্ব মনোহরলাল খাট্টারের মতো জাঠ সম্প্রদায়ের বাইরে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করবার সাহস দেখাতে পেরেছিল। বিজেপির অঙ্ক ছিল সমস্ত ওবিসি ও তফসিলি সম্প্রদায়ের ভোটারদের একত্র করে তিন দশক ধরে চলে আসা হরিয়ানার রাজনীতিতে জাঠদের প্রভাব হ্রাস করার পাশাপাশি আই এন এল ডি’কে কোণঠাসা করে রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে আসা। বলাই বাহুল্য ২০১৪ -র বিধানসভা নির্বাচনে মোদি-অমিত শাহ জুটি লক্ষ্য অর্জনে একশ ভাগ সাফল্য পেয়েছিল। ২০১৪-র নির্বাচনে বিজেপি ৩৩ শতাংশ ভোট এবং ৪৭টি বিধানসভা আসন পেয়ে প্রথমবার ক্ষমতা দখল করে। লোকদল ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৯টি এবং কংগ্রেস মাত্র ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৫টি আসন পেয়েছিল।
বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্য রাজনীতিতে অনেক উত্থান পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। দেবীলালের পরিবারের ভাঙন এবং পরিবারের একেক জন সদস্যের একেক দলে যোগদানের ফলে আইএনএলডি দুর্বল হয়েছে। অজয় চৌতালা জননায়ক জনতা পাটি (জেজেপি) গঠন করে নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে জেজেপি লোকদলের অবশিষ্ট ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারে। ভাঙন ধরেছে কংগ্রেস ও ভজনলালের গড়া হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেসেও। লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর কংগ্রেস সমেত বিরোধীরা এবারের নির্বাচনে দিশাহীন মনে হচ্ছে। কংগ্রেস শিবির শেষ লগ্নে সভাপতি পদে ভূপিন্দর সিং হুড্ডাকে এনেছে সঙ্কট সামাল দিতে। তবে রাজ্য রাজনীতিতে ভূপিন্দর সিং হুড্ডার সঙ্গে কুমারী শৈলজার দ্বন্দ্ব সুবেদিত। তার প্রভাব ইতিমধ্যে নির্বাচনে পড়তে শুরু করেছে। ২০১৪ বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন দল থেকে জেতা অনেক বিধায়ক নিজ নিজ দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কেবলমাত্র আইএনএলডি থেকে ১৬জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এতে বর্তমানে শাসক দলের বিধায়ক সংখ্যা ৪৭ থেকে বেড়ে ৬৩টিতে পৌঁছেছে। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের আগে হরিয়ানায় একদিকে যেমন বিরোধীরা ভেঙে চুরমার হয়েছে, অন্যদিকে শাসক দল বিজেপি রাজ্যে প্রভাব ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে।
তবে মনোহরলাল খাট্টারের সরকার বিগত পাঁচ বছর যে বিরাট কোনও সাফল্য পেয়েছে তা বলা যাবে না। বরং জাঠদের সংরক্ষণ আন্দোলনে নাজেহাল মনোহরলাল খাট্টারের অপসারণের ভাবনা দিল্লিতে পর্যন্ত উঠে এসেছিল। রাম-রহিম-বাবাকে কেন্দ্র করে হরিয়ানা উত্তাল হলে যেভাবে মনোহরলাল খাট্টারের সরকার শেষ পর্যন্ত সামাল দিয়েছিল তা বিজেপির অন্দরমহলে প্রশংসা পেয়েছিল। তবে মনোহরলাল খাট্টার সবসময় বিতর্কিত মন্তব্য করে সর্বদাই সংবাদের শিরোনামে থেকেছেন। কর্মসংস্থানের অভাব, জলকষ্ট, কৃষি সমস্যায় সরকার জর্জরিত। কিন্তু একই সঙ্গে প্রশাসন পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে কেন্দ্র করে মনোহরলাল খাট্টারের সরকারের জনমনে ভালো ভাবমূর্তি রয়েছে। অতীতে ভজনলাল, দেবীলাল, চৌতালা, হুড্ডা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও মনোহরলাল খাট্টারের সরকারের বিরুদ্ধে কিন্তু পাঁচ বছরে তেমন কোনও বড় দুর্নীতির অভিযোগ নেই। বিজেপি এবারের নির্বাচনে হরিয়ানার রাজনীতিতে চলে আসা পরিবারতন্ত্র এবং ভজনলাল, দেবীলাল, চৌতালা, হুড্ডা সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগগুলো নিয়ে ব্যাপক প্রচারের পাশাপাশি মনোহরলাল খাট্টারের সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকেও ভোটারদের সামনে তুলে ধরছে।
লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যে ৯০টি বিধানসভার আসনের মধ্যে ৭৯টি আসনে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে কংগ্রেস ২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল ও মাত্র ১০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল। লোকসভা নির্বাচনের পর কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার বিলোপ, তিন তালাক বাতিল বিল সংসদে পাশ করানো, মোদির আমেরিকা সফরের পর হরিয়ানার মানুষ এখনই সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন বলে মনে হয় না। ২১ অক্টোবর হরিয়ানার ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ভোটারের অনেকেই রাজ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপির পক্ষে রায় দিতে পারে বলে সমস্ত জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে। বিজেপির প্রার্থী তালিকাতেও রয়েছে চমক। দুইজন কুস্তিগির—ববিতা ও যগেশ্বর যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় হকি টিমের ক্যাপ্টেন সন্দীপ সিং। বহুমুখী লড়াইয়ে বিরোধী ভোটের বিভাজনের সুবিধে বিজেপিকে অতিরিক্ত সুবিধা দিতে পারে। ৯০ আসনের বিধানসভায় সর্বমোট ১১৬৮ জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ফল ২৪ অক্টোবর।
 লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
17th  October, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM